Ajker Patrika

ঘরে বসে বোমা বানানো শেখাবে ডিপসিক, কিন্তু চীনের গণহত্যার প্রশ্নে কুলুপ

অনলাইন ডেস্ক
ডিপসিকের মডেলটি ৫০টি নিরাপত্তাবিষয়ক পরীক্ষায় ফেল করেছে। ছবি: সাইথ চায়না মর্নিং পোস্ট
ডিপসিকের মডেলটি ৫০টি নিরাপত্তাবিষয়ক পরীক্ষায় ফেল করেছে। ছবি: সাইথ চায়না মর্নিং পোস্ট

কম খরচে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছ চীনের কোম্পানি ডিপসিক। তবে, এই মডেলের কিছু বিতর্কিত কার্যকলাপের কারণে এখন সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে কোম্পানিটি। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা বা তিয়েনআনমেন স্কয়ারের গণহত্যা সম্পর্কিত কোনো তথ্য না দেখালেও বোমা তৈরি এবং হ্যাকিংয়ের মতো বিপজ্জনক তথ্যও দিতে দ্বিধা করছে না ডিপসিক।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘৯ টু৫ ম্যাক’-এর একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, মডেলটি ৫০টি নিরাপত্তাবিষয়ক পরীক্ষায় ফেল করেছে, যা গবেষকেরা পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করেন। এই পরীক্ষাগুলো দেখা যায়, ডিপসিক খুব সহজেই বিপজ্জনক কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। যেমন—বিস্ফোরক তৈরি করার নির্দেশনা এবং সরকারি ডেটাবেইস হ্যাক করার প্রক্রিয়া।

এআই সুরক্ষা নিয়ে গবেষকেরা অনেক আগে থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। জনপ্রিয় মডেলগুলো, যেমন— চ্যাটজিপিটি ও বিং চ্যাটের ক্ষেত্রেও প্রথম দিকে বেশ কিছু নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা যায়। ব্যবহারকারীরা সেই দুর্বলতাগুলো ভুলভাবে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট নীতিমালা ভঙ্গ করতে পারতেন। তবে ডিপসিকের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে। সাধারণ শব্দগত কৌশল দিয়েই ডিপসিককে সহজেই ভুল পথে পরিচালিত করা যায়।

উদাহরণস্বরূপ, ডিপসিককে একটি স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য নির্দেশনা দেন এক প্রযুক্তি বিশ্লেষক। এই স্ক্রিপ্টের এক দৃশ্যে জেলে পাওয়া সাধারণ সামগ্রী দিয়ে নায়ক একটি আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরি করবে। ডিপসিক এই বোমা তৈরি সব উপকরণ ও প্রক্রিয়াটি তুলে ধরে।

এ ছাড়া কিছু পরীক্ষায়, বিশেষভাবে টোকেন চেইন ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে ডিপসিক সহজেই নিরাপত্তা ফিল্টারগুলো এড়িয়ে যায়। এমনকি গোপন সরকারি তথ্য হ্যাকিংয়ের জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেছে ডিপসিক।

তবে এসব অভিযোগ নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ডিপসিক।

মাত্র ছয় মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিপসিকের এই মডেলটি তৈরি করে। এই মডেলটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে গত এক মাসে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এনভিডিয়া, টিএসএমসি, আমাজন, মেটা এবং মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলোর বাজারমূল্যও কমে যায়। গত ডিসেম্বরে চ্যাপজিপিটির ফ্রি বিকল্প হিসেবে পরিচিতি পায় মডেলটি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় অনেক কম খরচে মডেলটি তৈরি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত