Ajker Patrika

আইসিসির শাস্তি নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ১০
পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো
পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড দু্ই দলই ক্রিকেটার হারিয়েছিল চোটের কারণে। তার ওপর পাকিস্তান ম্যাচটি খেলতে নেমেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) শাস্তি মাথায় নিয়ে। প্রথম ওয়ানডেতে স্লো-ওভার রেটের কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শাস্তি গতকাল দিয়েছে আইসিসি।

হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে লেগেছে বড্ড এলোমেলো। ওয়ানডে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারল না মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ৮৪ রানে জিতে এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড।

২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসে শুরু থেকেই ধস নামতে থাকে। বাবর আজম, আব্দুল্লাহ শফিক, ইমাম উল হকরা নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডারের ক্যাচিং অনুশীলন করিয়েছেন। উসমান খানের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েও সদ্ব্যবহার করতে পারেননি ইমাম। ওপেনিংয়ে নেমে ১২ বল খেলে করেছেন ২ রান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ১১.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২ রানে পরিণত হয়। যেখানে ১২তম ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে সালমান আলী আগা ও রিজওয়ানকে ফিরিয়েছেন বেন সিয়ার্স।

৫২ রানেই অবশ্য পাকিস্তান হারাতে পারত ষষ্ঠ উইকেট। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফাহিম আশরাফের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন নিউজিল্যান্ডের পেসার নাথান স্মিথ। আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলেন। ফাহিমও রিভিউ নিয়েছেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। ষষ্ঠ উইকেটে তৈয়ব তাহিরের সঙ্গে ৫৫ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফাহিম। ২১তম ওভারের চতুর্থ বলে তাহিরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্মিথ।

তাহিরের বিদায়ের ঠিক পরের ওভারেই আউট হয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ২১.১ ওভারে ৭ উইকেবে ৭২ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ফাহিম খেলতে থাকলেও অন্য পাশ থেকে তেমন সাহায্য সহযোগিতা পাননি তিনি। এরই মধ্যে ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে পাকিস্তান খায় আরেক ধাক্কা। নিউজিল্যান্ডের পেসার উইল ও’রুর্কের শর্ট বল হারিস রউফের হেলমেটে আঘাত হানে। আহত অবসর হয়ে মাঠ ছাড়েন রউফ।

রউফ মাঠ ছাড়ার পর পাকিস্তান দ্রুত হারায় আরেকটি উইকেট। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জ্যাকব ডাফিকে পুল করতে যান আকিফ জাভেদ। স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ড্যারিল মিচেল সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। ২৮.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৪ রানে পরিণত হওয়া পাকিস্তানের ইনিংসের শেষটা তখন কেবলই সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। এরপর নবম উইকেটে নাসিম শাহ ও ফাহিম গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি। ৩৮তম ওভারের চতুর্থ বলে ফাহিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বেন সিয়ার্স। ছক্কা মারার ঠিক পরের বলে ফাহিম খোঁচা দিতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক মিচেল হের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। ৮০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করেন ফাহিম।

৯ উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সুফিয়ান মুকিম। পাকিস্তানের পরাজয় যখন সময়ের ব্যাপার, তখন আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন নাসিম। ৪১ বলে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। দশম উইকেটে মুকিমের সঙ্গে ২২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন নাসিম। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসিমকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন সিয়ার্স। ৪৪ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৫১ রান করেন নাসিম।

৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে পাকিস্তান অলআউট হলে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যায় এই ম্যাচেই। নিউজিল্যান্ডের সিয়ার্স নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৯.২ ওভার বোলিং করে ৫৯ রান খরচ করেছেন। ওয়ানডেতে এটাই তাঁর প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট এবং এই সংস্করণে আজই তিনি উইকেটের হালখাতা খুলেছেন। ডাফি পেয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ও’রুর্ক ও স্মিথ।

ম্যাচসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার হে। ৭৮ বলে ৭টি করে ছক্কা ও চারে করেন ৯৯ রান। ধরেছেন ৪ ক্যাচ। সাত নম্বরে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেললেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত না করতে পারার আক্ষেপটা তাই রয়েই গেল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ড এখন এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। ৫ এপ্রিল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক রিজওয়ান। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে করেছে ২৯২ রান। যেখানে ইনিংসের শেষ ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রকে পিটিয়ে একাই ২২ রান নিয়েছেন মিচেল হে। দুটি করে ছক্কা ও চার হে মেরেছেন।

পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম, ওয়াসিম নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। দুজনেই ১০ ওভার করে বোলিং করেছেন। মুকিম ও ওয়াসিম খরচ করেন ৩৩ ও ৭৮ রান। যেখানে এক ওভার মেডেন দিয়েছেন মুকিম। আর ওয়াসিম হয়ে খেলেন ম্যাচে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হারিস রউফ, আকিফ জাভেদ ও ফাহিম আশরাফ।

২৯ মার্চ নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে পাকিস্তানকে ৭৩ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচেই স্লো-ওভার রেটের কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির আচরণবিধির ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং শেষ করতে না পারলে প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফি-এর পাঁচ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়। পাকিস্তান দুই ওভার কম বোলিং করেছিল। সেই ম্যাচের মাঠের আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন ও পল রাইফেল, তৃতীয় আম্পায়ার মাইকেল গফ এবং চতুর্থ আম্পায়ার ওয়েন নাইটস অভিযোগ এনেছেন। শাস্তি দেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোহিতের কাছে ছক্কার রেকর্ড হারিয়ে কী বললেন আফ্রিদি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩২
রোহিত শর্মা ও শহিদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি
রোহিত শর্মা ও শহিদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।

সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সে সিরিজে ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১ ছক্কা মারা আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যান রোহিত। ২৭৯ ওয়ানডে শেষে এই মারকুটে ব্যাটারের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৩৫৫ ছক্কা।

রোহিতের ছক্কার রেকর্ড প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। এই রেকর্ড এখন আরও উন্নত হয়েছে। আমি খুশি যে, একজন খেলোয়াড়, যাঁকে আমি সব সময় পছন্দ করি, তিনি এই রেকর্ড ভেঙেছেন।’

কোনো রেকর্ডই স্থায়ী বলে মনে করেন না আফ্রিদি, ‘আমার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড প্রায় ১৮ বছর ধরে টিকে ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকই ভেঙেছে। একজন খেলোয়াড় এসে রেকর্ড গড়ে আবার আরেকজন সেই রেকর্ড ভাঙে। ক্রিকেট আসলে এমনই।’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় রোহিত সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে আফ্রিদির। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে আমার একমাত্র আইপিএল মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছি। সেবার রোহিতকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলাম। সেই সময় আমার তাঁকে পছন্দ হয়েছিল। দলীয় অনুশীলনে আমি তাঁকে ব্যাট করতে দেখেছি। তাঁর ক্লাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি জানতাম যে, একদিন রোহিত ভারতের হয়ে খেলবেন। দারুণ একজন ব্যাটার হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকল্প টুর্নামেন্টের কথা ভাবছে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।

গত অক্টোবরে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে সব ধরনের লিগ বর্জন করেছেন ৪৫ ক্লাবের সংগঠকরা। তাই কয়েকদফা পিছিয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেও রাজি করাতে পারেনি বিসিবি। সবশেষ ১২ ক্লাব নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু মাঠ প্রস্তুত না থাকায় আরও তিন দিন পেছানো হয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর দিনক্ষণ। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০ দলের মধ্যে আটটি লিগ বর্জন করেছে। তবে বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ক্রিকেটারদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত ক্লাবগুলোর। যেসব ক্লাব লিগে অংশ নেবে না তাদের বিরুদ্ধে সিসিডিএমের বাইলজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে ফারুক বলেন, ‘একটা ব্যাপার স্পষ্ঠ। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এখন লিগ বর্জনে সোচ্চার। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আছে। তাই বলে ক্রিকেটকে বন্ধ করা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। দেশে গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলা। লিগ না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ক্রিকেটাররা। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থে খেলা মাঠে গড়ানো দরকার। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বোর্ড বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হলো বিএসআরএম

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিএসআরএম আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিএসআরএম আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।

চুক্তির আওতায় বাফুফের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম। এই তালিকায় আছে বাফুফের কোচেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগাম এবং এলিট একাডেমি নিয়ে বিভিন্ন কাজ। প্রথম ৫ বছর বিএসআরএম থেকে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা পাবে বাফুফে। এই পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক মুল্যায়ন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত...অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস-শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব-আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।’

ফাহাদ করিম বলেন, ‘বিএসআরএম আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারানোয় ৭ লাখ করে বুঝে পেলেন হামজা-জামালরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে
১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে

২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির। সেই জয়ের পুরস্কার বুঝে পেল হামজা চৌধুরী-জামাল ভূঁইয়ারা।

এশিয়ান কাপ বাচাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ড শেষেই নিশ্চিত হয়–মূল পর্বে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল হাভিয়ের কাভরেরার দল। জয়খরা কাটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশ। এবার আর হতাশ হতে হয়নি। বহু আকাঙ্খিত এই জয়ের পর ২ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন সদ্য পদত্যাগ করা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

২২ দিন পর আজ সে অর্থ বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে সংস্থাটির পরিচালক প্রশিক্ষক লাবণী চামকার কাছ থেকে চেক বুঝে নেন অধিনায়ক জামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।

ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ ফুটবলার, কোচ কাবরেরা, ম্যানেজার আমের প্রত্যেকে ৭ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন কোচিং স্টাফের বাকি ৫ সদস্য।

বোনাস প্রসঙ্গে আমের বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল। দলের অংশ হওয়ায় তাদের নামও তালিকায় ছিল। আজ আমরা এনএসসি থেকে ৩০ জনের চেক পেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত