নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট নিরসনে ‘ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট’ (স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ ভূমিতে নিরাপদ পুনর্বাসনের স্থায়ী সমাধান হিসেবে তাঁরা এ প্রস্তাব চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রতিনিধিদলের সামনে উত্থাপন করেছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানী ঢাকার গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সাউথ এশিয়া রিজিয়নের ডিরেক্টর জেনারেল পেং জিউবিনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমরা পার্টির পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছি, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা বলেছি, ফুড, ক্লোথিং এবং শেল্টার—এটা কোনো সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে রিক্রিয়েট করা। সে জন্য আমরা একটি প্রস্তাবও দিয়েছি। সেটা হচ্ছে আরাকানকেন্দ্রিক রোহিঙ্গাদের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, সে এরিয়ায় একটি ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট করা।’
আব্দুল্লাহ মো. তাহের আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে চীন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের বড় ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। তারা এই নতুন প্রস্তাব সম্পর্কে তাদের সরকারকে জানাবে এবং উদ্যোগ গ্রহণ করার ব্যাপারে চেষ্টা করবে।
ডা. তাহের জানান, দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চায়না একটি ইমার্জিং ফোর্স, বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনক্লুসিভ ইসলামিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।’ তিনি আরও জানান, চীনের সঙ্গে সরকার পর্যায়ে, দলীয় পর্যায়ে ও জনগণের পর্যায়ে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে জামায়াত আগ্রহী।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার অংশ হিসেবে চীনের বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির আহ্বান জানায় জামায়াত। তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন এবং ব্লু ইকোনমিতে চীনের বিনিয়োগের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। রিজিয়নাল সিকিউরিটি ইস্যু নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এ প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি যেন এই অঞ্চলে কোনো পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শত্রুতা প্রদর্শন করতে না পারে। রিজিয়নাল ব্যালান্স অব সিকিউরিটি বজায় রাখা জরুরি।’
ডা. তাহের আরও জানান, চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার বিষয়ে এবং চীনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জামায়াত থেকেও চীনের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ‘চীনের প্রতিনিধিদল নির্বাচনের সময়সূচি জানতে চেয়েছিল। তাদের জানানো হয়েছে যে, ডিসেম্বরে অথবা প্রয়োজনীয় সংস্কার হলে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন হতে পারে। তবে চীনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। কেবল সহযোগিতার মনোভাবেই কাজ করে।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট নিরসনে ‘ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট’ (স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ ভূমিতে নিরাপদ পুনর্বাসনের স্থায়ী সমাধান হিসেবে তাঁরা এ প্রস্তাব চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রতিনিধিদলের সামনে উত্থাপন করেছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানী ঢাকার গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সাউথ এশিয়া রিজিয়নের ডিরেক্টর জেনারেল পেং জিউবিনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমরা পার্টির পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছি, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা বলেছি, ফুড, ক্লোথিং এবং শেল্টার—এটা কোনো সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে রিক্রিয়েট করা। সে জন্য আমরা একটি প্রস্তাবও দিয়েছি। সেটা হচ্ছে আরাকানকেন্দ্রিক রোহিঙ্গাদের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, সে এরিয়ায় একটি ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট করা।’
আব্দুল্লাহ মো. তাহের আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে চীন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের বড় ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। তারা এই নতুন প্রস্তাব সম্পর্কে তাদের সরকারকে জানাবে এবং উদ্যোগ গ্রহণ করার ব্যাপারে চেষ্টা করবে।
ডা. তাহের জানান, দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চায়না একটি ইমার্জিং ফোর্স, বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনক্লুসিভ ইসলামিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।’ তিনি আরও জানান, চীনের সঙ্গে সরকার পর্যায়ে, দলীয় পর্যায়ে ও জনগণের পর্যায়ে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে জামায়াত আগ্রহী।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার অংশ হিসেবে চীনের বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির আহ্বান জানায় জামায়াত। তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন এবং ব্লু ইকোনমিতে চীনের বিনিয়োগের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। রিজিয়নাল সিকিউরিটি ইস্যু নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এ প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি যেন এই অঞ্চলে কোনো পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শত্রুতা প্রদর্শন করতে না পারে। রিজিয়নাল ব্যালান্স অব সিকিউরিটি বজায় রাখা জরুরি।’
ডা. তাহের আরও জানান, চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার বিষয়ে এবং চীনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জামায়াত থেকেও চীনের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ‘চীনের প্রতিনিধিদল নির্বাচনের সময়সূচি জানতে চেয়েছিল। তাদের জানানো হয়েছে যে, ডিসেম্বরে অথবা প্রয়োজনীয় সংস্কার হলে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন হতে পারে। তবে চীনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। কেবল সহযোগিতার মনোভাবেই কাজ করে।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে
৪ ঘণ্টা আগেদেশটাকে স্থিতিশীল হতে না দেওয়ার জন্য ভেতরে ভেতরে অনেক শক্তি সক্রিয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। আজ শুক্রবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের আহ্বানে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ পাঁচটি দলের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আরও জোরালো করল বিএনপি। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ অন্তর্বর্তী সরকার ভোটের আয়োজন ঠিক কখন, কীভাবে করতে চায়, তার রোডম্যাপ চেয়ে আসছে দলটি। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় সময় ও সহযোগিতা দেওয়ার কথা কয়েক মাস ধরে বলে আসছেন দলের...
১৩ ঘণ্টা আগে