Ajker Patrika

‘গলার কাঁটা’ রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে গলে লঙ্কানদের রেকর্ড জয়

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৪
‘গলার কাঁটা’ রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে গলে লঙ্কানদের রেকর্ড জয়

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা ব্যস্ত আসা-যাওয়ার মিছিলে। গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ‘গলার কাঁটা’ হয়ে আটকে ছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। সেই রবীন্দ্রকে ফেরানোর পর দ্রুত জয় তুলে নিল লঙ্কানরা। ৬৩ রানে জিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। 

গল টেস্ট জিতে শ্রীলঙ্কা ভাগ বসাল ইংল্যান্ডের একটি রেকর্ডে। ২০০০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গলে ২৫ টেস্ট জিতেছে লঙ্কানরা। এই সময়ে  (গত ২৪ বছরে) ইংল্যান্ডও লর্ডসে জিতেছে ২৫ টেস্ট। যৌথভাবে শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড শীর্ষে হলেও শতকরা হিসেবে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের সাফল্যের হার ৫৮.১৪ ও ৫২.০৮। গত ২৪ বছরে লর্ডস ও গলে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা ৪৮ ও ৪৩ টেস্ট খেলেছে।

শেষ দিনে আজ (ষষ্ঠ দিন) নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৭ রান থেকে খেলা শুরু করে।  কিউইরা এগোচ্ছিল ২৭৫ রানের লক্ষ্যে। হাতে ২ উইকেট থাকলেও শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত ছিল না যতক্ষণ রবীন্দ্র উইকেটে ছিলেন। সেই রবীন্দ্রকে ৭০তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্মার ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। রিভিউ নিয়েও আর বাঁচতে পারেননি রবীন্দ্র। কিউই এই বাঁহাতি ব্যাটার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে আউট হয়েছেন ৮ রান দূরে থাকতে। ১৬৮ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের জুটি হয়েছে, এখানেও অবদান রবীন্দ্রর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন রবীন্দ্র।

রবীন্দ্র ফিরতেই শ্রীলঙ্কার জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। ৭২তম ওভারের চতুর্থ বলে নিউজিল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন জয়সুরিয়া। যেখানে জয়সুরিয়ার বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান উইলিয়াম ও’রুর্কি। কিউরা অলআউট হয়ে যায় ২১১ রানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়সুরিয়া। লঙ্কান এই বাঁহাতি স্পিনার ২০৪ রানে নিয়েছেন ৯ উইকেট। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। খরচ করেন ৬৮ রান। টেস্টে এটা তাঁর এক ইনিংসে ৮ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি।

আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড টেস্টের ষষ্ঠ দিন হলেও কার্যত পাঁচ দিন খেলা হয়েছে। যেখানে শ্রীলঙ্কায় গত পরশু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কারণে গল টেস্টের খেলা বন্ধ ছিল। ‘ছয় দিনের’ টেস্টে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধুলো উড়তে দেখা গেছে। ছড়ি ঘুরিয়েছেন স্পিনাররাই। ৪০ উইকেটের মধ্যে ২৯ উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। পরিসংখ্যানটা আরেকটু খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, বাঁহাতি স্পিনাররা নিয়েছেন ১৮ উইকেট। জয়সুরিয়ার ৯ উইকেটের পাশাপাশি কিউই দুই বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার নিয়েছেন ৮ ও ১ উইকেট। যেখানে প্যাটেল দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রানে নেন ৬ উইকেট।

স্পিনবান্ধব গলে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড টেস্টে পেসাররা পেয়েছেন ১০ উইকেট। যার ৮টিই নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ও’রুর্কি। ম্যাচে একমাত্র রানআউটটি হয়েছে কিউইদের প্রথম ইনিংসে। সব মিলে খেলা হয়েছে ৩৪৮.৪ ওভার। রান হয়েছে ২০৯২। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। কামিন্দু মেন্ডিসের ১১৪ রানের ইনিংসে লঙ্কানরা প্রথম ইনিংসে করেছে ৩০৫ রানে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৩৪০ রানে। কিউইদের প্রথম ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি নেই।

৩৫ রানে পিছিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই হোঁচট খায়। ৬ রানে ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দিমুথ করুণারত্নে ও দিনেশ চান্দিমাল ২৬৮ বলে ১৪৭ রানের জুটি গড়েন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি হতে ১৭ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন করুণারত্নে। লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ রানের জুটি গড়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও ডি সিলভা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে হয়েছে এই জুটিটা। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৩০৯ রানে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট গলে শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর।

নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে গত ২৪ বছরে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ের সেরা চার রেকর্ড

ভেন্যু                                    জয়ী  দল                             জয়                         ম্যাচ  
গল                                        শ্রীলঙ্কা                                  ২৫                           ৪৩
লর্ডস                                    ইংল্যান্ড                                  ২৫                           ৪৮
সেঞ্চুরিয়ন                          দক্ষিণ আফ্রিকা                          ২০                            ২৫
কেপটাউন                         দক্ষিণ আফ্রিকা                           ১৯                            ২৯

*২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-রে ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট পর্যন্ত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত