Ajker Patrika

ওয়েস্ট ইন্ডিজের লজ্জাজনক ব্যাটিং নিয়ে অধিনায়কের ক্ষোভ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন অধিনায়ক রস্টন চেজ। ছবি: ক্রিকইনফো
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন অধিনায়ক রস্টন চেজ। ছবি: ক্রিকইনফো

১৪.৩ ওভারে ২৭ রানে অলআউট—এমন স্কোরকার্ড দেখে কীইবা বলার থাকে! দলের এমন অবস্থায় অধিনায়কই তো সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান। জ্যামাইকায় গত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন দলটির অধিনায়ক রস্টন চেজ।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১২১ রানে অলআউট হলে লিডসহ তাদের স্কোর হয়ে যায় ২০৩ রান। ২০৪ রানের লক্ষ্যে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে গতকাল তৃতীয় দিনের আরও দুই সেশন বাকি ছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের হিসেব করলে ২০০-এর বেশি ওভার খেলতে পারত উইন্ডিজ। কিন্তু মাত্র ৮৭ বলেই শেষ সবকিছু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ব্যাটার ডাক মেরেছেন। একমাত্র জাস্টিন গ্রিভস দুই অঙ্ক (১১) ছুঁতে পেরেছেন। ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক চেজ, ‘খুবই হতাশাজনক এটা। আমরা বারবার ম্যাচ জেতার মতো অবস্থায় যাচ্ছি। কিন্তু শেষ ইনিংসে গিয়েই যে হাল ছেড়ে দিচ্ছি। ৩০ রানের নিচে অলআউট হওয়া সত্যিই খুব লজ্জাজনক।’

এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তিনটি টেস্টের কোনোটিই পাঁচ দিনে গড়ায়নি। বার্বাডোজে সিরিজের প্রথম টেস্ট ও গত রাতে শেষ হওয়া জ্যামাইকায় গোলাপি বলের টেস্ট—দুটি ম্যাচেরই ফল এসেছে তিন দিনে। মাঝে সেন্ট জর্জেসে দ্বিতীয় টেস্ট চার দিনে গড়িয়েছে বৃষ্টির কারণেই। সিরিজে

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছেন উইন্ডিজের ব্র্যান্ডন কিং।

উইকেট পুরোপুরি বোলিংবান্ধব না হলেও ব্যাটারদের জন্য ব্যাটিং করা কঠিন ছিল বলে মনে করেন চেজ। জ্যামাইকায় গত রাতে তৃতীয় টেস্ট শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মতে উইকেট খুব কঠিন ছিল। বলব না যে পুরোপুরি বোলারদের পক্ষে ছিল। তবে ব্যাটিং করা আসলেই কঠিন ছিল। এটা সম্ভবত আমার খেলা প্রথম কোনো সিরিজ, যেখানে কোনো ব্যাটারই করতে পারেনি সেঞ্চুরি।’

জ্যামাইকায় গত রাতে তিনদিনে শেষ হওয়া গোলাপি বলের টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে ১৭৬ রানে। সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেও অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতে পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটাররা। প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ১৫৯ ও ১৩৩ রানে। তিন টেস্টে ১০০-এর বেশি রানে হেরে যাওয়া মানতে পারছেন না চেজ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর উইন্ডিজ অধিনায়ক বলেন,‘খুবই হৃদয়বিদারক এটা। কারণ, আমরা তিন টেস্টেই একই কাজ করেছি।ভুলগুলো থেকে কিছুই শিখছি না। এদিকে নজর দিতে হবে।’

টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার বাজে রেকর্ডটি ৭০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডেরই রয়েছে। ১৯৫৫ সালে কিউইরা ২৬ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৭০ বছর আগের সেই ম্যাচটি হয়েছিল অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে। এই তালিকায় দুইয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাকতালীয়ভাবে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার বাজে দুটি রেকর্ডই হয়েছে ঘরের মাঠে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হামজাকে পেয়ে নেপালও রোমাঞ্চিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে অনুশীলনে নেপাল ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে অনুশীলনে নেপাল ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের ফুটবলের সমর্থকদের জন্য আবেগের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়াতেও। গত সেপ্টেম্বরে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখানে হামজাকে দেখতে মুখিয়ে ছিলেন নেপালিরা। যদিও চোটের কারণে সেই সফরে যাননি হামজা।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের আগে কাল ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। নেপাল অধিনায়ক কিরণ লিম্বুরও হামজার সঙ্গে মাঠ ভাগাভাগি করে নেওয়ার ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে।

আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কিরণ বলেন, ‘হ্যাঁ। আমার নিজেও চেয়েছিলাম যে সে নেপালে সেই ম্যাচে খেলুক, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে খেলতে পারেনি।এখন আমরা তাকে এখানে দেখছি, আর আমরা ঢাকায় আছি। আমি এবং আমার পুরো দল তার সঙ্গে খেলতে রোমাঞ্চিত। সমস্ত নেপালিরা সেই খবর এবং হামজা সম্পর্কে সবকিছু অনুসরণ করছে। সমস্ত নেপালি ফুটবল ভক্তরা সত্যিই তাকে আগামীকালের ম্যাচে দেখার জন্য খুব রোমাঞ্চিত। আমি বিশ্বাস করি যে এটি একটি মজাদার এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ হতে চলেছে। অবশ্যই, ও এই সুন্দর খেলাটি এত বড় নামের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমিও খুশি।’

হামজা থাকলেও ভয় পাচ্ছেন না নেপাল কোচ হরি খড়কা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ সব সময় চ্যালেঞ্জিং। এখন হামজা ও অন্যান্য খেলোয়াড় যোগ হয়েছে, তো বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ একটা দল। তবে আমরা তাদের নিয়ে ভীত নই। কেননা, ফুটবল একটা দলীয় খেলা। এখানে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের মূল্য আছে, কিন্তু দিন শেষে এটা দলীয় খেলা। আমরা আগামীকালের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোচের যোগ্যতা নিয়ে উত্তর দিতে হচ্ছে অধিনায়ক জামালকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সমালোচনার মুখে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, পাশে বসা অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমালোচনার মুখে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, পাশে বসা অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ দলে এখন আছেন হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড়। শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদ, কাজেম শাহদের বাংলাদেশ দল এখন প্রবাসীদের ছোটখাটো এক মেলা। তবু কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বড় দলের বিপক্ষে তাঁর রণকৌশলে জয়ের ছক আঁকতে পারছেন না। নিজের যোগ্যতাকে তাই প্রশ্নবিদ্ধ করছেন তিনি।

সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। বাংলাদেশ দলে প্রবাসীদের এই দুয়ার যে তিনিই প্রথম খুলে দেন। অধিনায়ক হলেও তাঁর সুযোগ মেলে না শুরুর একাদশে। তা নিয়ে হতাশার অবশ্য শেষ নেই। তবু মেনে নেন কোচের সিদ্ধান্ত। জামাল নিজেও এএফসি ডিপ্লোমা এ লাইসেন্সধারী কোচ। তাঁর চোখে কাবরেরা কেমন যোগ্য হামজা-শমিতদের সামলানোর জন্য। সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তর খানিকটা এড়িয়েই যেতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ​‘আসলে এটা আমার সিদ্ধান্ত না। এটা ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত, যারা বাফুফেতে চালায় তাদের সিদ্ধান্ত। আমি খেলোয়াড়, খেলোয়াড়ের মতো থাকব।’

কাবরেরা বরাবরই সমালোচিত সমর্থকদের কাছে। কেউ কেউ তাঁর অধীনে বাংলাদেশের ম্যাচ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন। কাবরেরার জবাব, ‘আমি শুনেছি ৪ মিনিটেই ভারত ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়েছে (হাসি)। সমালোচনা থাকা স্বাভাবিক, আমি তা মেনে নিচ্ছি—এটাই আমার অবস্থান। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সবাই দলটার পাশে আছে। কালকের ম্যাচ আমাদের সুযোগ, যাতে সবাই আবার বিশ্বাস পায় যে ভারতকে হারানো সম্ভব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বল ছুড়ে মারায় নাহিদ রানাকে আইসিসির শাস্তি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৩
অযথাই বল ছুড়ে মেরে আইসিসির শাস্ত পেলেন নাহিদ রানা। ছবি: বিসিবি
অযথাই বল ছুড়ে মেরে আইসিসির শাস্ত পেলেন নাহিদ রানা। ছবি: বিসিবি

আইরিশ ক্রিকেটার ক্যাড কারমাইকেলের দিকে অযথাই বল ছুড়ে মেরেছিলেন। সিলেটের টেস্টের প্রথম দিনের এই ঘটনার জন্য আইসিসির শাস্তি পেতে হলো নাহিদ রানাকে। তাঁর ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আচরণবিধির লেভেল–১ এর আচরণবিধির ২.৯ ধারা লঙ্ঘন করেছেন নাহিদ রানা। যে নিয়মে বলা হয়েছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো খেলোয়াড় প্রতিপক্ষ কারও দিকে বা কাছাকাছি বল ছুড়ে মারতে পারবেন না অথবা তাঁর দিকে কোনো ক্রিকেটসামগ্রী বিপজ্জনকভাবে ফেলতে পারবেন না। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট।

সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে ঘটে ঘটনাটি। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২৭তম ওভারে। বল ধরার পর ফলো থ্রুর সময় নাহিদ অযথাই বল ছুড়ে মারেন কারমাইকেলের দিকে। বল ব্যাটারের প্যাডে লাগে। তখন তিনি ক্রিজের ভেতরেই ছিলেন।

এ ঘটনায় মাঠের দুই আম্পায়ার স্যাম নোগাইস্কি ও এহসান রাজা, টিভি আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে নাহিদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। ম্যাচ রেফারি অভিযোগ আমলে নিয়ে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ কর্তন ও একটি ডিমেরিট পয়েন্টের শাস্তি দেন।

নাহিদ রানা নিজের দোষ স্বীকার করায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেই শোকাবহ দিনে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করবে ফ্রান্স

ক্রীড়া ডেস্ক    
ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে প্যারিসে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছে ফ্রান্স ফুটবল দলের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে প্যারিসে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছে ফ্রান্স ফুটবল দলের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: এএফপি

আগামীকাল ১৩ নভেম্বর। প্যারিসে সন্ত্রাসী সিরিজ হামলার ১০ বছর পূর্তির দিন। ২০১৫ সালের ঠিক এই দিনেই মাঠে যখন ফ্রান্স-জার্মানির প্রীতি ম্যাচ চলছিল, তখনই প্যারিস ও স্তাদ দ্য ফ্রান্সে ঘটে এই সন্ত্রাসী হামলা। যে হামলা প্রাণ কেড়ে নেয় ১৩০ জনের।

যার অধিকাংশই নিহত হয়েছিল প্যারিসের কাতাকলাঁ কনসার্ট হলে, যেখানে পারফর্ম করছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঈগলস অব ডেথ মেটাল ব্র্যান্ড। আরেকজন মারা যান স্তাদ দ্য ফ্রান্সের কাছে, যেখানে আত্মঘাতী হামলাকারীরা প্রবেশের চেষ্টা করছিল। ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার সেই মাঠ ছিল দর্শকে টইটুম্বুর। মাঠে ছিলেন সে সময়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টও। হামলার মাঝেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি চালিয়ে নেওয়া হয় এবং ফ্রান্স জেতে ২-০ গোলে।

দলের জয় ছাপিয়ে সেদিন বড় হয়ে উঠে ১৩০ জনকে হারানোর হাহাকার। ১৩ নভেম্বর আসলেই সেই দুঃস্মৃতি ভেসে উঠে প্যারিসের মানুষের মনে। সেই মানুষদের বাইরে নন দিদিয়ের দেশমও। সেদিন সেই ম্যাচে স্বাগতিক দলের ডাগআউটে ছিলেন তিনি। সেই দুঃসহ হামলার বর্ষপূর্তিতে আগামীকাল আবার মাঠে তিনি থাকবেন ফ্রান্সের ডাগআউটে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এদিন তাদের প্রতিপক্ষ ইউক্রেন। ম্যাচের আগে ১০ বছর আগে নিহতদের স্মরণে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হবে।

এমন একটি দিনে সুযোগ থাকলে মাঠেই নামতেন না দেশম। বললেন, ‘আমি মনে করি ১৩ নভেম্বর খেলা এড়িয়ে যতে পারলে ভালো হতো। যা ঘটেছিল তা স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব, কিন্তু একই সঙ্গে ম্যাচও খেলতে হবে।’

তবে শোকের এই দিনটিতেই বিশ্বকাপে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে উঠার সুযোগ ফরাসিদের। ইউক্রেনের বিপক্ষে জিতলেই ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে তাদের।

এই গ্রুপে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউক্রেনের চেয়ে ফ্রান্স তিন পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় আগামীকাল ম্যাচ ফ্রান্স হারলেও রোববার আজারবাইজানের বিপক্ষে জিতে গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখার সুযোগ থাকবে। আর জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতবে তারা।

প্লে-অফের রাউন্ডের আগে বিশ্বকাপের ইউরোপীয় বাছাইয়ের এটাই শেষ রাউন্ড। শুধু ফ্রান্সই নয়, আগামীকাল জিতলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের পর্তুগালেরও। ‘এফ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে হাঙ্গেরি যদি আর্মেনিয়াকে হারাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইউক্রেনের সঙ্গে ড্র করলেও পর্তুগাল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত