ক্রীড়া ডেস্ক

ট্রাজেডি—শব্দটি যেন মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উদাহরণ দিতে চাইলে এই সিরিজেরই অনেক কিছু মুহূর্ত তুলে ধরতে পারেন সিরাজ। লর্ডসে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার সেই দৃশ্য, বোলারদের ক্যাচ মিসের পর হতাশাচ্ছন্ন মুখ, একের পর এক ক্লান্তিকর স্পেল, এমনকি ব্রুকের ক্যাচ নিয়েও তা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছক্কায় পরিণত করা।
সময় গেলে এসব কিছু কি মনে রাখবেন সিরাজ? হয়তো বা হয়তো না। তবে নিশ্চিতভাবে একটি মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখবেন আজীবনের জন্য। যার কাছে তুচ্ছ হয়ে থাকবে সব হতাশা।
ওভাল টেস্টে কী নাটকেরই না জন্ম দিল। আর সেই নাটকের নায়ক সিরাজ। শেষ দিনেও জয়ের পাল্লা ভারী ছিল ইংল্যান্ডের দিকে। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে জয় ডাকছিল ৩৫ রান দূর থেকে। আর সিরাজ নেমেছিলেন বিশ্বাসকে পুঁজি করে। গোটা ভারতই তাঁর ওপর বিশ্বাস রেখেছিল। এ ছাড়া যে আর উপায় ছিল না।
সিরাজ হতাশ করলেন না। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে গাস অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে ভারতকে ভাসালেন ৬ রানের জয়ের আনন্দে। দিয়েছেন সিরিজ বাঁচানোর স্বস্তি।
সিরাজ জানতেন তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। হায়দরাবাদ থেকে ক্রিকেটে উঠে আসার যাত্রাটা তো আর সহজ ছিল না। আর ক্রিকেটের চেয়ে বড় ‘লেভেলার’ আর কী আছে! বিশেষ করে টেস্ট ফরম্যাটের তুলনা যেখানে হয় জীবনের সঙ্গে। তখন সিরাজই বা হাল ছেড়ে দেন কী করে!
জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল একটাই, সেটা ভালো জায়গায় বোলিং করে যাওয়া। রান হলে হোক। ব্রুকের ক্যাচটা নেওয়ার সময় ভাবিনি বাউন্ডারির ওপারে চলে যাব। সেটা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত ছিল। ব্রুক এরপর টি-টোয়েন্টি মুডে চলে যায়, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে পড়ি। সবসময় আমার বিশ্বাস ছিল আমি যেকোনো পর্যায় থেকে ম্যাচ জেতাতে পারব। গুগল থেকে ‘বিশ্বাস’ নামের একটি ওয়ালপেপার ডাউনলোড করে রেখেছিলাম।’
ভারত যখন জাসপ্রিত বুমরার বিশ্রাম নিয়ে অটল। যে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে সেই দুটিতে খেলেননি বুমরা। আর সিরাজ খেলে গেছেন ৫ ম্যাচের সবকটি। ২৩ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। টানা বোলিং করা নিয়ে কখনোই ক্লান্তি প্রকাশ করেননি। শুবমান গিল তো তাই বলে ওঠেন, ‘এমন বোলার পাওয়াটা সব অধিনায়কের কাছে স্বপ্নের মতো।’
সিরাজ স্বপ্নের মতো না হলেও বোলিংটা করে থাকেন সত্যিকারের যোদ্ধার মতো হৃদয় নিংড়ে। তিনিই যদি হৃদয় না জেতেন, তাহলে জিতবেন কে! যে সিরাজ এক সময় শুধু বুমরার ওপর বিশ্বাস রাখতেন, সেই ছায়া থেকে বেরিয়ে এখন বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছেন নিজের ওপর।

ট্রাজেডি—শব্দটি যেন মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উদাহরণ দিতে চাইলে এই সিরিজেরই অনেক কিছু মুহূর্ত তুলে ধরতে পারেন সিরাজ। লর্ডসে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার সেই দৃশ্য, বোলারদের ক্যাচ মিসের পর হতাশাচ্ছন্ন মুখ, একের পর এক ক্লান্তিকর স্পেল, এমনকি ব্রুকের ক্যাচ নিয়েও তা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছক্কায় পরিণত করা।
সময় গেলে এসব কিছু কি মনে রাখবেন সিরাজ? হয়তো বা হয়তো না। তবে নিশ্চিতভাবে একটি মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখবেন আজীবনের জন্য। যার কাছে তুচ্ছ হয়ে থাকবে সব হতাশা।
ওভাল টেস্টে কী নাটকেরই না জন্ম দিল। আর সেই নাটকের নায়ক সিরাজ। শেষ দিনেও জয়ের পাল্লা ভারী ছিল ইংল্যান্ডের দিকে। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে জয় ডাকছিল ৩৫ রান দূর থেকে। আর সিরাজ নেমেছিলেন বিশ্বাসকে পুঁজি করে। গোটা ভারতই তাঁর ওপর বিশ্বাস রেখেছিল। এ ছাড়া যে আর উপায় ছিল না।
সিরাজ হতাশ করলেন না। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে গাস অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে ভারতকে ভাসালেন ৬ রানের জয়ের আনন্দে। দিয়েছেন সিরিজ বাঁচানোর স্বস্তি।
সিরাজ জানতেন তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। হায়দরাবাদ থেকে ক্রিকেটে উঠে আসার যাত্রাটা তো আর সহজ ছিল না। আর ক্রিকেটের চেয়ে বড় ‘লেভেলার’ আর কী আছে! বিশেষ করে টেস্ট ফরম্যাটের তুলনা যেখানে হয় জীবনের সঙ্গে। তখন সিরাজই বা হাল ছেড়ে দেন কী করে!
জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল একটাই, সেটা ভালো জায়গায় বোলিং করে যাওয়া। রান হলে হোক। ব্রুকের ক্যাচটা নেওয়ার সময় ভাবিনি বাউন্ডারির ওপারে চলে যাব। সেটা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত ছিল। ব্রুক এরপর টি-টোয়েন্টি মুডে চলে যায়, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে পড়ি। সবসময় আমার বিশ্বাস ছিল আমি যেকোনো পর্যায় থেকে ম্যাচ জেতাতে পারব। গুগল থেকে ‘বিশ্বাস’ নামের একটি ওয়ালপেপার ডাউনলোড করে রেখেছিলাম।’
ভারত যখন জাসপ্রিত বুমরার বিশ্রাম নিয়ে অটল। যে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে সেই দুটিতে খেলেননি বুমরা। আর সিরাজ খেলে গেছেন ৫ ম্যাচের সবকটি। ২৩ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। টানা বোলিং করা নিয়ে কখনোই ক্লান্তি প্রকাশ করেননি। শুবমান গিল তো তাই বলে ওঠেন, ‘এমন বোলার পাওয়াটা সব অধিনায়কের কাছে স্বপ্নের মতো।’
সিরাজ স্বপ্নের মতো না হলেও বোলিংটা করে থাকেন সত্যিকারের যোদ্ধার মতো হৃদয় নিংড়ে। তিনিই যদি হৃদয় না জেতেন, তাহলে জিতবেন কে! যে সিরাজ এক সময় শুধু বুমরার ওপর বিশ্বাস রাখতেন, সেই ছায়া থেকে বেরিয়ে এখন বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছেন নিজের ওপর।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে আফগানিস্তান। এই সংস্করণের বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্বেও আফগানরা শেষ চারে জায়গা করে নেবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং।
৪ ঘণ্টা আগে
ভাই হারালেন জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডারের ছোট ভাই মুহাম্মাদ মাহদি। এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (এনজেডসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
তিন ভেন্যুতে ২০২৬ বিপিএল হওয়ার কথা থাকলেও এবার সেটা দুই ভেন্যুতে করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের নাম বিপিএলের ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে না পারায় বিসিবির পাশাপাশি সাবেক ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে দায়ী করেন এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস
৮ ঘণ্টা আগে