
চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের রোবটিক মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির মূল্যবান ধাতু সন্ধান করা হবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সৌরজগৎজুড়ে বিভিন্ন গ্রহ ও গ্রহাণুর মূল্যবান ধাতু খনন করা, যা পৃথিবীতে বিশাল সম্পদ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ম্যাট গিয়ালিচ বলেন, যদি এটি সফল হয়, তাহলে এটি সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হতে পারে। এই কোম্পানিটি একটি রোবোটিক প্রোব তৈরি ও পরিচালনা করছে।
এর আগেও এমন পরিকল্পনা করেছিল ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ নামক এক অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং কোম্পানি। তবে সেই পরিকল্পনা তেমন সফল হয়নি। অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০১৯ সালে বিক্রি হয়ে যায় কোম্পানিটি এবং কখনোই গ্রহাণুতে পৌঁছাতে পারেনি। এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ছিলেন ডেভিড গাম্প।
তবে অ্যাস্ট্রোফোর্জ এবার কিছু আলাদা করার চেষ্টা করছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এই কোম্পানিটি ইতিমধ্যে একটি প্রদর্শনী মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে এবং ৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে। এখন তারা একটি নিকটবর্তী গ্রহাণুর দিকে যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
এই মিশনে ব্যবহার করা হবে অ্যাস্ট্রোফোর্জের দ্বিতীয় রোবোটিক মহাকাশযান ‘ওডিন’। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে রয়েছে। আগামী বুধবার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ হবে রোবটটি। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪৫ মিনিট পর ওডিন আলাদা হয়ে তার একক মহাকাশযাত্রা শুরু করবে। তবে এটি প্রথমে একটি গ্রহাণুর দিকে না গিয়ে চাঁদের দিকে যাত্রা করবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জ-ই মহাকাশে প্রথম বাণিজ্যিক মিশন চালু করতে যাচ্ছে, যা চাঁদ ছাড়াও মহাকাশে পরিচালিত হবে। এটিই প্রথম কোম্পানি, যা গভীর মহাকাশ থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন থেকে অনুমতি পেয়েছে।
প্রথমে, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের লক্ষ্য অ্যাস্টেরয়েডটি গোপন রেখেছিল। তবে জানুয়ারিতে তারা জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হল ‘২০২২ ওবি ৫’ নামক একটি অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুতে পৌঁছানো এবং এতে খনিজ খনন করা। গিয়ালিচ বলছে, এখন তারা আরও আত্মবিশ্বাসী। কারণ, তারা একমাত্র কোম্পানি যারা আসলেই কিছু করতে যাচ্ছে।
প্রায় ১০০ মিটার (ফুটবল মাঠের সমান) আকারের অ্যাস্টেরয়েড হলো—২০২২ ওবি ৫। এটি একটি এম-টাইপ গ্রহাণু হতে পারে, যা উচ্চ পরিমাণে ধাতু ধারণ করে। তবে এই অ্যাস্টেরয়েডের বিশ্লেষণ এখনো প্রকাশিত হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে লোহা, নিকেল এবং এমনকি প্লাটিনাম গ্রুপ ধাতু থাকতে পারে, যা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহার হয়। এমন অ্যাস্টেরয়েড খনন করলে তা পৃথিবীতে প্রচুর মূল্যবান ধাতু নিয়ে আসতে পারে।
যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিচ হান্টার-স্কুলিয়ন বলেন, একটি এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের অ্যাস্টেরয়েড প্লাটিনাম ধারণ করলে এতে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টন প্লাটিনাম থাকতে পারে। তার কোম্পানি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং এই দশকের শেষের দিকে চাঁদে প্রযুক্তি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে।
হান্টার-স্কুলিয়ন আরও বলেন, এটি প্রায় ৬৮০ বছরের বৈশ্বিক প্লাটিনাম সরবরাহ। একটি গ্রহাণু থেকে শতাব্দীভর প্লাটিনামের চাহিদার কথা বলছেন। এমনকি এক হাজার টন প্লাটিনাম পাওয়ায় গেলেও এর মাধ্যমে পরবর্তী অর্ধশতাব্দী ধরে মোবাইল ফোনের জন্য উপকরণ সরবরাহ করা যাবে।
তবে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোর মধ্যে এত মূল্যবান ধাতু পাওয়া যাবে তা নিয়ে সবাই নিশ্চিত নয়।
অ্যাস্ট্রা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জোয়েল সেরসেল বলেন, অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে এত পরিমাণ প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস বা পিএমজি থাকবে না, যা ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভজনক হবে।
মহাকাশের অ্যাস্টেরয়েড খনন ও এর সম্পদ পৃথিবীতে বিক্রির আইন এখনো অস্পষ্ট। ২০১৫ সালে, প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি আইন পাস করেছিলেন, যা অ্যাস্টেরয়েড সম্পদ বিক্রি করার অনুমতি দেয়, তবে এখনো কেউ এই আইনটি পরীক্ষা করেনি।
এখন, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের মিশনের জন্য প্রস্তুত। তারা আশা করছে, এই অভিযান থেকে যা কিছু পাওয়া যাবে, তা পৃথিবীকে এক নতুন সম্পদ দেবে।
২০২৫ সালের শেষের দিকে প্রায় ৩০০ দিনের দীর্ঘ যাত্রার পর। ২০২২ ওবি ৫ অ্যাস্টেরয়েডে পৌঁছাবে ওডিন এই অ্যাস্টেরয়েড সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো একই কক্ষপথে ঘোরে। মহাকাশযানটি অ্যাস্টেরয়েডটির খুব কাছ দিয়ে যাবে। প্রায় এক কিলোমিটার (শূন্য ৬ মাইল) দূরত্বে থেকে দুটি সাদা-কালো ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তুলবে। এই ঘটনাটি মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে। আর শেষ ৫ মিনিটে ভালো ছবিগুলো পাওয়া যাবে।
এই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যাবে গ্রহাণুতে এসব ধাতু রয়েছে কি না।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রথম মিশন ছিল ব্রোকক্র-১, যা এপ্রিল ২০২৩-এ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল অ্যাস্টেরয়েড পরিশোধন প্রযুক্তি পরীক্ষা করা। এটি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে যায়। তবে, এই মিশনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের প্রযুক্তি উন্নত করেছে, যা পরবর্তী মিশনগুলোর সফলতার জন্য সহায়ক হতে পারে।
ভেস্ট্রি মিশনটি অ্যাস্ট্রোফোর্জের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিশ্রুতিশীল মিশন হবে, যা ২০২৬ সালের দিকে উৎক্ষেপণ করা হবে। মিশনটির লক্ষ্য হলো অ্যাস্টেরয়েডে অবতরণ এবং সেখানে ধাতব উপাদান পরিমাপ করা। ভেস্ট্রি মহাকাশযানটি ফ্রিজারের আকারের হবে এবং এর অবতরণের জন্য নিয়োজিত পা গুলোতে চুম্বক থাকবে, যা অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠে আটকে যেতে সাহায্য করবে। এই মিশনের মাধ্যমে প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস এর পরিমাণও নির্ণয় করা হবে।
আর নাসার পসাইকি মিশন ২০২৯ সালে শুরু হবে এবং এটি অ্যাস্টেরয়েড পসাইকি অভিমুখে যাত্রা করবে। পসাইকি অ্যাস্টেরয়েডটি একটি সম্ভাব্য ধাতব টুকরা হতে পারে। নাসা এই মিশনের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হবে। এটি এমন একটি মিশন যা অ্যাস্টেরয়েডের মেটালিক উপাদান সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করব এবং যদি এটি একটি ক্ষতিগ্রস্ত প্ল্যানেটের কোরের অংশ হয়, তবে তা আরও স্পষ্ট হবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রধান পরামর্শদাতা লিন্ডি এলকিন্স-ট্যান্টন বলেছেন, ‘গভীর মহাকাশে বাণিজ্যিক মিশনগুলোর সুযোগ অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং এটি ছোট ও দ্রুত মিশন পরিচালনা করতে সহায়ক হবে। এটি একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে।’

চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের রোবটিক মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির মূল্যবান ধাতু সন্ধান করা হবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সৌরজগৎজুড়ে বিভিন্ন গ্রহ ও গ্রহাণুর মূল্যবান ধাতু খনন করা, যা পৃথিবীতে বিশাল সম্পদ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ম্যাট গিয়ালিচ বলেন, যদি এটি সফল হয়, তাহলে এটি সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হতে পারে। এই কোম্পানিটি একটি রোবোটিক প্রোব তৈরি ও পরিচালনা করছে।
এর আগেও এমন পরিকল্পনা করেছিল ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ নামক এক অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং কোম্পানি। তবে সেই পরিকল্পনা তেমন সফল হয়নি। অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০১৯ সালে বিক্রি হয়ে যায় কোম্পানিটি এবং কখনোই গ্রহাণুতে পৌঁছাতে পারেনি। এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ছিলেন ডেভিড গাম্প।
তবে অ্যাস্ট্রোফোর্জ এবার কিছু আলাদা করার চেষ্টা করছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এই কোম্পানিটি ইতিমধ্যে একটি প্রদর্শনী মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে এবং ৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে। এখন তারা একটি নিকটবর্তী গ্রহাণুর দিকে যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
এই মিশনে ব্যবহার করা হবে অ্যাস্ট্রোফোর্জের দ্বিতীয় রোবোটিক মহাকাশযান ‘ওডিন’। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে রয়েছে। আগামী বুধবার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ হবে রোবটটি। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪৫ মিনিট পর ওডিন আলাদা হয়ে তার একক মহাকাশযাত্রা শুরু করবে। তবে এটি প্রথমে একটি গ্রহাণুর দিকে না গিয়ে চাঁদের দিকে যাত্রা করবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জ-ই মহাকাশে প্রথম বাণিজ্যিক মিশন চালু করতে যাচ্ছে, যা চাঁদ ছাড়াও মহাকাশে পরিচালিত হবে। এটিই প্রথম কোম্পানি, যা গভীর মহাকাশ থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন থেকে অনুমতি পেয়েছে।
প্রথমে, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের লক্ষ্য অ্যাস্টেরয়েডটি গোপন রেখেছিল। তবে জানুয়ারিতে তারা জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হল ‘২০২২ ওবি ৫’ নামক একটি অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুতে পৌঁছানো এবং এতে খনিজ খনন করা। গিয়ালিচ বলছে, এখন তারা আরও আত্মবিশ্বাসী। কারণ, তারা একমাত্র কোম্পানি যারা আসলেই কিছু করতে যাচ্ছে।
প্রায় ১০০ মিটার (ফুটবল মাঠের সমান) আকারের অ্যাস্টেরয়েড হলো—২০২২ ওবি ৫। এটি একটি এম-টাইপ গ্রহাণু হতে পারে, যা উচ্চ পরিমাণে ধাতু ধারণ করে। তবে এই অ্যাস্টেরয়েডের বিশ্লেষণ এখনো প্রকাশিত হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে লোহা, নিকেল এবং এমনকি প্লাটিনাম গ্রুপ ধাতু থাকতে পারে, যা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহার হয়। এমন অ্যাস্টেরয়েড খনন করলে তা পৃথিবীতে প্রচুর মূল্যবান ধাতু নিয়ে আসতে পারে।
যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিচ হান্টার-স্কুলিয়ন বলেন, একটি এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের অ্যাস্টেরয়েড প্লাটিনাম ধারণ করলে এতে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টন প্লাটিনাম থাকতে পারে। তার কোম্পানি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং এই দশকের শেষের দিকে চাঁদে প্রযুক্তি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে।
হান্টার-স্কুলিয়ন আরও বলেন, এটি প্রায় ৬৮০ বছরের বৈশ্বিক প্লাটিনাম সরবরাহ। একটি গ্রহাণু থেকে শতাব্দীভর প্লাটিনামের চাহিদার কথা বলছেন। এমনকি এক হাজার টন প্লাটিনাম পাওয়ায় গেলেও এর মাধ্যমে পরবর্তী অর্ধশতাব্দী ধরে মোবাইল ফোনের জন্য উপকরণ সরবরাহ করা যাবে।
তবে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোর মধ্যে এত মূল্যবান ধাতু পাওয়া যাবে তা নিয়ে সবাই নিশ্চিত নয়।
অ্যাস্ট্রা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জোয়েল সেরসেল বলেন, অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে এত পরিমাণ প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস বা পিএমজি থাকবে না, যা ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভজনক হবে।
মহাকাশের অ্যাস্টেরয়েড খনন ও এর সম্পদ পৃথিবীতে বিক্রির আইন এখনো অস্পষ্ট। ২০১৫ সালে, প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি আইন পাস করেছিলেন, যা অ্যাস্টেরয়েড সম্পদ বিক্রি করার অনুমতি দেয়, তবে এখনো কেউ এই আইনটি পরীক্ষা করেনি।
এখন, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের মিশনের জন্য প্রস্তুত। তারা আশা করছে, এই অভিযান থেকে যা কিছু পাওয়া যাবে, তা পৃথিবীকে এক নতুন সম্পদ দেবে।
২০২৫ সালের শেষের দিকে প্রায় ৩০০ দিনের দীর্ঘ যাত্রার পর। ২০২২ ওবি ৫ অ্যাস্টেরয়েডে পৌঁছাবে ওডিন এই অ্যাস্টেরয়েড সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো একই কক্ষপথে ঘোরে। মহাকাশযানটি অ্যাস্টেরয়েডটির খুব কাছ দিয়ে যাবে। প্রায় এক কিলোমিটার (শূন্য ৬ মাইল) দূরত্বে থেকে দুটি সাদা-কালো ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তুলবে। এই ঘটনাটি মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে। আর শেষ ৫ মিনিটে ভালো ছবিগুলো পাওয়া যাবে।
এই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যাবে গ্রহাণুতে এসব ধাতু রয়েছে কি না।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রথম মিশন ছিল ব্রোকক্র-১, যা এপ্রিল ২০২৩-এ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল অ্যাস্টেরয়েড পরিশোধন প্রযুক্তি পরীক্ষা করা। এটি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে যায়। তবে, এই মিশনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের প্রযুক্তি উন্নত করেছে, যা পরবর্তী মিশনগুলোর সফলতার জন্য সহায়ক হতে পারে।
ভেস্ট্রি মিশনটি অ্যাস্ট্রোফোর্জের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিশ্রুতিশীল মিশন হবে, যা ২০২৬ সালের দিকে উৎক্ষেপণ করা হবে। মিশনটির লক্ষ্য হলো অ্যাস্টেরয়েডে অবতরণ এবং সেখানে ধাতব উপাদান পরিমাপ করা। ভেস্ট্রি মহাকাশযানটি ফ্রিজারের আকারের হবে এবং এর অবতরণের জন্য নিয়োজিত পা গুলোতে চুম্বক থাকবে, যা অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠে আটকে যেতে সাহায্য করবে। এই মিশনের মাধ্যমে প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস এর পরিমাণও নির্ণয় করা হবে।
আর নাসার পসাইকি মিশন ২০২৯ সালে শুরু হবে এবং এটি অ্যাস্টেরয়েড পসাইকি অভিমুখে যাত্রা করবে। পসাইকি অ্যাস্টেরয়েডটি একটি সম্ভাব্য ধাতব টুকরা হতে পারে। নাসা এই মিশনের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হবে। এটি এমন একটি মিশন যা অ্যাস্টেরয়েডের মেটালিক উপাদান সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করব এবং যদি এটি একটি ক্ষতিগ্রস্ত প্ল্যানেটের কোরের অংশ হয়, তবে তা আরও স্পষ্ট হবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রধান পরামর্শদাতা লিন্ডি এলকিন্স-ট্যান্টন বলেছেন, ‘গভীর মহাকাশে বাণিজ্যিক মিশনগুলোর সুযোগ অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং এটি ছোট ও দ্রুত মিশন পরিচালনা করতে সহায়ক হবে। এটি একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে।’

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির খনিজ উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে...
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির খনিজ উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে...
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির খনিজ উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে...
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির খনিজ উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে...
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৩ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে