হাসনাত শোয়েব

ঢাকা: লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনার অস্তিত্ব অবশ্য এখনো পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। এটিকে সঙ্গে নিয়ে চলার অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে নিয়েছে। সেই নিয়মেই আজ থেকে মাঠে গড়াবে ইউরো। অথচ কাল দুপুর পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ জন।
আজ রোমের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে আতিথ্য দেবে ইতালি। কাকতালীয়ভাবে এই ইতালিই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরো আয়োজনকে অনেকেই করপোরেট পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ফুটবলীয় আবেগকেও উপেক্ষা করার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ! হয়তো মৃত্যু ও মারির প্রাদুর্ভাবের মাঝে এমন একটি উৎসবই পারে অনেক দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে।
নতুন বাস্তবতার ইউরোতে অবশ্য বেশ কিছু নতুনত্বও থাকছে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে পারফর্ম করবেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও দ্য এজ। ভার্চ্যুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন শিল্পীকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টিকা কার্ড কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
১১ দেশের ইউরো
করোনাভীতি মাথায় রেখেই ১১টি দেশ মিলে আয়োজন করছে এবারের ইউরো। এর আগে কখনোই দুইয়ের অধিক দেশ ইউরোর আয়োজন করেনি। ‘নিউ নরমাল’ পৃথিবীতে ফুটবলের বিশাল এই যজ্ঞ সফল করাও তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ম্যাচগুলো ঘিরে ইউরোপ জোনেই প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। পাশাপাশি আছে খেলোয়াড়দের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এরই মধ্যে স্পেন দলে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরনের ঘটনা আরও সামনে এলে দেখা দিতে পারে বড় বিপর্যয়। এসব দিক বিবেচনা করেই বড় করা হয়েছে ইউরোর স্কোয়াড।
জলবায়ু
এই ইউরো আয়োজনের বিপদ শুধু করোনা নয়, টুর্নামেন্ট ঘিরে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এতগুলো দেশে ইউরো আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সময়ের মাঝে ইউরোপে বিমান ভ্রমণ এতটাই বেড়ে যাবে যা বাড়াতে পারে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন দেশের আয়োজনে সমন্বয় আনার বিষয়টিও। এই চ্যালেঞ্জ উয়েফা কতটা উতরে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বর্ণবাদ
ইউরোতে চোখ থাকবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকেও। ম্যাচের আগে দলগুলোর হাঁটু গেড়ে করা প্রতিবাদকে ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। এটিতে খেলোয়াড়দেরও শুনতে হয়েছে দুয়োও। ইউরোতে এই বিষয়টি নিয়ে চলমান বিতর্ক হয়তো আরও তীব্র হবে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের আধিক্য ইউরোর স্কোয়াডগুলোতে বৈচিত্র্য এনেছে। চোখ থাকবে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ওপরও। ইউরো তাই যতই মহাদেশীয় আয়োজন হোক, বৈশ্বিক একটি আবেদন ঠিকই থেকে যাচ্ছে। যেখানে রোমেলু লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হয়ে উঠতে পারেন টুর্নামেন্টের নায়ক।
রোনালদোর শেষ
এটিই শেষ ইউরো হতে যাচ্ছে অনেক বড় তারকার। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ও পরিস্থিতিকে সামনে রাখলে আগামী ইউরোতে রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা শুধুই সম্ভাবনা।
রোনালদো অবশ্য একা নন, তালিকায় আছেন থমাস মুলার ও করিম বেনজেমার মতো তারকারাও। এই তারকাদের সামনে তাই সুযোগ আছে শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার। রোনালদো অবশ্য গত ইউরোতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে সেই অনুভূতি নিশ্চয় বিশেষ কিছুই হবে।
তারুণ্যের ঝান্ডা
রোনালদো–মুলারদের শেষ থেকেই শুরু করবেন ফিল ফোডেন, কাই হাভার্টজ এবং জুড বেলিংহামের মতো তারকারা। যাঁদের হাতেই আগামী দিনের ফুটবলের পতাকা। সেই ভার বহন করতে তারা সক্ষম কিনা সেটিই প্রমাণ হবে এই আসরে। যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তরুণ তুর্কি। গত ইউরো দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল গ্রিজমানের মতো তারকা।

ঢাকা: লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনার অস্তিত্ব অবশ্য এখনো পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। এটিকে সঙ্গে নিয়ে চলার অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে নিয়েছে। সেই নিয়মেই আজ থেকে মাঠে গড়াবে ইউরো। অথচ কাল দুপুর পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ জন।
আজ রোমের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে আতিথ্য দেবে ইতালি। কাকতালীয়ভাবে এই ইতালিই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরো আয়োজনকে অনেকেই করপোরেট পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ফুটবলীয় আবেগকেও উপেক্ষা করার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ! হয়তো মৃত্যু ও মারির প্রাদুর্ভাবের মাঝে এমন একটি উৎসবই পারে অনেক দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে।
নতুন বাস্তবতার ইউরোতে অবশ্য বেশ কিছু নতুনত্বও থাকছে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে পারফর্ম করবেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও দ্য এজ। ভার্চ্যুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন শিল্পীকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টিকা কার্ড কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
১১ দেশের ইউরো
করোনাভীতি মাথায় রেখেই ১১টি দেশ মিলে আয়োজন করছে এবারের ইউরো। এর আগে কখনোই দুইয়ের অধিক দেশ ইউরোর আয়োজন করেনি। ‘নিউ নরমাল’ পৃথিবীতে ফুটবলের বিশাল এই যজ্ঞ সফল করাও তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ম্যাচগুলো ঘিরে ইউরোপ জোনেই প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। পাশাপাশি আছে খেলোয়াড়দের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এরই মধ্যে স্পেন দলে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরনের ঘটনা আরও সামনে এলে দেখা দিতে পারে বড় বিপর্যয়। এসব দিক বিবেচনা করেই বড় করা হয়েছে ইউরোর স্কোয়াড।
জলবায়ু
এই ইউরো আয়োজনের বিপদ শুধু করোনা নয়, টুর্নামেন্ট ঘিরে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এতগুলো দেশে ইউরো আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সময়ের মাঝে ইউরোপে বিমান ভ্রমণ এতটাই বেড়ে যাবে যা বাড়াতে পারে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন দেশের আয়োজনে সমন্বয় আনার বিষয়টিও। এই চ্যালেঞ্জ উয়েফা কতটা উতরে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বর্ণবাদ
ইউরোতে চোখ থাকবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকেও। ম্যাচের আগে দলগুলোর হাঁটু গেড়ে করা প্রতিবাদকে ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। এটিতে খেলোয়াড়দেরও শুনতে হয়েছে দুয়োও। ইউরোতে এই বিষয়টি নিয়ে চলমান বিতর্ক হয়তো আরও তীব্র হবে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের আধিক্য ইউরোর স্কোয়াডগুলোতে বৈচিত্র্য এনেছে। চোখ থাকবে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ওপরও। ইউরো তাই যতই মহাদেশীয় আয়োজন হোক, বৈশ্বিক একটি আবেদন ঠিকই থেকে যাচ্ছে। যেখানে রোমেলু লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হয়ে উঠতে পারেন টুর্নামেন্টের নায়ক।
রোনালদোর শেষ
এটিই শেষ ইউরো হতে যাচ্ছে অনেক বড় তারকার। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ও পরিস্থিতিকে সামনে রাখলে আগামী ইউরোতে রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা শুধুই সম্ভাবনা।
রোনালদো অবশ্য একা নন, তালিকায় আছেন থমাস মুলার ও করিম বেনজেমার মতো তারকারাও। এই তারকাদের সামনে তাই সুযোগ আছে শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার। রোনালদো অবশ্য গত ইউরোতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে সেই অনুভূতি নিশ্চয় বিশেষ কিছুই হবে।
তারুণ্যের ঝান্ডা
রোনালদো–মুলারদের শেষ থেকেই শুরু করবেন ফিল ফোডেন, কাই হাভার্টজ এবং জুড বেলিংহামের মতো তারকারা। যাঁদের হাতেই আগামী দিনের ফুটবলের পতাকা। সেই ভার বহন করতে তারা সক্ষম কিনা সেটিই প্রমাণ হবে এই আসরে। যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তরুণ তুর্কি। গত ইউরো দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল গ্রিজমানের মতো তারকা।
হাসনাত শোয়েব

ঢাকা: লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনার অস্তিত্ব অবশ্য এখনো পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। এটিকে সঙ্গে নিয়ে চলার অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে নিয়েছে। সেই নিয়মেই আজ থেকে মাঠে গড়াবে ইউরো। অথচ কাল দুপুর পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ জন।
আজ রোমের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে আতিথ্য দেবে ইতালি। কাকতালীয়ভাবে এই ইতালিই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরো আয়োজনকে অনেকেই করপোরেট পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ফুটবলীয় আবেগকেও উপেক্ষা করার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ! হয়তো মৃত্যু ও মারির প্রাদুর্ভাবের মাঝে এমন একটি উৎসবই পারে অনেক দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে।
নতুন বাস্তবতার ইউরোতে অবশ্য বেশ কিছু নতুনত্বও থাকছে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে পারফর্ম করবেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও দ্য এজ। ভার্চ্যুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন শিল্পীকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টিকা কার্ড কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
১১ দেশের ইউরো
করোনাভীতি মাথায় রেখেই ১১টি দেশ মিলে আয়োজন করছে এবারের ইউরো। এর আগে কখনোই দুইয়ের অধিক দেশ ইউরোর আয়োজন করেনি। ‘নিউ নরমাল’ পৃথিবীতে ফুটবলের বিশাল এই যজ্ঞ সফল করাও তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ম্যাচগুলো ঘিরে ইউরোপ জোনেই প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। পাশাপাশি আছে খেলোয়াড়দের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এরই মধ্যে স্পেন দলে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরনের ঘটনা আরও সামনে এলে দেখা দিতে পারে বড় বিপর্যয়। এসব দিক বিবেচনা করেই বড় করা হয়েছে ইউরোর স্কোয়াড।
জলবায়ু
এই ইউরো আয়োজনের বিপদ শুধু করোনা নয়, টুর্নামেন্ট ঘিরে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এতগুলো দেশে ইউরো আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সময়ের মাঝে ইউরোপে বিমান ভ্রমণ এতটাই বেড়ে যাবে যা বাড়াতে পারে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন দেশের আয়োজনে সমন্বয় আনার বিষয়টিও। এই চ্যালেঞ্জ উয়েফা কতটা উতরে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বর্ণবাদ
ইউরোতে চোখ থাকবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকেও। ম্যাচের আগে দলগুলোর হাঁটু গেড়ে করা প্রতিবাদকে ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। এটিতে খেলোয়াড়দেরও শুনতে হয়েছে দুয়োও। ইউরোতে এই বিষয়টি নিয়ে চলমান বিতর্ক হয়তো আরও তীব্র হবে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের আধিক্য ইউরোর স্কোয়াডগুলোতে বৈচিত্র্য এনেছে। চোখ থাকবে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ওপরও। ইউরো তাই যতই মহাদেশীয় আয়োজন হোক, বৈশ্বিক একটি আবেদন ঠিকই থেকে যাচ্ছে। যেখানে রোমেলু লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হয়ে উঠতে পারেন টুর্নামেন্টের নায়ক।
রোনালদোর শেষ
এটিই শেষ ইউরো হতে যাচ্ছে অনেক বড় তারকার। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ও পরিস্থিতিকে সামনে রাখলে আগামী ইউরোতে রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা শুধুই সম্ভাবনা।
রোনালদো অবশ্য একা নন, তালিকায় আছেন থমাস মুলার ও করিম বেনজেমার মতো তারকারাও। এই তারকাদের সামনে তাই সুযোগ আছে শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার। রোনালদো অবশ্য গত ইউরোতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে সেই অনুভূতি নিশ্চয় বিশেষ কিছুই হবে।
তারুণ্যের ঝান্ডা
রোনালদো–মুলারদের শেষ থেকেই শুরু করবেন ফিল ফোডেন, কাই হাভার্টজ এবং জুড বেলিংহামের মতো তারকারা। যাঁদের হাতেই আগামী দিনের ফুটবলের পতাকা। সেই ভার বহন করতে তারা সক্ষম কিনা সেটিই প্রমাণ হবে এই আসরে। যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তরুণ তুর্কি। গত ইউরো দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল গ্রিজমানের মতো তারকা।

ঢাকা: লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনার অস্তিত্ব অবশ্য এখনো পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। এটিকে সঙ্গে নিয়ে চলার অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে নিয়েছে। সেই নিয়মেই আজ থেকে মাঠে গড়াবে ইউরো। অথচ কাল দুপুর পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ জন।
আজ রোমের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে আতিথ্য দেবে ইতালি। কাকতালীয়ভাবে এই ইতালিই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরো আয়োজনকে অনেকেই করপোরেট পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ফুটবলীয় আবেগকেও উপেক্ষা করার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ! হয়তো মৃত্যু ও মারির প্রাদুর্ভাবের মাঝে এমন একটি উৎসবই পারে অনেক দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে।
নতুন বাস্তবতার ইউরোতে অবশ্য বেশ কিছু নতুনত্বও থাকছে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে পারফর্ম করবেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও দ্য এজ। ভার্চ্যুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন শিল্পীকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টিকা কার্ড কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
১১ দেশের ইউরো
করোনাভীতি মাথায় রেখেই ১১টি দেশ মিলে আয়োজন করছে এবারের ইউরো। এর আগে কখনোই দুইয়ের অধিক দেশ ইউরোর আয়োজন করেনি। ‘নিউ নরমাল’ পৃথিবীতে ফুটবলের বিশাল এই যজ্ঞ সফল করাও তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ম্যাচগুলো ঘিরে ইউরোপ জোনেই প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। পাশাপাশি আছে খেলোয়াড়দের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এরই মধ্যে স্পেন দলে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরনের ঘটনা আরও সামনে এলে দেখা দিতে পারে বড় বিপর্যয়। এসব দিক বিবেচনা করেই বড় করা হয়েছে ইউরোর স্কোয়াড।
জলবায়ু
এই ইউরো আয়োজনের বিপদ শুধু করোনা নয়, টুর্নামেন্ট ঘিরে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এতগুলো দেশে ইউরো আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সময়ের মাঝে ইউরোপে বিমান ভ্রমণ এতটাই বেড়ে যাবে যা বাড়াতে পারে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন দেশের আয়োজনে সমন্বয় আনার বিষয়টিও। এই চ্যালেঞ্জ উয়েফা কতটা উতরে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বর্ণবাদ
ইউরোতে চোখ থাকবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকেও। ম্যাচের আগে দলগুলোর হাঁটু গেড়ে করা প্রতিবাদকে ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। এটিতে খেলোয়াড়দেরও শুনতে হয়েছে দুয়োও। ইউরোতে এই বিষয়টি নিয়ে চলমান বিতর্ক হয়তো আরও তীব্র হবে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের আধিক্য ইউরোর স্কোয়াডগুলোতে বৈচিত্র্য এনেছে। চোখ থাকবে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ওপরও। ইউরো তাই যতই মহাদেশীয় আয়োজন হোক, বৈশ্বিক একটি আবেদন ঠিকই থেকে যাচ্ছে। যেখানে রোমেলু লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হয়ে উঠতে পারেন টুর্নামেন্টের নায়ক।
রোনালদোর শেষ
এটিই শেষ ইউরো হতে যাচ্ছে অনেক বড় তারকার। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ও পরিস্থিতিকে সামনে রাখলে আগামী ইউরোতে রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা শুধুই সম্ভাবনা।
রোনালদো অবশ্য একা নন, তালিকায় আছেন থমাস মুলার ও করিম বেনজেমার মতো তারকারাও। এই তারকাদের সামনে তাই সুযোগ আছে শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার। রোনালদো অবশ্য গত ইউরোতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে সেই অনুভূতি নিশ্চয় বিশেষ কিছুই হবে।
তারুণ্যের ঝান্ডা
রোনালদো–মুলারদের শেষ থেকেই শুরু করবেন ফিল ফোডেন, কাই হাভার্টজ এবং জুড বেলিংহামের মতো তারকারা। যাঁদের হাতেই আগামী দিনের ফুটবলের পতাকা। সেই ভার বহন করতে তারা সক্ষম কিনা সেটিই প্রমাণ হবে এই আসরে। যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তরুণ তুর্কি। গত ইউরো দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল গ্রিজমানের মতো তারকা।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৯ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনা
১১ জুন ২০২১
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৯ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনা
১১ জুন ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনা
১১ জুন ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৯ মিনিট আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনা
১১ জুন ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৯ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে