Ajker Patrika

বাংলাদেশের মেয়েদের খেলায় এখন সৌন্দর্য আছে

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
বাংলাদেশের মেয়েদের খেলায় এখন সৌন্দর্য আছে

আড়াই বছর পর আজ নেপালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নেপালের পর উজবেকিস্তানে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। নেপালে যাওয়ার আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে গেছেন বাংলাদেশ মেয়েদের ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ও দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

প্রশ্ন: আড়াই বছর পর নারী জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে। আপনাদের প্রত্যাশা-প্রস্তুতি নিয়ে যদি বলতেন। 
সাবিনা খাতুন: আমি ছাড়া দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় বয়সভিত্তিক দল থেকে আসা। অনূর্ধ্ব-১৮,১৯ দলের মেয়েরা জাতীয় দলে ঢুকেছে। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অবশ্যই, প্রতিপক্ষ ইরান-জর্ডান অনেক শক্তিশালী দল। আমরা র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে। যেহেতু অনেক দিন খেলার মধ্যে নেই, আমাদের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এটা। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা। পারফরম্যান্সের কথা যদি বলেন, শারীরিক দিক দিয়ে ইরান-জর্ডান অনেক শক্তিশালী। ক্যাম্পে মেয়েরা অনেক পরিশ্রম করছে। কোচরা বেশ আশাবাদী মেয়েদের নিয়ে। চার-পাঁচ বছর আগেও মেয়েদের যে ফিটনেস ছিল, অনেক উন্নতি হয়েছে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারব। এবারের ক্যাম্পে আসার পর প্রথম পাঁচ সপ্তাহ মাঠের অনুশীলন ছিল, জিম করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি ফিটনেস নিয়ে। 

প্রশ্ন: একটা পুরোনো সমস্যা আছে, ফিনিশিংয়ে ঘাটতি। এটা নিয়ে কতটা কাজ করেছেন আপনারা? 
সাবিনা: এই কাজগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা হয়। অনুশীলনের পর আমরা আলাদাভাবে ১৫-২০ মিনিট কাজ করি। নেপাল ম্যাচের পর আমরা সমস্যাগুলো বুঝতে পারব আশা করি। 

প্রশ্ন: ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে ১৫ গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। ওই দলে আপনিও ছিলেন। সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলটার পার্থক্য কতটা? 
সাবিনা: তখন দেশে মেয়েদের ফুটবল সবে শুরু। তখন মাঠে গিয়ে আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকত প্রতিপক্ষকে খেলতে দেব না, বল পেলেই এখানে-ওখানে মারব। এখন আমরা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আমরা প্রতিযোগিতামূলক খেলা খেলতে পারি। এখন যে কেউ বুঝতে পারবে যে বাংলাদেশের মেয়েরা এখন ফুটবল খেলতে পারে। খেলায় একটা সৌন্দর্য আছে। বয়সভিত্তিক ফুটবল দেখলেই বোঝা যায় যে মেয়েদের খেলার মান কতটুকু উন্নতি হয়েছে। এককথায় বলতে গেলে মেয়েরা এখন গোছানো ফুটবল খেলতে পারে। 

প্রশ্ন: ইরান-জর্ডানের বিপক্ষে আপনাদের প্রত্যাশা কী থাকবে? 
সাবিনা: আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা। আমরা এবার রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে চাই না। 

প্রশ্ন: শুরুতে বলছিলেন দলের বেশির ভাগ ফুটবলারই বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলার। আপনার চোখে এই ফুটবলাররা কোথায় সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে? 
সাবিনা: ভারতে লিগ খেলতে গিয়ে দেখেছি তাদের নারী ফুটবলারের অভাব নেই। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে পাইপলাইন সেভাবে সমৃদ্ধ নয়। অনূর্ধ্ব-১৪ জেএফএ কাপ থেকে কিছু খেলোয়াড় উঠে আসছে, জেলা পর্যায় থেকে কেউ কেউ আসছে। ৫০-৬০ খেলোয়াড় ক্যাম্পে রেখে অনুশীলন করানো হচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১৬ দলটা যখন পরের ধাপে চলে যাচ্ছে তখন তাদের বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে না। পাইপলাইন যখন গুছিয়ে আনা যাবে, তখন দল এমনিতেই শক্তিশালী হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: নারী লিগ নিয়ে একটা সময় বেশ হাহাকার ছিল। আপনারা টানা দুই বছরে দুটি লিগ খেলে ফেললেন। কিন্তু এই লিগ নিয়ে অনেক সমালোচনা। কারণটা কী? 
সাবিনা: বড় দলগুলোকে আসতে হবে। নেপাল-ভারতের লিগগুলোয় বিদেশি ফুটবলারদের খেলার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের লিগ শক্তিশালী করতে হলে বিদেশিদের খেলার সুযোগ দিতে হবে। বড় দলগুলো লিগে এলে আর বিদেশিরা খেলার সুযোগ পেলে লিগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে আশা করি। 

প্রশ্ন: লিগে ১০০ গোলের কীর্তি, বসুন্ধরার হয়ে ৫০ গোলের রেকর্ড। সামনে সাবিনার লক্ষ্য কী হবে? 
সাবিনা: রেকর্ডগুলো এমন এক অবস্থায় রেখে যেতে চাই যেন কেউ ভাঙতে চাইলে তাঁকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। আমাদের নারী ফুটবলাররা আসলে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে না। অনেকেই অর্ধেক পর্যন্ত এসে হাল ছেড়ে দেয়। যদি কেউ পরিকল্পনা করে যে আমার রেকর্ড ভাঙবে তাহলে হয়তো সম্ভব। কিন্তু কে করবে জানি না। 

প্রশ্ন: এবারের নারী লিগে শুরুতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। নিজেকে ফিরে পেলেন কোন মন্ত্রে? 
সাবিনা: লিগের শুরুতে বেশ হতাশার মধ্যে ছিলাম। পারিবারিক সমস্যা ছিল, আমার বাবা সৈয়দ আলী মারা যান। আমার মধ্যে একটা বিষয় সব সময় কাজ করে যে পারফরম্যান্স খারাপ হলেও হাল ছেড়ে দেব না। এভাবে ফেরার চেষ্টা করেছি। আগের ছন্দ ফিরে পেয়েছি। 
 
প্রশ্ন: বর্তমানে নারী ফুটবলাররা আদর্শ বলতে সাবিনাকে বোঝেন। এই মানদণ্ডটা কীভাবে তৈরি হলো? 
সাবিনা: দলের সবার সঙ্গেই সমানভাবে মেশার চেষ্টা করি। একটা সময় ছিল যখন এদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না। সবাই তখন খুব ছোট ছিল। আমার চিন্তার সঙ্গে বাকিদের চিন্তা তেমন মিলত না। দেখা গেল একটা ভালো পাস দিলে অন্যরা সেটা বুঝত না। একসঙ্গে অনুশীলন করতে করতে এখন বোঝাপড়াটা তৈরি হয়ে গেছে। সবার সঙ্গেই এখন আমার ভালো সম্পর্ক আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীকে অপেশাদার বলছেন বিসিবি পরিচালক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৮
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বল-কাণ্ডকে অপেশাদার বলছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বল-কাণ্ডকে অপেশাদার বলছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী অপেশাদার আচরণ করেছে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাস থেকে ক্রিকেটাররা নামছিলেন। হঠাৎ করেই ক্ষুব্ধ অবস্থায় স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায় প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহাকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে যখন তাঁরা (সুজন-তালহা) মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের বুম-ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁদের। শোনা যায়, দলটির অনুশীলনের সময় বল নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। নোয়াখালীর এমন ঘটনা প্রসঙ্গে সিলেটে আজ বিকেলে সাংবাদিকদের মিঠু বলেন, ‘এটার অর্থ তারা অপেশাদার। এটা তো আমি গভর্নিং কাউন্সিল বলি তাদের ১০টা বল দেন...আমরাই তো দিয়ে দিতাম। অবশ্যই অপেশাদার। এমনকি কোচকেও যদি বলত অন্য দল থেকে যদি না এসে থাকে। এটা খুবই সাধারণ সমাধান। না এলে অন্য দল থেকে আজকে চালিয়ে পরে ফেরত দেওয়া যেত। এটা তো অনেকবার হয়েছে।’

নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বল-কাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী আবদুল কাইয়ুম। শুধু তা-ই নয়, বিপিএল শুরুর আগের দিন অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক সম্মেলন, ফটোসেশন কোনো কিছুই হয়নি। এত অগোছালো অবস্থার মধ্যে বিপিএল আয়োজন করাটা কি ভুল হয়েছে—মিঠুর কাছে আজ এমন প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকেরা। যেখানে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু একই সঙ্গে বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব। উত্তরে বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এত অল্প সময়ে, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে সময়টা আমরা পেয়েছি, অক্টোবরের ১২-১৩ তারিখে দায়িত্ব পেয়েছি; আজ দেখেন এত শর্ট টাইমে এত কিছু করা, এ রকম হতো যে আগে দল ছিল, তাহলে কিন্তু খুব সহজ হতো। এখন নতুন করে দল দিতে হয়েছে। কারণ, আগের চুক্তিগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল। এত কিছু করে এই দুই মাসে এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা, সত্যিই অনেক কঠিন।’

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যখন এত বিতর্ক, তখন বিপিএল কি আয়োজন না করলে ভালো হতো—সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠু বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত তো আমার না। সম্মিলিতভাবে ওপর মহল থেকে নেওয়া হয়েছে।’ বল কেলেঙ্কারিতে অনুশীলনের মাঝপথে ক্ষুব্ধ অবস্থায় সুজন-তালহার মাঠ ছাড়ার মতো ঘটনাকে মিঠু অপেশাদার বলছেন ঠিকই, তবে ম্যাচ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ায় নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রশংসা করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব, ‘ভালো কথা হচ্ছে, তারা (নোয়াখালী) পারিশ্রমিকটা দিয়ে ফেলেছে। রংপুর রাইডার্স অর্ধেক দিয়েছে। রাজশাহী ও ঢাকা ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছে। একটু আগে শুনলাম, নোয়াখালী ২৫ শতাংশ দিয়েছে। বিকেলে সিলেট দেবে।’ আগমুহূর্তে স্বত্বাধিকারী শূন্য হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের দায়িত্ব এখন বিসিবির। হাবিবুল বাশার সুমন চট্টগ্রামের টিম ডিরেক্টর, মিজানুর রহমান বাবুলকে কোচ ও নাফিস ইকবালকে ম্যানেজার করে চট্টগ্রাম রয়্যালসের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে মিঠু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। বিপিএল শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত-শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএল দিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে চান শান্ত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০১
বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বিপিএলে চোখ রাখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বিপিএলে চোখ রাখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

সবশেষ বিপিএলে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশালে খেলেছিলেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন বরিশাল লিগ পর্ব থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু শান্ত কেবল পাঁচ ম্যাচে বরিশালের একাদশে ছিলেন। ৫ ম্যাচে ১১.২ গড় ও ১১৯.১৪ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৫৬ রান। বছর ঘুরতেই এবারের বিপিএলে শান্ত খেলবেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে। এদিকে এ বছর বাংলাদেশ ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেললেও তিনি কেবল এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ সময় শান্তহীন বাংলাদেশ লিটন দাসের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এমনকি শান্তর খেলার সুযোগ হয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে।

সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল বিপিএল অভিযান শুরু করবে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। ম্যাচের আগে আজ সিলেটে সাংবাদিকদের শান্ত বলেন, ‘রাজশাহী দলটা ব্যক্তিগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি, সেটাই লক্ষ্য। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সব দিক দিয়ে অবদান রাখতে চাচ্ছি। রাজশাহীতে অবদান রাখতে পারি। এরপর সামনে বিশ্বকাপ। যদি এখানে ভালো করতে পারি, তাহলে বড় সুযোগ। তবে এটা নির্বাচকেরা বুঝবেন। ম্যানেজমেন্ট আছেন। আমার কাজ হলো কীভাবে নিয়মিত পারফর্ম করতে পারি।’ সবশেষ বিপিএলে শান্ত বরিশালের হয়ে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার কি দেখা যাবে বোলার শান্তকে—এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মজার ছলে রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘আগের বছর তো উইকেটরক্ষকের কাজ করেছিলাম। দেখি এবার বোলিংও করব।’

সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল সিলেট টাইটানস-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ১২তম বিপিএল। স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে খেলাটা যে চ্যালেঞ্জিং, সেটা জানা আছে শান্তরও। বিপিএল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব ম্যাচেই সিলেটের গ্যালারি পূর্ণ হয়ে ওঠে। সিলেটে আজ সংবাদমাধ্যমকে রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে খেলাটা রোমাঞ্চকর। আমার দলের ক্রিকেটাররা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’

১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। বিপিএল শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত-শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএলে থাকতে চান না সুজন, সিলেটে উত্তপ্ত পরিবেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৯
এবারের বিপিএল করতে চান না নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত
এবারের বিপিএল করতে চান না নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।

আগামীকাল ম্যাচ রয়েছে প্রথমবার বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী এক্সপ্রেসেরও। চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে নোয়াখালী। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাস থেকে ক্রিকেটাররা নেমেছিলেন। হঠাৎ করেই স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায় প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহাকে। দুজনই খুব ক্ষুব্ধ ছিলেন। সিএনজিতে করে যখন তাঁরা (সুজন-তালহা) মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের বুম-ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁদের। তালহা জুবায়েরকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমার জীবনে অনেক বিপিএল করেছি। সবচেয়ে বিরক্তিকর বিপিএল লেগেছে এটা।’ সুজনকে এরপর তালহা জুবায়ের প্রশ্ন করেন, ‘আপনি করবেন কি না জানি না। আমি করব না।’

তালহার সুরে সুর মিলিয়েছেন সুজনও। সাংবাদিকদের নোয়াখালীর প্রধান কোচ বলেন,‘আজ আমি কিছু করতেই পারব না। মেজাজ অনেক খারাপ। পরে দেখব। সে (তালহা) বল চুরি করবে নাকি বেচে খাবে? বলের টাকাও তো নিইনি আমরা। কাজ করতে ইচ্ছা করছে না। করব না বিপিএল।’ এমনকি এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্বেও থাকতে চান না বলে সুজন জানিয়েছেন। তাহলে কে নেবেন নোয়াখালীর প্রধান কোচের দায়িত্ব—এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, ‘অনেক কোচ আছেন। তাঁরা নিতে পারবেন।’

১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোনালদোকে পর্তুগালের এখন অনেক বেশি দরকার, বলছেন কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
পর্তুগাল ফুটবল দলে রোনালদোকে অনেক দরকার বলে মনে করেন কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। ছবি: এএফপি
পর্তুগাল ফুটবল দলে রোনালদোকে অনেক দরকার বলে মনে করেন কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। ছবি: এএফপি

বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।

মাঠে তো বটেই, অনুশীলনেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না রোনালদো। ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার। ২০২৬ বিশ্বকাপ আসতে আসতে তাঁর বয়স হয়ে যাবে ৪১ বছর। আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া পর্তুগালের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে। পর্তুগালের প্রধান কোচ রবার্তো মার্তিনেজের মতে রোনালদো শুরুর একাদশে থাকার মতো অপরিহার্য খেলোয়াড়।

রোনালদোকে নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনেক কথাই বলেছেন মার্তিনেজ। কোচের মতে তিনটি গুণের কারণে রোনালদোকে এখনো পর্তুগালের অনেক প্রয়োজন। পর্তুগাল কোচ বলেন, ‘প্রতিভা, অভিজ্ঞতা, মানসিকতা—সব সময় এই তিনটা জিনিস আমরা দেখি। দলের জন্য কিছু করতে সদা তৎপর থাকে সে। একারণেই সে জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। সেরা হওয়ার ক্ষুধাটা তার মধ্যে অনেক কাজ করে। মাঠে সে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে।’

ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার লক্ষ্যের কথা আগেই বলেছিলেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক দল, ক্লাব ফুটবল সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বছরের বেশি সময় খেলে তিনি করেছেন ৯৫৪ গোল। তাঁর সেই ১০০০ গোলের প্রসঙ্গ এসেছে পর্তুগাল কোচ মার্তিনেজের কাছেও। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ বলেন, ‘সে (রোনালদো) এখন তার ক্যারিয়ারের দারুণ এক অবস্থায় আছে। তার গোলের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হলে সে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কথাবার্তা কম বলে। ১০০০ সংখ্যাটা আমার মতে গোল নয়। কত দিন পরে সে অবসর নেবে, তেমনই কিছু মনে হচ্ছে। তার সাফল্যের রহস্য হচ্ছে আজ ও কাল সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়া।’

২০০৬ থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত পাঁচ বিশ্বকাপেই খেলেছেন রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। আগামী বছরই ফুটবল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন বলে কয়েক মাস আগে জানিয়েছেন রোনালদো। তবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল কবে ছাড়বেন, তা এখনো জানাননি তিনি। পর্তুগালের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ২২৬ ম্যাচে ১৪৩ গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনো তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা। গত রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টুতে তাঁর দল আল নাসর ৫-১ গোলে হারিয়েছে আল জাওরাকে। গোল না পেলেও সতীর্থকে দিয়ে একটি গোল করিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত