Ajker Patrika

জোটের আসন ভাগাভাগির সমস্যা ১৭ ডিসেম্বরের পর থাকবে না: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ২৫
জোটের আসন ভাগাভাগির সমস্যা ১৭ ডিসেম্বরের পর থাকবে না: ওবায়দুল কাদের

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের আসন ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জোটের সবচেয়ে বড় শরিক আওয়ামী লীগ কোন কৌশলে অন্য শরিকদের তুষ্ট করবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়নি। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের পর জোটের আসন ভাগাভাগিসংক্রান্ত সমস্যা আর থাকবে না। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘যা হওয়ার ১৭ তারিখের আগে হবে। এরপর আর এই সমস্যা থাকবে না।’ 

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘সম্মানজনক’ আসন ভাগাভাগি হবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সেদিন বিকেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠক শেষে তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে এই প্রত্যাশার কথা জানান। 

তার আগে ৪ ডিসেম্বর ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সোমবার বৈঠক করেন। সেখানে জোটের দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরই জোটের দুই দল ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। 

বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন বলেন, জোটের পক্ষ থেকে একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে, আগের চেয়ে কিছু আসন বেশি চেয়েছে ১৪ দল। তিনি বলেন, জোটের সম্মান রক্ষা করে যেন আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। আমাদের এখন ১০ জন সংসদ সদস্য আছেন, প্রত্যাশা ২০ জনের।’

জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন জানিয়ে ইনু বলেন, যেখানে জোটের প্রার্থী আসবেন, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবেন। জোটের প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন। আমির হোসেন আমু বলেন, ‘কিছু আসনে আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করব। আর কিছু আসনে শরিক দলগুলো নিজেদের মতো নির্বাচন করবে। একসঙ্গে নির্বাচন করা আসনগুলোতে শরিকেরা নৌকা প্রতীক ব্যবহার করবেন। বাকি আসনগুলোতে তাঁদের নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘জুলাইকে জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে’, তাজনূভার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
তাজনূভা জাবীন। সংগৃহীত
তাজনূভা জাবীন। সংগৃহীত

নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।

আজ রোববার এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি দল ছাড়ার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

তাজনূভা জাবীন তাঁর পোস্টে অভিযোগ করেন, জামায়াতের সঙ্গে এই জোট কোনো আকস্মিক রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি লিখেছেন, ‘পুরো জুলাইকে (গণ-অভ্যুত্থান) রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দেওয়া হচ্ছে জামায়াতের হাতে।’

তাঁর দাবি, এনসিপির স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে প্রথম নির্বাচনেই কেন জামায়াতের ওপর নির্ভরশীল হতে হলো, তা নিয়ে দলে কোনো জবাবদিহি নেই। তিনি আরও বলেন, যেখানে এনসিপিকে জামায়াতের ‘বি টিম’ বা ‘অন্য দোকান’ বলা হয়, সেখানে আগে নিজের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা না করে কেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতকে বেছে নেওয়া হলো, তা প্রশ্নবিদ্ধ।

তাজনূভা জাবীন বলেন, সারা দেশ থেকে ১২৫ জনকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ডাক দিয়ে শেষ মুহূর্তে মাত্র ৩০টি আসনে সমঝোতা করা হয়েছে। বাকিদের নির্বাচন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়টি একদম শেষ সময় পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াতে না পারে। তার ভাষায়, ‘পুরো আগোছালো করে চোখের পলকে ডিসওউন করে দিয়েছে।’

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এক শীর্ষ নেতা আরেক শীর্ষ নেতার সাথে যে মাইনাসের রাজনীতি করে ওখানে, সেটা ভয়ংকর। এরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করতে এত ব্যস্ত যে এরা কখনো দেশের জন্য নতুন কোনো রাজনীতি করতে পারবে না।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপির নেতারা জুলাইয়ের স্পিরিটকে চর্চা করেন না, বরং নিজেদের ফায়দাতে ‘ব্যবহার’ করেন। যারা দলের নীতিকথা বলেন, তাঁদের ‘আবেগি’ তকমা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়।

তাজনূভা জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন না। কারণ, সেটির কোনো পরিবেশ রাখা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সংগৃহীত মানুষের অনুদান (ডোনেশন) তিনি একে একে সবাইকে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিজেরও ভালো লাগছে না এভাবে ছেড়ে যেতে। কিন্তু এই দল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো সম্মানজনক অপশন নাই।’

যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারার পর তাজনূভা জাবীনের এই পদত্যাগ এনসিপির ‘মধ্যপন্থা’ ও ‘নতুন বন্দোবস্ত’-এর রাজনীতিকে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে ফেলল। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া একটি দল কেন প্রথম ভোটেই পুরোনো মেরুকরণে আটকা পড়ল, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জারার পর এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন তাজনূভা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৬
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন। সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন। সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

তাজনূভা লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে কজন এমপি বের হবে তাদেরকে কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে। কিয়েক্টাবস্থা।

যাই হোক, আমি আজকে পদত্যাগ করেছি এনসিপি থেকে। অত্যন্ত ভাঙ্গা মন নিয়ে জানাচ্ছি আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আজকেই আম্মু চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমার নির্বাচন করা উপলক্ষে, আর আজকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি জানি অনেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আমার এই সিদ্ধান্তে। কিন্তু এটাই আমার জন‍্য সঠিক। এখানে ন্যূনতম আশা থাকলে, আমি আমার আত্মসম্মানবোধকেও বোধ হয় ডাউট অফ বেনিফিট দিতাম।’

তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের পাঠানো ডোনেশন ফেরত দেব এক এক করে। আমাকে একটু সময় দেবেন। সেটার জন‍্য বিস্তারিত লিখে আপডেট দেব কিভাবে ধীরে ধীরে ফেরত দেব। প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত দেব। আপনাদের সমর্থন, আপনাদের ভালোবাসার জন‍্য আমি কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৫
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দলের শীর্ষ নেতার পক্ষে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল। তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঢাকা-১৭ আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে যে ৩টি বিএনপি ফাঁকা রেখেছিল, তার মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনও ছিল। গুলশান-বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির জোটসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ভোলা-১ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। তাঁর মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ‘অত্যন্ত সংকটময় অবস্থা’ পার করছেন। আজ রোববার সকাল ৬টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন মেডিকেল টিমের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে ২৩ নভেম্বর বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তির পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বর্তমানে তিনি সিসিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত জটিল। এই সংকট উতরিয়ে যেতে পারলে হয়তো আমরা ভালো কিছু শুনতে পাব।’

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সস্ত্রীক হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ডা. জুবাইদা রহমানসহ তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। গত বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পর এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয়বার হাসপাতাল পরিদর্শন।

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ডা. জাহিদ হোসেন জানান, চিকিৎসকেরা তাঁদের সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে চেষ্টা করছেন এবং ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ভিসাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে। তবে বর্তমানে তিনি ‘ফ্লাই’ করার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। চিকিৎসকেরা সবুজসংকেত দিলেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৯ নভেম্বর জানানো হয়েছিল, তিনি নতুন করে নিউমোনিয়া এবং ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০২৪ সালের জুনে তাঁর হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়েছিল এবং বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে লিভারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

২০১৮ সালে কারারুদ্ধ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় অসুস্থ অবস্থায় থাকা খালেদা জিয়াকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে সব দণ্ড থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত