আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে...
৯ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে...
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে...
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে...
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, আজ বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, আজ বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে