
খাদ্য হিসেবে দুধের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস ‘মুরগি আগে নাকি ডিম’ এই বহু প্রাচীন সমস্যাটির মতো! মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে সমাদৃত হলেও মানুষ কিন্তু শুরুর দিকে দুধ হজম করতে পারত না। এখনো তো অনেকের দুধ হজম হয় না। চিকিৎসকেরা এ সমস্যাকে বলেন, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স।
দীর্ঘদিনের মিউটেশন (পরিব্যক্তি) মানুষকে দুধ হজমে শেষ পর্যন্ত সক্ষম করে তুলেছে। যদিও স্তন্যপায়ী হিসেবে শিশুকালে দুধ পান করতেই হয়েছে। পরবর্তীতে বেঁচে থাকার স্বার্থে বিকল্প খাবার হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে গবাদিপশুর দুধ। এর জন্য তাকে ডিএনএতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে বেশ অপেক্ষাও করতে হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমনটাই বলছেন।
এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আগে মিউটেশন ঘটেছে নাকি মানব সমাজের খাদ্য সংস্কৃতির মধ্যে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের প্রচলন শুরু হয়েছে? যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ সারাহ টিশকফ যেমনটি বলেন, ‘সবসময়ই প্রশ্ন থাকে, কোনটি প্রথমে এসেছে—সাংস্কৃতিক অনুশীলন নাকি মিউটেশন?’
বিজ্ঞানীরা দুগ্ধজাত পানীয়ের প্রাচীনতম কিছু প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন: আধুনিক কেনিয়া এবং সুদানের লোকেরা কমপক্ষে ৬ হাজার বছর আগে থেকে দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে, শরীরে ‘দুধের জিন’ বিকশিত হওয়ার আগে থেকেই মানুষ দুধ পান করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ সঠিকভাবে হজম করার জন্য জেনেটিক সরঞ্জাম থাকার আগে থেকেই আমরা তরলটি পান করতে অথবা তরলটি থেকে প্রস্তুতকৃত খাবার গ্রহণ করতে শুরু করেছি।
মজার ব্যাপার হলো, মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। অর্থাৎ শৈশবে দুধ হজম করতে মানুষের কোনো সমস্যা হয় না। আবার মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও দুধ পান করে। শুধু তা-ই নয়, এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পৃথিবীতে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বিশাল বাজার। বাণিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদন করতে উচ্চ উৎপাদনশীল গরু, ছাগল, মহিষের জাত উদ্ভাবন করে যাচ্ছে মানুষ।
তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দুধ হজম করার সক্ষমতা বিকশিত হয়েছে মোটামুটিভাবে সম্প্রতিই বলা চলে! সম্ভবত ৬ হাজার বছর আগে। সামান্য কিছু মিউটেশন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির অনুমতি দেয়। এই এনজাইম দুধে চিনির বা ল্যাকটোজকে ভেঙে দিতে পারে।
যে জিনগুলো ল্যাকটোজ হজমে সক্ষম করে তুলেছে, আধুনিক আফ্রিকায় তার চারটি ধরন পাওয়া যায়। তবে ইউরোপীয়দের মধ্যে রয়েছে মাত্র একটি।
যখন এই ল্যাকটেজ মিউটেশনগুলো বিকশিত হয়েছিল, তখন বেশ দ্রুতই পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। যারা এই এনজাইম বহন করত তাদের বড় সুবিধা ছিল। অধ্যাপক টিশকফ বলেন, ‘এটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের সবচেয়ে শক্তিশালী সংকেতগুলোর মধ্যে একটি।’
পানীয় হিসেবে দুধের অতীত ইতিহাস খুঁজতে আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছেন গবেষকেরা। এই অঞ্চলের সমাজগুলো কমপক্ষে ৮ হাজার বছর ধরে গরু, ভেড়া এবং ছাগল পালন করছে। বিজ্ঞানীরা সুদান এবং কেনিয়াতে পাওয়া আটটি কঙ্কাল পরীক্ষা করেছেন, যেগুলো ২ হাজার থেকে ৬ হাজার বছরের পুরনো। তাদের দাঁতের ফাঁকে শক্ত হয়ে যাওয়া পাথর এবং ভেতরে আটকে থাকা দুধ-নির্দিষ্ট প্রোটিনের সন্ধান করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই লোকেরা কমপক্ষে ৬ হাজার বছর আগে কয়েক ধরনের দুগ্ধজাত খাবার খেত। গবেষক দলটির এই গবেষণা প্রতিবেদন বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনে ২০২১ সালের জুনে প্রকাশিত হয়। এটিকে আফ্রিকা এবং সম্ভবত বিশ্বে দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, আফ্রিকায় খাদ্য হিসেবে দুগ্ধজাত জিনিস ব্যবহারের ইতিহাস ইউরোপের সমান বয়সী—সম্ভবত আরও বেশি পুরোনো। ফলে এটি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের প্রচারিত একটি মিথকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারা দাবি করে, ল্যাকটোজ সহ্যক্ষমতা এবং দুধ পান করার চল শুরুই করেছে সাদা ইউরোপীয়রা।
কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, দুধ হজমকারী এনজাইম তৈরিতে সহায়তাকারী জিন বিবর্তিত হওয়ার আগে থেকেই প্রাচীন আফ্রিকানরা এটি খেতে শুরু করেছে।
এই গবেষণার সহ-লেখক এবং ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রির প্রাচীন প্রোটিনের বিশেষজ্ঞ ম্যাডেলিন ব্লেসডেল বলেন, ‘মনে হচ্ছে সম্প্রদায়টি (পরীক্ষাধীন কঙ্কাল) ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির আগে থেকেই দুধ পান করত।’
প্রাচীনকালের দুগ্ধজাত প্রোটিনগুলো এসে থাকতে পারে—দুধ, পনির বা দইয়ের মতো গাঁজানো (ফার্মেন্টেড) দুগ্ধপণ্য থেকে। আধুনিক আফ্রিকাতে এ ধরনের দুগ্ধপণ্য খুবই সাধারণ।
ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন হলো এমন একটি কৌশল যা কিছু সমাজ বা সংস্কৃতিতে দুধের শর্করা ভেঙে ফেলতে ব্যবহার করা হয়। খাওয়ার আগেই এভাবে দুধের শর্করা ভেঙে ফেললে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের ঝামেলা অনেকখানি চুকে যায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই প্রক্রিয়া অভিযোজনপূর্ব কালেই মানুষকে দুগ্ধপণ্য খেতে সহায়তা করে থাকতে পারে। অর্থাৎ হজমে সমস্যা হওয়া এড়াতে কাঁচা দুধ পান না করে গাঁজন প্রক্রিয়ায় দুগ্ধপণ্য তৈরি করে খেতে শুরু করে প্রাচীন মানুষ।
এভাবে ধীরে ধীরে মিউটেশনগুলো শেষ পর্যন্ত জিনের ব্যাপক পরিবর্তন এনে থাকতে পারে, যা পরিপাকতন্ত্রে ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।
এই মিউটেশনে যে সুবিধা হয়েছে তা হলো, মানুষ দুধ থেকে আরও বেশি পুষ্টি পেতে শুরু করে। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ফিওনা মার্শাল বলেন, ‘ল্যাকটেজ এনজাইম অর্থাৎ দুধ হজমে সক্ষম এই মানুষেরা দীর্ঘজীবী হয়েছে এবং এটি আরও বেশি সন্তান ধারণে সক্ষম করে তুলেছে।’
ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির পেছনে যে প্রাকৃতিক নির্বাচন, সেটি পরিবেশগত চাপ থেকেও হতে পারে। কঠিন পরিস্থিতিতে পশুপালন চালিয়ে যাওয়ার একটি টেকসই উপায় হতে পারে দুধ পান। খাদ্যসংকটের সময় পশুদের হত্যা না করে তাদের কাছ থেকে পুষ্টি পাওয়ার একটি চমৎকার উপায় ছিল এটি।
বলা যেতে পারে, ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির ঘটনা পালের পশুগুলোকে পশুপালকেরা চার পায়ের পানির ফিল্টার এবং পানীয়জল সংরক্ষণের পাত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে। অধ্যাপক টিশকফ বলেন, ‘গরু থাকা মানে পানযোগ্য তরল, প্রোটিন এবং পুষ্টির উৎস হাতের কাছে থাকা। ফলে বিকল্প হিসেবে দুধ খেয়ে যতদিন সম্ভব পালের পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারার সম্ভাবনা এতে বাড়ে।’

খাদ্য হিসেবে দুধের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস ‘মুরগি আগে নাকি ডিম’ এই বহু প্রাচীন সমস্যাটির মতো! মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে সমাদৃত হলেও মানুষ কিন্তু শুরুর দিকে দুধ হজম করতে পারত না। এখনো তো অনেকের দুধ হজম হয় না। চিকিৎসকেরা এ সমস্যাকে বলেন, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স।
দীর্ঘদিনের মিউটেশন (পরিব্যক্তি) মানুষকে দুধ হজমে শেষ পর্যন্ত সক্ষম করে তুলেছে। যদিও স্তন্যপায়ী হিসেবে শিশুকালে দুধ পান করতেই হয়েছে। পরবর্তীতে বেঁচে থাকার স্বার্থে বিকল্প খাবার হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে গবাদিপশুর দুধ। এর জন্য তাকে ডিএনএতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে বেশ অপেক্ষাও করতে হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমনটাই বলছেন।
এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আগে মিউটেশন ঘটেছে নাকি মানব সমাজের খাদ্য সংস্কৃতির মধ্যে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের প্রচলন শুরু হয়েছে? যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ সারাহ টিশকফ যেমনটি বলেন, ‘সবসময়ই প্রশ্ন থাকে, কোনটি প্রথমে এসেছে—সাংস্কৃতিক অনুশীলন নাকি মিউটেশন?’
বিজ্ঞানীরা দুগ্ধজাত পানীয়ের প্রাচীনতম কিছু প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন: আধুনিক কেনিয়া এবং সুদানের লোকেরা কমপক্ষে ৬ হাজার বছর আগে থেকে দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে, শরীরে ‘দুধের জিন’ বিকশিত হওয়ার আগে থেকেই মানুষ দুধ পান করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ সঠিকভাবে হজম করার জন্য জেনেটিক সরঞ্জাম থাকার আগে থেকেই আমরা তরলটি পান করতে অথবা তরলটি থেকে প্রস্তুতকৃত খাবার গ্রহণ করতে শুরু করেছি।
মজার ব্যাপার হলো, মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। অর্থাৎ শৈশবে দুধ হজম করতে মানুষের কোনো সমস্যা হয় না। আবার মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও দুধ পান করে। শুধু তা-ই নয়, এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পৃথিবীতে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বিশাল বাজার। বাণিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদন করতে উচ্চ উৎপাদনশীল গরু, ছাগল, মহিষের জাত উদ্ভাবন করে যাচ্ছে মানুষ।
তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দুধ হজম করার সক্ষমতা বিকশিত হয়েছে মোটামুটিভাবে সম্প্রতিই বলা চলে! সম্ভবত ৬ হাজার বছর আগে। সামান্য কিছু মিউটেশন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির অনুমতি দেয়। এই এনজাইম দুধে চিনির বা ল্যাকটোজকে ভেঙে দিতে পারে।
যে জিনগুলো ল্যাকটোজ হজমে সক্ষম করে তুলেছে, আধুনিক আফ্রিকায় তার চারটি ধরন পাওয়া যায়। তবে ইউরোপীয়দের মধ্যে রয়েছে মাত্র একটি।
যখন এই ল্যাকটেজ মিউটেশনগুলো বিকশিত হয়েছিল, তখন বেশ দ্রুতই পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। যারা এই এনজাইম বহন করত তাদের বড় সুবিধা ছিল। অধ্যাপক টিশকফ বলেন, ‘এটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের সবচেয়ে শক্তিশালী সংকেতগুলোর মধ্যে একটি।’
পানীয় হিসেবে দুধের অতীত ইতিহাস খুঁজতে আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছেন গবেষকেরা। এই অঞ্চলের সমাজগুলো কমপক্ষে ৮ হাজার বছর ধরে গরু, ভেড়া এবং ছাগল পালন করছে। বিজ্ঞানীরা সুদান এবং কেনিয়াতে পাওয়া আটটি কঙ্কাল পরীক্ষা করেছেন, যেগুলো ২ হাজার থেকে ৬ হাজার বছরের পুরনো। তাদের দাঁতের ফাঁকে শক্ত হয়ে যাওয়া পাথর এবং ভেতরে আটকে থাকা দুধ-নির্দিষ্ট প্রোটিনের সন্ধান করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই লোকেরা কমপক্ষে ৬ হাজার বছর আগে কয়েক ধরনের দুগ্ধজাত খাবার খেত। গবেষক দলটির এই গবেষণা প্রতিবেদন বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনে ২০২১ সালের জুনে প্রকাশিত হয়। এটিকে আফ্রিকা এবং সম্ভবত বিশ্বে দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, আফ্রিকায় খাদ্য হিসেবে দুগ্ধজাত জিনিস ব্যবহারের ইতিহাস ইউরোপের সমান বয়সী—সম্ভবত আরও বেশি পুরোনো। ফলে এটি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের প্রচারিত একটি মিথকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারা দাবি করে, ল্যাকটোজ সহ্যক্ষমতা এবং দুধ পান করার চল শুরুই করেছে সাদা ইউরোপীয়রা।
কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, দুধ হজমকারী এনজাইম তৈরিতে সহায়তাকারী জিন বিবর্তিত হওয়ার আগে থেকেই প্রাচীন আফ্রিকানরা এটি খেতে শুরু করেছে।
এই গবেষণার সহ-লেখক এবং ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রির প্রাচীন প্রোটিনের বিশেষজ্ঞ ম্যাডেলিন ব্লেসডেল বলেন, ‘মনে হচ্ছে সম্প্রদায়টি (পরীক্ষাধীন কঙ্কাল) ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির আগে থেকেই দুধ পান করত।’
প্রাচীনকালের দুগ্ধজাত প্রোটিনগুলো এসে থাকতে পারে—দুধ, পনির বা দইয়ের মতো গাঁজানো (ফার্মেন্টেড) দুগ্ধপণ্য থেকে। আধুনিক আফ্রিকাতে এ ধরনের দুগ্ধপণ্য খুবই সাধারণ।
ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন হলো এমন একটি কৌশল যা কিছু সমাজ বা সংস্কৃতিতে দুধের শর্করা ভেঙে ফেলতে ব্যবহার করা হয়। খাওয়ার আগেই এভাবে দুধের শর্করা ভেঙে ফেললে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের ঝামেলা অনেকখানি চুকে যায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই প্রক্রিয়া অভিযোজনপূর্ব কালেই মানুষকে দুগ্ধপণ্য খেতে সহায়তা করে থাকতে পারে। অর্থাৎ হজমে সমস্যা হওয়া এড়াতে কাঁচা দুধ পান না করে গাঁজন প্রক্রিয়ায় দুগ্ধপণ্য তৈরি করে খেতে শুরু করে প্রাচীন মানুষ।
এভাবে ধীরে ধীরে মিউটেশনগুলো শেষ পর্যন্ত জিনের ব্যাপক পরিবর্তন এনে থাকতে পারে, যা পরিপাকতন্ত্রে ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।
এই মিউটেশনে যে সুবিধা হয়েছে তা হলো, মানুষ দুধ থেকে আরও বেশি পুষ্টি পেতে শুরু করে। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ফিওনা মার্শাল বলেন, ‘ল্যাকটেজ এনজাইম অর্থাৎ দুধ হজমে সক্ষম এই মানুষেরা দীর্ঘজীবী হয়েছে এবং এটি আরও বেশি সন্তান ধারণে সক্ষম করে তুলেছে।’
ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির পেছনে যে প্রাকৃতিক নির্বাচন, সেটি পরিবেশগত চাপ থেকেও হতে পারে। কঠিন পরিস্থিতিতে পশুপালন চালিয়ে যাওয়ার একটি টেকসই উপায় হতে পারে দুধ পান। খাদ্যসংকটের সময় পশুদের হত্যা না করে তাদের কাছ থেকে পুষ্টি পাওয়ার একটি চমৎকার উপায় ছিল এটি।
বলা যেতে পারে, ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরির ঘটনা পালের পশুগুলোকে পশুপালকেরা চার পায়ের পানির ফিল্টার এবং পানীয়জল সংরক্ষণের পাত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে। অধ্যাপক টিশকফ বলেন, ‘গরু থাকা মানে পানযোগ্য তরল, প্রোটিন এবং পুষ্টির উৎস হাতের কাছে থাকা। ফলে বিকল্প হিসেবে দুধ খেয়ে যতদিন সম্ভব পালের পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারার সম্ভাবনা এতে বাড়ে।’

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
২ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

খাদ্য হিসেবে দুধের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস ‘মুরগি আগে নাকি ডিম’ এই বহু প্রাচীন সমস্যাটির মতো! মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে সমাদৃত হলেও মানুষ কিন্তু শুরুর দিকে দুধ হজম করতে পারত না। এখনো তো অনেকের দুধ হজম হয় না। চিকিৎসকেরা এ সমস্যাকে বলেন, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স।
০১ জুন ২০২৩
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
২ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

খাদ্য হিসেবে দুধের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস ‘মুরগি আগে নাকি ডিম’ এই বহু প্রাচীন সমস্যাটির মতো! মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে সমাদৃত হলেও মানুষ কিন্তু শুরুর দিকে দুধ হজম করতে পারত না। এখনো তো অনেকের দুধ হজম হয় না। চিকিৎসকেরা এ সমস্যাকে বলেন, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স।
০১ জুন ২০২৩
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

খাদ্য হিসেবে দুধের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস ‘মুরগি আগে নাকি ডিম’ এই বহু প্রাচীন সমস্যাটির মতো! মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে সমাদৃত হলেও মানুষ কিন্তু শুরুর দিকে দুধ হজম করতে পারত না। এখনো তো অনেকের দুধ হজম হয় না। চিকিৎসকেরা এ সমস্যাকে বলেন, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স।
০১ জুন ২০২৩
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
২ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

খাদ্য হিসেবে দুধের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস ‘মুরগি আগে নাকি ডিম’ এই বহু প্রাচীন সমস্যাটির মতো! মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে সমাদৃত হলেও মানুষ কিন্তু শুরুর দিকে দুধ হজম করতে পারত না। এখনো তো অনেকের দুধ হজম হয় না। চিকিৎসকেরা এ সমস্যাকে বলেন, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স।
০১ জুন ২০২৩
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
২ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে