আজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছে। এটি ছিল জ্যোতির্পদার্থবিদ নার্লিকার কল্পনা। তবে ভিনগ্রহীরা আবির্ভূত না হলেও, ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তব হয়ে উঠেছে।
নার্লিকার শুধু কল্পনা প্রবণই ছিলেন না, ছিলেন সাহসীও। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘হয়েল-নার্লিকার তত্ত্ব’। এই তত্ত্বে বলা হয়, মহাবিশ্ব চিরন্তন, এবং তাতে নিয়মিত নতুন পদার্থের সৃষ্টি হচ্ছে, একে বলা হয় কোয়াসি স্টেডি-স্টেট থিওরি।
গত মঙ্গলবার (২১ মে) প্রয়াত হন ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত এই জ্যোতির্পদার্থবিদ। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের থেকেও অনেক এগিয়ে থাকা একজন মানুষ, যিনি বিজ্ঞান শিক্ষায় ভারতীয় গবেষকদের পুরো একটা প্রজন্মকে গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলশিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, তাঁর বাড়ির পরিচারকসহ শত শত মানুষ।
১৯৩৮ সালের ১৯ জুলাই মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কোলহাপুরে জন্মগ্রহণকারী নার্লিকার বেড়ে উঠেছিলেন একটি অন্যরকম পরিবেশে। তাঁর বাবা, বিষ্ণু নার্লিকার ছিলেন অধ্যাপক ও গণিতবিদ। আর মা সুমতি ছিলেন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত। বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ ভি. এস. হুজুরবাজার ছিলেন সম্পর্কে জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকারের মামা।
জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকারের বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় সেন্ট্রাল হিন্দু কলেজে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুল ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ১৯৫৭ সালে হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকে উত্তীর্ণ হন নার্লিকার। এরপর বাবা-মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, মেধাবী নারলিকার উচ্চশিক্ষার জন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে তিনি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ গাণিতিক কোর্সে শীর্ষস্থান অধিকার করেন। সেখানে তিনি জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা ও কসমোলজিতেও তাঁর আগ্রহ গড়ে তোলেন। ১৯৫৯ সালে তিনি এই কলেজ থেকে ম্যাথমেটিক্স ট্রাইপোজে ‘সিনিয়র র্যাঙ্গলার’ (Senior Wranglar) পদক অর্জন করেন যা তৎকালীন সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ‘বৌদ্ধিক কৃতিত্ব’ হিসেবে স্বীকৃত হতো।
তবে কেমব্রিজে তাঁর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল পিএইচডি গাইড হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানী স্যার ফ্রেড হয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক। ফ্রেড তখন স্টেডি-স্টেট থিওরি নিয়ে মত্ত। সেই ভাবনার শরিক হন নার্লিকারও। তাঁদেরই যৌথ গবেষণার ফসল ‘হয়েল-নারলিকার তত্ত্ব’, যা সেই সময়ে বিজ্ঞানীমহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এটি ‘কোয়াসি স্টেডি-স্টেট কসমোলজি তত্ত্ব’ বা ‘কনফর্মাল গ্রাভিটি তত্ত্ব’ নামেও পরিচিত। এই থিওরি মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং বিবর্তনের জন্য একটি বিকল্প ব্যাখ্যার প্রস্তাব দেয়, যা সেই সময়ের বিগ ব্যাং তত্ত্বকে (এই তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্বের একটি নির্দিষ্ট শুরু ও শেষ রয়েছে) রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে। এই তত্ত্বের মতে, মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারণশীল অবস্থায় রয়েছে এবং সেখানে ক্রমাগত নতুন নতুন পদার্থ তৈরি হচ্ছে।
১৯৬২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মিথস্ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন নার্লিকার। ১৯৬৩ সালে বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েলের তত্ত্বাবধানে নার্লিকার ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপরে ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের কিংস কলেজে ‘বেরি র্যামসে ফেলো’ (Berry Ramsey Fellow) হিসেবে যুক্ত থাকেন এবং ১৯৬৪ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল কেমব্রিজে ‘ইনস্টিটিউট অব থিয়োরিটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমি’ স্থাপন করলে নার্লিকার সেখানে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (Founder Stuff) পদে যোগ দেন।
নার্লিকার ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কিংস কলেজের একজন ফেলো এবং ইনস্টিটিউট অব থিওরিটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। জ্যোতির্পদার্থবিদদের মহলে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করলে ভারতের বিজ্ঞান মহলে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি ১৯৭২ সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের তাত্ত্বিক জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন।
তবে ভারতে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ছিল অত্যাধুনিক গবেষণা ও বিজ্ঞানের গণতন্ত্রীকরণের জন্য নিবেদিত একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। এই স্বপ্নটি ১৯৮৮ সালে বাস্তবে পরিণত হয়, যখন নার্লিকার অন্যান্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের সঙ্গে, পশ্চিম ভারতের পুনেতে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস (আইইউসিএএ) প্রতিষ্ঠা করেন। ১০০ বর্গফুটের একটি সাধারণ কক্ষ থেকে এই আইইউসিএএ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। নার্লিকার ২০০৩ সাল পর্যন্ত এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবেও সেখানে কাজ চালিয়ে যান।
নার্লিকার আইইউসিএএ-তে শিশু ও সাধারণ মানুষের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার নানা কার্যক্রম চালু করেন। বিজ্ঞান কর্মশালা, বক্তৃতা, স্কুল ক্যাম্প— সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নার্লিকারের ভাবনা। বিজ্ঞান শিক্ষাবিদ অরবিন্দ গুপ্ত বলেন, ‘নার্লিকার বলেছিলেন, পিএইচডি ছাত্ররা আকাশ থেকে পড়ে না, তাদের ছোটবেলা থেকেই খুঁজে আনতে হয়।’
নার্লিকার প্রায় ৩০০-এর বেশি গবেষণাপত্র ছাড়াও বহু জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞান রচনা করেছেন, যেগুলোর অনেকগুলোই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ‘ভাইরাস’ গল্পে তিনি বিশ্বব্যাপী মহামারির চিত্র তুলে ধরেন, যা বাস্তবে ঘটে কয়েক বছরের মধ্যেই (কোভিড-১৯)। ১৯৮৬ সালের বই ‘Waman Parat Na Ala’-তে (মারাঠি ভাষায় রচিত) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক জটিলতাও তুলে ধরেছিলেন তিনি।
নার্লিকার শুধু বিজ্ঞানেই থেমে থাকেননি, কুসংস্কার ও ছদ্মবিজ্ঞানের (অপবিজ্ঞান) বিরুদ্ধেও অবস্থান নেন। ২০০৮ সালে একটি পরিসংখ্যানভিত্তিক গবেষণাপত্রে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোমক রায় চৌধুরীর ভাষায়, ‘তাঁর যুক্তির মূল ভিত্তি ছিল, যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তাকে প্রশ্ন করতে হবে।’

১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছে। এটি ছিল জ্যোতির্পদার্থবিদ নার্লিকার কল্পনা। তবে ভিনগ্রহীরা আবির্ভূত না হলেও, ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তব হয়ে উঠেছে।
নার্লিকার শুধু কল্পনা প্রবণই ছিলেন না, ছিলেন সাহসীও। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘হয়েল-নার্লিকার তত্ত্ব’। এই তত্ত্বে বলা হয়, মহাবিশ্ব চিরন্তন, এবং তাতে নিয়মিত নতুন পদার্থের সৃষ্টি হচ্ছে, একে বলা হয় কোয়াসি স্টেডি-স্টেট থিওরি।
গত মঙ্গলবার (২১ মে) প্রয়াত হন ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত এই জ্যোতির্পদার্থবিদ। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের থেকেও অনেক এগিয়ে থাকা একজন মানুষ, যিনি বিজ্ঞান শিক্ষায় ভারতীয় গবেষকদের পুরো একটা প্রজন্মকে গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলশিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, তাঁর বাড়ির পরিচারকসহ শত শত মানুষ।
১৯৩৮ সালের ১৯ জুলাই মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কোলহাপুরে জন্মগ্রহণকারী নার্লিকার বেড়ে উঠেছিলেন একটি অন্যরকম পরিবেশে। তাঁর বাবা, বিষ্ণু নার্লিকার ছিলেন অধ্যাপক ও গণিতবিদ। আর মা সুমতি ছিলেন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত। বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ ভি. এস. হুজুরবাজার ছিলেন সম্পর্কে জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকারের মামা।
জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকারের বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় সেন্ট্রাল হিন্দু কলেজে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুল ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ১৯৫৭ সালে হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকে উত্তীর্ণ হন নার্লিকার। এরপর বাবা-মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, মেধাবী নারলিকার উচ্চশিক্ষার জন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে তিনি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ গাণিতিক কোর্সে শীর্ষস্থান অধিকার করেন। সেখানে তিনি জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা ও কসমোলজিতেও তাঁর আগ্রহ গড়ে তোলেন। ১৯৫৯ সালে তিনি এই কলেজ থেকে ম্যাথমেটিক্স ট্রাইপোজে ‘সিনিয়র র্যাঙ্গলার’ (Senior Wranglar) পদক অর্জন করেন যা তৎকালীন সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ‘বৌদ্ধিক কৃতিত্ব’ হিসেবে স্বীকৃত হতো।
তবে কেমব্রিজে তাঁর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল পিএইচডি গাইড হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানী স্যার ফ্রেড হয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক। ফ্রেড তখন স্টেডি-স্টেট থিওরি নিয়ে মত্ত। সেই ভাবনার শরিক হন নার্লিকারও। তাঁদেরই যৌথ গবেষণার ফসল ‘হয়েল-নারলিকার তত্ত্ব’, যা সেই সময়ে বিজ্ঞানীমহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এটি ‘কোয়াসি স্টেডি-স্টেট কসমোলজি তত্ত্ব’ বা ‘কনফর্মাল গ্রাভিটি তত্ত্ব’ নামেও পরিচিত। এই থিওরি মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং বিবর্তনের জন্য একটি বিকল্প ব্যাখ্যার প্রস্তাব দেয়, যা সেই সময়ের বিগ ব্যাং তত্ত্বকে (এই তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্বের একটি নির্দিষ্ট শুরু ও শেষ রয়েছে) রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে। এই তত্ত্বের মতে, মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারণশীল অবস্থায় রয়েছে এবং সেখানে ক্রমাগত নতুন নতুন পদার্থ তৈরি হচ্ছে।
১৯৬২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মিথস্ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন নার্লিকার। ১৯৬৩ সালে বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েলের তত্ত্বাবধানে নার্লিকার ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপরে ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের কিংস কলেজে ‘বেরি র্যামসে ফেলো’ (Berry Ramsey Fellow) হিসেবে যুক্ত থাকেন এবং ১৯৬৪ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল কেমব্রিজে ‘ইনস্টিটিউট অব থিয়োরিটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমি’ স্থাপন করলে নার্লিকার সেখানে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (Founder Stuff) পদে যোগ দেন।
নার্লিকার ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কিংস কলেজের একজন ফেলো এবং ইনস্টিটিউট অব থিওরিটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। জ্যোতির্পদার্থবিদদের মহলে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করলে ভারতের বিজ্ঞান মহলে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি ১৯৭২ সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের তাত্ত্বিক জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন।
তবে ভারতে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ছিল অত্যাধুনিক গবেষণা ও বিজ্ঞানের গণতন্ত্রীকরণের জন্য নিবেদিত একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। এই স্বপ্নটি ১৯৮৮ সালে বাস্তবে পরিণত হয়, যখন নার্লিকার অন্যান্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের সঙ্গে, পশ্চিম ভারতের পুনেতে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস (আইইউসিএএ) প্রতিষ্ঠা করেন। ১০০ বর্গফুটের একটি সাধারণ কক্ষ থেকে এই আইইউসিএএ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। নার্লিকার ২০০৩ সাল পর্যন্ত এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবেও সেখানে কাজ চালিয়ে যান।
নার্লিকার আইইউসিএএ-তে শিশু ও সাধারণ মানুষের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার নানা কার্যক্রম চালু করেন। বিজ্ঞান কর্মশালা, বক্তৃতা, স্কুল ক্যাম্প— সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নার্লিকারের ভাবনা। বিজ্ঞান শিক্ষাবিদ অরবিন্দ গুপ্ত বলেন, ‘নার্লিকার বলেছিলেন, পিএইচডি ছাত্ররা আকাশ থেকে পড়ে না, তাদের ছোটবেলা থেকেই খুঁজে আনতে হয়।’
নার্লিকার প্রায় ৩০০-এর বেশি গবেষণাপত্র ছাড়াও বহু জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞান রচনা করেছেন, যেগুলোর অনেকগুলোই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ‘ভাইরাস’ গল্পে তিনি বিশ্বব্যাপী মহামারির চিত্র তুলে ধরেন, যা বাস্তবে ঘটে কয়েক বছরের মধ্যেই (কোভিড-১৯)। ১৯৮৬ সালের বই ‘Waman Parat Na Ala’-তে (মারাঠি ভাষায় রচিত) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক জটিলতাও তুলে ধরেছিলেন তিনি।
নার্লিকার শুধু বিজ্ঞানেই থেমে থাকেননি, কুসংস্কার ও ছদ্মবিজ্ঞানের (অপবিজ্ঞান) বিরুদ্ধেও অবস্থান নেন। ২০০৮ সালে একটি পরিসংখ্যানভিত্তিক গবেষণাপত্রে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোমক রায় চৌধুরীর ভাষায়, ‘তাঁর যুক্তির মূল ভিত্তি ছিল, যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তাকে প্রশ্ন করতে হবে।’

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস
২৪ মে ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস
২৪ মে ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস
২৪ মে ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস
২৪ মে ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগে