Ajker Patrika

উপদেষ্টা খলিলুরের সঙ্গে আসিফ ও মাহফুজের অব্যাহতি চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ২০: ৩৭
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে ইঙ্গিত করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে, উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।

আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথা শিগগির সম্ভব জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’

খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, এই সর্বোচ্চ জন-আকাঙক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে। এর অন্যথা হলে জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যে বিষয়গুলো এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমাদের আগের প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক এবং সে ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না—তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হয়েছে, বিজয়ী হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান; কিন্তু গত সাড়ে ৯ মাসে জনপ্রত্যাশা বা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু এর মধ্যে পূরণ হয়েছে, তা একটি বিশাল প্রশ্নের সম্মুখীন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখার কথা ছিল। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই বক্তব্য আমরা বারবার উচ্চারণ করেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে ও কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে— এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে; উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।

লিখিত বক্তব্যে মোশারফ আরও বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার গতকালকের বক্তব্য আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাঁকে অব্যাহতি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা ইতিপূর্বে অনেকবার উত্থাপন করেছি। যেহেতু একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এই সরকারের প্রধান কাজ, তাই মাথাভারী উপদেষ্টা পরিষদ না রেখে শুধু রুটিন ওয়ার্ক (দৈনন্দিন কার্যক্রম) পরিচালনার জন্য একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাখাই বাঞ্ছনীয়।’

অন্তর্বর্তী অস্থায়ী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, অথচ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন যে, এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কি না, সেটা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানায় দলটি। এ ছাড়া এমন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে দেশের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে যাতে দেশে অস্থিতিশীল কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেয় দলটি।

এদিকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘‘সংস্কার সনদ’’ তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যেই আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও একই বিষয়গুলো নিয়ে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে একটি দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি আমাদের ও সরকারকে বিব্রত করে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন চায়। সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সব ক্ষেত্রে আমাদের মতামত না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন করায় নির্বাচন কমিশনকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান করেছে, সুতরাং আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আশা করব, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অতিসত্বর সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে জনাব ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা নেবে।’

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয়, তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই সরকারের সক্ষমতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং অন্যদেরও একই প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ের ন্যায্যতা প্রদান করেছে। এই অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই সরকারের বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যজনক।’

ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারকার্য চলমান থাকবে জানিয়ে খন্দকার মোশারফ আরও বলেন, যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ও ব্যক্তির অর্থাৎ দল ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপিসহ তিন দলের নতুন জোট, মুখপাত্র নাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৪
এনসিপিসহ তিন দলের নতুন জোট, মুখপাত্র নাহিদ

তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। আজ রোববার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।

জোটে থাকা দলগুলো হলো—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ জোটের ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনিই জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা একটা ঐক্যপ্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম। তিনদল মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। পরিবর্তনের পক্ষে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে এই ঐক্যপ্রক্রিয়া যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য ঐক্যবদ্ধ চান সবাই। পুরনো বন্দোবস্তে অতিষ্ঠ তারা। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সবার সহযোগিতা পাই না। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তবে আমরা আজ একটা নতুন যাত্রা শুরু করেছি। আমরা ঘোষণা করছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্পিরিড নিয়ে তিনটি দলের ঐকবদ্ধভাবে চলব।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতিহাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘তিন দল নিয়ে এ জেটের যাত্রা শুরু হলেও আগামী তা আরও বর্ধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আখতার হোসেনের বক্তব্যকে ‘সস্তা রাজনীতি’ বলল জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৬
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‘বিএনপি-জামায়াতের মতো দলগুলো অস্ত্রের মহড়ায় কে কার থেকে এগিয়ে যাবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।’—এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের এমন বক্তব্যকে ‘অসত্য, মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানান দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ৬ ডিসেম্বর ঢাকার বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘অস্ত্রের রাজনীতি’ বা ‘অস্ত্রের মহড়া’-সংক্রান্ত যে অভিযোগ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন করেছেন, তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

জুবায়ের যোগ করেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল, শান্তিপ্রিয় ও সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল; যা দেশে আইনের শাসন, শান্তি, শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের ইতিহাস, আদর্শ ও রাজনৈতিক আচরণ কোথাও এমন অভিযোগকে সমর্থন করে না। তাঁর (আখতার হোসেন) এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে জামায়াত অত্যন্ত সংযম ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছে। দেশের জনগণ জানে, জামায়াত কখনোই সহিংসতা বা অবৈধ কর্মকাণ্ডের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। অতএব, তাঁর মতো একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার মুখে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক, অযৌক্তিক ও সস্তা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।

‘আখতার হোসেন তাঁর ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন’—এমন প্রত্যাশা জানিয়ে জুবায়ের বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনকামী, উত্তেজনামূলক ও অসত্য প্রচারণা জাতির জন্য কোনো উপকার বয়ে আনে না। অসত্য বক্তব্য দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

এ ছাড়াও গণমাধ্যম, রাজনৈতিক মহল ও দেশবাসীকে এ ধরনের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান এই জামায়াত নেতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ধর্মের নামে একটি মহল দেশকে বিভক্ত করতে চায়: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একটি মহল ধর্মের নামে দেশকে বিভাজিত করতে চায়। তারা বিএনপিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে চায়। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন চাই না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতো দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই।’

রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ রোববার বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছরে বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে। এসব নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির সামনে কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে বিএনপি। তবে তা বাস্তবায়নের গুরুদায়িত্ব ছাত্রদলের ওপর।’

তরুণদের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নানা পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এতে প্রমাণ হয়, বিএনপি একটি অ্যাডভান্সড রাজনৈতিক দল। অতীতে যা কিছু ভালো, তা বিএনপির হাত ধরে হয়েছে। ১৫ বছর পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। তাই আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’

এ সময় ছাত্রদলকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের অবস্থান গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অভিভাবক বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তারেক রহমান সার্বক্ষণিক তাঁর খোঁজ রাখছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা করছেন। দল-মতনির্বিশেষে সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আশা করি, দেশবাসীর দোয়ায় মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই তাঁকে সুস্থ করে তুলবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আরও কয়েকটি দল গঠন করছে ‘রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্য’। আজ রোববার বিকেল ৪টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এই ঐক্য প্রচেষ্টার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু এক বার্তায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান। তিনি জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে আগ্রহীদের ‘রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্য’ ঘোষণা হবে আজ রোববার বিকেল ৪টায়।

মঞ্জু জানান, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই জোট বা ঐক্য প্রচেষ্টার ঘোষণা আসবে। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) কয়েকটি দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টিও এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দলটি বলেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে আগ্রহীদের ‘রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্য’ ঘোষণা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়াও আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আপাতত তিনটা দলের সমন্বয়ে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী জোট হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত