ক্রীড়া ডেস্ক

চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
সেই অর্জনের ইতিহাস ১৯০৯ সালের—এক শতাব্দীরও বেশি আগের। তবে আজও গর্বের সঙ্গে সেই খেতাব বহন করে চলে দলটি। কিন্তু কীভাবে কয়লাখনি শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত একটি অপেশাদার দল ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে? চলুন দেখি...
ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ২১ বছর আগেই ১৯০৯ সালে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেন স্যার থমাস লিপটন। যিনি আইস টি’র জনক ও দানবীর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার নামও দেওয়া হয় ‘স্যার থমাস লিপটন ট্রফি’। সেই টুর্নামেন্টে দেশ নয়, লড়াই করেছিল ক্লাবগুলো। ইতালির তুরিন শহরে আয়োজিত টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির সেরা ক্লাবগুলোকে।
জার্মানি পাঠায় তাদের চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্ট, সুইজারল্যান্ড পাঠায় উইন্টারথার, ইতালি পাঠায় তুরিন ও পিয়েমন্তের যৌথ দল। তবে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) টুর্নামেন্টে দল পাঠাতে রাজি হয়নি। তখন লিপটন নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করেন ইংল্যান্ডের নর্দার্ন লিগের একটি দলের সঙ্গে। নানা জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি (ডব্লিউএএফসি)।
এক সময় গুজব ছিল, ‘ডব্লিউএএফসি’ দেখে লিপটনের সেক্রেটারি ভুল করে ‘উলউইচ আর্সেনালের’ বদলে ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় ইতিহাসবিদ মার্টিন কনোলির মতে, ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত বিখ্যাত দল বিশপ অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো কথা ছিল, কিন্তু ভুল করে বা অন্য কারণে ডাক পড়ে ওয়েস্ট অকল্যান্ডের।’
বৈচিত্র্যময় যাত্রা
ওয়েস্ট অকল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে তুরিনে পাড়ি দেন। কেউ কেউ নাকি আসবাবপত্র বিক্রি করে খরচ জোগাড় করেছিলেন। তাদের যাত্রাও বেশ বৈচিত্র্যময়। বাসে ডারলিংটন, ট্রেনে লন্ডন, ফেরিতে ফ্রান্স—সেখান থেকে রওনা হয়ে ইতালির উত্তরে তুরিন।
চ্যাম্পিয়ন
প্রথম ম্যাচেই চমক। জার্মান চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্টকে ২-০ গোলে হারায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। ফাইনালে একই স্কোরে পরাজিত করে সুইস দল উইন্টারথারকে। পুরো টুর্নামেন্টে একটিও গোল হজম করেনি তারা! কনোলির ভাষায়, ‘এটা সম্ভবত ইংরেজ ফুটবলের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য অর্জন। খনি থেকে উঠে আসা ছেলেরা এসে ইউরোপের সেরা দলগুলোকে হারায়—অসাধারণ!’
দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ও ট্রফির চূড়ান্ত মালিক
দুই বছর পর, ১৯১১ সালে, আবারও আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। এবার আরও কঠিন প্রতিপক্ষ তুরিনো ও জুভেন্টাস। ইস্টার সানডেতে ৩-২ গোলে তুরিনোকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় তারা। ফাইনালে ভবিষ্যতের ইউরোপীয় জায়ান্ট জুভেন্টাসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জেতে। এবার ট্রফিটা পুরোপুরিভাবে দিয়ে দেওয়া হয় ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে—চূড়ান্ত মালিকানা তাদেরই।

ট্রফি বিক্রি ও চুরি
কিন্তু জয় ফিরিয়ে আনল না অর্থ। আর্থিক সংকটে পড়া ক্লাবটি ট্রফিটি মাত্র ৪০ পাউন্ডে বিক্রি করে দেয় এক স্থানীয় হোটেল মালিককে। ৪৮ বছর পর, ১৯৬০ সালে, ক্লাব ট্রফিটি ফেরত কিনে নেয় ১০০ পাউন্ডে। সংরক্ষণে রাখা হয়েছিল ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে ওয়ার্কিং মেন্স ক্লাবে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। আজও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নেই। এখন ক্লাবের কাছে রয়েছে একটি অবিকল প্রতিরূপ (রেপ্লিকা)।
এখনো বেঁচে আছে সেই গৌরব
ওয়েস্ট অকল্যান্ডে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন সাইনবোর্ড—‘ওয়েলকাম টু ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে-হোম অব দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কাপ’। অর্থাৎ ‘ (স্বাগতম ওয়েস্ট অকল্যান্ডে, প্রথম বিশ্বকাপের ঘরবাড়ি’। ২০১৩ সালে টাউন গ্রিনে স্থাপন করা হয় একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য—যেখানে আছে খেলোয়াড়দের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ২ লাখ পাউন্ডের বেশি। স্থানীয়দের চাঁদা ও অনুদানে উঠে আসে এই অর্থ। স্থানীয় খেলার মাঠের পাশেই স্থাপন করা হয় ভাস্কর্যটি—সেখানে এখনো ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন ক্লাব তাদের ঘরের ম্যাচ খেলে।
সাবেক কাউন্সিলর রবার্ট ইয়র্ক বলেন, ‘পুরো গ্রাম একসঙ্গে চাঁদা দিয়েছে। এটা শুধু ট্রফি নয়, এটা ছিল আমাদের গর্বের অংশ।’ ইয়র্ক ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার পুনর্গঠনের সময় ওয়েস্ট অকল্যান্ডের কাউন্টি কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি মনে করেন, এই অসাধারণ ক্রীড়া সাফল্য উদ্যাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়ি—স্থানীয় আয়োজন, চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান চেয়ে টাকা তুলি।
গ্রামের সবাই অংশ নেয়, যা প্রমাণ করে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই অর্জন আমাদের কমিউনিটির কাছে।’
যদিও ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই গল্প বিশ্বব্যাপী ১৯৩০ বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়ে মতো বিখ্যাত নয়। তবুও ইয়র্ক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কারা ছিল আসল প্রথম বিশ্বকাপজয়ী তা নিয়ে তার সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি যে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল, এই গল্প কাউন্টি ডারহাম এলাকায় পরিচিত হলেও বাইরের দুনিয়ায় খুব কম মানুষ জানে। অথচ ১৯০৯ সালে নিজেদের অর্থে ইউরোপে গিয়ে খেলে সেই সময়কার সেরা টিমগুলোর বিপক্ষে জিতে আসাটা ছিল দারুণ এক কীর্তি।’
ইতিহাসে অমর
১৯৮২ সালে আইটিভি তৈরি করে ‘এ ক্যাপ্টেনস টেল’—ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক জয়ের গল্প নিয়ে নাট্যধর্মী টেলিফিল্ম। আর ইতিহাসবিদ ও গ্রামবাসীদের জোরালো দাবি, ‘১৯০৯ সালে যে দলটা বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট জিতেছিল, তারা-ই প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’
ইয়র্ক আরও যোগ করেন, ‘তাই যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে—প্রথম বিশ্বকাপ কে জিতেছিল? তুমি নিশ্চিন্তে বলতে পারো—ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি!’

চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
সেই অর্জনের ইতিহাস ১৯০৯ সালের—এক শতাব্দীরও বেশি আগের। তবে আজও গর্বের সঙ্গে সেই খেতাব বহন করে চলে দলটি। কিন্তু কীভাবে কয়লাখনি শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত একটি অপেশাদার দল ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে? চলুন দেখি...
ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ২১ বছর আগেই ১৯০৯ সালে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেন স্যার থমাস লিপটন। যিনি আইস টি’র জনক ও দানবীর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার নামও দেওয়া হয় ‘স্যার থমাস লিপটন ট্রফি’। সেই টুর্নামেন্টে দেশ নয়, লড়াই করেছিল ক্লাবগুলো। ইতালির তুরিন শহরে আয়োজিত টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির সেরা ক্লাবগুলোকে।
জার্মানি পাঠায় তাদের চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্ট, সুইজারল্যান্ড পাঠায় উইন্টারথার, ইতালি পাঠায় তুরিন ও পিয়েমন্তের যৌথ দল। তবে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) টুর্নামেন্টে দল পাঠাতে রাজি হয়নি। তখন লিপটন নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করেন ইংল্যান্ডের নর্দার্ন লিগের একটি দলের সঙ্গে। নানা জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি (ডব্লিউএএফসি)।
এক সময় গুজব ছিল, ‘ডব্লিউএএফসি’ দেখে লিপটনের সেক্রেটারি ভুল করে ‘উলউইচ আর্সেনালের’ বদলে ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় ইতিহাসবিদ মার্টিন কনোলির মতে, ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত বিখ্যাত দল বিশপ অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো কথা ছিল, কিন্তু ভুল করে বা অন্য কারণে ডাক পড়ে ওয়েস্ট অকল্যান্ডের।’
বৈচিত্র্যময় যাত্রা
ওয়েস্ট অকল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে তুরিনে পাড়ি দেন। কেউ কেউ নাকি আসবাবপত্র বিক্রি করে খরচ জোগাড় করেছিলেন। তাদের যাত্রাও বেশ বৈচিত্র্যময়। বাসে ডারলিংটন, ট্রেনে লন্ডন, ফেরিতে ফ্রান্স—সেখান থেকে রওনা হয়ে ইতালির উত্তরে তুরিন।
চ্যাম্পিয়ন
প্রথম ম্যাচেই চমক। জার্মান চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্টকে ২-০ গোলে হারায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। ফাইনালে একই স্কোরে পরাজিত করে সুইস দল উইন্টারথারকে। পুরো টুর্নামেন্টে একটিও গোল হজম করেনি তারা! কনোলির ভাষায়, ‘এটা সম্ভবত ইংরেজ ফুটবলের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য অর্জন। খনি থেকে উঠে আসা ছেলেরা এসে ইউরোপের সেরা দলগুলোকে হারায়—অসাধারণ!’
দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ও ট্রফির চূড়ান্ত মালিক
দুই বছর পর, ১৯১১ সালে, আবারও আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। এবার আরও কঠিন প্রতিপক্ষ তুরিনো ও জুভেন্টাস। ইস্টার সানডেতে ৩-২ গোলে তুরিনোকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় তারা। ফাইনালে ভবিষ্যতের ইউরোপীয় জায়ান্ট জুভেন্টাসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জেতে। এবার ট্রফিটা পুরোপুরিভাবে দিয়ে দেওয়া হয় ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে—চূড়ান্ত মালিকানা তাদেরই।

ট্রফি বিক্রি ও চুরি
কিন্তু জয় ফিরিয়ে আনল না অর্থ। আর্থিক সংকটে পড়া ক্লাবটি ট্রফিটি মাত্র ৪০ পাউন্ডে বিক্রি করে দেয় এক স্থানীয় হোটেল মালিককে। ৪৮ বছর পর, ১৯৬০ সালে, ক্লাব ট্রফিটি ফেরত কিনে নেয় ১০০ পাউন্ডে। সংরক্ষণে রাখা হয়েছিল ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে ওয়ার্কিং মেন্স ক্লাবে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। আজও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নেই। এখন ক্লাবের কাছে রয়েছে একটি অবিকল প্রতিরূপ (রেপ্লিকা)।
এখনো বেঁচে আছে সেই গৌরব
ওয়েস্ট অকল্যান্ডে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন সাইনবোর্ড—‘ওয়েলকাম টু ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে-হোম অব দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কাপ’। অর্থাৎ ‘ (স্বাগতম ওয়েস্ট অকল্যান্ডে, প্রথম বিশ্বকাপের ঘরবাড়ি’। ২০১৩ সালে টাউন গ্রিনে স্থাপন করা হয় একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য—যেখানে আছে খেলোয়াড়দের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ২ লাখ পাউন্ডের বেশি। স্থানীয়দের চাঁদা ও অনুদানে উঠে আসে এই অর্থ। স্থানীয় খেলার মাঠের পাশেই স্থাপন করা হয় ভাস্কর্যটি—সেখানে এখনো ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন ক্লাব তাদের ঘরের ম্যাচ খেলে।
সাবেক কাউন্সিলর রবার্ট ইয়র্ক বলেন, ‘পুরো গ্রাম একসঙ্গে চাঁদা দিয়েছে। এটা শুধু ট্রফি নয়, এটা ছিল আমাদের গর্বের অংশ।’ ইয়র্ক ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার পুনর্গঠনের সময় ওয়েস্ট অকল্যান্ডের কাউন্টি কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি মনে করেন, এই অসাধারণ ক্রীড়া সাফল্য উদ্যাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়ি—স্থানীয় আয়োজন, চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান চেয়ে টাকা তুলি।
গ্রামের সবাই অংশ নেয়, যা প্রমাণ করে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই অর্জন আমাদের কমিউনিটির কাছে।’
যদিও ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই গল্প বিশ্বব্যাপী ১৯৩০ বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়ে মতো বিখ্যাত নয়। তবুও ইয়র্ক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কারা ছিল আসল প্রথম বিশ্বকাপজয়ী তা নিয়ে তার সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি যে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল, এই গল্প কাউন্টি ডারহাম এলাকায় পরিচিত হলেও বাইরের দুনিয়ায় খুব কম মানুষ জানে। অথচ ১৯০৯ সালে নিজেদের অর্থে ইউরোপে গিয়ে খেলে সেই সময়কার সেরা টিমগুলোর বিপক্ষে জিতে আসাটা ছিল দারুণ এক কীর্তি।’
ইতিহাসে অমর
১৯৮২ সালে আইটিভি তৈরি করে ‘এ ক্যাপ্টেনস টেল’—ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক জয়ের গল্প নিয়ে নাট্যধর্মী টেলিফিল্ম। আর ইতিহাসবিদ ও গ্রামবাসীদের জোরালো দাবি, ‘১৯০৯ সালে যে দলটা বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট জিতেছিল, তারা-ই প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’
ইয়র্ক আরও যোগ করেন, ‘তাই যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে—প্রথম বিশ্বকাপ কে জিতেছিল? তুমি নিশ্চিন্তে বলতে পারো—ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি!’

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৪৪ মিনিট আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
১ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। তাঁদের খেলা দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও ম্যাচটি কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। গতকাল আয়োজকেরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন।
লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
সকাল ১০টা
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ১
নারী বিগ ব্যাশ
মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স
বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
ফুটবল খেলা সরাসরি
ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র
রাত ১১টা
সরাসরি
ফিফা+
বাংলাদেশ ফুটবল লিগ
ব্রাদার্স-বসুন্ধরা
বেলা ২টা ৩০ মিনিট
সরাসরি
টি স্পোর্টস

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। তাঁদের খেলা দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও ম্যাচটি কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। গতকাল আয়োজকেরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন।
লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
সকাল ১০টা
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ১
নারী বিগ ব্যাশ
মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স
বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
ফুটবল খেলা সরাসরি
ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র
রাত ১১টা
সরাসরি
ফিফা+
বাংলাদেশ ফুটবল লিগ
ব্রাদার্স-বসুন্ধরা
বেলা ২টা ৩০ মিনিট
সরাসরি
টি স্পোর্টস

চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
১২ জুলাই ২০২৫
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
১ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।
১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’
মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।
আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’
ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।
১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’
মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।
আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’
ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
১২ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৪৪ মিনিট আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
১২ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৪৪ মিনিট আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
১ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
১২ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৪৪ মিনিট আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
১ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে