Ajker Patrika

জাকসু নির্বাচনে একক প্যানেলে জোর ছাত্রসংগঠনগুলোর

মুশফিকুর রিজন, জাবি
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ০৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে। আবাসিক হলগুলো থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, টারজান পয়েন্টসহ ক্যাম্পাসের সব আড্ডার মূল আলোচনা এখন জাকসু নির্বাচন।

১৯৭২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৮ বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। সর্বশেষ জাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন মাসুদ হাসান তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন শামসুল তাবরীজ। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালালে প্রশাসন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ ভেঙে দেয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।

সব সংগঠন যখন নিজেদের প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত, তখন জাবি ছাত্রদলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ৮ আগস্ট ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগে একাংশ বিক্ষোভ করে।

এরপর থেকে ওই অংশের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন (মহড়া) করছেন। অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। এতে ছাত্রদল থেকে জাকসুর প্যানেল কী রকম হবে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে জাকসু নির্বাচনে এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তিনটি জাকসুতেই ছাত্রদলের প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমরা আশা করছি, এবারও সেই জয়ের ধারা বজায় থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই গত ছয় মাস কাজ করছি। ২৫ তারিখে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’ এখন যারা বিদ্রোহ করছে তাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমাদের মতের অমিল থাকতে পারে, তবে প্যানেল ঘোষণার ক্ষেত্রে যারা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এবং যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের আমরা ছাত্রদলের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করব।’ একমাত্র ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলই শুধু হল সংসদেও প্যানেল ঘোষণা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।

প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত দুটি প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একটি প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্য প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশ (জাহিদ-তানজিম), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।

এদিকে ৩৬ বছর পর জাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে ছাত্র শিবির। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তবে এবার জাকসুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তাদের একক প্যানেল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের একক প্যানেল রেডি আছে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট (চেতনা) ধারণ করে এমন অনেকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’

এবারের জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ছাত্রসংগঠন হিসেবে নির্বাচন করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করতে চায় সংগঠনটি। সংগঠনটির জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এককভাবে আমাদের প্যানেল ঘোষণা করতে। তবে আমরা আলোচনার সুযোগ রেখেছি। আমাদের সংগঠনের বাইরেও দীর্ঘদিন যারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে।’

তবে দল কিংবা সংগঠন দেখে নয় যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আকমল মাসুদ অয়ন বলন, ‘দল বা সংগঠন বিবেচনায় নয়, বরং একজন প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবে কেমন সেটার বিবেচনায় আমি ভোট দেব। যে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে, আমরা জাকসুতে তাকেই আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছি। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা আগামীকাল (১৭ আগস্ট) নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ববি হাজ্জাজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইটিআই ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ববি হাজ্জাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইটিআই ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ববি হাজ্জাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ববি হাজ্জাজ। আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

এ সময় ববি হাজ্জাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশাবাদী আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। ইসি তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।

কৌশলগত কারণে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জোটে ছিলাম, জোটে আছি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা শুরু থেকেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। কৌশলগত কারণে আমরা এক মার্কায় নির্বাচন করব। প্রথম থেকেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা করছেন।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ নিজ দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে আর কোনো আইনি বাধা নেই মান্নার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

ঋণখেলাপির তালিকায় থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। এর ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর অংশ নিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মান্নার আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২ শতাংশ ঋণের টাকা পরিশোধ করে রি-শিডিউল করতে হয়। মান্না তাঁর থেকে বেশি টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপর ব্যাংক তাঁর নোটিশ প্রত্যাহারও করেছেন। যে কারণে তাঁর নির্বাচন করতে বাধা নেই।

ইসলামী ব্যাংকের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চেম্বার আদালত ঋণ খেলাপির তালিকা ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। তাই মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্বাচনে বাধা নেই।

এর আগে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম দিতে নির্দেশনা চেয়ে মান্নার করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি। গতকাল রোববার আবেদনটি চেম্বার আদালতে উঠলে আজকের দিন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ১০ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডকে ‘কলব্যাক নোটিশ’ পাঠায়। নোটিশটি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না আফাকু কোল্ডস্টোরেজের ৫০ শতাংশের অংশীদার আর এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তাঁর স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার। নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

পরে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গত বুধবার হাইকোর্ট মান্নার রিট খারিজ করে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জেবু এখন জাইমাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছবি: জাইমার ফেসবুক প্রোফাইল
জেবু এখন জাইমাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছবি: জাইমার ফেসবুক প্রোফাইল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান সম্প্রতি তাঁর পোষা বিড়াল ‘জেবু’কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। জেবুকে ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতূহল দেখে জাইমা যেমন অবাক হয়েছেন, তেমনি প্রাণীর প্রতি মানুষের মমতা ও দায়িত্ববোধের বিষয়টিকেও সামনে এনেছেন।

জাইমা রহমান তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন, জেবুকে যখন প্রথম বিড়ালছানা হিসেবে বাড়িতে আনা হয়েছিল, তখন কেউ ভাবেনি যে সে পরিবারের এত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠবে। জাইমার ভাষ্যমতে, তাঁর বাবা-মা (তারেক রহমান ও ডা. জুবায়দা রহমান) বাসায় ফিরে আগে জেবুর খবর নিতেন, তারপর মেয়ের খোঁজ করতেন। জাইমার মা যখন বাগানে কাজ করতেন বা হাঁটতে বের হতেন, জেবু সারাক্ষণ তাঁর চারপাশেই থাকত।

জাইমা আরও জানান, সন্ধ্যায় তারেক রহমানের অনলাইন মিটিংগুলো চলাকালীন জেবু শান্ত হয়ে তাঁর কোলে বসে থাকত এবং পরম আদরে সময় কাটাত। জাইমা মনে করেন, প্রাণীরা মানুষের মনের অবস্থা বুঝতে পারে। তাঁর মন খারাপ থাকলে জেবু তাঁর কোমল স্পর্শ দিয়ে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করত।

বর্তমানে জেবু মহাদেশ পেরিয়ে এক নতুন পরিবেশে এসেছে। জাইমা তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন, পোষা প্রাণী নিয়ে আবাসন পরিবর্তন করা কতটা কঠিন। মানুষের মতো প্রাণীদের জন্যও এই পরিবর্তনটা বেশ কষ্টের ও বড় চ্যালেঞ্জের, এটা হয়তো মানুষ সব সময় পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না।

বিড়াল সাধারণত ‘মিউ মিউ’ করলেও জেবু একেবারেই তা করে না। জাইমা মজার ছলে জানান, জেবু আলমারিতে আটকে পড়লেও ডাকে না। তবে খুশি বা অবাক হলে পাখির মতো নরম স্বরে শব্দ করে। আবার অনুমতি ছাড়া কেউ তাকে কোলে নিলে হালকা বিরক্তি প্রকাশ করে। অন্য কোনো বিড়াল অপছন্দ হলে বেশ জোরে চিৎকার করতেও পিছপা হয় না সে।

জাইমা রহমানের মতে, কোনো প্রাণীর দায়িত্ব নেওয়া মানে আল্লাহর সৃষ্টির সেবা করা। জেবুর মাধ্যমে তাঁদের পরিবার ধৈর্য ও প্রাণীর প্রতি মমতা শিখেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তি কোনো অবলা জীবের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পায়, সে নিজের সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানতে পারে যা আগে কখনো কল্পনাও করেনি। জাইমা মনে করেন, ভালোবাসা কোনো প্রজাতির সীমা মানে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৮
নাহিদ ইসলাম ও আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
নাহিদ ইসলাম ও আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।

ফেসবুক পোস্টে আতিকুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে জনাব নাহিদ ইসলামের জন্য শুভকামনা। দীর্ঘ ১০ মাস ২২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারী থেকে মুক্তি পেলাম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে সংগঠনের সিদ্ধান্তের পর থেকে ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনকে ইসলামি আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করার জন্য সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ব্যক্তি, পরিবার, পেশাগত দায়িত্ব সবকিছুর ঊর্ধ্বে ময়দানে ভূমিকা এবং জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা-১১ (রামপুরা-বাড্ডা-ভাটারা-হাতিরঝিল আংশিক) সংসদীয় আসনের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা এ স্বল্প সময়ে আমাকে আপনাদের আপনজন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং অভূতপূর্ব ভালোবাসায় আবদ্ধ করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন আপনাদের সবাইকে সামগ্রিক কল্যাণ দান করুন, ভালো ও নিরাপদে রাখুন।’

ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য এবং আস্থাশীল। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা একযোগে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত