অনলাইন ডেস্ক
চাঁদে যৌথভাবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে চুক্তি করেছে রাশিয়া ও চীন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবহার করা হবে তাদের পরিকল্পিত ‘ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন’ বা আইএলআরএস চালাতে। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০৩৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইউরি বোরিসভ জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে, অর্থাৎ মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই নির্মাণ করা হবে। যদিও এ ধরনের কাজ কীভাবে সম্ভব হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রস্তুতি ‘প্রায় সম্পূর্ণ’ বলেও জানান তিনি।
নাসা তাদের ২০২৬ সালের বাজেটের প্রস্তাবে চাঁদের কক্ষপথে ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করতে চায় এমন খবরের পরই এই ঘোষণা সামনে এল।
গত ৮ মে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পর রসকসমস এক ঘোষণায় জানায়, এই নতুন স্টেশন চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি রোবোটিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রযুক্তি পরীক্ষা ও মৌলিক মহাকাশ গবেষণার কাজ করবে। ভবিষ্যতে সেখানে মানুষের স্থায়ীভাবে থাকার সম্ভাবনাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
চীনের মহাকাশ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হবে এই নতুন গবেষণা কেন্দ্র, যা একটি মানববসতি-যুক্ত চন্দ্রঘাঁটি হিসেবে কাজ করবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১৭টি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে মিসর, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ঘাঁটির প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করা হবে চীনের ২০২৮ সালের চাং’ই-৮ মিশনের মাধ্যমে। ওই মিশনের অংশ হিসেবেই প্রথমবার চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন কোনো চীনা নভোচারী।
আইএলআরএসের রোডম্যাপ প্রথম প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। তখন চীন ও রাশিয়া ঘোষণা দেয়, ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে পাঁচটি সুপার হেভি-লিফট রকেটের মাধ্যমে রোবোটিক চন্দ্রঘাঁটির বিভিন্ন অংশ চাঁদে পাঠানো হবে।
মূল কাঠামোগুলো স্থাপন হলে চীন আরও কিছু অতিরিক্ত উপাদান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে এই চন্দ্রঘাঁটিকে আরও কার্যকর ও বিস্তৃত করা হবে।
২০২৪ সালের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান প্রকল্পের প্রধান ডিজাইনার উ ইয়ানহুয়া জানান, চাঁদের কক্ষপথে ঘূর্ণমান একটি মহাকাশ স্টেশন এবং চাঁদের বিষুবরেখা ও দূর পাশের দুটি সংযোগ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ঘাঁটিটি।
এই বিস্তৃত মডেলটি মঙ্গল গ্রহে ভবিষ্যৎ মানব মিশনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যেই এটি সম্পূর্ণ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উ ইয়ানহুয়া আরও জানান, এটি সৌরশক্তি, রেডিও আইসোটোপ এবং পারমাণবিক জেনারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
এতে চাঁদ-পৃথিবী সংযোগের জন্য উচ্চগতির যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন ধরনের চন্দ্রযান। যেমন: হপার, দূরপাল্লার মানববিহীন যান, এবং চাপযুক্ত ও চাপবিহীন মানববাহী রোভার।
এই সমঝোতা স্মারক এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হলো, যখন চীনের মহাকাশ কর্মসূচিতে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ২০১৩ সালে চাং’ই-৩ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে একটি রোভার অবতরণ করিয়ে চীন প্রথমবারের মতো চাঁদে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এরপরের মিশনগুলোতে চীন আরও রোভার পাঠায় চাঁদ ও মঙ্গলে। তারা চাঁদের কাছের এবং দূরের দিক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এবং চাঁদের পৃষ্ঠের বিস্তৃত মানচিত্র তৈরি করে।
চাঁদে স্থায়ী ঘাঁটি গড়ার দৌড়ে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচি। তবে নানা কারণে প্রকল্পটির শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আর্টেমিস থ্রি মিশনের মাধ্যমে ৫০ বছরের বেশি সময় পর নাসার নভোচারীরা আবারও চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে। এই মিশনটি ২০২৭ সালে উৎক্ষেপণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, নাসার নিজস্ব পরিকল্পিত চন্দ্র ঘাঁটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যেই এই স্টেশন উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত ২০২৬ সালের বাজেটে এ প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। অথচ ইতিমধ্যে স্টেশনটির বিভিন্ন মডিউল তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
চাঁদে যৌথভাবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে চুক্তি করেছে রাশিয়া ও চীন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবহার করা হবে তাদের পরিকল্পিত ‘ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন’ বা আইএলআরএস চালাতে। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০৩৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইউরি বোরিসভ জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে, অর্থাৎ মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই নির্মাণ করা হবে। যদিও এ ধরনের কাজ কীভাবে সম্ভব হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রস্তুতি ‘প্রায় সম্পূর্ণ’ বলেও জানান তিনি।
নাসা তাদের ২০২৬ সালের বাজেটের প্রস্তাবে চাঁদের কক্ষপথে ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করতে চায় এমন খবরের পরই এই ঘোষণা সামনে এল।
গত ৮ মে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পর রসকসমস এক ঘোষণায় জানায়, এই নতুন স্টেশন চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি রোবোটিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রযুক্তি পরীক্ষা ও মৌলিক মহাকাশ গবেষণার কাজ করবে। ভবিষ্যতে সেখানে মানুষের স্থায়ীভাবে থাকার সম্ভাবনাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
চীনের মহাকাশ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হবে এই নতুন গবেষণা কেন্দ্র, যা একটি মানববসতি-যুক্ত চন্দ্রঘাঁটি হিসেবে কাজ করবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১৭টি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে মিসর, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ঘাঁটির প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করা হবে চীনের ২০২৮ সালের চাং’ই-৮ মিশনের মাধ্যমে। ওই মিশনের অংশ হিসেবেই প্রথমবার চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন কোনো চীনা নভোচারী।
আইএলআরএসের রোডম্যাপ প্রথম প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। তখন চীন ও রাশিয়া ঘোষণা দেয়, ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে পাঁচটি সুপার হেভি-লিফট রকেটের মাধ্যমে রোবোটিক চন্দ্রঘাঁটির বিভিন্ন অংশ চাঁদে পাঠানো হবে।
মূল কাঠামোগুলো স্থাপন হলে চীন আরও কিছু অতিরিক্ত উপাদান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে এই চন্দ্রঘাঁটিকে আরও কার্যকর ও বিস্তৃত করা হবে।
২০২৪ সালের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান প্রকল্পের প্রধান ডিজাইনার উ ইয়ানহুয়া জানান, চাঁদের কক্ষপথে ঘূর্ণমান একটি মহাকাশ স্টেশন এবং চাঁদের বিষুবরেখা ও দূর পাশের দুটি সংযোগ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ঘাঁটিটি।
এই বিস্তৃত মডেলটি মঙ্গল গ্রহে ভবিষ্যৎ মানব মিশনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যেই এটি সম্পূর্ণ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উ ইয়ানহুয়া আরও জানান, এটি সৌরশক্তি, রেডিও আইসোটোপ এবং পারমাণবিক জেনারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
এতে চাঁদ-পৃথিবী সংযোগের জন্য উচ্চগতির যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন ধরনের চন্দ্রযান। যেমন: হপার, দূরপাল্লার মানববিহীন যান, এবং চাপযুক্ত ও চাপবিহীন মানববাহী রোভার।
এই সমঝোতা স্মারক এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হলো, যখন চীনের মহাকাশ কর্মসূচিতে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ২০১৩ সালে চাং’ই-৩ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে একটি রোভার অবতরণ করিয়ে চীন প্রথমবারের মতো চাঁদে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এরপরের মিশনগুলোতে চীন আরও রোভার পাঠায় চাঁদ ও মঙ্গলে। তারা চাঁদের কাছের এবং দূরের দিক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এবং চাঁদের পৃষ্ঠের বিস্তৃত মানচিত্র তৈরি করে।
চাঁদে স্থায়ী ঘাঁটি গড়ার দৌড়ে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচি। তবে নানা কারণে প্রকল্পটির শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আর্টেমিস থ্রি মিশনের মাধ্যমে ৫০ বছরের বেশি সময় পর নাসার নভোচারীরা আবারও চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে। এই মিশনটি ২০২৭ সালে উৎক্ষেপণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, নাসার নিজস্ব পরিকল্পিত চন্দ্র ঘাঁটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যেই এই স্টেশন উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত ২০২৬ সালের বাজেটে এ প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। অথচ ইতিমধ্যে স্টেশনটির বিভিন্ন মডিউল তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়।
২১ ঘণ্টা আগেবরফের নিচ থেকে উঠে আসা রহস্যময় রেডিও তরঙ্গ ধরা পড়েছে অ্যান্টার্কটিকায় পরিচালিত এক গবেষণায়। আন্তর্জাতিক এক গবেষক দল অ্যান্টার্কটিকার আকাশে ওড়ানো এক বিশেষ ডিটেক্টরের মাধ্যমে এমন কিছু সংকেত পেয়েছেন, যা পদার্থবিদ্যার প্রচলিত নিয়মের সঙ্গে যায় না।
২ দিন আগেপ্রথমবারের মতো সূর্যের দক্ষিণ মেরুর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) সোলার অরবিটার মহাকাশযান। এই অসাধারণ ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে সূর্যের শান্ত অবস্থা থেকে তীব্র ঝড়ো রূপে রূপান্তর কীভাবে ঘটে, তা আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। এই গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সূর্যের তীব্র কার্যকলাপ কখনো
৫ দিন আগেরাতের আকাশে চাঁদ ও তারার সৌন্দর্যে যাঁরা মুগ্ধ হন, তাঁদের জন্য আজকের সন্ধ্যা হতে চলেছে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। আজ দেখা যাবে একটি বিরল পূর্ণিমা—স্ট্রবেরি মুন। তবে এবারের পূর্ণিমা শুধু নামেই নয়, অবস্থানেও ব্যতিক্রম। ২০২৫ সালের এই স্ট্রবেরি মুন হবে বিগত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে ওঠা পূর্ণিমা চাঁদ
৬ দিন আগে