নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাওয়ারপ্লেতেই ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। জ্যামাইকা টেস্টের মতো সেন্ট কিটসেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ নেমেছেন চারে। জ্যামাইকা টেস্টে মিরাজ দলকে ভালো স্কোর এনে দিতে ব্যাটিং করেছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। আর পরশু সেন্ট কিটসে মিরাজ ব্যাটিং করেছেন টেস্ট মেজাজে—এটা নিয়েই যত আলোচনা।
প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের স্কোর গড়েছে, সেখানে দলের সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংসটা এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকেই। এই রান তিনি ১০১ বলে করেছেন, পরিস্থিতির দাবি মেনে। ১৮ রানের লিড নিয়ে খেলতে নেমে জ্যামাইকা টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে চারে নেমে তিনি যে ৩৯ বলে ৪২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেছিলেন, সেটিও পরিস্থিতির দাবি মেনে। টেস্ট জেতার পর মিরাজের আক্রমণাত্মক ইনিংসের প্রশংসা হয়েছিল, পরশু তাঁর ১০১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস নিয়ে হয়েছে সমালোচনা।
মিরাজের পরিকল্পনাটা পরিষ্কার, তিনি চাননি ঝুঁকি নিয়ে নিজের উইকেট হারিয়ে দলকে আরও চাপে ফেলতে। উইকেটে সেট হয়ে অন্য প্রান্তের ব্যাটারকে স্বস্তিতে খেলার সুযোগ করে দিতে চেয়েছেন। এ পরিকল্পনায় তৃতীয় উইকেটে তানজিদ তামিমের সঙ্গে মিরাজ গড়েছেন ৭৯ রানের জুটি, পরে চতুর্থ উইকেটে আফিফের সঙ্গেও গড়েছেন আরেকটি ৫০ পেরোনো জুটি। এ দুই জুটিই পরে মাহমুদউল্লাহ আর জাকের আলীকে মেরে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে, বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে ৩০০ ছুঁইছুঁই স্কোর গড়তে। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে মিরাজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শুরুতে দুজন সেট ব্যাটার আউট হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন ঝুঁকি নিতে পারিনি। ভাবনায় ছিল সেট হয়ে আউট হয়ে গেলে নতুন ব্যাটাররা চাপে পড়ে যাবে। মাহমুদউল্লাহ ভাই যখন সেট হয়ে গেল, তখন চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।’
বোলিংয়ে বাংলাদেশ শুরুতে যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছিল ক্যারিবীয়দের ওপর। ৩০ ওভার শেষেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওভারে আটের ওপর রান করার দরকার ছিল, সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেরফান রাদারফোর্ড। পাঁচে নেমে ৮০ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপের ৮৮ বলে ৮৬ আর জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত ৩১ বলে ৪১ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে। থিতু হয়ে যাওয়া ক্যারিবীয় ব্যাটারদের বিপক্ষে শেষ দিকে বোলিংটা প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
২৯৫ রান করেও ম্যাচ হেরে যাওয়ায় অবশ্য হতাশ নন সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বসে দলের খেলা দেখা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ম্যাচে অনেক মুহূর্ত ছিল। এ ধরনের ম্যাচ দেখতে ভালো লাগে। এ ধরনের ম্যাচ যত বেশি খেলবেন, তত জয়ের হার বাড়বে।’ অধিনায়ক মিরাজও বলেছেন প্রায় একই কথা, ‘চাপের মধ্যে কীভাবে খেলতে হয়, এ ধরনের ম্যাচে অনেক কিছু শেখার আছে।’
হার থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুতই আবার মাঠে নেমে পড়তে হচ্ছে মিরাজদের। আজ একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। মিরাজ আশাবাদী, তাঁরা আজ জিততে পারলে সিরিজও জেতা অসম্ভব কিছু নয়, ‘এখনো আমাদের সুযোগ আছে। পরের ম্যাচ (আজ) জিততে পারলে অবশ্যই জেতার সুযোগ আছে।’ ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচের আগে অনেকটা বিশ্রামে কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল। কাল ঐচ্ছিক অনুশীলনে এসেছিলেন শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী, পারভেজ হাসান ইমন, নাসুম আহমেদের মতো প্রথম ওয়ানডেতে একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা।
পাওয়ারপ্লেতেই ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। জ্যামাইকা টেস্টের মতো সেন্ট কিটসেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ নেমেছেন চারে। জ্যামাইকা টেস্টে মিরাজ দলকে ভালো স্কোর এনে দিতে ব্যাটিং করেছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। আর পরশু সেন্ট কিটসে মিরাজ ব্যাটিং করেছেন টেস্ট মেজাজে—এটা নিয়েই যত আলোচনা।
প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের স্কোর গড়েছে, সেখানে দলের সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংসটা এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকেই। এই রান তিনি ১০১ বলে করেছেন, পরিস্থিতির দাবি মেনে। ১৮ রানের লিড নিয়ে খেলতে নেমে জ্যামাইকা টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে চারে নেমে তিনি যে ৩৯ বলে ৪২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেছিলেন, সেটিও পরিস্থিতির দাবি মেনে। টেস্ট জেতার পর মিরাজের আক্রমণাত্মক ইনিংসের প্রশংসা হয়েছিল, পরশু তাঁর ১০১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস নিয়ে হয়েছে সমালোচনা।
মিরাজের পরিকল্পনাটা পরিষ্কার, তিনি চাননি ঝুঁকি নিয়ে নিজের উইকেট হারিয়ে দলকে আরও চাপে ফেলতে। উইকেটে সেট হয়ে অন্য প্রান্তের ব্যাটারকে স্বস্তিতে খেলার সুযোগ করে দিতে চেয়েছেন। এ পরিকল্পনায় তৃতীয় উইকেটে তানজিদ তামিমের সঙ্গে মিরাজ গড়েছেন ৭৯ রানের জুটি, পরে চতুর্থ উইকেটে আফিফের সঙ্গেও গড়েছেন আরেকটি ৫০ পেরোনো জুটি। এ দুই জুটিই পরে মাহমুদউল্লাহ আর জাকের আলীকে মেরে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে, বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে ৩০০ ছুঁইছুঁই স্কোর গড়তে। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে মিরাজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শুরুতে দুজন সেট ব্যাটার আউট হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন ঝুঁকি নিতে পারিনি। ভাবনায় ছিল সেট হয়ে আউট হয়ে গেলে নতুন ব্যাটাররা চাপে পড়ে যাবে। মাহমুদউল্লাহ ভাই যখন সেট হয়ে গেল, তখন চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।’
বোলিংয়ে বাংলাদেশ শুরুতে যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছিল ক্যারিবীয়দের ওপর। ৩০ ওভার শেষেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওভারে আটের ওপর রান করার দরকার ছিল, সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেরফান রাদারফোর্ড। পাঁচে নেমে ৮০ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপের ৮৮ বলে ৮৬ আর জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত ৩১ বলে ৪১ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে। থিতু হয়ে যাওয়া ক্যারিবীয় ব্যাটারদের বিপক্ষে শেষ দিকে বোলিংটা প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
২৯৫ রান করেও ম্যাচ হেরে যাওয়ায় অবশ্য হতাশ নন সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বসে দলের খেলা দেখা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ম্যাচে অনেক মুহূর্ত ছিল। এ ধরনের ম্যাচ দেখতে ভালো লাগে। এ ধরনের ম্যাচ যত বেশি খেলবেন, তত জয়ের হার বাড়বে।’ অধিনায়ক মিরাজও বলেছেন প্রায় একই কথা, ‘চাপের মধ্যে কীভাবে খেলতে হয়, এ ধরনের ম্যাচে অনেক কিছু শেখার আছে।’
হার থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুতই আবার মাঠে নেমে পড়তে হচ্ছে মিরাজদের। আজ একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। মিরাজ আশাবাদী, তাঁরা আজ জিততে পারলে সিরিজও জেতা অসম্ভব কিছু নয়, ‘এখনো আমাদের সুযোগ আছে। পরের ম্যাচ (আজ) জিততে পারলে অবশ্যই জেতার সুযোগ আছে।’ ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচের আগে অনেকটা বিশ্রামে কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল। কাল ঐচ্ছিক অনুশীলনে এসেছিলেন শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী, পারভেজ হাসান ইমন, নাসুম আহমেদের মতো প্রথম ওয়ানডেতে একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা।
আকাশে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে মাটিতে নামিয়ে আনার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল চিটাগং কিংস। ১৬৪ রানেই তারা আটকে দিয়েছিল রংপুর রাইডার্সকে। কিন্তু ঘরের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শকের সমর্থন নিয়েও ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল চিটাগং; ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেটে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। তাতে রংপুর রাইডার্সের জয় ৩
১১ ঘণ্টা আগেবোঝাই যাচ্ছিল, একটা অস্বস্তিতে আছেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। চিকিৎসা বিরতি নিয়ে ইনহেলার সেবন করতেও দেখা গেল। তারপরও তৃতীয় রাউন্ডে সরাসরি সেটে হারিয়ে দিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস ম্যাচাককে।
১৩ ঘণ্টা আগেপয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াই যেমন হওয়ার উচিত, ঠিক তেমনই হলো রংপুরের ইনিংস পর্যন্ত। আলিস আল ইসলাম-বিনুরা ফার্নান্দোদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপক্ষে ৬৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল রংপুর। ধুঁকতে ধুঁকতে ১৪ ওভারে রান তুলতে পেরেছিল কেবল...
১৩ ঘণ্টা আগেআগে বেশ কয়েকবারই মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আয়োজনের কথা শোনা গেলেও আলোর মুখে দেখেনি। তবে এবার মেয়েদের বিপিএল আলোর মুখ দেখার পথে। সবকিছু পরিকল্পনা মতো হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হবে মেয়েদের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
১৪ ঘণ্টা আগে