ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাকে বদরুদ্দীন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বদরুদ্দীন উমর ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই গতকাল সকালে মারা গেছেন। প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি বদরুদ্দীন উমর বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে। মুসলিম লীগের পতনের মতোই—এবারের গণ-অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনরুত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবু এটি ঘটেছে। এটি একধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’; যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকাপয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। শেখ মুজিবের চিন্তাচেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি; বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়, সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। ১৯৭১ সালে যাঁরা বাস্তবে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেকে তখন পলায়নপর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখ হাসিনা যখন উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন, যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না; বরং এটা একধরনের দলীয় রেটোরিক। যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
শেখ মুজিবের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। হাসিনার এই ১৫ বছরের শাসন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি একটি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে; যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বদরুদ্দীন উমর ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই গতকাল সকালে মারা গেছেন। প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি বদরুদ্দীন উমর বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে। মুসলিম লীগের পতনের মতোই—এবারের গণ-অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনরুত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবু এটি ঘটেছে। এটি একধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’; যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকাপয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। শেখ মুজিবের চিন্তাচেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি; বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়, সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। ১৯৭১ সালে যাঁরা বাস্তবে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেকে তখন পলায়নপর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখ হাসিনা যখন উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন, যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না; বরং এটা একধরনের দলীয় রেটোরিক। যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
শেখ মুজিবের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। হাসিনার এই ১৫ বছরের শাসন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি একটি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে; যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাকে বদরুদ্দীন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বদরুদ্দীন উমর ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই গতকাল সকালে মারা গেছেন। প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি বদরুদ্দীন উমর বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে। মুসলিম লীগের পতনের মতোই—এবারের গণ-অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনরুত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবু এটি ঘটেছে। এটি একধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’; যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকাপয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। শেখ মুজিবের চিন্তাচেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি; বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়, সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। ১৯৭১ সালে যাঁরা বাস্তবে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেকে তখন পলায়নপর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখ হাসিনা যখন উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন, যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না; বরং এটা একধরনের দলীয় রেটোরিক। যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
শেখ মুজিবের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। হাসিনার এই ১৫ বছরের শাসন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি একটি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে; যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বদরুদ্দীন উমর ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই গতকাল সকালে মারা গেছেন। প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি বদরুদ্দীন উমর বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে। মুসলিম লীগের পতনের মতোই—এবারের গণ-অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনরুত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবু এটি ঘটেছে। এটি একধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’; যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকাপয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। শেখ মুজিবের চিন্তাচেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি; বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়, সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। ১৯৭১ সালে যাঁরা বাস্তবে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেকে তখন পলায়নপর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখ হাসিনা যখন উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন, যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না; বরং এটা একধরনের দলীয় রেটোরিক। যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
শেখ মুজিবের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। হাসিনার এই ১৫ বছরের শাসন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি একটি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে; যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।

ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৩৭ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
এর আগে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে এসেছিলেন জোবাইদা রহমান। এক মাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ৫ জুন আবারো লন্ডন ফিরে যান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে। সর্বশেষ বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আগামী রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।
খালেদা জিয়ার ১৪ জন সফরসঙ্গী
পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন তালুকদার, চিকিৎসক নুরুদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদের রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী) ও রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।
জোবাইদা রহমানেরও এই তালিকায় সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই ১২ দিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
এর আগে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে এসেছিলেন জোবাইদা রহমান। এক মাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ৫ জুন আবারো লন্ডন ফিরে যান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে। সর্বশেষ বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আগামী রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।
খালেদা জিয়ার ১৪ জন সফরসঙ্গী
পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন তালুকদার, চিকিৎসক নুরুদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদের রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী) ও রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।
জোবাইদা রহমানেরও এই তালিকায় সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই ১২ দিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
আজ সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনো না পৌঁছানোয় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
আজ সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনো না পৌঁছানোয় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৩৭ মিনিট আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সে কারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সে কারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৩৭ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
১ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৩৭ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
১০ ঘণ্টা আগে