প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
এমন আগ্রহ থেকেই ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া রেন্ডি গার্ডনার একটানা ১১ দিন ও ২৫ মিনিট না ঘুমিয়ে ছিল। স্কুলের বিজ্ঞান মেলার এক প্রকল্পের জন্যই সে এটি করেছিল। তবে এই রেকর্ড ভেঙে দেন রবার্ট ম্যাকডোনাল্ড। তিনি ১৯৮৬ সালে টানা ১৮ দিন ও ২২ ঘণ্টা জেগে ছিলেন। তবে ম্যাকডোনাল্ডকে গার্ডনারের মতো কোনো চিকিৎসক বা অন্য কেউ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেনি।
১৯৭৭ সাল থেকে এই ধরনের বিষয় তালিকাভুক্ত করা বাদ দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। কারণ, বেশি দিন না ঘুমিয়ে থাকলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্যে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে কম ঘুমান, তারা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়—তা জানা থাকা দরকার।
মানসিক ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে চালু রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) মতে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন—ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্থূলতা ও হতাশা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়সভেদে মানুষের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে অনেকে নিয়মিত এতক্ষণ ঘুমান না। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় রাত জেগে পড়াশোনা করে। এতে কিন্তু স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। এ কারণে পরীক্ষার হলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের স্লিপ মেডিসিনের ফেলো ড. ওরেন কোহেন বলেন, না ঘুমানোর ব্যাপারটার পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। কারণ, বেশিক্ষণ না ঘুমিয়ে থাকলে সেই ব্যক্তি জেগে আছেন নাকি ঘুমিয়ে আছেন—তা বোঝা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত না ঘুমিয়ে থাকলে মস্তিষ্ক ততক্ষণের সংকেত পাঠাতে থাকে যে ব্যক্তিটি ঘুম ও জেগে থাকার মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছেন। যদিও দেখলে মনে হয়, তিনি জেগে আছেন।
এমন অবস্থাকে স্লিপ ইনট্রাকশন বা মাইক্রোস্লিপ বলা হয়। যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকে, তাদের মস্তিষ্ক অনিচ্ছাকৃত অস্বাভাবিক ঘুমের মধ্যে চলে যায়। ফলে মানুষ কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। এমনকি হ্যালুসিনেশন বা মতিভ্রম হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ ডিসঅর্ডার সেন্টারের চিকিৎসক অ্যালন আভিডান বলেন, ‘আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুমাইনি—কথাটি বাড়িয়ে বলা হয়! কারণ, এটি একটি অসম্ভব ঘটনা। দীর্ঘক্ষণ না ঘুমালে জেগে আছি মনে হলেও মস্তিষ্ক অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘুমের মধ্যে চলে যায়।’
ড. কোহেন বলেন, এই ধরনের মাইক্রোস্লিপ ছাড়া কেউ ২৪ ঘণ্টার বেশি জেগে থাকতে পারে না।
অ্যালন আভিডান বলেন, মানুষ আসলেই না ঘুমিয়ে কতক্ষণ থাকতে পারে এবং এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। কারণ, দীর্ঘ সময় না ঘুমিয়ে থাকলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মানুষের ওপর এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অনৈতিক। এটি একধরনের শারীরিক নির্যাতন।
অ্যালন আভিডান আরও বলেন, যদিও না ঘুমিয়ে মানুষ কত দিন থাকতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করা ঠিক না, তবে এমন কিছু মানুষের তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে, যারা ঘুমাতে পারে না। এটি একটি বংশগত বিরল রোগ। এটিকে ‘ফ্যাটাল ফ্যামিলিয়াল ইনসমনিয়া’ (এফএফআই) বলা হয়। জেনেটিক মিউটেশনের (জিন পরিব্যক্তি) ফলে এসব রোগীর মস্তিষ্কে একধরনের অস্বাভাবিক প্রোটিন জমা হয়। ফলে তাদের ঘুমে কমে যায় এবং স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। অস্বাভাবিক প্রোটিনগুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি করে। ফলে এই রোগে আক্রান্ত হলে ১৮ মাসের মধ্যেই বেশির ভাগ রোগী মারা যায়।
১৯৮৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইঁদুর একটানা ১১ থেকে ৩২ দিন পর্যন্ত না ঘুমিয়ে টিকে থাকতে পারে। তবে একপর্যায়ে এদের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে ঘুম নিয়ে মানুষের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। নেচার অ্যান্ড সায়েন্স অব স্লিপ ম্যাগাজিনে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়, ১৬ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকার পরও অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে। তবে ১৬ ঘণ্টার পর তাদের মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তাদের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে।
২০০০ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ ২৪ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকলে রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষ হাত ও চোখের সমন্বয় করতে পারে না। কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেয়। এ ছাড়া কথাবার্তা জড়িয়ে যায়, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। আর কোনো বিষয় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারে না। এত দীর্ঘ সময় নির্ঘুম কাটানোর ফলে শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, ৩৬ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকলে মানুষের রক্তে প্রদাহজনিত উপাদান দেখা যায়, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বিপাকক্রিয়ার গতি ধীর হয়।
একটানা ৭২ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকলে কী হয়—তা নিয়ে খুব অল্পসংখ্যক গবেষণা রয়েছে। এতক্ষণ না ঘুমিয়ে থাকলে মানুষ উদ্বিগ্ন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ও মতিভ্রম হতে পারে।
২০২১ সালের আরেক গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২৬ ঘণ্টা টানা কাজ করার পর ইসরায়েলি আবাসিক সার্জনদের মধ্যে বেশি আবেগ ও চিন্তায় ধীর গতি দেখা গেছে। কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও দেখা যায়।
কর্মক্ষেত্রে যাঁরা পরিবর্তনশীল শিফটে কাজ করেন, তাঁদের ঘুম পর্যাপ্ত হয় না। কারণ, তাঁরা সব সময় একই সময়ে ঘুমাতে যেতে পারেন না এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা দিনের আলো থাকার সময় ঘুমায়। এতে তাঁদের প্রাকৃতিক ঘুমের চক্র বিঘ্নিত হয়। তাঁদের ঘুমও অগভীর হয়। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এ ছাড়া দু-এক দিন কম ঘুমিয়ে পরে সেটি পুষিয়ে নেওয়ার ধারণাও সঠিক নয়। অ্যালন আভিডন বলেন, এক দিনের ঘুমের অভাব আরেক দিন পুষিয়ে নেওয়া যায় না। যারা ঘুম ছাড়া থাকে, তাদের ঘুমের একটি ঋণ তৈরি হয়। প্রতি এক ঘণ্টা কম ঘুম পুষিয়ে নিতে চাইলে পুরো আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
ড. কোহেন বলেন, অপর্যাপ্ত ঘুম অন্যান্য বিষয়েও প্রভাব ফেলে। এর ফলে মানুষের মনোযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। যা মানুষ সাধারণত লক্ষ করতে পারে না। যেমন—অ্যালকোহলের প্রভাবে কেউ মনে করতে পারেন যে গাড়ি চালাতে পারবেন। সে রকম কেউ অল্প ঘুমালেও স্বাভাবিক রয়েছেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে তাঁরা কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
এমন আগ্রহ থেকেই ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া রেন্ডি গার্ডনার একটানা ১১ দিন ও ২৫ মিনিট না ঘুমিয়ে ছিল। স্কুলের বিজ্ঞান মেলার এক প্রকল্পের জন্যই সে এটি করেছিল। তবে এই রেকর্ড ভেঙে দেন রবার্ট ম্যাকডোনাল্ড। তিনি ১৯৮৬ সালে টানা ১৮ দিন ও ২২ ঘণ্টা জেগে ছিলেন। তবে ম্যাকডোনাল্ডকে গার্ডনারের মতো কোনো চিকিৎসক বা অন্য কেউ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেনি।
১৯৭৭ সাল থেকে এই ধরনের বিষয় তালিকাভুক্ত করা বাদ দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। কারণ, বেশি দিন না ঘুমিয়ে থাকলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্যে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে কম ঘুমান, তারা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়—তা জানা থাকা দরকার।
মানসিক ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে চালু রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) মতে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন—ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্থূলতা ও হতাশা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়সভেদে মানুষের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে অনেকে নিয়মিত এতক্ষণ ঘুমান না। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় রাত জেগে পড়াশোনা করে। এতে কিন্তু স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। এ কারণে পরীক্ষার হলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের স্লিপ মেডিসিনের ফেলো ড. ওরেন কোহেন বলেন, না ঘুমানোর ব্যাপারটার পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। কারণ, বেশিক্ষণ না ঘুমিয়ে থাকলে সেই ব্যক্তি জেগে আছেন নাকি ঘুমিয়ে আছেন—তা বোঝা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত না ঘুমিয়ে থাকলে মস্তিষ্ক ততক্ষণের সংকেত পাঠাতে থাকে যে ব্যক্তিটি ঘুম ও জেগে থাকার মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছেন। যদিও দেখলে মনে হয়, তিনি জেগে আছেন।
এমন অবস্থাকে স্লিপ ইনট্রাকশন বা মাইক্রোস্লিপ বলা হয়। যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকে, তাদের মস্তিষ্ক অনিচ্ছাকৃত অস্বাভাবিক ঘুমের মধ্যে চলে যায়। ফলে মানুষ কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। এমনকি হ্যালুসিনেশন বা মতিভ্রম হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ ডিসঅর্ডার সেন্টারের চিকিৎসক অ্যালন আভিডান বলেন, ‘আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুমাইনি—কথাটি বাড়িয়ে বলা হয়! কারণ, এটি একটি অসম্ভব ঘটনা। দীর্ঘক্ষণ না ঘুমালে জেগে আছি মনে হলেও মস্তিষ্ক অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘুমের মধ্যে চলে যায়।’
ড. কোহেন বলেন, এই ধরনের মাইক্রোস্লিপ ছাড়া কেউ ২৪ ঘণ্টার বেশি জেগে থাকতে পারে না।
অ্যালন আভিডান বলেন, মানুষ আসলেই না ঘুমিয়ে কতক্ষণ থাকতে পারে এবং এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। কারণ, দীর্ঘ সময় না ঘুমিয়ে থাকলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মানুষের ওপর এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অনৈতিক। এটি একধরনের শারীরিক নির্যাতন।
অ্যালন আভিডান আরও বলেন, যদিও না ঘুমিয়ে মানুষ কত দিন থাকতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করা ঠিক না, তবে এমন কিছু মানুষের তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে, যারা ঘুমাতে পারে না। এটি একটি বংশগত বিরল রোগ। এটিকে ‘ফ্যাটাল ফ্যামিলিয়াল ইনসমনিয়া’ (এফএফআই) বলা হয়। জেনেটিক মিউটেশনের (জিন পরিব্যক্তি) ফলে এসব রোগীর মস্তিষ্কে একধরনের অস্বাভাবিক প্রোটিন জমা হয়। ফলে তাদের ঘুমে কমে যায় এবং স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। অস্বাভাবিক প্রোটিনগুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি করে। ফলে এই রোগে আক্রান্ত হলে ১৮ মাসের মধ্যেই বেশির ভাগ রোগী মারা যায়।
১৯৮৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইঁদুর একটানা ১১ থেকে ৩২ দিন পর্যন্ত না ঘুমিয়ে টিকে থাকতে পারে। তবে একপর্যায়ে এদের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে ঘুম নিয়ে মানুষের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। নেচার অ্যান্ড সায়েন্স অব স্লিপ ম্যাগাজিনে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়, ১৬ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকার পরও অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে। তবে ১৬ ঘণ্টার পর তাদের মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তাদের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে।
২০০০ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ ২৪ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকলে রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষ হাত ও চোখের সমন্বয় করতে পারে না। কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেয়। এ ছাড়া কথাবার্তা জড়িয়ে যায়, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। আর কোনো বিষয় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারে না। এত দীর্ঘ সময় নির্ঘুম কাটানোর ফলে শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, ৩৬ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকলে মানুষের রক্তে প্রদাহজনিত উপাদান দেখা যায়, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বিপাকক্রিয়ার গতি ধীর হয়।
একটানা ৭২ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকলে কী হয়—তা নিয়ে খুব অল্পসংখ্যক গবেষণা রয়েছে। এতক্ষণ না ঘুমিয়ে থাকলে মানুষ উদ্বিগ্ন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ও মতিভ্রম হতে পারে।
২০২১ সালের আরেক গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২৬ ঘণ্টা টানা কাজ করার পর ইসরায়েলি আবাসিক সার্জনদের মধ্যে বেশি আবেগ ও চিন্তায় ধীর গতি দেখা গেছে। কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও দেখা যায়।
কর্মক্ষেত্রে যাঁরা পরিবর্তনশীল শিফটে কাজ করেন, তাঁদের ঘুম পর্যাপ্ত হয় না। কারণ, তাঁরা সব সময় একই সময়ে ঘুমাতে যেতে পারেন না এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা দিনের আলো থাকার সময় ঘুমায়। এতে তাঁদের প্রাকৃতিক ঘুমের চক্র বিঘ্নিত হয়। তাঁদের ঘুমও অগভীর হয়। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এ ছাড়া দু-এক দিন কম ঘুমিয়ে পরে সেটি পুষিয়ে নেওয়ার ধারণাও সঠিক নয়। অ্যালন আভিডন বলেন, এক দিনের ঘুমের অভাব আরেক দিন পুষিয়ে নেওয়া যায় না। যারা ঘুম ছাড়া থাকে, তাদের ঘুমের একটি ঋণ তৈরি হয়। প্রতি এক ঘণ্টা কম ঘুম পুষিয়ে নিতে চাইলে পুরো আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
ড. কোহেন বলেন, অপর্যাপ্ত ঘুম অন্যান্য বিষয়েও প্রভাব ফেলে। এর ফলে মানুষের মনোযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। যা মানুষ সাধারণত লক্ষ করতে পারে না। যেমন—অ্যালকোহলের প্রভাবে কেউ মনে করতে পারেন যে গাড়ি চালাতে পারবেন। সে রকম কেউ অল্প ঘুমালেও স্বাভাবিক রয়েছেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে তাঁরা কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে