তানিম আহমেদ, ঢাকা

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকারবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। এই জোট গঠনের চার বছরের মাথায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে দলটি। দীর্ঘ এই সময়ে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠলেও দুর্বল হয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সরকারে জোটের শরিকদের ঠাঁই নেই, সংসদেও আসন কমেছে, কদর কমেছে আওয়ামী লীগে। এসব নিয়ে জোটের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না শরিকেরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ এই জোটের আর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে।
২০০৪ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। এরপর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলনে একযোগে মাঠে নেমেছিল তারা। সে সময় নিয়মিত কর্মসূচির কারণে
আওয়ামী লীগের কাছে জোটের কদরও ছিল। নেতাদের গুরুত্বও দিত আওয়ামী লীগ। তখন ক্ষমতায় থাকা বিএনপিও ফ্যাক্টর মনে করেছে ১৪ দলের শক্তিকে। জোট গঠনের ২০ বছর পরে এসে জৌলুশহীন হয়ে পড়েছে ১৪ দল। কালেভদ্রে জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসায় চা-নাশতা খাওয়ার ছবির মধ্য দিয়ে জোটের অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়।
জোটের নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির মাঠে অবস্থান তৈরি করা যাবে না, সুবিধাও মিলবে না। বর্তমানে সংসদে জোটের দুজন প্রতিনিধি থাকলেও ভবিষ্যতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের।
জানতে চাইলে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল, সেটাকে আমরা এখনো ওন করি। কোনো কোনো দল যদি মনে করে, এখন আর দরকার নেই (জোট), সেটা তাদের বিষয়। এটা আগামী দিনে ফয়সালা হবে।’
তাহলে কি মনে করেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের সেভাবে মূল্যায়ন করছে না—এমন প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘সেটা তো আছে। আমাদের সিদ্ধান্তে তো কাজ হবে না। ওরা (আওয়ামী লীগ) কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
১৪ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল, সেটা এখনো আছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সংকট নেই। নতুন সরকার আসছে, তাদের কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি। ঈদের পরে আমরা বসব। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। তিনি যদি কোনো পরামর্শ দেন, সেইভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।’
এদিকে জোটের দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা। দ্বাদশ নির্বাচনে আসন ছাড়ের আলোচনায় সেটা উঠেও এসেছিল। বিভিন্ন দেনদরবারের পর জোটকে প্রথমে সাতটি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু পরে সেটা দাঁড়ায় ছয়ে। এগুলোর মধ্যে মাত্র দুজনই নির্বাচনী বৈতরণি পার হন। পরাজিত হন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, শরিক দলগুলো একরকম বোঝা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে আন্দোলন মোকাবিলার কর্মসূচিতে তাদের মাঠে দেখা যায়নি। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারেনি। আবার নির্বাচনে আসন ছাড়ের পরেও আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বৈতরণি পার করে দেওয়ার জন্য। তাহলে ক্ষমতার সঙ্গী করে লাভ কী?
আওয়ামী লীগের একটি অংশ ১৪ দলীয় জোট চায় না বলে মনে করেন জোটের এক নেতা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যাঁরা মনে করেন, জোটের প্রয়োজন নেই; সেই অংশ বিভিন্নভাবে ১৪ দলীয় জোটকে গুরুত্বহীন প্রমাণের চেষ্টা করছে। আগে তারা জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে বোঝাত। আর নির্বাচনে আসন ছাড় ও ফলাফলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে, জোটের প্রয়োজন নেই। জোটকে গুরুত্বহীন করা আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জার। এটা ঠিক রাখা ওদের দরকার।
তবে ১৪ দলীয় জোট আছে এবং থাকবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ঈদের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের নেতাদের বৈঠক হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ জোটকে যত তাড়াতাড়ি সচল করবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলে মন্তব্য করেছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোট নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। একটা কথা হচ্ছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ।
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি ওইভাবে দেখি, জোটটা এখন নিষ্ক্রিয় আছে। জোটগতভাবে যেসব আলোচনা করা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না।’

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকারবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। এই জোট গঠনের চার বছরের মাথায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে দলটি। দীর্ঘ এই সময়ে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠলেও দুর্বল হয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সরকারে জোটের শরিকদের ঠাঁই নেই, সংসদেও আসন কমেছে, কদর কমেছে আওয়ামী লীগে। এসব নিয়ে জোটের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না শরিকেরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ এই জোটের আর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে।
২০০৪ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। এরপর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলনে একযোগে মাঠে নেমেছিল তারা। সে সময় নিয়মিত কর্মসূচির কারণে
আওয়ামী লীগের কাছে জোটের কদরও ছিল। নেতাদের গুরুত্বও দিত আওয়ামী লীগ। তখন ক্ষমতায় থাকা বিএনপিও ফ্যাক্টর মনে করেছে ১৪ দলের শক্তিকে। জোট গঠনের ২০ বছর পরে এসে জৌলুশহীন হয়ে পড়েছে ১৪ দল। কালেভদ্রে জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসায় চা-নাশতা খাওয়ার ছবির মধ্য দিয়ে জোটের অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়।
জোটের নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির মাঠে অবস্থান তৈরি করা যাবে না, সুবিধাও মিলবে না। বর্তমানে সংসদে জোটের দুজন প্রতিনিধি থাকলেও ভবিষ্যতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের।
জানতে চাইলে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল, সেটাকে আমরা এখনো ওন করি। কোনো কোনো দল যদি মনে করে, এখন আর দরকার নেই (জোট), সেটা তাদের বিষয়। এটা আগামী দিনে ফয়সালা হবে।’
তাহলে কি মনে করেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের সেভাবে মূল্যায়ন করছে না—এমন প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘সেটা তো আছে। আমাদের সিদ্ধান্তে তো কাজ হবে না। ওরা (আওয়ামী লীগ) কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
১৪ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল, সেটা এখনো আছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সংকট নেই। নতুন সরকার আসছে, তাদের কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি। ঈদের পরে আমরা বসব। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। তিনি যদি কোনো পরামর্শ দেন, সেইভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।’
এদিকে জোটের দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা। দ্বাদশ নির্বাচনে আসন ছাড়ের আলোচনায় সেটা উঠেও এসেছিল। বিভিন্ন দেনদরবারের পর জোটকে প্রথমে সাতটি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু পরে সেটা দাঁড়ায় ছয়ে। এগুলোর মধ্যে মাত্র দুজনই নির্বাচনী বৈতরণি পার হন। পরাজিত হন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, শরিক দলগুলো একরকম বোঝা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে আন্দোলন মোকাবিলার কর্মসূচিতে তাদের মাঠে দেখা যায়নি। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারেনি। আবার নির্বাচনে আসন ছাড়ের পরেও আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বৈতরণি পার করে দেওয়ার জন্য। তাহলে ক্ষমতার সঙ্গী করে লাভ কী?
আওয়ামী লীগের একটি অংশ ১৪ দলীয় জোট চায় না বলে মনে করেন জোটের এক নেতা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যাঁরা মনে করেন, জোটের প্রয়োজন নেই; সেই অংশ বিভিন্নভাবে ১৪ দলীয় জোটকে গুরুত্বহীন প্রমাণের চেষ্টা করছে। আগে তারা জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে বোঝাত। আর নির্বাচনে আসন ছাড় ও ফলাফলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে, জোটের প্রয়োজন নেই। জোটকে গুরুত্বহীন করা আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জার। এটা ঠিক রাখা ওদের দরকার।
তবে ১৪ দলীয় জোট আছে এবং থাকবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ঈদের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের নেতাদের বৈঠক হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ জোটকে যত তাড়াতাড়ি সচল করবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলে মন্তব্য করেছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোট নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। একটা কথা হচ্ছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ।
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি ওইভাবে দেখি, জোটটা এখন নিষ্ক্রিয় আছে। জোটগতভাবে যেসব আলোচনা করা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না।’
তানিম আহমেদ, ঢাকা

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকারবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। এই জোট গঠনের চার বছরের মাথায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে দলটি। দীর্ঘ এই সময়ে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠলেও দুর্বল হয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সরকারে জোটের শরিকদের ঠাঁই নেই, সংসদেও আসন কমেছে, কদর কমেছে আওয়ামী লীগে। এসব নিয়ে জোটের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না শরিকেরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ এই জোটের আর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে।
২০০৪ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। এরপর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলনে একযোগে মাঠে নেমেছিল তারা। সে সময় নিয়মিত কর্মসূচির কারণে
আওয়ামী লীগের কাছে জোটের কদরও ছিল। নেতাদের গুরুত্বও দিত আওয়ামী লীগ। তখন ক্ষমতায় থাকা বিএনপিও ফ্যাক্টর মনে করেছে ১৪ দলের শক্তিকে। জোট গঠনের ২০ বছর পরে এসে জৌলুশহীন হয়ে পড়েছে ১৪ দল। কালেভদ্রে জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসায় চা-নাশতা খাওয়ার ছবির মধ্য দিয়ে জোটের অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়।
জোটের নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির মাঠে অবস্থান তৈরি করা যাবে না, সুবিধাও মিলবে না। বর্তমানে সংসদে জোটের দুজন প্রতিনিধি থাকলেও ভবিষ্যতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের।
জানতে চাইলে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল, সেটাকে আমরা এখনো ওন করি। কোনো কোনো দল যদি মনে করে, এখন আর দরকার নেই (জোট), সেটা তাদের বিষয়। এটা আগামী দিনে ফয়সালা হবে।’
তাহলে কি মনে করেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের সেভাবে মূল্যায়ন করছে না—এমন প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘সেটা তো আছে। আমাদের সিদ্ধান্তে তো কাজ হবে না। ওরা (আওয়ামী লীগ) কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
১৪ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল, সেটা এখনো আছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সংকট নেই। নতুন সরকার আসছে, তাদের কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি। ঈদের পরে আমরা বসব। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। তিনি যদি কোনো পরামর্শ দেন, সেইভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।’
এদিকে জোটের দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা। দ্বাদশ নির্বাচনে আসন ছাড়ের আলোচনায় সেটা উঠেও এসেছিল। বিভিন্ন দেনদরবারের পর জোটকে প্রথমে সাতটি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু পরে সেটা দাঁড়ায় ছয়ে। এগুলোর মধ্যে মাত্র দুজনই নির্বাচনী বৈতরণি পার হন। পরাজিত হন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, শরিক দলগুলো একরকম বোঝা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে আন্দোলন মোকাবিলার কর্মসূচিতে তাদের মাঠে দেখা যায়নি। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারেনি। আবার নির্বাচনে আসন ছাড়ের পরেও আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বৈতরণি পার করে দেওয়ার জন্য। তাহলে ক্ষমতার সঙ্গী করে লাভ কী?
আওয়ামী লীগের একটি অংশ ১৪ দলীয় জোট চায় না বলে মনে করেন জোটের এক নেতা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যাঁরা মনে করেন, জোটের প্রয়োজন নেই; সেই অংশ বিভিন্নভাবে ১৪ দলীয় জোটকে গুরুত্বহীন প্রমাণের চেষ্টা করছে। আগে তারা জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে বোঝাত। আর নির্বাচনে আসন ছাড় ও ফলাফলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে, জোটের প্রয়োজন নেই। জোটকে গুরুত্বহীন করা আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জার। এটা ঠিক রাখা ওদের দরকার।
তবে ১৪ দলীয় জোট আছে এবং থাকবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ঈদের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের নেতাদের বৈঠক হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ জোটকে যত তাড়াতাড়ি সচল করবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলে মন্তব্য করেছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোট নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। একটা কথা হচ্ছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ।
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি ওইভাবে দেখি, জোটটা এখন নিষ্ক্রিয় আছে। জোটগতভাবে যেসব আলোচনা করা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না।’

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকারবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। এই জোট গঠনের চার বছরের মাথায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে দলটি। দীর্ঘ এই সময়ে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠলেও দুর্বল হয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সরকারে জোটের শরিকদের ঠাঁই নেই, সংসদেও আসন কমেছে, কদর কমেছে আওয়ামী লীগে। এসব নিয়ে জোটের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না শরিকেরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ এই জোটের আর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে।
২০০৪ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। এরপর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলনে একযোগে মাঠে নেমেছিল তারা। সে সময় নিয়মিত কর্মসূচির কারণে
আওয়ামী লীগের কাছে জোটের কদরও ছিল। নেতাদের গুরুত্বও দিত আওয়ামী লীগ। তখন ক্ষমতায় থাকা বিএনপিও ফ্যাক্টর মনে করেছে ১৪ দলের শক্তিকে। জোট গঠনের ২০ বছর পরে এসে জৌলুশহীন হয়ে পড়েছে ১৪ দল। কালেভদ্রে জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসায় চা-নাশতা খাওয়ার ছবির মধ্য দিয়ে জোটের অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়।
জোটের নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির মাঠে অবস্থান তৈরি করা যাবে না, সুবিধাও মিলবে না। বর্তমানে সংসদে জোটের দুজন প্রতিনিধি থাকলেও ভবিষ্যতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের।
জানতে চাইলে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল, সেটাকে আমরা এখনো ওন করি। কোনো কোনো দল যদি মনে করে, এখন আর দরকার নেই (জোট), সেটা তাদের বিষয়। এটা আগামী দিনে ফয়সালা হবে।’
তাহলে কি মনে করেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের সেভাবে মূল্যায়ন করছে না—এমন প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘সেটা তো আছে। আমাদের সিদ্ধান্তে তো কাজ হবে না। ওরা (আওয়ামী লীগ) কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
১৪ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল, সেটা এখনো আছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সংকট নেই। নতুন সরকার আসছে, তাদের কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি। ঈদের পরে আমরা বসব। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। তিনি যদি কোনো পরামর্শ দেন, সেইভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।’
এদিকে জোটের দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা। দ্বাদশ নির্বাচনে আসন ছাড়ের আলোচনায় সেটা উঠেও এসেছিল। বিভিন্ন দেনদরবারের পর জোটকে প্রথমে সাতটি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু পরে সেটা দাঁড়ায় ছয়ে। এগুলোর মধ্যে মাত্র দুজনই নির্বাচনী বৈতরণি পার হন। পরাজিত হন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, শরিক দলগুলো একরকম বোঝা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে আন্দোলন মোকাবিলার কর্মসূচিতে তাদের মাঠে দেখা যায়নি। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারেনি। আবার নির্বাচনে আসন ছাড়ের পরেও আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বৈতরণি পার করে দেওয়ার জন্য। তাহলে ক্ষমতার সঙ্গী করে লাভ কী?
আওয়ামী লীগের একটি অংশ ১৪ দলীয় জোট চায় না বলে মনে করেন জোটের এক নেতা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যাঁরা মনে করেন, জোটের প্রয়োজন নেই; সেই অংশ বিভিন্নভাবে ১৪ দলীয় জোটকে গুরুত্বহীন প্রমাণের চেষ্টা করছে। আগে তারা জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে বোঝাত। আর নির্বাচনে আসন ছাড় ও ফলাফলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে, জোটের প্রয়োজন নেই। জোটকে গুরুত্বহীন করা আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জার। এটা ঠিক রাখা ওদের দরকার।
তবে ১৪ দলীয় জোট আছে এবং থাকবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ঈদের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের নেতাদের বৈঠক হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ জোটকে যত তাড়াতাড়ি সচল করবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলে মন্তব্য করেছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোট নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। একটা কথা হচ্ছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ।
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি ওইভাবে দেখি, জোটটা এখন নিষ্ক্রিয় আছে। জোটগতভাবে যেসব আলোচনা করা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না।’

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৪ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন।
মনিরা শারমিন লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ ৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্ট এর চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
গণচাঁদা বা অনুদানের বিষয়ে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ক্রাউড ফান্ডিং করে নির্বাচনের অনুদান নিয়েছি। আমাকে যারা অনুদান দিয়েছেন, তারা এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখে ডোনেট করেছেন। যারা নিজেদের ডোনেশন ফেরত চান, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। সেই সংখ্যাটা ১ জন হলেও আমার দায়বদ্ধতা হল, অনুদানের অর্থ ফেরত দেয়া। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদানের অর্থ ফেরত দেব বিকাশের মাধ্যমে। যারা আমাকে অনুদান দিয়েছেন, আমার কঠিন পথে সাহস যুগিয়েছেন, অনেক আশার কথা লিখেছেন, তাদের এই মুহূর্তের জনয় হতাশ করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে জানবেন, আমি ক্ষমতার রাজনীতি করতে আসি নাই। রাজনীতি পরিবর্তনের বয়ান দিয়ে সিট ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় যেয়ে নিজেদের দলের প্রতি, মানুষের প্রতি বেইনসাফি করব না। জনতার কথা ও নতুন রাজনীতির কথা আপনাদের হয়ে বলতে থাকব ইনশাল্লাহ।’
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে আমার দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
আরও পড়ুন:

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন।
মনিরা শারমিন লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ ৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্ট এর চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
গণচাঁদা বা অনুদানের বিষয়ে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ক্রাউড ফান্ডিং করে নির্বাচনের অনুদান নিয়েছি। আমাকে যারা অনুদান দিয়েছেন, তারা এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখে ডোনেট করেছেন। যারা নিজেদের ডোনেশন ফেরত চান, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। সেই সংখ্যাটা ১ জন হলেও আমার দায়বদ্ধতা হল, অনুদানের অর্থ ফেরত দেয়া। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদানের অর্থ ফেরত দেব বিকাশের মাধ্যমে। যারা আমাকে অনুদান দিয়েছেন, আমার কঠিন পথে সাহস যুগিয়েছেন, অনেক আশার কথা লিখেছেন, তাদের এই মুহূর্তের জনয় হতাশ করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে জানবেন, আমি ক্ষমতার রাজনীতি করতে আসি নাই। রাজনীতি পরিবর্তনের বয়ান দিয়ে সিট ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় যেয়ে নিজেদের দলের প্রতি, মানুষের প্রতি বেইনসাফি করব না। জনতার কথা ও নতুন রাজনীতির কথা আপনাদের হয়ে বলতে থাকব ইনশাল্লাহ।’
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে আমার দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
আরও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকার-বিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’
প্রতিক্রিয়ায় সামান্তা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর প্রেস কনফারেন্স থেকে জানতে পারলাম এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশের দিন জোটের মুখপাত্র ও এনসিপির আহ্বায়কের বক্তব্য অনুযায়ী তা হওয়ার কথা নয়। এমনকি তিন দলের একটি দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে আসন সমঝোতার দিকে গেছে এনসিপি তাও উল্লেখ করেছেন।’
এমন নির্বাচনী জোটের ব্যাপারে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শক্তি তৈরির উদ্যোগকে ব্যাহত করে এমন অবস্থান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি এনসিপির এত দিনের সকল বক্তব্যকে ধারণ করি, স্বাগত জানাই।’
সামান্তা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫.৩০-এ দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে শুরু থেকেই এনসিপির অভ্যন্তরে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে এরই মধ্যে দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আরও অনেকের পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না, যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সকল বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিল।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’
প্রতিক্রিয়ায় সামান্তা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর প্রেস কনফারেন্স থেকে জানতে পারলাম এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশের দিন জোটের মুখপাত্র ও এনসিপির আহ্বায়কের বক্তব্য অনুযায়ী তা হওয়ার কথা নয়। এমনকি তিন দলের একটি দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে আসন সমঝোতার দিকে গেছে এনসিপি তাও উল্লেখ করেছেন।’
এমন নির্বাচনী জোটের ব্যাপারে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শক্তি তৈরির উদ্যোগকে ব্যাহত করে এমন অবস্থান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি এনসিপির এত দিনের সকল বক্তব্যকে ধারণ করি, স্বাগত জানাই।’
সামান্তা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫.৩০-এ দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে শুরু থেকেই এনসিপির অভ্যন্তরে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে এরই মধ্যে দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আরও অনেকের পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না, যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সকল বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিল।’

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকার-বিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৪ মিনিট আগে
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধি (দিনাজপুর)

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে দিনাজপুর সদর-৩ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মর্মে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি পত্র দেখা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ওই আসনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ। আজ সেই মনোনয়নপত্রটি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দলের উচ্চপর্যায় থেকে দিনাজপুর-৩ আসনে আমাকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলীয় চেইন অব কমান্ডের বাইরে আমরা কিছু বলতে পারি না।’
উল্লেখ্য, দিনাজপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পেয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত খুরশিদ জাহান হক চকলেট।

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে দিনাজপুর সদর-৩ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মর্মে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি পত্র দেখা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ওই আসনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ। আজ সেই মনোনয়নপত্রটি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দলের উচ্চপর্যায় থেকে দিনাজপুর-৩ আসনে আমাকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলীয় চেইন অব কমান্ডের বাইরে আমরা কিছু বলতে পারি না।’
উল্লেখ্য, দিনাজপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পেয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত খুরশিদ জাহান হক চকলেট।

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকার-বিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৪ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
আজ রোববার ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা আট দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং কর্নেল অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপি। আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তাঁরা এখানে আসার সুযোগ পাননি। তাঁরা রাতে একটি প্রেস কনফারেন্স করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা অলমোস্ট কমপ্লিট। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
এর আগে বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অংশীজন দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন সমঝোতার মাধ্যমে জোটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নিচ্ছি। অন্যান্য দলের সঙ্গে খেলাফত মজলিস, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপি থাকবে।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই সবার হাতে আসন তুলে দেব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। খুব শিগগির আসন ঘোষণা করা হবে।’
আরও কোনো দলের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখন কেউ আসতে চাইলে আমরা সবাইকে কবুল করব, তবে এই মুহূর্তে সবাইকে একসঙ্গে অ্যাকোমডেট করা আমাদের জন্য কঠিন হতে পারে। তারপরও যদি কোনো বিশেষ বিষয় থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকসহ জোটের অন্য নেতারা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
আজ রোববার ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা আট দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং কর্নেল অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপি। আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তাঁরা এখানে আসার সুযোগ পাননি। তাঁরা রাতে একটি প্রেস কনফারেন্স করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা অলমোস্ট কমপ্লিট। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
এর আগে বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অংশীজন দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন সমঝোতার মাধ্যমে জোটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নিচ্ছি। অন্যান্য দলের সঙ্গে খেলাফত মজলিস, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপি থাকবে।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই সবার হাতে আসন তুলে দেব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। খুব শিগগির আসন ঘোষণা করা হবে।’
আরও কোনো দলের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখন কেউ আসতে চাইলে আমরা সবাইকে কবুল করব, তবে এই মুহূর্তে সবাইকে একসঙ্গে অ্যাকোমডেট করা আমাদের জন্য কঠিন হতে পারে। তারপরও যদি কোনো বিশেষ বিষয় থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকসহ জোটের অন্য নেতারা।

বিএনপি-জামায়াতের আমলে সরকার-বিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৪ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে