Ajker Patrika

শেন ওয়ার্ন: ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি

অজয় দাশগুপ্ত, সিডনি থেকে 
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১১: ১৩
শেন ওয়ার্ন: ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি

ভালো খেলোয়াড় তো অনেকেই হয়। নামীদামি ভদ্র এমন খেলোয়াড়ে ভর্তি ক্রীড়া দুনিয়া। কিন্তু তর্ক-বিতর্ক আর মেধায় সমান ঝলসে ওঠা খেলোয়াড় কজন হতে পারে? 

আমাদের সময়কালে আমি দুজনের কথা বলব। একজন ষাট বছর বয়সে বিদায় নেওয়া ডিয়েগো ম্যারাডোনা। নেশা-পেশা-ডোপ কত বিতর্ক, কিন্তু ফুটবলের ভগবানতুল্য ছিলেন এই প্রতিভা। আর একজন সদ্য বিদায়ি শেন ওয়ার্ন। তাঁর নামে কত গল্প, কত বাদ-অপবাদ, কিন্তু শেন তো শেনই। অস্ট্রেলিয়া খেলাপাগল দেশ। এত কম জনসংখ্যার একটি দেশ দুনিয়ার সব খেলায় আধিপত্য বজায় রাখে। এর কারণ, খেলাধুলার প্রতি মনোযোগ আর তার লালন-পালন। এ দেশের আইকন ডন ব্র্যাডম্যান। নাক উঁচু অজি কিংবদন্তি। ১৯৯৬ সালে তাঁর জন্মদিনে মাত্র দুজন খেলোয়াড়কে বাসভবনে ডেকেছিলেন তিনি। একজন ব্র্যাডম্যানের মতে, তাঁর মতো খেলে, যাঁর নাম শচীন টেন্ডুলকার। আরেকজন তাঁর সঙ্গী সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্ন। বাকি সব তারকা হোটেল রুমে বসে আর এই দুজন ছিলেন অতিথি। 

সিডনি তো বটেই, পুরো বিশ্বের ক্রীড়ামোদী মানুষের মন খারাপ করে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। যে কটি দেশ খেলে, তাদের ভেতরেই কয়েকজন হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা কিংবদন্তি। অস্ট্রেলিয়ার সমৃদ্ধ ক্রিকেট জগতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। তবে একটি বিষয়ে কেউ নেই তাঁর ধারে-কাছে। বিনোদন ও লাইফ লিভিং বলতে যা বোঝায়, তা শতভাগ করে গেছেন। যত দিন মাঠে ছিলেন, তত দিন মুখরোচক শিরোনাম। যখন মাঠের বাইরে, তখনো শিরোনাম। যখন ধারাভাষ্য দিতে প্রেসবক্সে, তখনো মজার মানুষ। 

তিনি যখন ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তখন তাঁর নামের পাশে টেস্টে ৭০৮ উইকেট, যেটা তখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। শুধু ৭০৮ উইকেট বা তাঁর একের পর এক বিষাক্ত লেগ স্পিনে বিপক্ষ ব্যাটারদের আউট হওয়া দিয়ে হয়তো ধরা যাবে না শেন ওয়ার্নকে। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বর্ণময় চরিত্র তিনি। রেকর্ডের খ্যাতির পাশে সেখানে সমান উজ্জ্বল যৌন কেলেঙ্কারি। কোনো কিছুই লুকিয়ে করেননি ওয়ার্ন। বুক চিতিয়ে, হাসিমুখে সবটা নিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছেন। মাত্র ৫২ বছর বয়সে তাঁর চলে যাওয়ায় তাই হতবাক ক্রিকেট দুনিয়া। এখনো মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। হঠাৎ করে যেন শেষ হয়ে গেল ক্রিকেটের একটা অধ্যায়। 

একটা মজার গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না। আমার অনুজপ্রতিম সিডনিবাসী আহসান হাবিব তখন নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করত। একবার তার কাজ পড়েছিল পাঁচ তারকা এক হোটেলে। তাঁর দায়িত্ব ছিল আগত অতিথিদের একটি রেজিস্টারে নাম লিখতে বলা। একদিন হাবিবের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই অজি খ্যাতিমান মানুষ। একজন তখনকার মন্ত্রী, আরেকজন ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। মিনিস্টার হাবিবকে অনুরোধ করলেন তাঁর নাম লিখতে। একটু থতমত খেয়ে যাওয়ায় মন্ত্রী তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি আমাকে চিনতে পারোনি? হাবিব মাথা নেড়ে জবাব দিয়েছিল: সরি, আমি তোমাকে চিনি না। নাম লেখা শেষে মন্ত্রী কিছুটা মজা আর ব্যঙ্গসহকারে হাবিবকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন: কবে এসেছ এই দেশে? আর কাকে চেনো তুমি? 

হাবিব একটুও বিচলিত না হয়ে জবাব দিল, এই যে তোমার পেছনে দাঁড়ানো শেন ওয়ার্ন, তাঁকে চিনি। তিনি আমার হিরো। আমাদের দেশের সবাই চেনে তাঁকে। শেন ওয়ার্ন অজি স্টাইলে এক চোখ টিপে তাকে স্বাগত জানিয়ে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে ভেতরে ঢুকলেও বেরোনোর সময় আবার তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে ভোলেননি। এটাই ছিল তাঁর চরিত্র। সরল-সহজ ফান লাভিং এক স্পিন জাদুকর। 

সত্যিকারের অজি লাইফ মেনে খাঁটি অস্ট্রেলিয়ান আমরা হতে পারব না, সম্ভবও না। যুগ যুগ ধরে বাস করে বা ক্যাঙারুর দেশে জন্ম নিলেও তা হবে না। এর সংস্কৃতি ও শিকড় যেখানে, সেখান থেকে শুরু করলে তাঁর মতো গাঁক-গাঁক করে অজি উচ্চারণে ইংরেজি বলা, অমন অঙ্গভঙ্গি করা, ইচ্ছেমতো বিয়ার পান করা এমনকি নেশা করাও জানা চাই বৈকি। এই যেমন একবার ভারত সফরে যাওয়ার সময় সবাই যখন বাক্সপেটরা নিয়ে ব্যস্ত, তখন তিনি ব্রেকফাস্টের জন্য অসংখ্য বিনসের কৌটা নিতে গিয়ে শিরোনাম হয়েছিলেন, ‘মি. বিন!’ 

সরল-সহজ ফান লাভিং এক স্পিন জাদুকর শেন ওয়ার্নজীবনের প্রতি, শরীরের প্রতি খুব একটা সুবিচার করেননি কখনো। ওয়ার্নের সিগারেটপ্রেমের কথা জানা যায় তাঁর একসময়ের সতীর্থ মাইকেল ক্লার্কের কাছ থেকে। ২০০৬ সালে অ্যাশেজ সিরিজের আগে এক অনুশীলন ক্যাম্পে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া দল। সে সময় শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া বাকি সবকিছু নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ওয়ার্ন বেছে নিয়েছিলেন সিগারেট। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ক্লার্ক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ওয়ার্ন সিগারেট খেতে পছন্দ করে। ও সেই ক্যাম্পে যাওয়ার আগে জানিয়ে দিয়েছিল, সিগারেট ছাড়া যাবে না। ওয়ার্ন তিন জোড়া অন্তর্বাস এবং মোজার বদলে সিগারেট নিয়ে গিয়েছিল।’ ক্লার্ক বলেন, ‘অন্ধকারের মধ্যে সবাই স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে। শুধু একটা জায়গায় কমলা রঙের একটা আলো। স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে ধূমপান করছে ওয়ার্ন।’

আবার সেই মানুষটিই একসময় আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক হয়ে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। তিনিই প্রথম অধিনায়ক, যিনি আইপিএল জেতেন। প্রতিযোগিতার প্রথম বছরই রাজস্থান রয়্যালসকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। যত মুখরোচক গল্পই থাকুক না কেন, শেন ছিলেন সেরার সেরা স্পিনার। ১৯৯৩ সালের আ্যশেজ সিরিজে তাঁর জাদুকরী স্পিনে আউট হন ইংল্যান্ডের মাইক গ্যাটিং। এই বলকে বলা হয় ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’। 

নারী, নেশা, উদ্দাম জীবনযাপন—সবকিছুর বাইরে এক বর্ণাঢ্য চরিত্র ছিলেন শেন। তাঁর জবানবন্দিতে সেরা দুই ব্যাটার শচীন ও লারা। এঁরাই তো তাঁরা, যাঁরা আমাদের যৌবন ও খেলার জগৎকে রাঙিয়ে রেখেছিলেন। এখনো রাঙিয়ে রাখেন বিদায় অস্তরাগে। ক্রিকেট কী, সেটাও পৃথিবীর অনেক মানুষ জানেন না, বোঝেনও না। কিন্তু তাঁদের অনেকে শেন ওয়ার্নের নাম জানেন। 

শেন তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি)। এই মাঠে খেলা দেখতে দেখতে মনে পড়ে যাবে সোনালি চুল উড়িয়ে দৌড়ে আসা সেই কিংবদন্তি বোলারকে, যাঁর বলের ঘূর্ণি বুঝতে পারার আগেই উপড়ে নিত সেরা ব্যাটারের মিডেল স্টাম্প। 

গত রাতে হঠাৎই তাঁর জীবনের খুঁটি উপড়ে নিয়েছে নিয়তি। থাইল্যান্ডে মারা গেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিন জাদুকর।
গুডবাই মেট, গুড বাই শেন ওয়ার্ন। আওয়ার বিলাভড ওয়ার্নি...।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ‘বিশেষ ব্যবস্থা’

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৈরি আবহাওয়ায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছবি: ক্রিকইনফো
বৈরি আবহাওয়ায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা (বিসিসিআই)। সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকেরা তো বটেই, ডেল স্টেইন-রবিন উথাপ্পারাও ধুয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইকে। লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে সেদিন ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থা নিল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা (ইউপিসিএ)।

লক্ষ্ণৌতে পরশু রাতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি বাতিল হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের অনেকেই টিকিটের টাকা ফেরত চেয়েছেন। এবার তাঁদের সুখবর দিল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। কোন উপায়ে দর্শকেরা টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন, সেই ব্যবস্থাও বাতলে দিল ইউপিসিএ। সংস্থাটির সচিব প্রেম মনোহর বলেন, ‘যেসব ভক্ত-সমর্থকেরা অনলাইনে টিকিট বুকিং দিয়েছেন, তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন, পুরোটাই ফেরত দেওয়া হবে। টিকিটের অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে নোটিফিকেশন যাবে ইমেইলে। আপডেট পেতে যেন তাঁরা নিয়মিত ইমেইল খেয়াল রাখেন।’

অনলাইনে টিকিট না কেটে যাঁরা স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকিট কেটেছেন, তাঁরাও টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন মনোহর। ইউপিসিএ’র সচিব বলেন, ‘যাঁরা অফলাইনে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের অবশ্যই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্রয়কৃত টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ সময় পরশু সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন শীতকালের কারণে ঘন কুয়াশা অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌতে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক বদলাল শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলেন শানাকা। ছবি: ক্রিকইনফো
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলেন শানাকা। ছবি: ক্রিকইনফো

২০২৫ এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর থেকেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক পরিবর্তনের কথা ভাবছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। সেটাই এবার বাস্তবায়ন করল সংস্থাটি। চারিথ আসালাঙ্কাকে সরিয়ে দাসুন শানাকাকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটের নেতৃত্বভার দিয়েছে এসএলসির নতুন নির্বাচক প্যানেল।

গত বছরের জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পান আসালাঙ্কা। তাঁর অধীনে প্রত্যাশিত ফল পায়নি লঙ্কানরা। ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে মাত্র ১১ টিতে। বিপরীতে হেরেছে ১২ ম্যাচ। অধিনায়ক থাকাকালীন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি আসালাঙ্কা। ২৫ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ৩৬৮ রান। ব্যাটিং গড় ১৯.৩৬। স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২৯। ফিফটি করেছেন মাত্র একটি। চলতি বছর ১৫.৬০ গড়ে করেছেন ১৫৬ রান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল দিয়েছে এসএলসি। অধিনায়কত্ব হারালেও সে দলে আছেন আসালাঙ্কা। আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। সে সিরিজ দিয়ে নেতৃত্ব বুঝে নেবেন শানাকা।

গত মাসে পাকিস্তানের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রানার্সআপ হয় শ্রীলঙ্কা। সে সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক ছিলেন শানাকা। আসালাঙ্কা অসুস্থ হয়ে পড়লে নেতৃত্ব পান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নিরোশান ডিকভেলা, জানিথ লিয়ানাগে, চারিথ আসালাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, পবন রত্নায়েকে, সাহান আরাচিগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুনিত ভেল্লালাগে, দুশান হেমন্ত, ট্রাভিন ম্যাথু, বিজয়াকান্ত বিশ্বকান্ত, দুশমন্ত চামিরা, নুয়ান থুসারা, মাথিশা পাতিরানা, এসান মালিঙ্গা, প্রমোদ মাদুশান, দিলশান মাদুশঙ্কা, মিলান রত্নায়েকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কী হবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও বাংলাদেশের অবস্থা ভালো নয়। ছবি: এসিসি
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও বাংলাদেশের অবস্থা ভালো নয়। ছবি: এসিসি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কারণ, সকালে বৃষ্টির কারণে মাঠের আউটফিল্ডের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। অবশেষে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় এই ম্যাচ। এদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনাল এখনো শুরুই হয়নি।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে ভারত উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭ ওভারে ২ উইকেটে ২৬ রান করেছে। অধিনায়ক তামিম করেছেন ১ রান। কালাম সিদ্দিকী ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত