Ajker Patrika

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা আমি সমর্থন করছি না: মান্না

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও নির্বাচন—শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও নির্বাচন—শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রস্তাবটি সুন্দর হলেও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এটিকে আমি আপাতত সমর্থন করছি না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও নির্বাচন’—শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

মান্না বলেন, ‘যে স্বৈরাচারকে এত কষ্ট করে লড়াই করে ফেলে দিয়েছি, সেই স্বৈরাচারের ভোটের হার এখনো অনেক বেশি। সংখ্যানুপাতিক হারে ভোট হলে তারা অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। তা ছাড়া ওই দল যদি ভোট করার সুযোগ পায়, তাদের পদত্যাগ বিষয়ে বিতর্ক হতে পারে হতে পারে। কিন্তু সরকার বলছে না, আমরা নিষিদ্ধ করব না। নিষিদ্ধ যদি না করেন, তাহলে তারা নির্বাচন করবে না কেন।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রস্তাবটি খুবই সুন্দর। আমার জন্য বেশি সুন্দর, কিন্তু সমগ্র জাতির জন্য নয়। এতে আওয়ামী লীগের যদি ৪০টা এমপি আসে, তারপর আমি এমপি থাকতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। তারা বলবে, জনগণের রায় আমাদের পক্ষে, তুমি কে? কয়টা ভোট পেয়েছ তুমি? তোমার কয়টা এমপি আছে?’

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে মান্না বলেন, ‘গত পরশু এবং গতকালও আওয়ামী লীগের লোকজন লিফলেট বিতরণ করেছে। কীভাবে করতে পারল তারা? আমাদের পুলিশ কি করেছে? তারপর দেখলাম, আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, এরপর কেউ করলে তাকে অ্যারেস্ট করা হবে। তারা তো ঘোষণা দিয়েছে ১৫ দিন আগে, ১৫ দিন ধরে আপনারা কি করলেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রশাসন এখনো তৈরি করতে পারেনি। আমরা সফলতা কামনা করছি, কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। তারা যদি সফল হতে পারত, তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না।’

নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই নৃশংসভাবে আমাদের দেশের শিশু-কিশোর, শ্রমজীবী মানুষদের যে নির্বিচারে গুলি করে মারা হয়েছে সেটার বিচার চান। আমিও এর বিচার চাই। কিন্তু আপনি বললেন, বিচার করার আগে ভোট হবে না। বিচার করতে কত দিন লাগবে? আপনি আদালতকে বলতে পারবেন, বিচার শেষ করতে হবে। তাহলে তো আদালতে হস্তক্ষেপ করা হয়। কিন্তু আদালত যদি মনে করে, বিচার করতে আরও সময় লাগবে এবং বিচার করতে যদি পাঁচ বছর লাগে, তাহলে কি পাঁচ বছর পরে নির্বাচন করবেন? সম্ভব? দ্রব্যমূল্য দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে, এত দিনেও সরকার কি কিছু করতে পেরেছে? বাস্তবতা মেনে নিতে হবে, শুধু আবেগ দিয়ে চললে আমাদের সমস্যা সমাধান হবে না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণমুক্তি জোটের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, লে. জেনারেল (অব.) আমিনুল করিমসহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলেন মেঘনা আলম, মনোনয়নপত্র নিলেন ঢাকা-৮ আসনের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মেঘনা আলম। ছবি: মেঘনা আলমের ফেসবুক পেজ থেকে
মেঘনা আলম। ছবি: মেঘনা আলমের ফেসবুক পেজ থেকে

নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিয়েছেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম। যোগদানের পরপরই মতিঝিল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসন থেকে দলটির হয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেঘনা আলম গণঅধিকার পরিষদের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে ঢাকা-৮ আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

গণঅধিকারে যোগ দিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে মেঘনা আলম জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।

এ ছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ বছরের ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। মামলায় মেঘনা আলম, তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে ৫০ লাখ ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় ২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১১
৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে জামায়াত

কৃষি ও কৃষি প্রাধান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার কারণে আগামী ৩ জানুয়ারির ঘোষিত সমাবেশ স্থগিত করেছে জামায়াতে ইসলামী।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি দেশের ৯টি কৃষি ও কৃষি প্রাধান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত ৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হলো।

বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষ করে ওসমান হাদির শহীদ হওয়ার ঘটনা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু সামনে রেখে এই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপির আরেক নেত্রী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৩
এনসিপির নেত্রী মনিরা শারমিন। ছবি: ফেসবুক
এনসিপির নেত্রী মনিরা শারমিন। ছবি: ফেসবুক

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন।

মনিরা শারমিন লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ ৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্ট এর চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

গণচাঁদা বা অনুদানের বিষয়ে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ক্রাউড ফান্ডিং করে নির্বাচনের অনুদান নিয়েছি। আমাকে যারা অনুদান দিয়েছেন, তারা এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখে ডোনেট করেছেন। যারা নিজেদের ডোনেশন ফেরত চান, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। সেই সংখ্যাটা ১ জন হলেও আমার দায়বদ্ধতা হল, অনুদানের অর্থ ফেরত দেয়া। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদানের অর্থ ফেরত দেব বিকাশের মাধ্যমে। যারা আমাকে অনুদান দিয়েছেন, আমার কঠিন পথে সাহস যুগিয়েছেন, অনেক আশার কথা লিখেছেন, তাদের এই মুহূর্তের জনয় হতাশ করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে জানবেন, আমি ক্ষমতার রাজনীতি করতে আসি নাই। রাজনীতি পরিবর্তনের বয়ান দিয়ে সিট ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় যেয়ে নিজেদের দলের প্রতি, মানুষের প্রতি বেইনসাফি করব না। জনতার কথা ও নতুন রাজনীতির কথা আপনাদের হয়ে বলতে থাকব ইনশাল্লাহ।’

পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে আমার দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসনের বিনিময়ে এনসিপির কিছু মানুষ মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো: সামান্তা শারমিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সামান্তা শারমিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সামান্তা শারমিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।

এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’

প্রতিক্রিয়ায় সামান্তা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর প্রেস কনফারেন্স থেকে জানতে পারলাম এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশের দিন জোটের মুখপাত্র ও এনসিপির আহ্বায়কের বক্তব্য অনুযায়ী তা হওয়ার কথা নয়। এমনকি তিন দলের একটি দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে আসন সমঝোতার দিকে গেছে এনসিপি তাও উল্লেখ করেছেন।’

এমন নির্বাচনী জোটের ব্যাপারে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শক্তি তৈরির উদ্যোগকে ব্যাহত করে এমন অবস্থান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি এনসিপির এত দিনের সকল বক্তব্যকে ধারণ করি, স্বাগত জানাই।’

সামান্তা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫.৩০-এ দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’

জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে শুরু থেকেই এনসিপির অভ্যন্তরে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে এরই মধ্যে দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আরও অনেকের পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না, যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সকল বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত