হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩: ১৯
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০: ১১
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায়বিচার: জনপরিসরে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন ড. সামিনা লুৎফা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায়বিচার: জনপরিসরে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সমসাময়িক বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের বিশেষ সেমিনারে সামিনা লুৎফা এই কথা বলেন।

সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক লুৎফা বলেন, ‘এটা বিপ্লবী সরকার না। ছাত্র-জনতা বিপ্লব করেনি, অভ্যুত্থান করেছে। তবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন জরুরি। আওয়ামী লীগ সরকারের মতো আচরণ করা যাবে না। বর্তমানে একজন উপদেষ্টা আগের একজন আওয়ামী মন্ত্রীর মতো আচরণ করছেন। এ ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে। সরকারের পরিষদের বেশির ভাগ এনজিও সম্পৃক্ত।’ এ ছাড়া এখনো আর্মড ফোর্সেস মেজর প্লেয়ার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, এই সময়কালে শুধু সংখ্যালঘুরা (মাইনরিটি) ভিকটিম হয়েছেন তা নয়, সংখ্যাগুরুও (মেজরিটি) ভিকটিম হয়েছেন। দেশের অধিকাংশ লোক নিজেদের মজলুম বলে অনুভব করছেন। কেউ তাঁর ধর্মের জন্য, কেউ তার বঞ্চনার জন্য, কেউ তার ন্যায় বিচার না পাওয়ার জন্য, কেউ পদোন্নতি, কেউ হিজাবের জন্য, কেউ পোশাকের জন্য, কেউ সিঁদুরের জন্য ইত্যাদি।

গত ৫-৮ আগস্ট পর্যন্ত কার্যত দেশে কোনো সরকার ছিল না। এই সময়ে ও তার পরবর্তী সময়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয় না। হওয়া উচিত।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায়বিচার: জনপরিসরে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন ড. সামিনা লুৎফা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায়বিচার: জনপরিসরে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন ড. সামিনা লুৎফা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সামিনা লুৎফা আরও বলেন, বিভিন্ন মতাদর্শ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক ভায়োলেন্স সংঘটিত হয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের কার্যকারিতার বিষয়ে লুৎফা আলোকপাত করে বলেন, নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকাটা বা খুঁজে না পাওয়াটা, আন্দোলনকারীদের একটি কৌশল।

এ সময় বিআইএসআরের ইন্টার্ন রাশেদ আঞ্জুম নিলয় ‘একটি আন্দোলন আরেকটি আন্দোলনের জন্ম দেয় কিনা’— জানতে চাইলে সামিনা লুৎফা বলেন, আন্দোলন বিফল হলেই পরবর্তীতে আরও আন্দোলনের জন্ম হয়।

দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষক-ছাত্ররা হাইব্রিড উপায়ে এই বিশেষ সেমিনারে অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত