এনামুল হক বিজয়ের সাক্ষাৎকার
২০১৪ সালে ৫০ সেঞ্চুরির স্বপ্ন একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ২০২৫ সালে এসে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ই করেননি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে দুই বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন বিজয়। গত পরশু মিরপুরে স্বীকৃত ক্রিকেটে তাঁর ৫১তম সেঞ্চুরির দিনে আজকের পত্রিকার সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন, তখনো চট্টগ্রাম টেস্টের বাংলাদেশ দল ঘোষণা হয়নি। বিজয়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা

প্রশ্ন: লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসেই এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছিলেন ২০২২ সালে। এবার করলেন দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’। সামনে কোন রেকর্ডটা করার স্বপ্ন দেখছেন?
এনামুল হক বিজয়: সত্যি বলতে কখনো রেকর্ডের পেছনে ছুটিনি। তবে যখন দেখি সামনে কোনো রেকর্ড ধরা দেওয়ার মতো, তখন স্বপ্নটা আপনা-আপনি চলে আসে। এখন পর্যন্ত আমার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৫১। আমার কাছে এটা একটা বড় অর্জনই মনে হয়। সামনে একটা বিশেষ অর্জনের খুব কাছাকাছি আছি; তবে সেটা এখনই বলতে চাই না। আমি চাই না সেটা মানুষের নজরে পড়ে যাক। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, স্বপ্ন বা লক্ষ্য বললে সেটা ঘিরে একটা চাপ তৈরি হয়, অনেক সময় নজরেও পড়ে যায় (হাসি)। আমি যেমন খেলি, তেমনই খেলে যেতে চাই। যেমন এবার যখন ৪৭টা সেঞ্চুরি হয়েছিল, তখন বলেছিলাম ৫০টি করতে চাই। ঠিক তেমনি যখন পরের সেই স্বপ্নের খুব কাছাকাছি চলে যাব, তখনই আপনাদের জানাব।
প্রশ্ন: ১১ বছর আগে কোন ভাবনায় ওই নোটটা লিখেছিলেন যে ২০২৫ সালে ৫০টা সেঞ্চুরি করতে চান, আর সেটি পূরণ হবে, এটাও কি ভেবেছিলেন?
বিজয়: নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেই খেলে গেছি। জানতাম, আমি খারাপ ক্রিকেটার না। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই ২০১৪ সালে একদিন নিজের খাতায় লিখে রেখেছিলাম—২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি সেঞ্চুরি করতে চাই। যখন একটার পর একটা সেঞ্চুরি হচ্ছিল, তখন মনে হতো আমি হয়তো সেই সঠিক পথেই এগোচ্ছি। ভাবতাম, ধীরে ধীরে ঠিকই হয়তো পৌঁছে যাব লক্ষ্যে।
প্রশ্ন: ৫০টি সেঞ্চুরি করে বলেছেন, এর অর্ধেকটা জাতীয় দলে করতে পারলেও আরও বেশি তৃপ্তি দিত। জাতীয় দলের শুরুতে ধারাবাহিক সেঞ্চুরি করেছেন। পরে আর সেটা ধরে রাখা যায়নি, জায়গাও ধরে রাখা যায়নি। ঘাটতি কোথায় ছিল মনে হয়?
বিজয়: অনেক সময় ট্যালেন্ট বা স্কিলই সব নয়, মানসিক প্রস্তুতি আর চাপ সামলানোর ক্ষমতাটা বড় হয়ে ওঠে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছু সাফল্য পেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু হয়তো তখন পরিণত ছিলাম না সেভাবে। সেই অভিজ্ঞতার ঘাটতি হয়তো পরে কিছু কঠিন সময় ডেকে এনেছিল। তবে যতটুকু পথ পেরিয়েছি, মনে করি আমি সঠিক ছিলাম। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল বলেই টিকে থাকতে পেরেছি। এখনো পারফর্ম করতে পারছি।
প্রশ্ন: হঠাৎ হঠাৎ জাতীয় দলে ফেরেন। কিন্তু সেসব সুযোগ কাজে লাগানো যায়নি। এর পেছনের কারণ কী মনে হয়?
বিজয়: আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে গেছি। কখনো বুঝতে পারিনি, একাদশে থাকছি না কেন; আবার হঠাৎ দলে ডাকও পাচ্ছি। আমি কারও বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। জাতীয় দলে রাখা, না-রাখা সম্পূর্ণ বিসিবির বিষয়। শুধু এটুকু বলতে পারি, নিজের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখিনি। আমি সঠিক ছিলাম। নিজেকে পূর্ণ প্রস্তুত মনে হয়েছে। বিসিবির সবাইকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমার পক্ষে বা বিপক্ষে যে অবস্থানেই থাকুন না কেন। আমি কখনো কাউকে দোষ দিতে চাইনি। জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টাও তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাকে নিয়ে তাঁরা কী ভেবেছেন, সেটি তাঁরাই ভালো জানেন। তবে আমার মনে হয়েছে, যতটুকু সুযোগ পেয়েছি, সেটিকে যথাসাধ্য কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। যদি আরও ধারাবাহিক সুযোগ পেতাম, হয়তো ছবিটা ভিন্ন হতে পারত।

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স জাতীয় দলে জায়গা পেতে সব সময় যথেষ্ট হয় না?
বিজয়: সত্যি বলতে, কখনো কখনো মনে হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করেও জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া সহজ নয়। তবে অভিযোগ করার পাত্র আমি নই। এটাও মানি, ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ এক নয়। জাতীয় দলের নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেন। নিজেকে প্রস্তুত রাখাটাই আমার কাজ। সুযোগ পেলে সেটাকে কাজে লাগানোই লক্ষ্য।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক রান পেলেও অনেক সময় আপনার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ‘স্বার্থপর ক্রিকেট’ খেলার অপবাদও শুনতে হয়েছে। এটা আপনাকে কতটা পীড়া দেয়?
বিজয়: ব্যথা তো অবশ্যই লাগে। কেউই নিজের জন্য খেলতে নামে না, আমিও না। আমি সব সময় দলের জন্য খেলি। ইনিংস বড় করতে গেলে অনেক সময় পরিস্থিতি বুঝে একটু ধীরে খেলার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাইরের অনেকে হয়তো শুধু স্কোরবোর্ড দেখে বিচার করেন। মাঠের ভেতরের বাস্তবতা বা পরিকল্পনা বোঝেন না। ‘সেলফিশ’ অপবাদ শুনে মন খারাপ হয়, কষ্টও পাই। তবে সেই কষ্টকে আমি শক্তিতে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিবারই প্রমাণ করতে চাই, আমি কখনো দলের চেয়ে নিজেকে বড় করে দেখিনি।
প্রশ্ন: আপনার নামের সঙ্গে প্রায়ই কিছু নেতিবাচক শব্দ বা প্রশ্ন আসে, এটা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
বিজয়: আমি সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। নেতিবাচক মন্তব্য বা সমালোচনা থাকবেই, বিশেষ করে আপনি যদি আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন। অনেকেই আমাকে ভালোবাসেন, আবার কেউ কেউ হয়তো পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি অবাক হই, যখন দেখি কেউ আমাকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছেন কিংবা গালিও দিচ্ছেন। আমি এটাকে নেতিবাচকভাবে নিই না। বরং ভাবি, তারা চায় আমি আরও ভালো খেলি। হয়তো আমি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি, তাই তারা হতাশ হয়ে এমন মন্তব্য করে। আমি সেটাকে একধরনের ভালোবাসা হিসেবেই দেখি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করেও আপনি মাঝে মাঝে দলে উপেক্ষিত হয়েছেন। নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে গিয়ে কখনো কি হতাশা বা ক্লান্তি স্পর্শ করেছে?
বিজয়: ক্লান্তি মানুষকে পিছিয়ে দেয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি মানসিকভাবে শান্ত থাকতে। যদি বারবার উপেক্ষিত হওয়ার কষ্টে ভেঙে পড়তাম, যদি নিজেকে ক্লান্ত ভাবতাম কিংবা এলিয়ে দিতাম—তাহলে কি এই ৫০টির বেশি সেঞ্চুরি করতে পারতাম? নিশ্চয়ই না। আমার আসলে কোনো ক্লান্তি নেই। আমি বিশ্বাস করি, যেদিন ক্রিকেট থেকে অবসর নেব, সেদিনই আমার ক্লান্তি শুরু হবে। তার আগে কোনো অবকাশ নেই। যতক্ষণ খেলার মধ্যে আছি, আমার কাজ একটাই—পারফর্ম করা। পেশাদার হিসেবে ক্লান্তির জায়গা দেখি না। ক্রিকেটাররা পরিশ্রম করতেই মাঠে নামে।
প্রশ্ন: আপনি যদি এখনকার ১৮-১৯ বছর বয়সী বিজয় হতেন, ক্যারিয়ারের কোন সিদ্ধান্তটা আপনি ভিন্নভাবে নিতেন বলে মনে হয়?
বিজয়: আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত আমি যা পেয়েছি, তাতেই খুশি। যা কিছু অর্জন করেছি, সবই আল্লাহর রহমত। ভবিষ্যতেও তিনি যা দেবেন, তাকেও একইভাবে গ্রহণ করব। আমি কখনো অতৃপ্ত নই। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, যা পাই, সেটাই আমার জন্য নির্ধারিত।

প্রশ্ন: লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসেই এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছিলেন ২০২২ সালে। এবার করলেন দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’। সামনে কোন রেকর্ডটা করার স্বপ্ন দেখছেন?
এনামুল হক বিজয়: সত্যি বলতে কখনো রেকর্ডের পেছনে ছুটিনি। তবে যখন দেখি সামনে কোনো রেকর্ড ধরা দেওয়ার মতো, তখন স্বপ্নটা আপনা-আপনি চলে আসে। এখন পর্যন্ত আমার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৫১। আমার কাছে এটা একটা বড় অর্জনই মনে হয়। সামনে একটা বিশেষ অর্জনের খুব কাছাকাছি আছি; তবে সেটা এখনই বলতে চাই না। আমি চাই না সেটা মানুষের নজরে পড়ে যাক। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, স্বপ্ন বা লক্ষ্য বললে সেটা ঘিরে একটা চাপ তৈরি হয়, অনেক সময় নজরেও পড়ে যায় (হাসি)। আমি যেমন খেলি, তেমনই খেলে যেতে চাই। যেমন এবার যখন ৪৭টা সেঞ্চুরি হয়েছিল, তখন বলেছিলাম ৫০টি করতে চাই। ঠিক তেমনি যখন পরের সেই স্বপ্নের খুব কাছাকাছি চলে যাব, তখনই আপনাদের জানাব।
প্রশ্ন: ১১ বছর আগে কোন ভাবনায় ওই নোটটা লিখেছিলেন যে ২০২৫ সালে ৫০টা সেঞ্চুরি করতে চান, আর সেটি পূরণ হবে, এটাও কি ভেবেছিলেন?
বিজয়: নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেই খেলে গেছি। জানতাম, আমি খারাপ ক্রিকেটার না। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই ২০১৪ সালে একদিন নিজের খাতায় লিখে রেখেছিলাম—২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি সেঞ্চুরি করতে চাই। যখন একটার পর একটা সেঞ্চুরি হচ্ছিল, তখন মনে হতো আমি হয়তো সেই সঠিক পথেই এগোচ্ছি। ভাবতাম, ধীরে ধীরে ঠিকই হয়তো পৌঁছে যাব লক্ষ্যে।
প্রশ্ন: ৫০টি সেঞ্চুরি করে বলেছেন, এর অর্ধেকটা জাতীয় দলে করতে পারলেও আরও বেশি তৃপ্তি দিত। জাতীয় দলের শুরুতে ধারাবাহিক সেঞ্চুরি করেছেন। পরে আর সেটা ধরে রাখা যায়নি, জায়গাও ধরে রাখা যায়নি। ঘাটতি কোথায় ছিল মনে হয়?
বিজয়: অনেক সময় ট্যালেন্ট বা স্কিলই সব নয়, মানসিক প্রস্তুতি আর চাপ সামলানোর ক্ষমতাটা বড় হয়ে ওঠে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছু সাফল্য পেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু হয়তো তখন পরিণত ছিলাম না সেভাবে। সেই অভিজ্ঞতার ঘাটতি হয়তো পরে কিছু কঠিন সময় ডেকে এনেছিল। তবে যতটুকু পথ পেরিয়েছি, মনে করি আমি সঠিক ছিলাম। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল বলেই টিকে থাকতে পেরেছি। এখনো পারফর্ম করতে পারছি।
প্রশ্ন: হঠাৎ হঠাৎ জাতীয় দলে ফেরেন। কিন্তু সেসব সুযোগ কাজে লাগানো যায়নি। এর পেছনের কারণ কী মনে হয়?
বিজয়: আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে গেছি। কখনো বুঝতে পারিনি, একাদশে থাকছি না কেন; আবার হঠাৎ দলে ডাকও পাচ্ছি। আমি কারও বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। জাতীয় দলে রাখা, না-রাখা সম্পূর্ণ বিসিবির বিষয়। শুধু এটুকু বলতে পারি, নিজের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখিনি। আমি সঠিক ছিলাম। নিজেকে পূর্ণ প্রস্তুত মনে হয়েছে। বিসিবির সবাইকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমার পক্ষে বা বিপক্ষে যে অবস্থানেই থাকুন না কেন। আমি কখনো কাউকে দোষ দিতে চাইনি। জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টাও তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাকে নিয়ে তাঁরা কী ভেবেছেন, সেটি তাঁরাই ভালো জানেন। তবে আমার মনে হয়েছে, যতটুকু সুযোগ পেয়েছি, সেটিকে যথাসাধ্য কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। যদি আরও ধারাবাহিক সুযোগ পেতাম, হয়তো ছবিটা ভিন্ন হতে পারত।

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স জাতীয় দলে জায়গা পেতে সব সময় যথেষ্ট হয় না?
বিজয়: সত্যি বলতে, কখনো কখনো মনে হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করেও জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া সহজ নয়। তবে অভিযোগ করার পাত্র আমি নই। এটাও মানি, ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ এক নয়। জাতীয় দলের নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেন। নিজেকে প্রস্তুত রাখাটাই আমার কাজ। সুযোগ পেলে সেটাকে কাজে লাগানোই লক্ষ্য।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক রান পেলেও অনেক সময় আপনার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ‘স্বার্থপর ক্রিকেট’ খেলার অপবাদও শুনতে হয়েছে। এটা আপনাকে কতটা পীড়া দেয়?
বিজয়: ব্যথা তো অবশ্যই লাগে। কেউই নিজের জন্য খেলতে নামে না, আমিও না। আমি সব সময় দলের জন্য খেলি। ইনিংস বড় করতে গেলে অনেক সময় পরিস্থিতি বুঝে একটু ধীরে খেলার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাইরের অনেকে হয়তো শুধু স্কোরবোর্ড দেখে বিচার করেন। মাঠের ভেতরের বাস্তবতা বা পরিকল্পনা বোঝেন না। ‘সেলফিশ’ অপবাদ শুনে মন খারাপ হয়, কষ্টও পাই। তবে সেই কষ্টকে আমি শক্তিতে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিবারই প্রমাণ করতে চাই, আমি কখনো দলের চেয়ে নিজেকে বড় করে দেখিনি।
প্রশ্ন: আপনার নামের সঙ্গে প্রায়ই কিছু নেতিবাচক শব্দ বা প্রশ্ন আসে, এটা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
বিজয়: আমি সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। নেতিবাচক মন্তব্য বা সমালোচনা থাকবেই, বিশেষ করে আপনি যদি আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন। অনেকেই আমাকে ভালোবাসেন, আবার কেউ কেউ হয়তো পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি অবাক হই, যখন দেখি কেউ আমাকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছেন কিংবা গালিও দিচ্ছেন। আমি এটাকে নেতিবাচকভাবে নিই না। বরং ভাবি, তারা চায় আমি আরও ভালো খেলি। হয়তো আমি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি, তাই তারা হতাশ হয়ে এমন মন্তব্য করে। আমি সেটাকে একধরনের ভালোবাসা হিসেবেই দেখি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করেও আপনি মাঝে মাঝে দলে উপেক্ষিত হয়েছেন। নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে গিয়ে কখনো কি হতাশা বা ক্লান্তি স্পর্শ করেছে?
বিজয়: ক্লান্তি মানুষকে পিছিয়ে দেয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি মানসিকভাবে শান্ত থাকতে। যদি বারবার উপেক্ষিত হওয়ার কষ্টে ভেঙে পড়তাম, যদি নিজেকে ক্লান্ত ভাবতাম কিংবা এলিয়ে দিতাম—তাহলে কি এই ৫০টির বেশি সেঞ্চুরি করতে পারতাম? নিশ্চয়ই না। আমার আসলে কোনো ক্লান্তি নেই। আমি বিশ্বাস করি, যেদিন ক্রিকেট থেকে অবসর নেব, সেদিনই আমার ক্লান্তি শুরু হবে। তার আগে কোনো অবকাশ নেই। যতক্ষণ খেলার মধ্যে আছি, আমার কাজ একটাই—পারফর্ম করা। পেশাদার হিসেবে ক্লান্তির জায়গা দেখি না। ক্রিকেটাররা পরিশ্রম করতেই মাঠে নামে।
প্রশ্ন: আপনি যদি এখনকার ১৮-১৯ বছর বয়সী বিজয় হতেন, ক্যারিয়ারের কোন সিদ্ধান্তটা আপনি ভিন্নভাবে নিতেন বলে মনে হয়?
বিজয়: আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত আমি যা পেয়েছি, তাতেই খুশি। যা কিছু অর্জন করেছি, সবই আল্লাহর রহমত। ভবিষ্যতেও তিনি যা দেবেন, তাকেও একইভাবে গ্রহণ করব। আমি কখনো অতৃপ্ত নই। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, যা পাই, সেটাই আমার জন্য নির্ধারিত।

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২৯ মিনিট আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
১ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

২০১৪ সালে ৫০ সেঞ্চুরির স্বপ্ন একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ২০২৫ সালে এসে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ই করেননি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে দুই বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন বিজয়। গত পরশু মিরপুরে স্বীকৃত ক্রিকেটে তাঁর ৫১তম সেঞ্চুরির দিনে...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
১ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

২০১৪ সালে ৫০ সেঞ্চুরির স্বপ্ন একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ২০২৫ সালে এসে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ই করেননি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে দুই বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন বিজয়। গত পরশু মিরপুরে স্বীকৃত ক্রিকেটে তাঁর ৫১তম সেঞ্চুরির দিনে...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২৯ মিনিট আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে সেখানে—
বিশ্বকাপের ফরম্যাট
প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। গ্রুপ সংখ্যাও ৮ থেকে পরিণত হয়েছে ১২টিতে। প্রতি গ্রুপে থাকছে চারটি করে দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ৩২ রাউন্ডে। তৃতীয় হওয়া সেরা আট দলেরও শেষ ৩২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে হবে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
যেভাবে হবে ড্র
প্লে-অফে যারা
আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি ও ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে চার দল। নিউ ক্যালিদোনিয়া-জ্যামাইকা ও বলিভিয়া-সুরিনাম মধ্যকার জয়ী দল আন্তর্মহাদেশীয় ফাইনালে খেলবে যথাক্রমে কঙ্গো ডি আর ও ইরাকের বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান প্লে-অফে রয়েছে ইতালি-উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলদ-বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন-সুইডেন, পোল্যান্ড-আলবেনিয়া, তুরস্ক-রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া-কসোভো, ডেনমার্ক-উত্তর মেসিডোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের মার্চে হবে প্লে-অফ।
ড্র ব্যবস্থাপনায় থাকছেন যাঁরা
ড্র পরিচালনা করবেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। সহপরিচালক হিসেবে থাকবেন সামান্থা জনসন। পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সাতবারের সুপার বোলজয়ী টম ব্রেডি, ন্যাশনাল হকি লিগের হল অব ফেমার ওয়েইন গ্রেটস্কি, বেসবলের সাতবারের অল-স্টার অ্যারন জাজ ও এনবিএর চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও’নিল। লালগালিচার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন এলি ম্যানিং।
পটবিন্যাস
পট ১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি।
পট ২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
পট ৩: নরওয়ে, পানামা, মিসর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, কুরাসাও, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ থেকে ৪ দল ও আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২ দল।

আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে সেখানে—
বিশ্বকাপের ফরম্যাট
প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। গ্রুপ সংখ্যাও ৮ থেকে পরিণত হয়েছে ১২টিতে। প্রতি গ্রুপে থাকছে চারটি করে দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ৩২ রাউন্ডে। তৃতীয় হওয়া সেরা আট দলেরও শেষ ৩২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে হবে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
যেভাবে হবে ড্র
প্লে-অফে যারা
আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি ও ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে চার দল। নিউ ক্যালিদোনিয়া-জ্যামাইকা ও বলিভিয়া-সুরিনাম মধ্যকার জয়ী দল আন্তর্মহাদেশীয় ফাইনালে খেলবে যথাক্রমে কঙ্গো ডি আর ও ইরাকের বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান প্লে-অফে রয়েছে ইতালি-উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলদ-বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন-সুইডেন, পোল্যান্ড-আলবেনিয়া, তুরস্ক-রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া-কসোভো, ডেনমার্ক-উত্তর মেসিডোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের মার্চে হবে প্লে-অফ।
ড্র ব্যবস্থাপনায় থাকছেন যাঁরা
ড্র পরিচালনা করবেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। সহপরিচালক হিসেবে থাকবেন সামান্থা জনসন। পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সাতবারের সুপার বোলজয়ী টম ব্রেডি, ন্যাশনাল হকি লিগের হল অব ফেমার ওয়েইন গ্রেটস্কি, বেসবলের সাতবারের অল-স্টার অ্যারন জাজ ও এনবিএর চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও’নিল। লালগালিচার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন এলি ম্যানিং।
পটবিন্যাস
পট ১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি।
পট ২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
পট ৩: নরওয়ে, পানামা, মিসর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, কুরাসাও, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ থেকে ৪ দল ও আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২ দল।

২০১৪ সালে ৫০ সেঞ্চুরির স্বপ্ন একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ২০২৫ সালে এসে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ই করেননি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে দুই বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন বিজয়। গত পরশু মিরপুরে স্বীকৃত ক্রিকেটে তাঁর ৫১তম সেঞ্চুরির দিনে...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২৯ মিনিট আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।
১৩৫৫ ক্রিকেটার আইপিএল নিলামে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। নিলামে কী হয়, কাকে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কত দামে কেনে অথবা আদৌ তিনি দল পান কিনা সেটা জানা যাবে ১৬ ডিসেম্বর। তার আগে ক্রিকবাজের গত রাতের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৬ আইপিএলে পাঁচ ক্রিকেটারের কে কত ম্যাচ খেলবেন। সেই পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ইংলিস ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ১৯তম আইপিএলে ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলতে চান। ২০২২ সাল থেকে শুরু করে ১০ দলের আইপিএলে লিগ পর্বে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি কমপক্ষে ১৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। আগামী আইপিএলেও ঠিক তাই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে আগামী বছর ইংলিস সর্বোচ্চ চার ম্যাচ খেলছেন।
ইংলিস বর্তমানে চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে আছেন। এদিকে নিলামের আগে বিসিসিআইকে জানিয়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় ইংলিসের পাশাপাশি আছেন নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো এবং আরও দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশটন অ্যাগার ও উইলিয়াম সাদারল্যান্ড। মিলনে ৯৫ শতাংশ, রুশো ২০ শতাংশ, অ্যাগার ৬৫ শতাংশ ও সাদারল্যান্ড ৮০ শতাংশ ম্যাচ পরবর্তী আইপিএলে খেলতে যাচ্ছেন। ইংলিসের মতো ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটার হলেন অ্যাগার, মিলনে ও রুশো। অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম সাদারল্যান্ডের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন ইংলিস। ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ৩০.৮৮ গড় ও ১৬২.৫৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৭৮ রান। একটা ফিফটিও করেছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সতীর্থ অ্যাগার ও সাদারল্যান্ডের এখনো আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। রুশো সবশেষ আইপিএল খেলেছেন ২০২৪ সালে। মিলনে ২০২২ আইপিএলের পর টানা তিন মৌসুম অবিক্রীত ছিলেন। এবারের আইপিএলের নিলামে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের তালিকায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। সাকিব আল হাসানের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।
এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৮ মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কলকাতা নাইট রাইডার্স তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইপিএলে। একবার করে আইপিএলে শিরোপা জিতেছে ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটান্স। বেঙ্গালুরু সবশেষ ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।
১৩৫৫ ক্রিকেটার আইপিএল নিলামে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। নিলামে কী হয়, কাকে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কত দামে কেনে অথবা আদৌ তিনি দল পান কিনা সেটা জানা যাবে ১৬ ডিসেম্বর। তার আগে ক্রিকবাজের গত রাতের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৬ আইপিএলে পাঁচ ক্রিকেটারের কে কত ম্যাচ খেলবেন। সেই পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ইংলিস ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ১৯তম আইপিএলে ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলতে চান। ২০২২ সাল থেকে শুরু করে ১০ দলের আইপিএলে লিগ পর্বে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি কমপক্ষে ১৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। আগামী আইপিএলেও ঠিক তাই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে আগামী বছর ইংলিস সর্বোচ্চ চার ম্যাচ খেলছেন।
ইংলিস বর্তমানে চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে আছেন। এদিকে নিলামের আগে বিসিসিআইকে জানিয়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় ইংলিসের পাশাপাশি আছেন নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো এবং আরও দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশটন অ্যাগার ও উইলিয়াম সাদারল্যান্ড। মিলনে ৯৫ শতাংশ, রুশো ২০ শতাংশ, অ্যাগার ৬৫ শতাংশ ও সাদারল্যান্ড ৮০ শতাংশ ম্যাচ পরবর্তী আইপিএলে খেলতে যাচ্ছেন। ইংলিসের মতো ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটার হলেন অ্যাগার, মিলনে ও রুশো। অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম সাদারল্যান্ডের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন ইংলিস। ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ৩০.৮৮ গড় ও ১৬২.৫৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৭৮ রান। একটা ফিফটিও করেছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সতীর্থ অ্যাগার ও সাদারল্যান্ডের এখনো আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। রুশো সবশেষ আইপিএল খেলেছেন ২০২৪ সালে। মিলনে ২০২২ আইপিএলের পর টানা তিন মৌসুম অবিক্রীত ছিলেন। এবারের আইপিএলের নিলামে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের তালিকায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। সাকিব আল হাসানের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।
এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৮ মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কলকাতা নাইট রাইডার্স তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইপিএলে। একবার করে আইপিএলে শিরোপা জিতেছে ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটান্স। বেঙ্গালুরু সবশেষ ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

২০১৪ সালে ৫০ সেঞ্চুরির স্বপ্ন একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ২০২৫ সালে এসে সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ই করেননি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে দুই বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন বিজয়। গত পরশু মিরপুরে স্বীকৃত ক্রিকেটে তাঁর ৫১তম সেঞ্চুরির দিনে...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২৯ মিনিট আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
১ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগে