Ajker Patrika

বিএনপির সঙ্গে ববি হাজ্জাজের বৈঠক, এক দফায় সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩, ১৯: ৫৫
বিএনপির সঙ্গে ববি হাজ্জাজের বৈঠক, এক দফায় সমর্থন

ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বিএনপির সরকার পতনের এক দফায় সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে বৈঠকের পর রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু ও এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। 

বৈঠক প্রসঙ্গে আমীর খসরু ও ববি হাজ্জাজ জানান, আজকের বৈঠকে এক দফার আন্দোলন নিয়ে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। এনডিএম এক দফাকে সমর্থন জানিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। আগামী দিনের কর্মসূচিতে কার্যকর ভূমিকা পালনের কথা বলা হয়েছে এনডিএমের পক্ষ থেকে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলনে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

বৈঠকে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিএমের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খান, যুগ্ম মহাসচিব মমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হিরা, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০১
ফেসবুকে তারেক রহমানের শেয়ার করা ছবি। ছবি: ফেসবুক
ফেসবুকে তারেক রহমানের শেয়ার করা ছবি। ছবি: ফেসবুক
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০১
তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে মিছিল নিয়ে ৩০০ ফুটে আসছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে মিছিল নিয়ে ৩০০ ফুটে আসছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎দীর্ঘ ১৭ বছর তিন মাসের বেশি সময় পর আজ দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)। বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের গুলশান বাসভবন পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজিবি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি রয়েছে।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

‎ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নয়টি সেক্টর ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এস্কর্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাতায়াত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, সমাবেশস্থল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, এভারকেয়ার হাসপাতাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, এভারকেয়ার থেকে গুলশান-২ বাসভবন যাতায়াত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, বাসভবন ও গুলশান পার্টি অফিস, রুফটপ নিরাপত্তা এবং কন্ট্রোলরুম। এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ৪ হাজার ৬৪৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করলেও নিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাতায়াতের সময় সবচেয়ে বেশি ৭৮৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাতজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এপিবিএন-এর এক হাজার ৫৬ জন, ১০০ জন ডিবি পুলিশ, ৬৬ জন এটিইউ ও ৬৬ জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া থাকবেন ১১০ জন নারী পুলিশ সদস্য।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

‎ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমানের প্রটেকশনের জন্য এস্কর্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বিমানবন্দরে এস্কর্ট নিরাপত্তায় একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে ১৫৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এস্কর্ট নিরাপত্তায় থাকবেন দেড় শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য। বিমানবন্দর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িসহ অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া আর কোনো গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। সমাবেশস্থলে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৮২ জন সদস্য। এছাড়া শতাধিক বিএনপি চেয়ারপার্সন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছে বিজিবি মোতায়েন।

‎ডিএমপি ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েনের পাশাপাশি তাঁর বাসা ও অফিসে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সারাদেশ থেকে বিপুল নেতাকর্মীর সমাগমের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল ‎বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সরকার তাঁর (তারেক রহমান) দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিষয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁরা যতটুকু সহযোগিতা চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই মূলত নিরাপত্তা বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তবে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করছে।

গত শনিবার তারেক রহমানের বাসভবন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

‎এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

একই সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের সিলেটে অবতরণ

বিশেষ প্রতিনিধি ও  নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০২
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানটি অবতরণ করে।

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটটি সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বিরতির সময়ে তারেক রহমান বিমানের ভেতরেই অবস্থান করবেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রাবিরতি শেষে উড়োজাহাজটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির অবতরণের কথা রয়েছে। তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ বিরতির পর মাতৃভূমিতে ফেরার অনুভূতির কথা জানান তারেক রহমান। ছবির ক্যাপশনে লেখেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

বিমানের ভেতরে তারকে রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদার রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিমানের ভেতরে তারকে রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদার রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

একই পোস্ট শেয়ার করেছেন তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান। তিনিও একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

১৭ বছর ৩ মাস ১৪ দিন। শুধু দিনের হিসাবে ৬ হাজার ৩১৪ দিন। মাতৃভূমি ছেড়ে থাকা দীর্ঘ এই সময়ের নির্বাসিত জীবনের ক্লান্তি চোখেমুখে লেগে আছে। অন্যদিকে সেই নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে নতুন প্রত্যাশার এক সকালের ঘোর লাগা অনুভূতি। ক্লান্তি আর তীব্র ভালোবাসার অনুভূতির মিশেলে দৃষ্টি দিয়েছেন উড়োজাহাজের জানালায়। এমন এক ছবি দিয়েই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ বিরতির পর মাতৃভূমিতে ফেরার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

এক-এগারোর সময় প্রায় ১৮ মাস কারান্তরীণ থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। সেই যাওয়ার পর এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৭ বছর ৩ মাস। ২৫ ডিসেম্বর দিনের হিসাবে ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশে ফিরতে যাচ্ছেন তারেক। দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে দল ও দলের বাইরে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা। দলের নেতা-কর্মীদের বাইরে সাধারণ মানুষ তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোর থেকে তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে জনস্রোত, ৩০০ ফুট লোকারণ্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৫
ভোর থেকে তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে জনস্রোত, ৩০০ ফুট লোকারণ্য

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ স্বদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার পূর্বাচল-সংলগ্ন ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফুট এলাকা) এখন এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা গণসংবর্ধনাস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশ এখন লোকে লোকারণ্য। হাতে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকার পাশাপাশি তারেক রহমানের ছবি-সংবলিত ফেস্টুন নিয়ে কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন—‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে’।

WhatsApp-Image-2025-12-25-at-9.24২৪৫

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। বিশাল এই জমায়েতে আসা মানুষের সুবিধার্থে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে বড় স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার ল্যাম্পপোস্টগুলোতে লাগানো হয়েছে শতাধিক মাইক, যাতে দূর-দূরান্তের কর্মীরাও বক্তব্য শুনতে পারেন।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন বিএনপির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুবিধার্থে মঞ্চের দুই পাশে অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।

WhatsApp-Image-2025-12-25-at-9.24-৫ি৬

নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে নেতা-কর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করে তিনি সরাসরি পূর্বাচলের গণসংবর্ধনা মঞ্চে আসবেন। সেখান থেকে তিনি তাঁর মা, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ তিনি আবার বাংলার মাটিতে পা রাখছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত