নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৭ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৭ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৭ মিনিট আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৭ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে