অনলাইন ডেস্ক
শনি গ্রহের চারপাশে ১২৮টি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই চমকপ্রদ আবিষ্কারের মাধ্যমে চাঁদের সংখ্যার দিক থেকে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গেল শনি গ্রহ। তাইওয়ান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একত্রে এই আবিষ্কার করেন।
এই আবিষ্কারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএইউ)। এর ফলে শনি গ্রহের মোট চাঁদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৪, যা বৃহস্পতির (৯৫টি) চাঁদের তুলনায় অনেক বেশি।
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৬২টি নতুন বস্তু চিহ্নিত হয়েছিল, যা প্রথমে চাঁদ হিসেবে নিশ্চিত করা না গেলেও পরবর্তীতে এগুলো সম্ভবত চাঁদ হিসেবেই পরিগণিত হয়।
তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিসিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড অ্যাশটন বলেন, আরও অনেক চাঁদ হয়তো আবিষ্কৃত হতে বাকি আছে, এটি জানার পর আমরা ২০২৩ সালে পরপর তিনটি মাস একই আকাশক্ষেত্রগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করেছি। অবশেষে ১২৮টি নতুন চাঁদ আবিষ্কৃত হয়।
তবে এগুলো পৃথিবীর চাঁদের মতো বড়, সুন্দর এবং গোলাকার নয়। এগুলো ছোট ছোট চাঁদ, যা আলুর মতো আকৃতির। এগুলো মাত্র কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত। এগুলোকে একত্রে ‘ইরেগুলার মুনস’ বলা হয়।
বর্তমানে এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে সংখ্যা ও অক্ষরের সমন্বয়ে। ভবিষ্যতে শনি গ্রহের চাঁদগুলোর জন্য প্রচলিত রীতির অনুসরণ করে গ্যালিক, নর্স এবং কানাডীয় ইনুইট দেবতাদের নামে এগুলোর নামকরণ করা হবে।
চাঁদগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে ‘শিফট অ্যান্ড স্ট্যাক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরপর ছবি তুলে চাঁদগুলোর চলার পথ অনুসরণ করেন। এরপর সেগুলো একত্রিত করলে চাঁদগুলোর উজ্জ্বল ছবি পাওয়া যায়।
গবেষকেরা মনে করছেন, এসব চাঁদ সম্ভবত সৌরজগতের প্রাথমিক পর্যায়ে শনি গ্রহের কক্ষপথে একদল বস্তু হিসেবে ছিল, যা পরবর্তীতে একাধিক সংঘর্ষের মাধ্যমে ছোট ছোট টুকরোয় পরিণত হয়।
গবেষকেরা আরও জানাচ্ছেন, এটি সম্ভবত ১০ কোটি বছরের মধ্যে একটি সংঘর্ষের ফল, যা তুলনামূলকভাবে শনি গ্রহের ইতিহাসে একটি খুব সংক্ষিপ্ত সময়।
শনি গ্রহের নর্স গ্রুপ নামক চাঁদগুলো কক্ষপথে বিপরীত এবং কাত হয়ে ঘোরে। তাদের অবস্থানও এই সংঘর্ষের ঘটনার প্রমাণ দেয়। নতুন আবিষ্কৃত চাঁদগুলোও এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃহস্পতির ৯৫টি চাঁদ আবিষ্কৃত হয়।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট ও দ্য গার্ডিয়ান
আরও খবর পড়ুন:
শনি গ্রহের চারপাশে ১২৮টি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই চমকপ্রদ আবিষ্কারের মাধ্যমে চাঁদের সংখ্যার দিক থেকে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গেল শনি গ্রহ। তাইওয়ান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একত্রে এই আবিষ্কার করেন।
এই আবিষ্কারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএইউ)। এর ফলে শনি গ্রহের মোট চাঁদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৪, যা বৃহস্পতির (৯৫টি) চাঁদের তুলনায় অনেক বেশি।
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৬২টি নতুন বস্তু চিহ্নিত হয়েছিল, যা প্রথমে চাঁদ হিসেবে নিশ্চিত করা না গেলেও পরবর্তীতে এগুলো সম্ভবত চাঁদ হিসেবেই পরিগণিত হয়।
তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিসিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড অ্যাশটন বলেন, আরও অনেক চাঁদ হয়তো আবিষ্কৃত হতে বাকি আছে, এটি জানার পর আমরা ২০২৩ সালে পরপর তিনটি মাস একই আকাশক্ষেত্রগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করেছি। অবশেষে ১২৮টি নতুন চাঁদ আবিষ্কৃত হয়।
তবে এগুলো পৃথিবীর চাঁদের মতো বড়, সুন্দর এবং গোলাকার নয়। এগুলো ছোট ছোট চাঁদ, যা আলুর মতো আকৃতির। এগুলো মাত্র কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত। এগুলোকে একত্রে ‘ইরেগুলার মুনস’ বলা হয়।
বর্তমানে এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে সংখ্যা ও অক্ষরের সমন্বয়ে। ভবিষ্যতে শনি গ্রহের চাঁদগুলোর জন্য প্রচলিত রীতির অনুসরণ করে গ্যালিক, নর্স এবং কানাডীয় ইনুইট দেবতাদের নামে এগুলোর নামকরণ করা হবে।
চাঁদগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে ‘শিফট অ্যান্ড স্ট্যাক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরপর ছবি তুলে চাঁদগুলোর চলার পথ অনুসরণ করেন। এরপর সেগুলো একত্রিত করলে চাঁদগুলোর উজ্জ্বল ছবি পাওয়া যায়।
গবেষকেরা মনে করছেন, এসব চাঁদ সম্ভবত সৌরজগতের প্রাথমিক পর্যায়ে শনি গ্রহের কক্ষপথে একদল বস্তু হিসেবে ছিল, যা পরবর্তীতে একাধিক সংঘর্ষের মাধ্যমে ছোট ছোট টুকরোয় পরিণত হয়।
গবেষকেরা আরও জানাচ্ছেন, এটি সম্ভবত ১০ কোটি বছরের মধ্যে একটি সংঘর্ষের ফল, যা তুলনামূলকভাবে শনি গ্রহের ইতিহাসে একটি খুব সংক্ষিপ্ত সময়।
শনি গ্রহের নর্স গ্রুপ নামক চাঁদগুলো কক্ষপথে বিপরীত এবং কাত হয়ে ঘোরে। তাদের অবস্থানও এই সংঘর্ষের ঘটনার প্রমাণ দেয়। নতুন আবিষ্কৃত চাঁদগুলোও এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃহস্পতির ৯৫টি চাঁদ আবিষ্কৃত হয়।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট ও দ্য গার্ডিয়ান
আরও খবর পড়ুন:
নাসার পারসিভারেন্স রোভারের (রোবট) মাধ্যমে মঙ্গলে প্রথমবারের মতো মহাকাশযাত্রীর স্যুটের কিছু উপকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। ২০২১ সালে মঙ্গলে অবতরণ করা পারসিভারেন্স রোভারটি এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ছাড়াও, মঙ্গলে মানব অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিও নিচ্ছে। রোভারটি মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে পাঁচটি ম
১০ ঘণ্টা আগেসমুদ্রের নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত হাঙর। কারণ অন্যান্য মাছের মতো শব্দ উৎপাদনকারী অঙ্গ এদের নেই। তবে এক নতুন গবেষণায় প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, বেলুন ফাটানোর মতো শব্দ তৈরি করতে পারে এক প্রজাতির হাঙর।
১ দিন আগেমঙ্গলগ্রহে সবচেয়ে বড় জৈব যৌগ আবিষ্কার করেছে নাসার কিউরিওসিটি রোভার। গ্রহটিতে একসময় প্রাণের বিকাশ হয়েছিল কি না, তা জানার নতুন পথ খুলে দিল এই আবিষ্কার। এই জৈব যৌগগুলো ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন বছর পুরোনো একটি শিলার নমুনায় পাওয়া গেছে।
২ দিন আগেবর্তমানে পৃথিবীজুড়ে একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক দূষণ। এটি এমন একটি উপাদান, যা আধুনিক জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশে বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে। এবার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
৩ দিন আগে