Ajker Patrika

বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৩৮
বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। ছবি: এএফপি

বড় দুঃসময় পার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পরপর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—এ টুর্নামেন্টগুলো থেকে তারা বিদায় নেয় গ্রুপ পর্বে। এক সপ্তাহ আগেও পাকিস্তান আনন্দে ভাসছিল, তিন দশক পর প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক তারা। দলের ব্যর্থতায় সেই আনন্দ নিমেষে মিলিয়ে গেল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফরম্যান্সের দৈন্যে পাকিস্তান ‘ক্রিকেটের মৃত্যু’ হয়েছে বলে এখন শোক প্রকাশ চলছে সেখানে!

পাকিস্তানের মতো কিছুটা খারাপ সময় পার করছে বাংলাদেশ দলও। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা এখন পাকিস্তানের! গত বছর পাকিস্তানের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পাকিস্তানের মতো ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমের দল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ খেলেছিল সুপার এইটে। চলতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই দলই বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্বে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ততটা প্রতিযোগিতামূলক নয়, আর নিম্নমানের উইকেট খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে পারছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও হরহামেশা এ সব ইস্যু নিয়ে কথা হয়। তবে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পেছনে বারবার বোর্ড, কোচিং স্টাফ ও নির্বাচন প্যানেলের পরিবর্তন পাকিস্তান ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা মূলত রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে হয়ে থাকে বলে মনে করছেন তাঁরা, যেটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল যোগ্যতার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও এ রকম পরিবর্তন এসেছে, তবে সেটি পাকিস্তানের মতো নয়।

শুধু তিন বছর দেখলেই ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়! এর মধ্যে পিসিবির চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে চারবার। ২০২২ সালে রমিজ রাজা, পরের বছর নজম শেঠি, তারপরে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জাকা আশরাফ, এখন দায়িত্ব পালন করছেন মহসিন নাকভি! বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, গত ১৪ বোর্ড সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে একবার। গত বছর সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে বিদায় ঘটে নাজমুল হাসান পাপনের। এরপর দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ।

গত তিন বছরে পাকিস্তানের প্রধান কোচ পরিবর্তন হয়ে আটজন। ২০২৩ সালে সাকলাইন মুশতাকের পর অন্তর্বর্তীকালীন আবদুল রেহমান, তারপর গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন, মাঝে মোহাম্মদ হাফিজ। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হাফিজ পদত্যাগ করলে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হন আজহার মাহমুদ। তারপর আবার আলাদা আলাদা সংস্করণের জন্য কোচ নিয়োগ দেয় তারা। জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট ও গ্যারি কার্স্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাও চাকরি ছাড়েন। এখন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার আকিফ জাভেদ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁর পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে এইর মধ্যে।

বাংলাদেশেরও কোচ পরিবর্তন হয়েছে। ২০২২ সালে রাসেল ডোমিঙ্গোর বিদায়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদে আসেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবার চাকরিচ্যুত হন তিনি। এখন চলছে ফিল সিমন্সের অধ্যায়। পাকিস্তানের অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন এসেছে চারবার। বাবর আজমের পর শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নেতৃত্বভার দেওয়া হয়েছিল। তারপর আবার ফেরানো হয় বাবরকে। বাবর ব্যর্থ হলে মোহাম্মদ রিজওয়ান সীমিত ওভার ও শান মাসুদের কাছে টেস্টের অধিনায়কত্ব পাকিস্তানের।

বাংলাদেশের অধিনায়কত্বেও ছিল পরিবর্তন। তামিম ইকবালের পর বিভিন্ন সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন লিটন দাস, মাঝে সাকিব আল হাসান, তারপর এখন শান্ত। তিনিও নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলেছেন এরই মধ্যে। গত তিন বছরে পাকিস্তানের নির্বাচক হয়েছেন ২৬ জন। বাংলাদেশে অবশ্য মেয়াদপূর্ণ হওয়ার পর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে আর রাখা হয়নি নির্বাচক প্যানেলে। আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও হান্নান সরকার যুক্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতি হান্নান পদ ছেড়ে কোচিংয়ে মনোযোগ দিয়েছেন।

কিন্তু এ তিন বছরে পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে নিজেদের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার। আয়ারল্যান্ড সফরে ওয়ানডে হার এবং আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হেরেছেন বাবর-রিজওয়ানরা। খুবই স্পষ্ট, বেশ খারাপ সময় পার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দেশটির পুরো ক্রিকেট কাঠামোতে আমূল পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সাবেকরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহামেডানকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল কিংস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গোলের পর কিংস ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: বাফুফে
গোলের পর কিংস ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: বাফুফে

বসুন্ধরা কিংসের জন্য ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের। গত মৌসুমে লিগে দুবারই হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে। এমনকি খোয়াতে হয়েছে শিরোপাও। ফুটবল লিগের চলতি মৌসুমে প্রথম দেখায় ঠিকই প্রতিশোধ নিল কিংস। ঘরের মাঠে আজ মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ১৫ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। বাঁ প্রান্ত দিয়ে শাকিল আহাদ তপুকে পেছনে ফেলে বক্সে ক্রস বাড়ান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ফাঁকায় থাকা রাকিব সেই ক্রসে প্রথম স্পর্শেই জালে পাঠান বল।

চার মিনিট পর ফাহিমের কর্নার থেকে ইমানুয়েল আগবাজি টনির হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ২১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ইমানুয়েল সানডের শট বারে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের ২২ মিনিট না পেরোতেই হলুদ কার্ড পেয়ে বসেন বসুন্ধরা কিংসের ইউসুফ আলী ও তাজ উদ্দিন।

৩৩ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন মোহামেডানের স্যামুয়েল বোয়াটেং। বা প্রান্ত দিয়ে দারুণ একটা ক্রস দেন মাহবুব; গোলমুখের সামনে পা ছোঁয়াতে পারলেই হতে পারতো গোল; কিন্তু বোয়াটেং পারলেন না বলে পা ছোঁয়াতে।

৪৩ মিনিটে পরপর দুটি সেভ করেন কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। প্রথমে মুজাফফরভের সরাসরি ফ্রি কিক শট ঠেকান কর্নারের বিনিময়ে। এরপর কর্নারে নিজেদের বক্সে জটলা তৈরি হয়। এলি কেকের হেড পেছনের পা দিয়ে টোকা দেন রহিম উদ্দিন, তবে সতর্ক ছিলেন জিকো।

বিরতির পর ধার বাড়াতে কিউবা মিচেলকে মাঠে নামায় কিংস। যদিও খুব একটা গোছাল আক্রমণ দেখা যায়নি। ৭৫ মিনিটেও গোলের ভাল সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকেরা। তবে বক্সের ভেতর থেকে কিউবার শট খুঁজে পায়নি লক্ষ্য। ৮২ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনকে গোলবঞ্চিত করেন মোহামেডান গোলকিপার সুজন হোসেন।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দোরিয়েলতন। সোহেল রানা সিনিয়রের লং পাসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মোহামেডান অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিঠুকে গতিতে পেছনে ফেলেন তিনি। এরপর গোলরক্ষক সুজন হোসেনকে বোকা বানাতে কোনো অসুবিধা হয়নি ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের।

এর পরের মিনিটে হলো গোলমাল। সোহেল রানা সিনিয়রের মুখে মোহামেডানের মুজাফ্ফর মুজাফ্ফরভ হাত দিয়ে আঘাত করেন ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় মাঠে। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখালে উল্টো আরও মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুজাফ্ফর। এমনকি রেফারিকে দিকে তেড়ে যাওয়ার জন্য হম্বিতম্বি করতে থাকেন তিনি। সতীর্থরা কোনোমতে ঝাপটে ধরে তাঁকে মাঠের বাইরে পাঠান। রেফারি মো. আলমগীর সরকার অবশ্য আগে সোহেল রানাকে হলুদকার্ড দেখান।

এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল অপরাজিত কিংস। ৫ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে থাকা ফর্টিসের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতারকে যেভাবে কাজে লাগাতে চায় ঢাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ছবি: ফাইল ছবি
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ছবি: ফাইল ছবি

ঢাকা, আমি অনেক দিন পর আসছি—গতকাল রাতে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে কাজ করতেই মূলত তিনি আসছেন। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কে কীভাবে কাজে লাগাতে চায় ঢাকা, সেই ব্যাপারে আজ নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান নির্বাহী আতিক ফাহাদ।

বিপিএলে প্রথম ১১ আসরে না এলেও এবারই প্রথমবারের মতো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কাজ করতে আসছেন শোয়েব আখতার। বাংলাদেশে পাকিস্তানি গতিতারকার জনপ্রিয়তা বেশি থাকার কারণেই মূলত তাঁকে এবার বিপিএলে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ। এমনকি ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান নির্বাহী নিজেও শোয়েব আখতারের ভক্ত। আজ সংবাদমাধ্যমকে ফাহাদ বলেন, ‘আমরা যখন ছোটবেলা থেকে খেলা দেখছিলাম, তখন থেকেই বিশেষ কয়েকজন ক্রিকেটারের ফ্যানবেজ চিন্তা করেন, শোয়েব আখতার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আমি নিজেও শোয়েব আখতারের ভক্ত। টিম ম্যানেজমেন্টে যাঁরা আছেন, এমনকি বাংলাদেশে অসংখ্য শোয়েব আখতারের ভক্ত দেখবেন। যখন আমরা দেখেছি গত ১৫ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশে আসেননি, সেটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল।’

পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। জনপ্রিয়তা যেমন রয়েছে শোয়েব আখতার, তেমনি তাঁর কাছ থেকে তাসকিন আহমেদ, মারুফ মৃধার মতো ঢাকা ক্যাপিটালসের স্থানীয় পেসাররা অনেক কিছু শিখতে পারবেন বলে মনে করেন ফাহাদ। ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘গত বছর আপনারা দেখেছেন যে শহীদ আফ্রিদি এসেছেন। আমরা পরিকল্পনা করেছি শোয়েব আখতারকে নিয়ে আসতে। যাতে আমাদের বিপিএলের ওভারঅল দৃশ্যপটটা বদলাতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের যাঁরা পৃষ্ঠপোষক আছেন, তাঁদেরও কিছু পরিকল্পনা ছিল শোয়েব আখতারকে নিয়ে আনতে। তো আমরা চিন্তা করেছি এটা ওভারঅল বিপিএলে ইতিবাচক ইমপ্যাক্ট ফেলবে। একই সঙ্গে আমরা যেসব ক্রিকেটারদের নির্বাচন করেছি, বিশেষ করে তাসকিন বা যারা পেসার আছে, তাদের দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন শোয়েব আখতার।’

১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন বলে গতকাল ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। তবে কতটুকু সময় পাকিস্তানি গতিতারকাকে পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ফাহাদ। সংবাদমাধ্যমকে ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আপনারা হয়তো গতকাল দেখেছেন যে তিনি (শোয়েব আখতার) আগামী ২-১ দিনের জন্য আসবেন। এবার তাঁর আসার কারণ হচ্ছে আমাদের পৃষ্ঠপোষকদের এনডোর্সমেন্ট পাশাপাশি ভক্তদের সম্পৃক্ত রাখার মতো কিছু কাজ করব। পরবর্তীতে সুযোগ থাকলে খেলার সময় নিয়ে আসব। যদিও আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে যে দ্বিতীয়বার তাকে আমরা নিয়ে আসব। পুরোপুরি নিশ্চিত না।’

অধিনায়ক নির্বাচনের জন্য ঢাকা ক্যাপিটালস একটা বিশেষ প্রচারণা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ। সংবাদমাধ্যমকে আজ তিনি বলেন, ‘কে অধিনায়ক হলে ভালো হয়? এবার তো আমাদের দেখেছেনই অধিনায়কত্বের যে তালিকা আছে, সেটা বেশ বড়। অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন হবে। যেমন ধরুন এই যে সাইফ হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, ইমাদ ওয়াসিম আছে। কাকে অধিনায়ক হিসেবে চান, কেন চান-সেজন্য আমরা একটা প্রচারণাও চালাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থ্রো থেকে সরাসরি গোল, বাংলাদেশ ফুটবল লিগে অদ্ভুতুড়ে ঘটনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
থ্রো করছেন আরামবাগের কাজী রাহাদ। ছবি: স্ক্রিনশট
থ্রো করছেন আরামবাগের কাজী রাহাদ। ছবি: স্ক্রিনশট

মৌসুমের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ফুটবল লিগে ঘটছে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা। আজ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ অদ্ভুতুড়ে এক দৃশ্যই দেখা গেল। সরাসরি থ্রো থেকে গোল! অথচ ফুটবলের নিয়মে এমনটা কোথাও লেখা নেই।

মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আরামবাগ। লিগে জয়খরা কাটিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। দুটো গোলই এসেছে ম্যাচের প্রথমার্ধে।

৩২ মিনিটে কাজী রাহাদ মিয়ার লং থ্রো সরাসরি খুঁজে নেয় জাল। যদিও মোহাম্মদ শাওনের দাবি বল তাঁর গায়ে লেগে এরপর জালে প্রবেশ করেছে। কিন্তু গোলদাতার তালিকায় রাহাদ মিয়ারই নাম উঠেছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ব্রাদার্সের গোলকিক পাওয়ার কথা ছিল।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও উচ্ছ্বাসে মাতে আরামবাগ। এবারও গোলের উৎস লং থ্রো। রাহাদের থ্রো ব্রাদার্স ইশাক আলী ফেরানোর চেষ্টা করলেও বল তাঁর হাতে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। নিয়ম অনুযায়ী, তা আত্মঘাতী গোল হওয়ার কথা। কিন্তু তা যোগ হয়েছে রাহাদের নামে। বাফুফের দেওয়া ম্যাচ রিপোর্টে এমনই দেওয়া আছে। সেখানে স্বাক্ষর আছে ম্যাচ রেফারি আনিসুর রহমান সাগর ও এস এম সাদাত হোসেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের আইনের ১৫ তম ধারা অনুযায়ী, সরাসরি থ্রো থেকে গোল করা সম্ভব নয়। থ্রো থেকে বল যদি প্রতিপক্ষের জালে প্রবেশ করে তাহলে গোলকিক দেওয়া হবে। আর বল যদি নিজেদের জালে প্রবেশ করে তখন কর্নার কিক পাবে প্রতিপক্ষ। অথচ ব্রাদার্সের বিপক্ষে আরামবাগের দুটি গোলই লেখা হয় থ্রো নেওয়া রাহাদের নামে।

লিগের আরেক ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফর্টিস এফসি। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ওনিয়েকাচি ওকাফোর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীন সফরের বাংলাদেশ মেয়েদের দলে আছেন কারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

ব্যস্ত সময় কাটছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের। কক্সবাজারে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে উড়াল দিতে হবে সাদিয়া ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণরা। চীন সফরেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাদিয়া।

সাদিয়াকে অধিনায়ক করে চীনের বিপক্ষে গত রাতে ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাকিস্তান সিরিজের দলে থাকা সাদিয়া, সুমাইয়া, মায়মুনা নাহার স্বর্ণামণি, সাদিয়া আক্তার, অচেনা জান্নাত এমন্তরা আছেন চীন সফরের দলেও। ১৪ সদস্যের ক্রিকেটের বাইরে চার ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। লিমা খাতুন, আঁখি আক্তার, রিজভি দাস, মোসাম্মৎ জিম আফরিন—এই চার ক্রিকেটার চীন সফরের স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটার।

১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ-চীন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৯ ও ২১ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। তিনটি ম্যাচই হবে হাংজুতে। আজ কক্সবাজারে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে। সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান।

চীন সফরে বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল

সুমাইয়া আক্তার, আরতি মন্ডল নির্জনা, সাদিয়া ইসলাম (অধিনায়ক), অদৃতা নওশের, মায়মুনা নাহার স্বর্ণামণি, রুমানা আহমেদ, সাদিয়া আক্তার, অতসী মজুমদার, জেরিন তাসনিম, লামিয়া মৃধা, অচেনা জান্নাত, সাদিয়া নুসরাত, ববি খাতুন, কুমারি শ্রাবণী রানি শীল।

স্ট্যান্ড বাই: লিমা খাতুন, আঁখি আক্তার, রিজভি দাস, মোসাম্মৎ জিম আফরিন

বাংলাদেশ-চীন সিরিজের সূচি

প্রথম টি-টোয়েন্টি ১৭ ডিসেম্বর

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ১৯ ডিসেম্বর

তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২১ ডিসেম্বর

*সব ম্যাচই হাংজুতে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত