নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে ইঙ্গিত করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে, উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথা শিগগির সম্ভব জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, এই সর্বোচ্চ জন-আকাঙক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে। এর অন্যথা হলে জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যে বিষয়গুলো এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমাদের আগের প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক এবং সে ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না—তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হয়েছে, বিজয়ী হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান; কিন্তু গত সাড়ে ৯ মাসে জনপ্রত্যাশা বা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু এর মধ্যে পূরণ হয়েছে, তা একটি বিশাল প্রশ্নের সম্মুখীন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখার কথা ছিল। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই বক্তব্য আমরা বারবার উচ্চারণ করেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে ও কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে— এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে; উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
লিখিত বক্তব্যে মোশারফ আরও বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার গতকালকের বক্তব্য আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁকে অব্যাহতি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা ইতিপূর্বে অনেকবার উত্থাপন করেছি। যেহেতু একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এই সরকারের প্রধান কাজ, তাই মাথাভারী উপদেষ্টা পরিষদ না রেখে শুধু রুটিন ওয়ার্ক (দৈনন্দিন কার্যক্রম) পরিচালনার জন্য একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাখাই বাঞ্ছনীয়।’
অন্তর্বর্তী অস্থায়ী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, অথচ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন যে, এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কি না, সেটা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানায় দলটি। এ ছাড়া এমন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে দেশের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে যাতে দেশে অস্থিতিশীল কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেয় দলটি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘‘সংস্কার সনদ’’ তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যেই আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও একই বিষয়গুলো নিয়ে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে একটি দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি আমাদের ও সরকারকে বিব্রত করে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন চায়। সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সব ক্ষেত্রে আমাদের মতামত না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন করায় নির্বাচন কমিশনকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান করেছে, সুতরাং আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আশা করব, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অতিসত্বর সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে জনাব ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা নেবে।’
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয়, তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই সরকারের সক্ষমতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং অন্যদেরও একই প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ের ন্যায্যতা প্রদান করেছে। এই অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই সরকারের বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যজনক।’
ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারকার্য চলমান থাকবে জানিয়ে খন্দকার মোশারফ আরও বলেন, যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ও ব্যক্তির অর্থাৎ দল ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে ইঙ্গিত করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে, উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথা শিগগির সম্ভব জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, এই সর্বোচ্চ জন-আকাঙক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে। এর অন্যথা হলে জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যে বিষয়গুলো এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমাদের আগের প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক এবং সে ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না—তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হয়েছে, বিজয়ী হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান; কিন্তু গত সাড়ে ৯ মাসে জনপ্রত্যাশা বা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু এর মধ্যে পূরণ হয়েছে, তা একটি বিশাল প্রশ্নের সম্মুখীন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখার কথা ছিল। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই বক্তব্য আমরা বারবার উচ্চারণ করেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে ও কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে— এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে; উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
লিখিত বক্তব্যে মোশারফ আরও বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার গতকালকের বক্তব্য আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁকে অব্যাহতি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা ইতিপূর্বে অনেকবার উত্থাপন করেছি। যেহেতু একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এই সরকারের প্রধান কাজ, তাই মাথাভারী উপদেষ্টা পরিষদ না রেখে শুধু রুটিন ওয়ার্ক (দৈনন্দিন কার্যক্রম) পরিচালনার জন্য একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাখাই বাঞ্ছনীয়।’
অন্তর্বর্তী অস্থায়ী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, অথচ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন যে, এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কি না, সেটা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানায় দলটি। এ ছাড়া এমন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে দেশের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে যাতে দেশে অস্থিতিশীল কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেয় দলটি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘‘সংস্কার সনদ’’ তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যেই আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও একই বিষয়গুলো নিয়ে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে একটি দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি আমাদের ও সরকারকে বিব্রত করে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন চায়। সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সব ক্ষেত্রে আমাদের মতামত না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন করায় নির্বাচন কমিশনকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান করেছে, সুতরাং আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আশা করব, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অতিসত্বর সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে জনাব ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা নেবে।’
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয়, তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই সরকারের সক্ষমতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং অন্যদেরও একই প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ের ন্যায্যতা প্রদান করেছে। এই অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই সরকারের বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যজনক।’
ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারকার্য চলমান থাকবে জানিয়ে খন্দকার মোশারফ আরও বলেন, যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ও ব্যক্তির অর্থাৎ দল ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি।
৬ ঘণ্টা আগে
নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। কিন্তু এই সমঝোতার রূপরেখা বা ধরন কেমন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জুলাইয়ের তরুণ আন্দোলনকারীদের গড়া দলটি।
এদিকে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা কিংবা জোট করা নিয়ে গঠনের এক মাস না পেরোতেই ভাঙনের সুর বাজছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নির্বাহী কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু এই সমঝোতার ধরন কী হবে, কত আসনে সমঝোতা হবে, জোট হবে, নাকি শুধুই আসন সমঝোতা হবে; সেসব বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা এখনো চলমান। আলোচনার অগ্রগতিও ভালোই।’ কত আসনে সমঝোতা হচ্ছে জানতে চাইলে আযাদ বলেন, ‘কত আসনে সমঝোতা হবে সে রকম আলোচনা এখনো হয়নি। আগে নির্বাচনী সমঝোতার আলোচনা চূড়ান্ত হবে, তারপর অবস্থা ও অবস্থান বুঝে আসন সমঝোতার আলাপ হবে।’
এনসিপিকে ৩০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জনকে নাকচ করে দিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এ রকম আলোচনা আমাদের মধ্যে হয়নি।’
তবে আসনের বিষয়ে এনসিপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘৩০ আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত আলাপ হয়নি। কিন্তু সংখ্যার বিষয়ে প্রাথমিক একটি ধারণা পাওয়ার পরেই আলোচনা এগিয়েছে।’
এনসিপির নেতারা বলছেন, দলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। উল্লেখযোগ্য একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে থাকার পক্ষে। আর ক্ষুদ্র একটি অংশ চায় বিএনপির সঙ্গে জোট। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশের বিরোধিতার কারণে বৃহস্পতিবার রাতের পর জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে একটি ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে। অনেক নেতা চাইছেন, জামায়াতকে সঙ্গী করার আগে এনসিপি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করুক যে এটা শুধুই একটি নির্বাচনী কৌশলগত সমঝোতা। এ সমঝোতার সঙ্গে আদর্শগত কোনো সম্পর্ক নেই।
এনসিপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা, তাঁদের জিতে আসার সম্ভাবনা; এ রকম নানা বিষয় বিবেচনা করে কৌশলগত কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক আদর্শগত জায়গা থেকে এক হওয়ার কোনো বিষয় জড়িত নয়। ভারতসহ নানা দেশে এ ধরনের জোট দেখা যায়। অনেক সময় বাম বা মধ্যপন্থীরাও নির্বাচনী কৌশলগত কারণে ডানপন্থীদের সঙ্গে এক হয়।’
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। দুই দলের নেতারাই বলেছেন, শেষ পর্যন্ত কত আসনে সমঝোতা হবে তা নিষ্পত্তি হতে সে দিনটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ সমঝোতার শর্ত হিসেবে দুই দল থেকেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রার্থীকে তুলে নিতে হবে।
জোট ভাঙার আভাস?
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার সকালে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দেন এর নেতারা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম জানান, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের দুই দল এনসিপি ও এবি পার্টি বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা করছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে খবর রটেছে। যদিও এসব বিষয়ে জোটের আরেক শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। কাইয়ূম বলেন, খবরটি সত্যি হয়ে থাকলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আর এই জোটে থাকবে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অভিযোগ করেন, এনসিপি ও এবি পার্টি জোটের আকাঙ্ক্ষা মানছে না। তিনি বলেন, ‘এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করতে গেছে– এ কথা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাউর হওয়ার পর আমাদের দল, দলের বাইরের লোকজন, শুভানুধ্যায়ী, যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে মনে করেন, তাঁদের মধ্যে একধরনের কনফিউশন (সংশয়) সৃষ্টি হয়েছে যে, জোটের অংশীদার হয়ে আমরা জামায়াতের কাছে চলে যাচ্ছি।’
কাইয়ূম বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বিএনপি বা জামায়াত এ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে না। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে তারা জাতিকে বিভক্ত করছে। এই বিভাজনের কোনো অংশ আমরা হতে চাই না।’
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট ভেঙে গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে চাই বলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারছি, না এটা ভেঙে গেছে। তবে সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন খবরে যা শোনা যাচ্ছে, যদি সেগুলো সত্য হয়, তাহলে কার্যত এই জোট এক্সিস্ট (অস্তিত্বশীল থাকা) করবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র মঞ্চের অংশ। সেই জোট থেকে বেরিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর এনসিপির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে যোগ দেয় দলটি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। কিন্তু এই সমঝোতার রূপরেখা বা ধরন কেমন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জুলাইয়ের তরুণ আন্দোলনকারীদের গড়া দলটি।
এদিকে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা কিংবা জোট করা নিয়ে গঠনের এক মাস না পেরোতেই ভাঙনের সুর বাজছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নির্বাহী কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু এই সমঝোতার ধরন কী হবে, কত আসনে সমঝোতা হবে, জোট হবে, নাকি শুধুই আসন সমঝোতা হবে; সেসব বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা এখনো চলমান। আলোচনার অগ্রগতিও ভালোই।’ কত আসনে সমঝোতা হচ্ছে জানতে চাইলে আযাদ বলেন, ‘কত আসনে সমঝোতা হবে সে রকম আলোচনা এখনো হয়নি। আগে নির্বাচনী সমঝোতার আলোচনা চূড়ান্ত হবে, তারপর অবস্থা ও অবস্থান বুঝে আসন সমঝোতার আলাপ হবে।’
এনসিপিকে ৩০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জনকে নাকচ করে দিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এ রকম আলোচনা আমাদের মধ্যে হয়নি।’
তবে আসনের বিষয়ে এনসিপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘৩০ আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত আলাপ হয়নি। কিন্তু সংখ্যার বিষয়ে প্রাথমিক একটি ধারণা পাওয়ার পরেই আলোচনা এগিয়েছে।’
এনসিপির নেতারা বলছেন, দলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। উল্লেখযোগ্য একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে থাকার পক্ষে। আর ক্ষুদ্র একটি অংশ চায় বিএনপির সঙ্গে জোট। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশের বিরোধিতার কারণে বৃহস্পতিবার রাতের পর জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে একটি ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে। অনেক নেতা চাইছেন, জামায়াতকে সঙ্গী করার আগে এনসিপি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করুক যে এটা শুধুই একটি নির্বাচনী কৌশলগত সমঝোতা। এ সমঝোতার সঙ্গে আদর্শগত কোনো সম্পর্ক নেই।
এনসিপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা, তাঁদের জিতে আসার সম্ভাবনা; এ রকম নানা বিষয় বিবেচনা করে কৌশলগত কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক আদর্শগত জায়গা থেকে এক হওয়ার কোনো বিষয় জড়িত নয়। ভারতসহ নানা দেশে এ ধরনের জোট দেখা যায়। অনেক সময় বাম বা মধ্যপন্থীরাও নির্বাচনী কৌশলগত কারণে ডানপন্থীদের সঙ্গে এক হয়।’
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। দুই দলের নেতারাই বলেছেন, শেষ পর্যন্ত কত আসনে সমঝোতা হবে তা নিষ্পত্তি হতে সে দিনটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ সমঝোতার শর্ত হিসেবে দুই দল থেকেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রার্থীকে তুলে নিতে হবে।
জোট ভাঙার আভাস?
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার সকালে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দেন এর নেতারা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম জানান, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের দুই দল এনসিপি ও এবি পার্টি বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা করছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে খবর রটেছে। যদিও এসব বিষয়ে জোটের আরেক শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। কাইয়ূম বলেন, খবরটি সত্যি হয়ে থাকলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আর এই জোটে থাকবে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অভিযোগ করেন, এনসিপি ও এবি পার্টি জোটের আকাঙ্ক্ষা মানছে না। তিনি বলেন, ‘এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করতে গেছে– এ কথা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাউর হওয়ার পর আমাদের দল, দলের বাইরের লোকজন, শুভানুধ্যায়ী, যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে মনে করেন, তাঁদের মধ্যে একধরনের কনফিউশন (সংশয়) সৃষ্টি হয়েছে যে, জোটের অংশীদার হয়ে আমরা জামায়াতের কাছে চলে যাচ্ছি।’
কাইয়ূম বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বিএনপি বা জামায়াত এ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে না। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে তারা জাতিকে বিভক্ত করছে। এই বিভাজনের কোনো অংশ আমরা হতে চাই না।’
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট ভেঙে গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে চাই বলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারছি, না এটা ভেঙে গেছে। তবে সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন খবরে যা শোনা যাচ্ছে, যদি সেগুলো সত্য হয়, তাহলে কার্যত এই জোট এক্সিস্ট (অস্তিত্বশীল থাকা) করবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র মঞ্চের অংশ। সেই জোট থেকে বেরিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর এনসিপির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে যোগ দেয় দলটি।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি সরাসরি বাকি দুই উপদেষ্টার নাম নিয়ে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
২২ মে ২০২৫
নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
১০ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে এখন পুরোদমে উজ্জীবিত বিএনপি।
তারেক দেশে ফেরায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে আত্মবিশ্বাস। সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারেও ফিরেছে গতি।
তারেক রহমানের ফেরার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে বলেও মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। একই সঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও সংশয় কেটে গেছে বলছেন তাঁরা।
তারেক রহমানকে এরই মধ্যে ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেকের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা, ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী জনাব তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে, জনগণ উজ্জীবিত হয়েছে।’
দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমান দেশে ফেরায় রাজধানী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিটগুলো নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এত দিন অনেক এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচার কার্যক্রম ছিল ধীরগতির। এখন পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ এবং স্থানীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশের সংখ্যা বাড়ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তাঁরা জানান, নেতৃত্বের সরাসরি উপস্থিতি নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে যেমন সহায়ক হচ্ছে, তেমনি মাঠের কর্মীদের মধ্যেও কাজের তাগিদ বাড়িয়েছে। তারেক রহমান দেশে ফেরার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই নেতা-কর্মীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। গা ছাড়া দেওয়া নেতা-কর্মীরাও গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছেন এখন, মাঠপর্যায়ে কর্মসূচির সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন নেতারা বলছেন, প্রবাসে থেকে দল পরিচালনার কারণে অনেক সময় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব হতো।
দেশে ফিরে তারেক রহমান সরাসরি দিকনির্দেশনা দিতে পারায় সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে সমন্বয় তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন-কেন্দ্রিক বার্তা, স্লোগান ও কর্মসূচি আরও গোছানোভাবে মাঠে নামানো সম্ভব হচ্ছে। তাঁরা আরও বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে দলের রাজনৈতিক বার্তা আরও স্পষ্ট ও ধারাবাহিক হচ্ছে। এত দিন প্রবাস থেকে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তব্য ও নির্দেশনা অনেক সময় বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হওয়ার অভিযোগ ছিল। দেশে থেকে সরাসরি বক্তব্য ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত সেই বিভ্রান্তি কমাবে এবং নির্বাচনী প্রচারে দলের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে সহায়ক হবে।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জানান, আগে অনেক সময় নির্দেশনা পৌঁছাতে দেরি হতো বা বিভ্রান্তি তৈরি হতো। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাছাকাছি থাকায় সিদ্ধান্ত দ্রুত মাঠে বাস্তবায়ন হবে। জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা, ওয়ার্ডভিত্তিক বৈঠক এবং সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও দায়বদ্ধতা দুটিই বাড়াবে। সব মিলিয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিএনপিতে যে চাঙাভাব সৃষ্টি হয়েছে, তা সাংগঠনিক দিক থেকেই নয়, নির্বাচনী প্রচারেও নতুন গতি এনেছে।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান ফিরে আসায় বিএনপি শুধু নয়, দেশ সত্যিকার অর্থে একজন যোগ্য অভিভাবক পেয়েছে।’ তিনি বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসায় নেতা-কর্মীরা অনেক বেশি উজ্জীবিত, অনেক বেশি সাহসী। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে নতুন পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন সারা দেশের নেতা-কর্মীরা।
১৭ বছর পর, বিশেষ করে সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তাঁদের মতে, বিএনপির জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারেক রহমানের ফেরায় যে চাঙাভাব ও নির্বাচনী গতি তৈরি হয়েছে, তা দলকে সাময়িকভাবে শক্তিশালী করেছে। তবে এই গতি কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করবে দল কত দ্রুত অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারে, তার ওপর। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসায় বিএনপিতে যে চাঙাভাব তৈরি হয়েছে, তা বজায় রাখতে হলে সবার আগে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারেক রহমানকে কঠোর হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দলের স্বার্থে সুযোগসন্ধানীদের দূরে রাখতে হবে। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকলে সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।
রাত সোয়া ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সাভার বাজার পার হয় তারেক রহমানের গাড়িবহর। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে এখন পুরোদমে উজ্জীবিত বিএনপি।
তারেক দেশে ফেরায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে আত্মবিশ্বাস। সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারেও ফিরেছে গতি।
তারেক রহমানের ফেরার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে বলেও মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। একই সঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও সংশয় কেটে গেছে বলছেন তাঁরা।
তারেক রহমানকে এরই মধ্যে ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেকের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা, ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী জনাব তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে, জনগণ উজ্জীবিত হয়েছে।’
দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমান দেশে ফেরায় রাজধানী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিটগুলো নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এত দিন অনেক এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচার কার্যক্রম ছিল ধীরগতির। এখন পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ এবং স্থানীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশের সংখ্যা বাড়ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তাঁরা জানান, নেতৃত্বের সরাসরি উপস্থিতি নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে যেমন সহায়ক হচ্ছে, তেমনি মাঠের কর্মীদের মধ্যেও কাজের তাগিদ বাড়িয়েছে। তারেক রহমান দেশে ফেরার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই নেতা-কর্মীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। গা ছাড়া দেওয়া নেতা-কর্মীরাও গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছেন এখন, মাঠপর্যায়ে কর্মসূচির সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন নেতারা বলছেন, প্রবাসে থেকে দল পরিচালনার কারণে অনেক সময় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব হতো।
দেশে ফিরে তারেক রহমান সরাসরি দিকনির্দেশনা দিতে পারায় সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে সমন্বয় তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন-কেন্দ্রিক বার্তা, স্লোগান ও কর্মসূচি আরও গোছানোভাবে মাঠে নামানো সম্ভব হচ্ছে। তাঁরা আরও বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে দলের রাজনৈতিক বার্তা আরও স্পষ্ট ও ধারাবাহিক হচ্ছে। এত দিন প্রবাস থেকে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তব্য ও নির্দেশনা অনেক সময় বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হওয়ার অভিযোগ ছিল। দেশে থেকে সরাসরি বক্তব্য ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত সেই বিভ্রান্তি কমাবে এবং নির্বাচনী প্রচারে দলের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে সহায়ক হবে।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জানান, আগে অনেক সময় নির্দেশনা পৌঁছাতে দেরি হতো বা বিভ্রান্তি তৈরি হতো। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাছাকাছি থাকায় সিদ্ধান্ত দ্রুত মাঠে বাস্তবায়ন হবে। জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা, ওয়ার্ডভিত্তিক বৈঠক এবং সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও দায়বদ্ধতা দুটিই বাড়াবে। সব মিলিয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিএনপিতে যে চাঙাভাব সৃষ্টি হয়েছে, তা সাংগঠনিক দিক থেকেই নয়, নির্বাচনী প্রচারেও নতুন গতি এনেছে।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান ফিরে আসায় বিএনপি শুধু নয়, দেশ সত্যিকার অর্থে একজন যোগ্য অভিভাবক পেয়েছে।’ তিনি বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসায় নেতা-কর্মীরা অনেক বেশি উজ্জীবিত, অনেক বেশি সাহসী। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে নতুন পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন সারা দেশের নেতা-কর্মীরা।
১৭ বছর পর, বিশেষ করে সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তাঁদের মতে, বিএনপির জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারেক রহমানের ফেরায় যে চাঙাভাব ও নির্বাচনী গতি তৈরি হয়েছে, তা দলকে সাময়িকভাবে শক্তিশালী করেছে। তবে এই গতি কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করবে দল কত দ্রুত অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারে, তার ওপর। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসায় বিএনপিতে যে চাঙাভাব তৈরি হয়েছে, তা বজায় রাখতে হলে সবার আগে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারেক রহমানকে কঠোর হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দলের স্বার্থে সুযোগসন্ধানীদের দূরে রাখতে হবে। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকলে সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।
রাত সোয়া ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সাভার বাজার পার হয় তারেক রহমানের গাড়িবহর। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি সরাসরি বাকি দুই উপদেষ্টার নাম নিয়ে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
২২ মে ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
তারেক রহমান নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যাঁরা বিকেল থেকে কষ্ট করেছেন, আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।’
এর আগে, আজ বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তাঁকে বহনকারী বাস ধীরগতিতে চলায় দীর্ঘ ৫ পাঁচ ঘণ্টা পর স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। এই দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর নিরাপত্তাবেষ্টনী হয়ে ছিলেন। তাই সারা দিনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি বিএনপির মধ্যমণি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
তারেক রহমান নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যাঁরা বিকেল থেকে কষ্ট করেছেন, আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।’
এর আগে, আজ বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তাঁকে বহনকারী বাস ধীরগতিতে চলায় দীর্ঘ ৫ পাঁচ ঘণ্টা পর স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। এই দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর নিরাপত্তাবেষ্টনী হয়ে ছিলেন। তাই সারা দিনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি বিএনপির মধ্যমণি।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি সরাসরি বাকি দুই উপদেষ্টার নাম নিয়ে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
২২ মে ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি।
৬ ঘণ্টা আগে
নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক ফেসবুক পোস্টে মিডিয়া সেল জানায়, তারেক রহমান আজ শুক্রবার রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক ফেসবুক পোস্টে মিডিয়া সেল জানায়, তারেক রহমান আজ শুক্রবার রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি সরাসরি বাকি দুই উপদেষ্টার নাম নিয়ে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
২২ মে ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি।
৬ ঘণ্টা আগে
নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
৯ ঘণ্টা আগে