Ajker Patrika

ক্রিকেট বিশ্বে পঞ্চম ধনী বিসিবি

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ১১: ১৫
ক্রিকেট বিশ্বে পঞ্চম ধনী বিসিবি

সত্তরের দশকে ক্রীড়া সংগঠকেরা গাঁটের পয়সা খরচ করে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা আজকের বিসিবি। তখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের (ঢাকা স্টেডিয়াম) যে ছোট্ট কক্ষে এর কার্যালয় ছিল, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত ছিল না। রাতের বেলা সংগঠকেরা কাজ করতেন মোমবাতি জ্বালিয়ে। বিসিবির আজকের বৈভবের কাছে সে গল্প সত্যিই বেমানান। সেদিনের মোমবাতির আলো ছাপিয়ে বিসিবি এখন অর্থের পাহাড়ে। সে পরিমাণও চমকে ওঠার মতো।

করোনা মহামারিতে লোকসানে পড়েনি–সারা পৃথিবীতে এমন প্রতিষ্ঠান বোধহয় কমই আছে। ব্যতিক্রম যা আছে, তাদের তালিকায় বিসিবি। তাদের আর্থিক অগ্রগতি এ সময়েও বেড়ে চলেছে।

বিসিবির গত ১০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আয়-ব্যয়, নিট উদ্বৃত্ত, নগদ ও ব্যাংক জমা, এফডিআর মিলে বিসিবির স্থায়ী মূলধন বা পুঞ্জিভূত তহবিলে আছে ৮৩২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে যা ছিল ৩৯৭ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

করোনা মহামারিতে যেখানে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী ক্রিকেট বোর্ডগুলো কর্মী ছাঁটাই, বেতন কমানো কিংবা ব্যয় সংকোচনের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে, বিসিবিকে তার কোনো পথেই হাঁটতেই হয়নি। করোনাধাক্কায় কারও চাকরি যায়নি। দেশি-বিদেশি কোচসহ চার শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ছিল নিয়মিত। এর বাইরে কোভিড মহামারিতে বিসিবি প্রধানমন্ত্রী তহবিল, ত্রাণ, আম্পায়ার্স সমিতি, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়দের চিকিৎসা, সাংবাদিক, ক্রিকেট সরঞ্জামাদি ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান দিয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে (ডব্লিউআইসিবি) ঋণও দিয়েছে ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

বিশ্বে বিসিবির অবস্থান
প্রশ্ন উঠতে পারে, মাত্র এক দশকে বিসিবি আর্থিকভাবে কী করে এত শক্তিশালী হলো? তার জবাব দিয়েছেন ক্রীড়া সংগঠকেরা। তাঁরা বলছেন, ক্রিকেট অর্থনীতিতে বিসিবি সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছে গত দশকের শুরুর দিকে। সাবেক বিসিবি সভাপতি (বর্তমানে অর্থমন্ত্রী) আ হ ম মুস্তফা কামালের (সেপ্টেম্বর ২০০৯ থেকে অক্টোবর ২০১২) সময়ে যে গতিটা পেয়েছিল, সেটা অব্যাহত রাখেন টানা নয় বছর বোর্ডের সভাপতির পদে থাকা নাজমুল হাসান পাপন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও টেস্টখেলুড়ে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিসিবি এখন বিশ্বের পঞ্চম ধনী ক্রিকেট বোর্ড। অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠনের তুলনায় দেশে তারা যে এক নম্বর, তা বলাই বাহুল্য। দেশের দ্বিতীয় বড় ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনের (বাফুফে) আয় গত পাঁচ বছরে গড়ে ৪০ কোটি টাকাও ছাড়ায়নি। উদ্বৃত্ত দূরে থাক, গত চার বছরে বাফুফের বাজেট ঘাটতি ছিল ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মতো।

ধনী ক্রিকেট বোর্ডের তালিকায় চার নম্বরে থাকা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে খুব বেশি দূরত্ব নেই বিসিবির। সবার ওপরে থাকা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তহবিলে আছে চার হাজার কোটি টাকার বেশি। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আছে তিন হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি আর তৃতীয় ধনী ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। আর্থিক অবস্থানে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে পেছনে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা তহবিল ব্যবস্থাপনা (ফান্ড ম্যানেজমেন্ট) ঠিকভাবে করার চেষ্টা করছি। যেন আয় ও ব্যয়ে ভারসাম্য থাকে। আইসিসি থেকে শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে টাকা পায়, আমরাও সেটাই পাই। ম্যানেজমেন্ট এখানে বড় বিষয়। এরপরও যে কিছু হয় না, সেটি বলব না।’

বিসিবির আয়ের উৎস
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি ও আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা এসিসি থেকে পাওয়া লভ্যাংশ, ফান্ড, স্পনসরশিপ মানি, টেলিভিশনের সম্প্রচারস্বত্ব, ব্যাংক সুদ ও দেশের মাঠে হওয়া বিভিন্ন সিরিজ-টুর্নামেন্ট থেকেই মূলত আয় করে বিসিবি।

গত এক দশকে বিসিবির আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে পাঁচটি বড় টুর্নামেন্ট। ২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে বিসিবি আইসিসি থেকে পেয়েছে ১৮৬ কোটি ৩৫ লাখ আর ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করে পেয়েছে ১৩০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ২০১২ থেকে ২০১৬—টানা তিনটি এশিয়া কাপ আয়োজন করে বিসিবির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৬৪ কোটির বেশি টাকা। গত এক দশকে এই পাঁচ টুর্নামেন্ট থেকেই বিসিবির আয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা।

নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘরের মাঠে আয়োজিত আইসিসির টুর্নামেন্ট বিসিবির আর্থিক চেহারাটা বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, বিশেষ করে বিপিএল। তবে বড় অংশ এসেছে আইসিসি থেকেই।

গত চার বছরে বিসিবির বিপণন খাতেও আয় বেড়েছে। মিডিয়া, টিম স্পনসর ও অন্যান্য স্পনসর রাইটস ফি থেকে বোর্ডের আয় প্রায় ২.৯ কোটি ডলার বা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।

বিসিবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর)। নিয়মিত বিভিন্ন শিডিউল ব্যাংকে এফডিআর বিনিয়োগ করে গত তিন অর্থবছরে এসেছে ১৫২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। উল্লিখিত অর্থবছরে সুদ থেকে বিসিবির অর্জিত আয়ের ওপর কর রেয়াতি সুবিধা অনুমোদন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই সময়ে বিসিবি ব্যাংকে বিনিয়োগকৃত অর্থের সুদবাবদ প্রাপ্ত আয়ের ওপর কর রেয়াতি বা ট্যাক্স এক্সাম্পশন সুবিধা বাবদ সাশ্রয় করেছে ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। 
 
মহামারিতেও বেড়েছে আয়
করোনা মহামারিতে যেখানে দেশ-বিদেশে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান আর্থিক লোকসানে পড়েছে, বিসিবির সেটির আঁচ খুব একটা লাগেনি। উল্টো চলতি অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় সম্ভাব্য আয় ৪১ কোটি টাকার বেশি আশা করছে বিসিবি।

করোনায় খেলা বন্ধ থাকায় বিসিবিকে গত মৌসুমে আয়োজন করতে হয়নি ছেলে, মেয়ে ও বয়সভিত্তিক নানা পর্যায়ের ১৫টির বেশি লিগ বা টুর্নামেন্ট। স্থগিত হয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সিরিজ। যেগুলোয় লাভের চেয়ে ব্যয়ই হতো বেশি। অন্যদিকে আইসিসির ফান্ড, স্পনসর মানি কিংবা এফডিআর থেকে আয় অব্যাহত থেকেছে। 
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, ‘গত দুই বছরে আইসিসির একটা ফান্ড বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদেরও বেড়েছে। এখন দেখা যাক আইসিসির টুর্নামেন্টগুলো হয় কি না! সামনে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে। আমরা কিন্তু খুবই ভেবেচিন্তে, নিশ্চিত হয়েই বাজেট করি।

কমছে বিসিবির উদ্বৃত্ত
চলতি অর্থবছরে বিসিবির আয়-ব্যয় প্রায় সমান হতে চলেছে। এতে কমতে শুরু করেছে উদ্বৃত্তের পরিমাণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়-ব্যয় শেষে বেঁচেছিল ৫২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। পরের বছরে উদ্বৃত্ত প্রায় সমানই থাকে। গত অর্থবছরে এটি কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। চলতি অর্থবছরে বিসিবির সম্ভাব্য উদ্বৃত্ত ধরা হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। গত ১৫ জুন বিসিবির পরিচালনা পরিষদের দশম সভায় অনুমোদন হওয়া চলতি অর্থবছরে বিসিবির সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা আর ব্যয় ২৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

মহামারিতে ক্রিকেট আয়োজনে জৈব সুরক্ষাবলয় তৈরি করতে হয়, যেটি বেশ ব্যয়বহুল। অন্য সময়ের তুলনায় বিসিবির খরচ বেড়ে যাওয়ার এটিও একটি কারণ। ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে নিজাম উদ্দিনের ব্যাখ্যা, ‘আন্তর্জাতিক সিরিজের সংখ্যা বেড়েছে। খরচও অনেক বেড়ে গেছে। বেশির ভাগ খরচ বিদেশ সফরে হচ্ছে। আমাদের কিন্তু ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলো সেভাবে বাড়েনি। সুরক্ষাবলয়, ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন, যে দল বাংলাদেশে আসছে তাদের ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে গেছে। এতেই ব্যয় বাড়ছে।’

তবে খরচ বেড়ে যতই উদ্বৃত্ত কমুক, এটা অবশ্য বিসিবিকে ধাক্কা দেওয়ার মতো কিছইু নয়।

বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হকের প্রত্যাশা, বিপুল এই অর্থ বিসিবি আরও বেশি কাজে লাগাবে ক্রিকেটের উন্নয়নে, ‘এটা ব্যবহার করা দরকার ক্রিকেট উন্নয়নে। আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে। ক্রিকেটের জন্যই তো হয়েছে এই ফান্ড। আমাদের মূল আয় আইসিসি থেকে। আমরা যদি পূর্ণ সদস্য না হতাম, তাহলে আমাদের হয়তো এত টাকা থাকত না। তখন সরকারি বাজেটের ওপর নির্ভর করতে হতো। ক্রিকেটে আরও উন্নতি করতে হলে ঠিক জায়গায় টাকাটা খরচ করতে হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাকিবের রেকর্ড ভেঙে আইসিসির সেরাদের তালিকায় তাইজুল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।

আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।

আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের

ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘রোনালদোর ক্ষুধা কখনোই শেষ হওয়ার নয়’

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।  ছবি: এএফপি
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।

মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,

‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’

লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বীতশোক-ক্যাসপারদের লাতিন বাংলা সুপার কাপ দেখাবে না টিভিতে, দেখবেন কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৫
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।

ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। এই ম্যাচ দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও তা কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। এএফ বক্সিং প্রমোশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তাঁরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন

লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট খেলা সরাসরি

ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

সকাল ১০টা

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস ১

নারী বিগ ব্যাশ

মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স

বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

ফুটবল খেলা সরাসরি

ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র

রাত ১১টা

সরাসরি

ফিফা+

বাংলাদেশ ফুটবল লিগ

ব্রাদার্স-বসুন্ধরা

বেলা ২টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

টি স্পোর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুলারদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে তর সইছে না মেসির

ক্রীড়া ডেস্ক    
থমাস মুলারের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে আসেন লিওনেল মেসি। ছবি: এএফপি
থমাস মুলারের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে আসেন লিওনেল মেসি। ছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।

১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’

মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।

আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’

ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত