Ajker Patrika

হৃদয়ে বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ানো জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩, ১০: ১০
হৃদয়ে বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ানো জয়

সাকিব আল হাসান যখন ৬৪ রানে আউট হন, টিভি স্ক্রিনে দেখা মিলল হতাশ বাংলাদেশ সমর্থকেরা মাথায় রাখলেন হাত। হতাশ হওয়ার কারণও স্পষ্ট, ১০.১ ওভারে সাকিব, লিটন, রনি ও শান্তর উইকেট পড়ে যাওয়া মানে অনেকেই হয়তো বাংলাদেশের হারই ধরে নিয়েছিলেন।

এর পরই তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরালেন। কিন্তু জয় যখন হাতের নাগালে, শেষ ওভারে প্রয়োজন ৬ রান, তখন বাজে শট খেলে একে একে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন মিরাজ, তাসকিন ও নাসুম। করিম জানাত হ্যাটট্রিক করলেও প্রথম বলে চার মেরে কাজটি সহজ করে দিয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম বলে শরীফুল ইসলাম চার মেরে বাংলাদেশের ২ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন।

তবে আলাদা করে জয়ের কৃতিত্ব হৃদয় ও শামীম হোসেনকেই দিতে হবে। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৭৩ রানের জুটিতে হারের শঙ্কা দূরীভূত হয়। ১ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ। ৩২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। শামীমের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৩ রান। আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।

আফগান বোলারদের বিপক্ষে শুরু থেকেই সংগ্রাম করছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৩৯ রানেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফেরান ফারুকি-মুজিবরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১টি চার মেরে ফেরেন রনি তালুকদার। ফজলহক ফারুকির ব্যাক অব লেংথের ডেলিভারির লাইন বুঝেই উঠতে পারেননি রনি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয় বল।

দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত দেখে-শুনেই ব্যাটের ব্যবহার করছিলেন। কিন্তু মুজিব উর রহমানের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে শরীর ছুঁয়ে স্টাম্পে লাগে বল। তাতে লিটন ও শান্তর জুটি ২৫ রানেই ভেঙে দেন স্পিনার মুজিব। ১২ বলে ১৪ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৩৭ রান। এর পরই ১৯ বলে ১৮ রান করে ফেরেন লিটন। হজরতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা শর্ট বল মারতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। বল হাতে জমা করতে ভুল করেননি রশিদ খান।

চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় যোগ করেন ২৫ রান। পেসার ফরিদ আহমেদের করা ১১তম ওভারে ডিপ কাভারে করিম জানাতকে ক্যাচ দিয়ে ১৭ বলে ১৯ রানে আউট হন সাকিব। এর পরই হৃদয় ও শামীমের ম্যাচ জেতানো জুটি।

এর আগে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫ ওভার পর্যন্ত আফগানিস্তানকে বেশ চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষের ৫ ওভারে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। মোহাম্মদ নবী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান।

 ১৩.৫ ওভারে যখন আফগানিস্তান ৫ উইকেট হারায়, তখন তাদের রান ছিল ৮৭। ষষ্ঠ উইকেটে নবী ও ওমরজাই ৩১ বলে ৫৬ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন, যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। ১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৩ রান করেন ওমরজাই। ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন নবী। টি-টোয়েন্টিতে নিজের পঞ্চম ফিফটিতে মেরেছেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।

এর আগে ৩২ রানেই আফগানিস্তানের তিন টপ অর্ডারের উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু তিন আফগান ব্যাটার যেভাবে ফিরলেন, তা ছিল একরকম বিস্ময়ের মতো। তিনজন বাউন্ডারি মেরেই ড্রেসিংরুমে ফিরলেন।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ১০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাঁহাতি ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই কাউ কর্নার দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মারেন। তবে পরের ডেলিভারিতেই স্কয়ার লেগে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে ৮ রানে ফেরেন জাজাই।

দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তাসকিন আহমদেকে একটি ছক্কা মেরেছিলেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলেও তাসকিনকে একটি চার মারেন গুরবাজ। চতুর্থ বল ডট গেলেও পঞ্চম বলে আবারও বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন এই আফগান ওপেনার। ১১ বলে ১৬ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকে।

তিনে ব্যাটিং করা ইব্রাহিম জাদরানও পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে শরীফুল ইসলামকে উইকেটকিপারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন। পরের বলেই দারুণ এক আউট সুইংয়ে শরীফুল ফেরান ইব্রাহিমকে। ৮ রান করে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন তিনি।

৫২ রানে করিম জানাতকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ৩ রান করেন জানাত। এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরান ২৩ বলে ২৩ রান করে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে। ৩ রানে ফেরেন রশিদ খান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব ২টি, তাসকিন, মিরাজ, নাসুম, মোস্তাফিজ ও শরীফুল ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত