যশোর প্রতিনিধি
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে না পারলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আজ শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে গোলাম পরওয়ার এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত নেতা বলেন, ‘নির্বাচন যখনই হোক, সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কাছে যে কমিটমেন্ট করেছে, সেদিকে সরকারকে সোজা থাকতে হবে। কোনো পাশে ঝুঁকলে হবে না। মাঝখানে সরকার জাতির সামনে সংশয় সৃষ্টি করেছিল। আপনার হাতে নির্বাচন ব্যর্থ হয়ে পড়লে, নিরপেক্ষ না হলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেই নিরপেক্ষতার প্রমাণ সরকারকেই দিতে হবে।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জামায়াতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মন্তব্য করে দলের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর সংস্কার করতে হবে। কেননা, বিগত সরকারের সময়ে সব সেক্টর দুর্নীতিতে তছনছ হয়ে গেছে। আইন, বিচার, সংবিধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে আর বাকিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। আসল কাজগুলো সংস্কার না হলে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে সংস্কার ব্যাহত হতে পারে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চেয়েছি। তার কারণ স্থানীয় সরকারের কাঠামো না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্প এখন সরকারি অফিসারের হাতে সীমাবদ্ধ। দুর্নীতি, ব্যক্তিপূজা, স্বজনপ্রীতিতে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ তারা পাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জনগণের দুর্ভোগ কমাতে অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে আমরা আশঙ্কা করি কালোটাকা, পেশিশক্তি দিয়ে তারা স্থানীয় সরকারের সব সেক্টরে তাদের লোকজন বসাবে। এই নির্বাচনে দলকে ভোট দেবে, ব্যক্তিকে নয়।’
‘দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়’ নীতির রাজনীতি করে জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমাদের পরে অনেক দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারা আজ উন্নয়নশীল দেশ। আর আমরা উন্নয়ন ঘটাতে পারিনি অনৈক্যের কারণে। আমাদের বিভক্তি উন্নয়ন ব্যাহত করছে।’
দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জানিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। এই নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতি করে, ভোটাধিকার হরণ করে, কালোটাকা ও পেশিশক্তি দিয়ে আবারও ১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চাইলে তাদের জনগণই প্রতিহত করবে।’
যশোর জেলা জামায়াতের আমির গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আজীজুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে না পারলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আজ শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে গোলাম পরওয়ার এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত নেতা বলেন, ‘নির্বাচন যখনই হোক, সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কাছে যে কমিটমেন্ট করেছে, সেদিকে সরকারকে সোজা থাকতে হবে। কোনো পাশে ঝুঁকলে হবে না। মাঝখানে সরকার জাতির সামনে সংশয় সৃষ্টি করেছিল। আপনার হাতে নির্বাচন ব্যর্থ হয়ে পড়লে, নিরপেক্ষ না হলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেই নিরপেক্ষতার প্রমাণ সরকারকেই দিতে হবে।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জামায়াতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মন্তব্য করে দলের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর সংস্কার করতে হবে। কেননা, বিগত সরকারের সময়ে সব সেক্টর দুর্নীতিতে তছনছ হয়ে গেছে। আইন, বিচার, সংবিধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে আর বাকিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। আসল কাজগুলো সংস্কার না হলে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে সংস্কার ব্যাহত হতে পারে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চেয়েছি। তার কারণ স্থানীয় সরকারের কাঠামো না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্প এখন সরকারি অফিসারের হাতে সীমাবদ্ধ। দুর্নীতি, ব্যক্তিপূজা, স্বজনপ্রীতিতে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ তারা পাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জনগণের দুর্ভোগ কমাতে অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে আমরা আশঙ্কা করি কালোটাকা, পেশিশক্তি দিয়ে তারা স্থানীয় সরকারের সব সেক্টরে তাদের লোকজন বসাবে। এই নির্বাচনে দলকে ভোট দেবে, ব্যক্তিকে নয়।’
‘দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়’ নীতির রাজনীতি করে জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমাদের পরে অনেক দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারা আজ উন্নয়নশীল দেশ। আর আমরা উন্নয়ন ঘটাতে পারিনি অনৈক্যের কারণে। আমাদের বিভক্তি উন্নয়ন ব্যাহত করছে।’
দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জানিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। এই নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতি করে, ভোটাধিকার হরণ করে, কালোটাকা ও পেশিশক্তি দিয়ে আবারও ১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চাইলে তাদের জনগণই প্রতিহত করবে।’
যশোর জেলা জামায়াতের আমির গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আজীজুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ।
দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা, দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা—কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, সাংগঠনিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অপকর্ম অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে জনমনে ক্ষোভ...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির পক্ষ থেকে এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে দলটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
১৩ ঘণ্টা আগেকারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না, তা বিবেচনায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সত্যিকারভাবে খুঁজে বের করতে হবে কারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আজ, গতকাল, গত পরশু বা ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের..
১৩ ঘণ্টা আগেমিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান জানাব, অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
১৪ ঘণ্টা আগে