Ajker Patrika

ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের

অ্যান্টিগায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ৫০ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের আশাও শেষ তাদের। দুর্দান্ত জয়ে রোহিত শর্মার দল এক পা দিয়ে রাখল শেষ চারে।

১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশের ইনিংস ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে থামিয়ে দেন ভারতের বোলাররা। গ্রুপ পর্বে একাদশে সুযোগ না পাওয়া কুলদীপ যাদব সুপার এইটে দেখাচ্ছেন ঘূর্ণি জাদু। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ২ উইকেট, আজ ১৯ রান দিয়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সাবধানী শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়াচ্ছিলেন রানের গতি। পঞ্চম ওভারে খেই হারালেন লিটন। প্রথম ৭ বলে করেছিলেন ৩ রান। পরের দুই বলে অক্ষর প্যাটেলকে ১টি চার ও হার্দিক পান্ডিয়াকে পুল করে চোখজুড়ানো ছক্কা।

ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে যাওয়া লিটন আভাস দিচ্ছিলেন দারুণ কিছুর। কিন্তু না, পরের বলেই আউট হলেন তাঁর মতো করেই। অফ স্টাম্পের বাইরে সরে পান্ডিয়ার ওয়াইড লাইনের স্লোয়ার ঘুরাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে ক্যাচ দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদবকে। ১০ বলে ১৩ রান করে ফেরেন লিটন। পঞ্চম ওভারে ভাঙে ৩৫ রানের ওপেনিং জুটি।

পাওয়ার-প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম জুটি বড় করার চেষ্টা করেন। তবে লক্ষ্য অনুযায়ী স্কোর বোর্ডে ওভারপ্রতি রানে হার কমই জমা হচ্ছিল। ১০ম ওভারে কুলদীপ যাদবের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তামিম। ভাঙে ৩১ বলে ৩১ রানের জুটি।

সুবিধা করতে পারেননি ৪ নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়ও। কুলদীপ নিজের পরের ওভারে এলবিডব্লুতে ফেরান হৃদয়কে (৪)। পরের ওভারে রোহিত শর্মার ক্যাচে ফেরান সাকিব আল হাসাকেও (১১)। স্কোরে ১০০ রান জমা করতে বাংলাদেশের লাগে ১৪ ওভার। শেষ ৬ ওভারে জিততে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৯৭ রান। যেটি রীতিমতো কঠিন কাজই। তখনই ধীরে ধীরে হার জেঁকে বসতে শুরু করে।

থিতু হয়েও ঝড় তুলতে পারেননি শান্ত। ১৬তম ওভারে জসপ্রীত বুমরার বলে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩২ বলে ৪০ রান আসে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তারপর জাকের আলী অনিক ফেরেন ১ রানে। বিশ্বকাপ দলে জায়গা করেও প্রত্যাশা মতো দলের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ১০ বলে ২৪ রানের ছোটখাটো এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন রিশাদ হোসেন। ৩ ছক্কা ও ১টি চারে করেছেন ২৪ রান।

দলের অন্য ব্যাটারদের জন্য রিশাদের ইনিংস যেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ব্যাটিংয়ের ধরন হিসেবে উদাহরণ হয়ে থাকল! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ১৫ বলে ১৩ রান করে। বুমরা, আর্শদীপ সিং দুটি ও কুলদীপ নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের সুবিধা নেয়নি বাংলাদেশ। ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক শান্ত। এর খেসারত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দিয়েই গেছেন তাঁরা। তার সঙ্গে একাদশে সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদকে বাদ দেওয়া। স্পিনে পারদর্শী ভারতের বিপক্ষে এটাও যেন প্রশ্নবিদ্ধ এক সিদ্ধান্ত হয়ে গেল!

শুরু থেকে ইনিংসে শেষ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক ধারায় ব্যাট করে গেছেন ভারতের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বোলাররা সেভাবে কোনো চাপই তৈরি করতে পারেননি তাঁদের ওপর। রোহিত-বিরাট কোহলির ওপেনিং জুটিতেই দারুণ শুরু পায় ভারত। ২২ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন দুজনে। শেখ মেহেদী হাসান ইনিংসের প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৮ রান। দ্বিতীয় ওভারে সাকিব দেন ১৫ রান। চতুর্থ ওভারে আবারও বোলিং আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন এই অলরাউন্ডার।

সেই ওভারের প্রথম বলে লং-অন দিয়ে ৯৭ মিটারের বিশাল ছক্কা আছড়ে ফেললেন রোহিত। তৃতীয় বলে আবার চার। পরের বলে আবারও রোহিত চেষ্টা করেন শট খেলার। তবে এবার আর সাকিবের থাবা থেকে বাঁচতে পারলেন না ভারতের অধিনায়ক। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বল উঠে গেছে অনেক ওপরে। দৌড়ে গিয়ে দারুণভাবে বল হাতে জমা করেছেন জাকের আলী অনিক।

১১ বলে ২৩ রান করা রোহিতকে ফিরিয়ে টি-বিশ্বকাপে অনন্য এক রেকর্ড পৌঁছে যান সাকিব। কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এ রেকর্ড গড়তে তাঁর লেগেছে ৪০ ইনিংস।

দ্বিতীয় উইকেটে কোহলি ও ঋষভ পন্ত ৩২ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। নবম ওভারে এই জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ভারতীয় ব্যাটাররা অন্যদের ওপর চড়াও হলেও নিজের প্রথম দুই ওভার এই পেসারকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেননি তাঁরা। নিজের প্রথম ওভারে সাকিব দেন ৬ রান। দ্বিতীয় ওভারে এসেই নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট।

নবম ওভারে তানজিম সাকিবের বল সামনে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে ২৮ বলে ৩৭ রানে বোল্ড হয়েছেন কোহলি। উইকেটে নেমে প্রথম বলেই হুক করে দারুণ একটি ছক্কা সূর্যকুমার যাদবের। পরের বলে আউটসাইড-এজের পর ধরা পড়েছেন উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে।

কোহলি ও সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে সিনিয়র সাকিবের আরেকটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন তানজিম সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব সর্বোচ্চ ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথমবারের মতো কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে এসে কোহলি ও সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে তানজিম সাকিবেরও এখন ১১ উইকেট। একই রেকর্ডে তার একটু পরই ভাগ বসান রিশাদ।

২৪ বলে ৩৬ রান করা পন্ত এবং ২৪ বলে ৩৪ রান করা শিবম দুবেকে ফিরিয়ে রিশাদেরও চলতি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার তাণ্ডবে ভারতের স্কোর পৌঁছে যায় ৫ উইকেটে ১৯৬ রানে। ২৭ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত