
আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই জাতীয় দলের বেশিরভাগ সতীর্থ গেছেন ছুটিতে। তানজিদ হাসান তামিম সেখানে ব্যতিক্রম। ছুটিতে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। অথচ টি-টোয়েন্টি এ বছর এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন তানজিদ। কাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুধু বছরটা ফিরে দেখেননি, তরুণ বাঁহাতি ওপেনার চোখ রেখেছেন আসন্ন বিপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: এ বছরের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আপনি। তারপরও এই ছুটিতে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন?
তানজিদ তামিম: দেখুন স্কিলের ব্যাপারে তো আমাদের নিয়মিত উন্নতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কারণ, ম্যাচের মধ্যে একেকরকম পরিস্থিতি আসে। সব রকম পরিস্থিতিই সামলাতে হয়। তো আমার কাছে মনে হয় এখানে যেরকম ক্যাম্পটা হচ্ছে এখন, এখানে আমরা লো-রিস্কের গ্যাপটা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি এবং সিঙ্গেলস-ডাবলসের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেটা অনেক সময় হয়তোবা থাকে, আবার অনেক সময় হাইরিস্ক নিয়ে খেলি আমরা। সেখানে আমরা লো-রিস্ক নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারি, এটা নিয়েই মূলত কাজ হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটা ভালো কাজে দেবে।
প্রশ্ন: মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, মোহাম্মদ আশরাফুল দুজন ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ আছেন। কার কাছ থেকে কী শিখছেন?
তানজিদ: সালাহ উদ্দীন স্যারের সঙ্গে অনেক দিন ধরে কাজ করা হচ্ছে। সেটা সবাই খুব ভালোভাবেই জানেন যে সালাহ উদ্দীন স্যার কেমন কাজ করেন টেকনিক্যাল বিষয়ের দিক থেকে। আশরাফুল ভাইয়ের কাছ থেকে যে জিনিসটা ভালো হচ্ছে আর কী, তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের সবকিছু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন। তিনি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে কী রকম ব্যাটিং করতেন অথবা বড় দলগুলোর সঙ্গে বড় রান করেছেন, তাঁর মানসিকতা কেমন ছিল কিংবা কী প্রক্রিয়ায় খেলেছেন। তো আমি সব সময় তাঁর কাছে এসব প্রশ্নই করি এবং সব সময় জানার চেষ্টা করি যে এসব বড় দলের সঙ্গে কীভাবে রান করা যায়। তো আমার কাছে মনে হয় এটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকে। সেখানে আপনি এক বছরে ৪১ ছক্কা মেরেছেন। শুধু বেসিক ক্রিকেটেই ছক্কা নাকি পাওয়ার হিটিং নিয়ে বিশেষ কাজ করেছেন?
তানজিদ: কখনো এরকম চিন্তা করি না যে ছক্কা মারব বা ছক্কার অনুশীলন করব। কিংবা ছক্কা মারতে অতিরিক্ত অনুশীলন করতে হবে। কখনো এভাবে চিন্তা করি না। আমি শুধুই স্বাভাবিক অনুশীলন করি কিংবা সাধারণ যে ব্যাটিং অনুশীলন হয় স্কিল নিয়ে, সেই বেসিকটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করি এবং মাঠে যখন আমার জোনে যে বল পাই, আমার শক্তির জায়গা যেটা থাকে, যেটা অনুশীলন করি, সেটা যেন মাঠে প্রয়োগ করতে পারি। একই প্রক্রিয়াই ধরে রাখার চেষ্টা করি। কখনো চিন্তা করি না আমার ছক্কা মারতে হবে কিংবা ছয়ের অনুশীলন আলাদাভাবে করব। আমি সাধারণত শক্তি দিয়ে খুব কম মারতে পারি। শুধু টাইমিংয়ের ওপরে খেলি। কখনো চিন্তা করি না যে বল জোরে মারব কিংবা অনেক শক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করি না।
প্রশ্ন: আপনার একটা ক্যাচের রেকর্ড হয়ে গেল। স্নায়ুচাপে ক্যাচ ড্রপ হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। কিন্তু ক্যাচ ধরার হার এত ভালো হওয়ার কারণ কী?
তানজিদ: এমন কিছু না। আসলে ক্যাচ মিস যেটা হয়, সেটা খেলারই একটা অংশ। এটা হতেই পারে। সেখান থেকে আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, সেই দিকেই ফোকাস থাকতে হয় সব সময়। আমাদের শেষ কয়েকটা সিরিজ দেখবেন। আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক ভালো করছি। আমাদের যিনি ফিল্ডিং কোচ আছেন, তিনি সবার সঙ্গে আলাদাভাবে অনেক কাজ করেন এবং টিম বন্ডিং... আসলে টিম বন্ডিং না হলে ফিল্ডিংয়ে অনেক সমস্যা হয়। ছোট ব্যাপারগুলো আমাদের অনেক উপকার করছে। আর ৫ ক্যাচের যেটা বললেন, আমার কাছে সত্যিই অনেক মজার লেগেছে। কারণ, এক ম্যাচে পাঁচটা ক্যাচ আমি ধরব, কখনো কল্পনা করিনি। এদিক থেকে আমি বলব যে ভাগ্যবান। আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব প্রতিদিন যেন ফিল্ডিংয়ে আরও একটু উন্নতি করা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। এবার কী গল্প লেখার স্বপ্ন নিয়ে যেতে চান?
তানজিদ: এভাবে চিন্তা করি না। সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই একই প্রক্রিয়ায় এগোতে চাই। অবশ্যই লক্ষ্য তো ভালো কিছু করারই থাকবে। বিশ্বকাপে যাতে ভালো একটা জায়গায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় দেখতে চান সবাই। প্রথমে আমরা গ্রুপ পর্ব থেকে কীভাবে সুপার এইটে যেতে পারি, ধাপে ধাপে যদি এগোতে পারি, তাহলে আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো। আর ভারতের কথা যেটা বললেন, ২০২৩ সালে অনেক ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছি। যে শুরুগুলো বড় করতে পারিনি। আর আইসিসি ইভেন্টে আমি সত্যি কথা বলতে অতটা সফল না। আইসিসি ইভেন্ট বলেন, এশিয়া কাপ বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। যেটা এখনো আমার ভাবতে খারাপ লাগে। তো চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে এমন ভালো শুরু পেলে কীভাবে বড় করা যায় কিংবা ইনিংসটা আমি লম্বা করতে পারি। যেটা আমার জন্যও উপকারী হবে এবং দলকেও অনেক সহায়তা করবে। চেষ্টা থাকবে যেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারি এবং আইসিসি ইভেন্টে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশ দলে অবদান রাখতে পারি, এই চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: একটা পডকাস্টে সাকিব আল বলেছেন, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে জুনিয়ররা কম কথা বলেন। এখানে কি এখন কোনো পরিবর্তন আসছে?
তানজিদ: আসলে ভাই (সাকিব) একদম ঠিক বলেছেন। এখন আমাদের প্রধান কোচ, সালাহ উদ্দীন স্যার ও টিম ম্যানেজমেন্টে যাঁরা কোচ আছেন, চেষ্টা করছেন সংস্কৃতিটা যেন বদলাতে পারি। যখন দলীয় বৈঠক হয়, সব কোচেরা আলোচনা করেন, যাতে সবাই (ক্রিকেটাররা) কিছু না কিছু মতামত দেয়। যেকোনো ম্যাচের আগে কিংবা দলীয় বৈঠকে এখানে আসলে সবাইকে কথা বলতে হয়। ব্যাটার, বোলার বলেন সবাইকেই কিছু না কিছু। যেকোনো কিছুই হোক, এক দুই লাইন হলেও টিম মিটিংয়ে আপনাকে বলতে হবে। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে সবার ভেতর থেকে একটা দুইটা বিষয় যে আসে, অনেক সময় দলের কাজে লাগে। অথবা আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। অনেক ছোট কথা হলেও সেখানে অনেক বড় কিছু থাকতে পারে। তো আমার কাছে মনে হয়, এটা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। সবাই আসলে কথা বলার অভ্যাসটা গড়ে তুলছে। আমার কাছে মনে হয় সংস্কৃতিটা পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রশ্ন: নিকট ভবিষ্যতে টেস্ট খেলার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
তানজিদ: যদি এখনো সাদা বলে খেলা বেশি, সাদা বলেই মূলত মনোযোগ থাকছে। আমি যখনই সুযোগ পাই, জাতীয় লিগ খেলি। লাল বলের ক্রিকেট খেলতে আমার ভালো লাগে। যদি কখনো সুযোগ আসে, অবশ্যই লাল বলের ক্রিকেটও খেলতে চাই। তার জন্য আমাকে বেশি পরিশ্রম এবং আরও বেশি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে যাব। যদি আল্লাহ চান এবং আমি লাল বলে রান করতে থাকি, তাহলে ইনশা আল্লাহ অবশ্যই খেলব টেস্ট।
প্রশ্ন: বিপিএলে সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে নিলামে উঠলে কি বেশি দাম পেতেন বলে মনে হয়?
তানজিদ: যেটা পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। নাবিল গ্রুপকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ, তারা আমাকে সরাসরি সাইনিংয়ে রেখেছে (রাজশাহী)। অনেক ভালো একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে। যেখানে শান্ত ভাই, মুশি ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার আছেন। অনেক অভিজ্ঞতাপূর্ণ এবং কিংবদন্তি আমাদের দেশের জন্য। তাদের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও অভিজ্ঞতা আছে। তো আশা করি ভালো কিছুই হবে। নিজ বিভাগের হয়ে এবার খেলছি। কখনো খেলা হয়নি রাজশাহীর হয়ে। তো এটা একটা গর্বের বিষয়। তো দেখা যাক ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: এ বছরের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আপনি। তারপরও এই ছুটিতে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন?
তানজিদ তামিম: দেখুন স্কিলের ব্যাপারে তো আমাদের নিয়মিত উন্নতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কারণ, ম্যাচের মধ্যে একেকরকম পরিস্থিতি আসে। সব রকম পরিস্থিতিই সামলাতে হয়। তো আমার কাছে মনে হয় এখানে যেরকম ক্যাম্পটা হচ্ছে এখন, এখানে আমরা লো-রিস্কের গ্যাপটা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি এবং সিঙ্গেলস-ডাবলসের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেটা অনেক সময় হয়তোবা থাকে, আবার অনেক সময় হাইরিস্ক নিয়ে খেলি আমরা। সেখানে আমরা লো-রিস্ক নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারি, এটা নিয়েই মূলত কাজ হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটা ভালো কাজে দেবে।
প্রশ্ন: মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, মোহাম্মদ আশরাফুল দুজন ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ আছেন। কার কাছ থেকে কী শিখছেন?
তানজিদ: সালাহ উদ্দীন স্যারের সঙ্গে অনেক দিন ধরে কাজ করা হচ্ছে। সেটা সবাই খুব ভালোভাবেই জানেন যে সালাহ উদ্দীন স্যার কেমন কাজ করেন টেকনিক্যাল বিষয়ের দিক থেকে। আশরাফুল ভাইয়ের কাছ থেকে যে জিনিসটা ভালো হচ্ছে আর কী, তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের সবকিছু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন। তিনি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে কী রকম ব্যাটিং করতেন অথবা বড় দলগুলোর সঙ্গে বড় রান করেছেন, তাঁর মানসিকতা কেমন ছিল কিংবা কী প্রক্রিয়ায় খেলেছেন। তো আমি সব সময় তাঁর কাছে এসব প্রশ্নই করি এবং সব সময় জানার চেষ্টা করি যে এসব বড় দলের সঙ্গে কীভাবে রান করা যায়। তো আমার কাছে মনে হয় এটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকে। সেখানে আপনি এক বছরে ৪১ ছক্কা মেরেছেন। শুধু বেসিক ক্রিকেটেই ছক্কা নাকি পাওয়ার হিটিং নিয়ে বিশেষ কাজ করেছেন?
তানজিদ: কখনো এরকম চিন্তা করি না যে ছক্কা মারব বা ছক্কার অনুশীলন করব। কিংবা ছক্কা মারতে অতিরিক্ত অনুশীলন করতে হবে। কখনো এভাবে চিন্তা করি না। আমি শুধুই স্বাভাবিক অনুশীলন করি কিংবা সাধারণ যে ব্যাটিং অনুশীলন হয় স্কিল নিয়ে, সেই বেসিকটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করি এবং মাঠে যখন আমার জোনে যে বল পাই, আমার শক্তির জায়গা যেটা থাকে, যেটা অনুশীলন করি, সেটা যেন মাঠে প্রয়োগ করতে পারি। একই প্রক্রিয়াই ধরে রাখার চেষ্টা করি। কখনো চিন্তা করি না আমার ছক্কা মারতে হবে কিংবা ছয়ের অনুশীলন আলাদাভাবে করব। আমি সাধারণত শক্তি দিয়ে খুব কম মারতে পারি। শুধু টাইমিংয়ের ওপরে খেলি। কখনো চিন্তা করি না যে বল জোরে মারব কিংবা অনেক শক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করি না।
প্রশ্ন: আপনার একটা ক্যাচের রেকর্ড হয়ে গেল। স্নায়ুচাপে ক্যাচ ড্রপ হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। কিন্তু ক্যাচ ধরার হার এত ভালো হওয়ার কারণ কী?
তানজিদ: এমন কিছু না। আসলে ক্যাচ মিস যেটা হয়, সেটা খেলারই একটা অংশ। এটা হতেই পারে। সেখান থেকে আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, সেই দিকেই ফোকাস থাকতে হয় সব সময়। আমাদের শেষ কয়েকটা সিরিজ দেখবেন। আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক ভালো করছি। আমাদের যিনি ফিল্ডিং কোচ আছেন, তিনি সবার সঙ্গে আলাদাভাবে অনেক কাজ করেন এবং টিম বন্ডিং... আসলে টিম বন্ডিং না হলে ফিল্ডিংয়ে অনেক সমস্যা হয়। ছোট ব্যাপারগুলো আমাদের অনেক উপকার করছে। আর ৫ ক্যাচের যেটা বললেন, আমার কাছে সত্যিই অনেক মজার লেগেছে। কারণ, এক ম্যাচে পাঁচটা ক্যাচ আমি ধরব, কখনো কল্পনা করিনি। এদিক থেকে আমি বলব যে ভাগ্যবান। আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব প্রতিদিন যেন ফিল্ডিংয়ে আরও একটু উন্নতি করা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। এবার কী গল্প লেখার স্বপ্ন নিয়ে যেতে চান?
তানজিদ: এভাবে চিন্তা করি না। সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই একই প্রক্রিয়ায় এগোতে চাই। অবশ্যই লক্ষ্য তো ভালো কিছু করারই থাকবে। বিশ্বকাপে যাতে ভালো একটা জায়গায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় দেখতে চান সবাই। প্রথমে আমরা গ্রুপ পর্ব থেকে কীভাবে সুপার এইটে যেতে পারি, ধাপে ধাপে যদি এগোতে পারি, তাহলে আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো। আর ভারতের কথা যেটা বললেন, ২০২৩ সালে অনেক ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছি। যে শুরুগুলো বড় করতে পারিনি। আর আইসিসি ইভেন্টে আমি সত্যি কথা বলতে অতটা সফল না। আইসিসি ইভেন্ট বলেন, এশিয়া কাপ বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। যেটা এখনো আমার ভাবতে খারাপ লাগে। তো চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে এমন ভালো শুরু পেলে কীভাবে বড় করা যায় কিংবা ইনিংসটা আমি লম্বা করতে পারি। যেটা আমার জন্যও উপকারী হবে এবং দলকেও অনেক সহায়তা করবে। চেষ্টা থাকবে যেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারি এবং আইসিসি ইভেন্টে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশ দলে অবদান রাখতে পারি, এই চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: একটা পডকাস্টে সাকিব আল বলেছেন, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে জুনিয়ররা কম কথা বলেন। এখানে কি এখন কোনো পরিবর্তন আসছে?
তানজিদ: আসলে ভাই (সাকিব) একদম ঠিক বলেছেন। এখন আমাদের প্রধান কোচ, সালাহ উদ্দীন স্যার ও টিম ম্যানেজমেন্টে যাঁরা কোচ আছেন, চেষ্টা করছেন সংস্কৃতিটা যেন বদলাতে পারি। যখন দলীয় বৈঠক হয়, সব কোচেরা আলোচনা করেন, যাতে সবাই (ক্রিকেটাররা) কিছু না কিছু মতামত দেয়। যেকোনো ম্যাচের আগে কিংবা দলীয় বৈঠকে এখানে আসলে সবাইকে কথা বলতে হয়। ব্যাটার, বোলার বলেন সবাইকেই কিছু না কিছু। যেকোনো কিছুই হোক, এক দুই লাইন হলেও টিম মিটিংয়ে আপনাকে বলতে হবে। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে সবার ভেতর থেকে একটা দুইটা বিষয় যে আসে, অনেক সময় দলের কাজে লাগে। অথবা আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। অনেক ছোট কথা হলেও সেখানে অনেক বড় কিছু থাকতে পারে। তো আমার কাছে মনে হয়, এটা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। সবাই আসলে কথা বলার অভ্যাসটা গড়ে তুলছে। আমার কাছে মনে হয় সংস্কৃতিটা পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রশ্ন: নিকট ভবিষ্যতে টেস্ট খেলার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
তানজিদ: যদি এখনো সাদা বলে খেলা বেশি, সাদা বলেই মূলত মনোযোগ থাকছে। আমি যখনই সুযোগ পাই, জাতীয় লিগ খেলি। লাল বলের ক্রিকেট খেলতে আমার ভালো লাগে। যদি কখনো সুযোগ আসে, অবশ্যই লাল বলের ক্রিকেটও খেলতে চাই। তার জন্য আমাকে বেশি পরিশ্রম এবং আরও বেশি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে যাব। যদি আল্লাহ চান এবং আমি লাল বলে রান করতে থাকি, তাহলে ইনশা আল্লাহ অবশ্যই খেলব টেস্ট।
প্রশ্ন: বিপিএলে সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে নিলামে উঠলে কি বেশি দাম পেতেন বলে মনে হয়?
তানজিদ: যেটা পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। নাবিল গ্রুপকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ, তারা আমাকে সরাসরি সাইনিংয়ে রেখেছে (রাজশাহী)। অনেক ভালো একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে। যেখানে শান্ত ভাই, মুশি ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার আছেন। অনেক অভিজ্ঞতাপূর্ণ এবং কিংবদন্তি আমাদের দেশের জন্য। তাদের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও অভিজ্ঞতা আছে। তো আশা করি ভালো কিছুই হবে। নিজ বিভাগের হয়ে এবার খেলছি। কখনো খেলা হয়নি রাজশাহীর হয়ে। তো এটা একটা গর্বের বিষয়। তো দেখা যাক ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই জাতীয় দলের বেশিরভাগ সতীর্থ গেছেন ছুটিতে। তানজিদ হাসান তামিম সেখানে ব্যতিক্রম। ছুটিতে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। অথচ টি-টোয়েন্টি এ বছর এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন তানজিদ। কাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুধু বছরটা ফিরে দেখেননি, তরুণ বাঁহাতি ওপেনার চোখ রেখেছেন আসন্ন বিপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: এ বছরের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আপনি। তারপরও এই ছুটিতে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন?
তানজিদ তামিম: দেখুন স্কিলের ব্যাপারে তো আমাদের নিয়মিত উন্নতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কারণ, ম্যাচের মধ্যে একেকরকম পরিস্থিতি আসে। সব রকম পরিস্থিতিই সামলাতে হয়। তো আমার কাছে মনে হয় এখানে যেরকম ক্যাম্পটা হচ্ছে এখন, এখানে আমরা লো-রিস্কের গ্যাপটা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি এবং সিঙ্গেলস-ডাবলসের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেটা অনেক সময় হয়তোবা থাকে, আবার অনেক সময় হাইরিস্ক নিয়ে খেলি আমরা। সেখানে আমরা লো-রিস্ক নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারি, এটা নিয়েই মূলত কাজ হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটা ভালো কাজে দেবে।
প্রশ্ন: মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, মোহাম্মদ আশরাফুল দুজন ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ আছেন। কার কাছ থেকে কী শিখছেন?
তানজিদ: সালাহ উদ্দীন স্যারের সঙ্গে অনেক দিন ধরে কাজ করা হচ্ছে। সেটা সবাই খুব ভালোভাবেই জানেন যে সালাহ উদ্দীন স্যার কেমন কাজ করেন টেকনিক্যাল বিষয়ের দিক থেকে। আশরাফুল ভাইয়ের কাছ থেকে যে জিনিসটা ভালো হচ্ছে আর কী, তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের সবকিছু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন। তিনি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে কী রকম ব্যাটিং করতেন অথবা বড় দলগুলোর সঙ্গে বড় রান করেছেন, তাঁর মানসিকতা কেমন ছিল কিংবা কী প্রক্রিয়ায় খেলেছেন। তো আমি সব সময় তাঁর কাছে এসব প্রশ্নই করি এবং সব সময় জানার চেষ্টা করি যে এসব বড় দলের সঙ্গে কীভাবে রান করা যায়। তো আমার কাছে মনে হয় এটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকে। সেখানে আপনি এক বছরে ৪১ ছক্কা মেরেছেন। শুধু বেসিক ক্রিকেটেই ছক্কা নাকি পাওয়ার হিটিং নিয়ে বিশেষ কাজ করেছেন?
তানজিদ: কখনো এরকম চিন্তা করি না যে ছক্কা মারব বা ছক্কার অনুশীলন করব। কিংবা ছক্কা মারতে অতিরিক্ত অনুশীলন করতে হবে। কখনো এভাবে চিন্তা করি না। আমি শুধুই স্বাভাবিক অনুশীলন করি কিংবা সাধারণ যে ব্যাটিং অনুশীলন হয় স্কিল নিয়ে, সেই বেসিকটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করি এবং মাঠে যখন আমার জোনে যে বল পাই, আমার শক্তির জায়গা যেটা থাকে, যেটা অনুশীলন করি, সেটা যেন মাঠে প্রয়োগ করতে পারি। একই প্রক্রিয়াই ধরে রাখার চেষ্টা করি। কখনো চিন্তা করি না আমার ছক্কা মারতে হবে কিংবা ছয়ের অনুশীলন আলাদাভাবে করব। আমি সাধারণত শক্তি দিয়ে খুব কম মারতে পারি। শুধু টাইমিংয়ের ওপরে খেলি। কখনো চিন্তা করি না যে বল জোরে মারব কিংবা অনেক শক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করি না।
প্রশ্ন: আপনার একটা ক্যাচের রেকর্ড হয়ে গেল। স্নায়ুচাপে ক্যাচ ড্রপ হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। কিন্তু ক্যাচ ধরার হার এত ভালো হওয়ার কারণ কী?
তানজিদ: এমন কিছু না। আসলে ক্যাচ মিস যেটা হয়, সেটা খেলারই একটা অংশ। এটা হতেই পারে। সেখান থেকে আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, সেই দিকেই ফোকাস থাকতে হয় সব সময়। আমাদের শেষ কয়েকটা সিরিজ দেখবেন। আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক ভালো করছি। আমাদের যিনি ফিল্ডিং কোচ আছেন, তিনি সবার সঙ্গে আলাদাভাবে অনেক কাজ করেন এবং টিম বন্ডিং... আসলে টিম বন্ডিং না হলে ফিল্ডিংয়ে অনেক সমস্যা হয়। ছোট ব্যাপারগুলো আমাদের অনেক উপকার করছে। আর ৫ ক্যাচের যেটা বললেন, আমার কাছে সত্যিই অনেক মজার লেগেছে। কারণ, এক ম্যাচে পাঁচটা ক্যাচ আমি ধরব, কখনো কল্পনা করিনি। এদিক থেকে আমি বলব যে ভাগ্যবান। আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব প্রতিদিন যেন ফিল্ডিংয়ে আরও একটু উন্নতি করা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। এবার কী গল্প লেখার স্বপ্ন নিয়ে যেতে চান?
তানজিদ: এভাবে চিন্তা করি না। সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই একই প্রক্রিয়ায় এগোতে চাই। অবশ্যই লক্ষ্য তো ভালো কিছু করারই থাকবে। বিশ্বকাপে যাতে ভালো একটা জায়গায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় দেখতে চান সবাই। প্রথমে আমরা গ্রুপ পর্ব থেকে কীভাবে সুপার এইটে যেতে পারি, ধাপে ধাপে যদি এগোতে পারি, তাহলে আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো। আর ভারতের কথা যেটা বললেন, ২০২৩ সালে অনেক ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছি। যে শুরুগুলো বড় করতে পারিনি। আর আইসিসি ইভেন্টে আমি সত্যি কথা বলতে অতটা সফল না। আইসিসি ইভেন্ট বলেন, এশিয়া কাপ বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। যেটা এখনো আমার ভাবতে খারাপ লাগে। তো চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে এমন ভালো শুরু পেলে কীভাবে বড় করা যায় কিংবা ইনিংসটা আমি লম্বা করতে পারি। যেটা আমার জন্যও উপকারী হবে এবং দলকেও অনেক সহায়তা করবে। চেষ্টা থাকবে যেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারি এবং আইসিসি ইভেন্টে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশ দলে অবদান রাখতে পারি, এই চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: একটা পডকাস্টে সাকিব আল বলেছেন, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে জুনিয়ররা কম কথা বলেন। এখানে কি এখন কোনো পরিবর্তন আসছে?
তানজিদ: আসলে ভাই (সাকিব) একদম ঠিক বলেছেন। এখন আমাদের প্রধান কোচ, সালাহ উদ্দীন স্যার ও টিম ম্যানেজমেন্টে যাঁরা কোচ আছেন, চেষ্টা করছেন সংস্কৃতিটা যেন বদলাতে পারি। যখন দলীয় বৈঠক হয়, সব কোচেরা আলোচনা করেন, যাতে সবাই (ক্রিকেটাররা) কিছু না কিছু মতামত দেয়। যেকোনো ম্যাচের আগে কিংবা দলীয় বৈঠকে এখানে আসলে সবাইকে কথা বলতে হয়। ব্যাটার, বোলার বলেন সবাইকেই কিছু না কিছু। যেকোনো কিছুই হোক, এক দুই লাইন হলেও টিম মিটিংয়ে আপনাকে বলতে হবে। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে সবার ভেতর থেকে একটা দুইটা বিষয় যে আসে, অনেক সময় দলের কাজে লাগে। অথবা আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। অনেক ছোট কথা হলেও সেখানে অনেক বড় কিছু থাকতে পারে। তো আমার কাছে মনে হয়, এটা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। সবাই আসলে কথা বলার অভ্যাসটা গড়ে তুলছে। আমার কাছে মনে হয় সংস্কৃতিটা পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রশ্ন: নিকট ভবিষ্যতে টেস্ট খেলার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
তানজিদ: যদি এখনো সাদা বলে খেলা বেশি, সাদা বলেই মূলত মনোযোগ থাকছে। আমি যখনই সুযোগ পাই, জাতীয় লিগ খেলি। লাল বলের ক্রিকেট খেলতে আমার ভালো লাগে। যদি কখনো সুযোগ আসে, অবশ্যই লাল বলের ক্রিকেটও খেলতে চাই। তার জন্য আমাকে বেশি পরিশ্রম এবং আরও বেশি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে যাব। যদি আল্লাহ চান এবং আমি লাল বলে রান করতে থাকি, তাহলে ইনশা আল্লাহ অবশ্যই খেলব টেস্ট।
প্রশ্ন: বিপিএলে সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে নিলামে উঠলে কি বেশি দাম পেতেন বলে মনে হয়?
তানজিদ: যেটা পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। নাবিল গ্রুপকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ, তারা আমাকে সরাসরি সাইনিংয়ে রেখেছে (রাজশাহী)। অনেক ভালো একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে। যেখানে শান্ত ভাই, মুশি ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার আছেন। অনেক অভিজ্ঞতাপূর্ণ এবং কিংবদন্তি আমাদের দেশের জন্য। তাদের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও অভিজ্ঞতা আছে। তো আশা করি ভালো কিছুই হবে। নিজ বিভাগের হয়ে এবার খেলছি। কখনো খেলা হয়নি রাজশাহীর হয়ে। তো এটা একটা গর্বের বিষয়। তো দেখা যাক ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: এ বছরের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আপনি। তারপরও এই ছুটিতে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন?
তানজিদ তামিম: দেখুন স্কিলের ব্যাপারে তো আমাদের নিয়মিত উন্নতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কারণ, ম্যাচের মধ্যে একেকরকম পরিস্থিতি আসে। সব রকম পরিস্থিতিই সামলাতে হয়। তো আমার কাছে মনে হয় এখানে যেরকম ক্যাম্পটা হচ্ছে এখন, এখানে আমরা লো-রিস্কের গ্যাপটা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি এবং সিঙ্গেলস-ডাবলসের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেটা অনেক সময় হয়তোবা থাকে, আবার অনেক সময় হাইরিস্ক নিয়ে খেলি আমরা। সেখানে আমরা লো-রিস্ক নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারি, এটা নিয়েই মূলত কাজ হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটা ভালো কাজে দেবে।
প্রশ্ন: মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, মোহাম্মদ আশরাফুল দুজন ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ আছেন। কার কাছ থেকে কী শিখছেন?
তানজিদ: সালাহ উদ্দীন স্যারের সঙ্গে অনেক দিন ধরে কাজ করা হচ্ছে। সেটা সবাই খুব ভালোভাবেই জানেন যে সালাহ উদ্দীন স্যার কেমন কাজ করেন টেকনিক্যাল বিষয়ের দিক থেকে। আশরাফুল ভাইয়ের কাছ থেকে যে জিনিসটা ভালো হচ্ছে আর কী, তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের সবকিছু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন। তিনি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে কী রকম ব্যাটিং করতেন অথবা বড় দলগুলোর সঙ্গে বড় রান করেছেন, তাঁর মানসিকতা কেমন ছিল কিংবা কী প্রক্রিয়ায় খেলেছেন। তো আমি সব সময় তাঁর কাছে এসব প্রশ্নই করি এবং সব সময় জানার চেষ্টা করি যে এসব বড় দলের সঙ্গে কীভাবে রান করা যায়। তো আমার কাছে মনে হয় এটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকে। সেখানে আপনি এক বছরে ৪১ ছক্কা মেরেছেন। শুধু বেসিক ক্রিকেটেই ছক্কা নাকি পাওয়ার হিটিং নিয়ে বিশেষ কাজ করেছেন?
তানজিদ: কখনো এরকম চিন্তা করি না যে ছক্কা মারব বা ছক্কার অনুশীলন করব। কিংবা ছক্কা মারতে অতিরিক্ত অনুশীলন করতে হবে। কখনো এভাবে চিন্তা করি না। আমি শুধুই স্বাভাবিক অনুশীলন করি কিংবা সাধারণ যে ব্যাটিং অনুশীলন হয় স্কিল নিয়ে, সেই বেসিকটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করি এবং মাঠে যখন আমার জোনে যে বল পাই, আমার শক্তির জায়গা যেটা থাকে, যেটা অনুশীলন করি, সেটা যেন মাঠে প্রয়োগ করতে পারি। একই প্রক্রিয়াই ধরে রাখার চেষ্টা করি। কখনো চিন্তা করি না আমার ছক্কা মারতে হবে কিংবা ছয়ের অনুশীলন আলাদাভাবে করব। আমি সাধারণত শক্তি দিয়ে খুব কম মারতে পারি। শুধু টাইমিংয়ের ওপরে খেলি। কখনো চিন্তা করি না যে বল জোরে মারব কিংবা অনেক শক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করি না।
প্রশ্ন: আপনার একটা ক্যাচের রেকর্ড হয়ে গেল। স্নায়ুচাপে ক্যাচ ড্রপ হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। কিন্তু ক্যাচ ধরার হার এত ভালো হওয়ার কারণ কী?
তানজিদ: এমন কিছু না। আসলে ক্যাচ মিস যেটা হয়, সেটা খেলারই একটা অংশ। এটা হতেই পারে। সেখান থেকে আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, সেই দিকেই ফোকাস থাকতে হয় সব সময়। আমাদের শেষ কয়েকটা সিরিজ দেখবেন। আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক ভালো করছি। আমাদের যিনি ফিল্ডিং কোচ আছেন, তিনি সবার সঙ্গে আলাদাভাবে অনেক কাজ করেন এবং টিম বন্ডিং... আসলে টিম বন্ডিং না হলে ফিল্ডিংয়ে অনেক সমস্যা হয়। ছোট ব্যাপারগুলো আমাদের অনেক উপকার করছে। আর ৫ ক্যাচের যেটা বললেন, আমার কাছে সত্যিই অনেক মজার লেগেছে। কারণ, এক ম্যাচে পাঁচটা ক্যাচ আমি ধরব, কখনো কল্পনা করিনি। এদিক থেকে আমি বলব যে ভাগ্যবান। আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব প্রতিদিন যেন ফিল্ডিংয়ে আরও একটু উন্নতি করা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। এবার কী গল্প লেখার স্বপ্ন নিয়ে যেতে চান?
তানজিদ: এভাবে চিন্তা করি না। সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই একই প্রক্রিয়ায় এগোতে চাই। অবশ্যই লক্ষ্য তো ভালো কিছু করারই থাকবে। বিশ্বকাপে যাতে ভালো একটা জায়গায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় দেখতে চান সবাই। প্রথমে আমরা গ্রুপ পর্ব থেকে কীভাবে সুপার এইটে যেতে পারি, ধাপে ধাপে যদি এগোতে পারি, তাহলে আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো। আর ভারতের কথা যেটা বললেন, ২০২৩ সালে অনেক ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছি। যে শুরুগুলো বড় করতে পারিনি। আর আইসিসি ইভেন্টে আমি সত্যি কথা বলতে অতটা সফল না। আইসিসি ইভেন্ট বলেন, এশিয়া কাপ বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। যেটা এখনো আমার ভাবতে খারাপ লাগে। তো চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে এমন ভালো শুরু পেলে কীভাবে বড় করা যায় কিংবা ইনিংসটা আমি লম্বা করতে পারি। যেটা আমার জন্যও উপকারী হবে এবং দলকেও অনেক সহায়তা করবে। চেষ্টা থাকবে যেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারি এবং আইসিসি ইভেন্টে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশ দলে অবদান রাখতে পারি, এই চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: একটা পডকাস্টে সাকিব আল বলেছেন, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে জুনিয়ররা কম কথা বলেন। এখানে কি এখন কোনো পরিবর্তন আসছে?
তানজিদ: আসলে ভাই (সাকিব) একদম ঠিক বলেছেন। এখন আমাদের প্রধান কোচ, সালাহ উদ্দীন স্যার ও টিম ম্যানেজমেন্টে যাঁরা কোচ আছেন, চেষ্টা করছেন সংস্কৃতিটা যেন বদলাতে পারি। যখন দলীয় বৈঠক হয়, সব কোচেরা আলোচনা করেন, যাতে সবাই (ক্রিকেটাররা) কিছু না কিছু মতামত দেয়। যেকোনো ম্যাচের আগে কিংবা দলীয় বৈঠকে এখানে আসলে সবাইকে কথা বলতে হয়। ব্যাটার, বোলার বলেন সবাইকেই কিছু না কিছু। যেকোনো কিছুই হোক, এক দুই লাইন হলেও টিম মিটিংয়ে আপনাকে বলতে হবে। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে সবার ভেতর থেকে একটা দুইটা বিষয় যে আসে, অনেক সময় দলের কাজে লাগে। অথবা আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। অনেক ছোট কথা হলেও সেখানে অনেক বড় কিছু থাকতে পারে। তো আমার কাছে মনে হয়, এটা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। সবাই আসলে কথা বলার অভ্যাসটা গড়ে তুলছে। আমার কাছে মনে হয় সংস্কৃতিটা পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রশ্ন: নিকট ভবিষ্যতে টেস্ট খেলার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
তানজিদ: যদি এখনো সাদা বলে খেলা বেশি, সাদা বলেই মূলত মনোযোগ থাকছে। আমি যখনই সুযোগ পাই, জাতীয় লিগ খেলি। লাল বলের ক্রিকেট খেলতে আমার ভালো লাগে। যদি কখনো সুযোগ আসে, অবশ্যই লাল বলের ক্রিকেটও খেলতে চাই। তার জন্য আমাকে বেশি পরিশ্রম এবং আরও বেশি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে যাব। যদি আল্লাহ চান এবং আমি লাল বলে রান করতে থাকি, তাহলে ইনশা আল্লাহ অবশ্যই খেলব টেস্ট।
প্রশ্ন: বিপিএলে সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে নিলামে উঠলে কি বেশি দাম পেতেন বলে মনে হয়?
তানজিদ: যেটা পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। নাবিল গ্রুপকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ, তারা আমাকে সরাসরি সাইনিংয়ে রেখেছে (রাজশাহী)। অনেক ভালো একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে। যেখানে শান্ত ভাই, মুশি ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার আছেন। অনেক অভিজ্ঞতাপূর্ণ এবং কিংবদন্তি আমাদের দেশের জন্য। তাদের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও অভিজ্ঞতা আছে। তো আশা করি ভালো কিছুই হবে। নিজ বিভাগের হয়ে এবার খেলছি। কখনো খেলা হয়নি রাজশাহীর হয়ে। তো এটা একটা গর্বের বিষয়। তো দেখা যাক ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
৬ ঘণ্টা আগে
ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
৬ ঘণ্টা আগে
২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির।
৭ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।
সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সে সিরিজে ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১ ছক্কা মারা আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যান রোহিত। ২৭৯ ওয়ানডে শেষে এই মারকুটে ব্যাটারের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৩৫৫ ছক্কা।
রোহিতের ছক্কার রেকর্ড প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। এই রেকর্ড এখন আরও উন্নত হয়েছে। আমি খুশি যে, একজন খেলোয়াড়, যাঁকে আমি সব সময় পছন্দ করি, তিনি এই রেকর্ড ভেঙেছেন।’
কোনো রেকর্ডই স্থায়ী বলে মনে করেন না আফ্রিদি, ‘আমার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড প্রায় ১৮ বছর ধরে টিকে ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকই ভেঙেছে। একজন খেলোয়াড় এসে রেকর্ড গড়ে আবার আরেকজন সেই রেকর্ড ভাঙে। ক্রিকেট আসলে এমনই।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় রোহিত সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে আফ্রিদির। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে আমার একমাত্র আইপিএল মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছি। সেবার রোহিতকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলাম। সেই সময় আমার তাঁকে পছন্দ হয়েছিল। দলীয় অনুশীলনে আমি তাঁকে ব্যাট করতে দেখেছি। তাঁর ক্লাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি জানতাম যে, একদিন রোহিত ভারতের হয়ে খেলবেন। দারুণ একজন ব্যাটার হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।
সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সে সিরিজে ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১ ছক্কা মারা আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যান রোহিত। ২৭৯ ওয়ানডে শেষে এই মারকুটে ব্যাটারের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৩৫৫ ছক্কা।
রোহিতের ছক্কার রেকর্ড প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। এই রেকর্ড এখন আরও উন্নত হয়েছে। আমি খুশি যে, একজন খেলোয়াড়, যাঁকে আমি সব সময় পছন্দ করি, তিনি এই রেকর্ড ভেঙেছেন।’
কোনো রেকর্ডই স্থায়ী বলে মনে করেন না আফ্রিদি, ‘আমার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড প্রায় ১৮ বছর ধরে টিকে ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকই ভেঙেছে। একজন খেলোয়াড় এসে রেকর্ড গড়ে আবার আরেকজন সেই রেকর্ড ভাঙে। ক্রিকেট আসলে এমনই।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় রোহিত সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে আফ্রিদির। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে আমার একমাত্র আইপিএল মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছি। সেবার রোহিতকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলাম। সেই সময় আমার তাঁকে পছন্দ হয়েছিল। দলীয় অনুশীলনে আমি তাঁকে ব্যাট করতে দেখেছি। তাঁর ক্লাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি জানতাম যে, একদিন রোহিত ভারতের হয়ে খেলবেন। দারুণ একজন ব্যাটার হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই জাতীয় দলের বেশিরভাগ সতীর্থ গেছেন ছুটিতে। তানজিদ হাসান তামিম সেখানে ব্যতিক্রম। ছুটিতে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। অথচ টি-টোয়েন্টি এ বছর এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন
২ দিন আগে
জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
৬ ঘণ্টা আগে
ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
৬ ঘণ্টা আগে
২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
গত অক্টোবরে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে সব ধরনের লিগ বর্জন করেছেন ৪৫ ক্লাবের সংগঠকরা। তাই কয়েকদফা পিছিয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেও রাজি করাতে পারেনি বিসিবি। সবশেষ ১২ ক্লাব নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মাঠ প্রস্তুত না থাকায় আরও তিন দিন পেছানো হয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর দিনক্ষণ। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০ দলের মধ্যে আটটি লিগ বর্জন করেছে। তবে বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ক্রিকেটারদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত ক্লাবগুলোর। যেসব ক্লাব লিগে অংশ নেবে না তাদের বিরুদ্ধে সিসিডিএমের বাইলজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে ফারুক বলেন, ‘একটা ব্যাপার স্পষ্ঠ। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এখন লিগ বর্জনে সোচ্চার। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আছে। তাই বলে ক্রিকেটকে বন্ধ করা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। দেশে গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলা। লিগ না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ক্রিকেটাররা। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থে খেলা মাঠে গড়ানো দরকার। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বোর্ড বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।’

জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
গত অক্টোবরে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে সব ধরনের লিগ বর্জন করেছেন ৪৫ ক্লাবের সংগঠকরা। তাই কয়েকদফা পিছিয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেও রাজি করাতে পারেনি বিসিবি। সবশেষ ১২ ক্লাব নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মাঠ প্রস্তুত না থাকায় আরও তিন দিন পেছানো হয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর দিনক্ষণ। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০ দলের মধ্যে আটটি লিগ বর্জন করেছে। তবে বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ক্রিকেটারদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত ক্লাবগুলোর। যেসব ক্লাব লিগে অংশ নেবে না তাদের বিরুদ্ধে সিসিডিএমের বাইলজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে ফারুক বলেন, ‘একটা ব্যাপার স্পষ্ঠ। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এখন লিগ বর্জনে সোচ্চার। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আছে। তাই বলে ক্রিকেটকে বন্ধ করা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। দেশে গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলা। লিগ না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ক্রিকেটাররা। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থে খেলা মাঠে গড়ানো দরকার। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বোর্ড বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই জাতীয় দলের বেশিরভাগ সতীর্থ গেছেন ছুটিতে। তানজিদ হাসান তামিম সেখানে ব্যতিক্রম। ছুটিতে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। অথচ টি-টোয়েন্টি এ বছর এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন
২ দিন আগে
ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
৬ ঘণ্টা আগে
২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির।
৭ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
চুক্তির আওতায় বাফুফের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম। এই তালিকায় আছে বাফুফের কোচেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগাম এবং এলিট একাডেমি নিয়ে বিভিন্ন কাজ। প্রথম ৫ বছর বিএসআরএম থেকে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা পাবে বাফুফে। এই পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক মুল্যায়ন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত...অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস-শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব-আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।’
ফাহাদ করিম বলেন, ‘বিএসআরএম আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’

ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
চুক্তির আওতায় বাফুফের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম। এই তালিকায় আছে বাফুফের কোচেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগাম এবং এলিট একাডেমি নিয়ে বিভিন্ন কাজ। প্রথম ৫ বছর বিএসআরএম থেকে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা পাবে বাফুফে। এই পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক মুল্যায়ন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত...অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস-শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব-আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।’
ফাহাদ করিম বলেন, ‘বিএসআরএম আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই জাতীয় দলের বেশিরভাগ সতীর্থ গেছেন ছুটিতে। তানজিদ হাসান তামিম সেখানে ব্যতিক্রম। ছুটিতে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। অথচ টি-টোয়েন্টি এ বছর এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন
২ দিন আগে
ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
৬ ঘণ্টা আগে
২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির।
৭ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির। সেই জয়ের পুরস্কার বুঝে পেল হামজা চৌধুরী-জামাল ভূঁইয়ারা।
এশিয়ান কাপ বাচাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ড শেষেই নিশ্চিত হয়–মূল পর্বে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল হাভিয়ের কাভরেরার দল। জয়খরা কাটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশ। এবার আর হতাশ হতে হয়নি। বহু আকাঙ্খিত এই জয়ের পর ২ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন সদ্য পদত্যাগ করা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
২২ দিন পর আজ সে অর্থ বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে সংস্থাটির পরিচালক প্রশিক্ষক লাবণী চামকার কাছ থেকে চেক বুঝে নেন অধিনায়ক জামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ ফুটবলার, কোচ কাবরেরা, ম্যানেজার আমের প্রত্যেকে ৭ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন কোচিং স্টাফের বাকি ৫ সদস্য।
বোনাস প্রসঙ্গে আমের বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল। দলের অংশ হওয়ায় তাদের নামও তালিকায় ছিল। আজ আমরা এনএসসি থেকে ৩০ জনের চেক পেয়েছি।’

২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির। সেই জয়ের পুরস্কার বুঝে পেল হামজা চৌধুরী-জামাল ভূঁইয়ারা।
এশিয়ান কাপ বাচাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ড শেষেই নিশ্চিত হয়–মূল পর্বে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল হাভিয়ের কাভরেরার দল। জয়খরা কাটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশ। এবার আর হতাশ হতে হয়নি। বহু আকাঙ্খিত এই জয়ের পর ২ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন সদ্য পদত্যাগ করা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
২২ দিন পর আজ সে অর্থ বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে সংস্থাটির পরিচালক প্রশিক্ষক লাবণী চামকার কাছ থেকে চেক বুঝে নেন অধিনায়ক জামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ ফুটবলার, কোচ কাবরেরা, ম্যানেজার আমের প্রত্যেকে ৭ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন কোচিং স্টাফের বাকি ৫ সদস্য।
বোনাস প্রসঙ্গে আমের বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল। দলের অংশ হওয়ায় তাদের নামও তালিকায় ছিল। আজ আমরা এনএসসি থেকে ৩০ জনের চেক পেয়েছি।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই জাতীয় দলের বেশিরভাগ সতীর্থ গেছেন ছুটিতে। তানজিদ হাসান তামিম সেখানে ব্যতিক্রম। ছুটিতে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। অথচ টি-টোয়েন্টি এ বছর এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন
২ দিন আগে
ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
৬ ঘণ্টা আগে
ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
৬ ঘণ্টা আগে