নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয় একসঙ্গে চালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয় একসঙ্গে চালিয়ে বাংলাদেশকে একটা যথার্থ উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আপনার কাছে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—তিনটা একসঙ্গে চলতে হবে। এই তিনটার সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধ জনগণ মানবে না। কাজেই এই তিনটাকে একসঙ্গে চালানো নিয়ে যত সমস্যা হচ্ছে, সেগুলোর দ্রুত সমাধান করে জনগণের ঐক্য ফিরিয়ে আনুন।’
সাকি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আপনারা বিদেশিদের কাছে দিতে চান। জনগণ একমত কি না, আপনারা জিজ্ঞেস করেন নাই। কী পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে, সেটা আপনারা খোলাসা করেন নাই। এভাবে কাজ করার এখতিয়ার আপনাদের নাই। আপনাদের উচিত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা। এই মুহূর্তে কাজ বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন।’
সরকারের উদ্দেশে সাকি আরও বলেন, ‘একদল লোক নিজেদের আন্দোলনকারী বলে মবতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে। তারা নারীর ওপরে আক্রমণ করে, মাজারে আক্রমণ করে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যার শক্তি বেশি, তাকে ছাড় দেবেন, আবার কাউকে অপছন্দ হলে তার সঙ্গে দীর্ঘসূত্রতা করবেন—এসব আচরণ আপনাদের সরকারের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যায় না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘শেখ হাসিনার গদি মানুষ উল্টে দিয়েছে। ভারতের আধিপত্যকেও উল্টে দেওয়া হবে। ভারতকে আমরা আগেও বলেছি এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। আর সত্যিকার অর্থে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, তাহলে সমতার ভিত্তিতে করেন। কারও অধিকার হরণ করে বন্ধুত্ব হয় না। সেটাকে দাসত্ব বলে। যে আমাদের অধিকার হরণ করছে, প্রতি মুহূর্তে আমাদের ঠকাচ্ছে, তাদের যদি আমরা বন্ধু ভাবি, তাহলে আমরা শুধু শারীরিকভাবেই দাস নই, মানসিকভাবেও দাস।’
সাকি আরও বলেন, ‘ছাত্রনেতারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গিয়েছেন, উপদেষ্টা হয়েছেন। একজন উপদেষ্টাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু আমরা উপদেষ্টাদের বলি, আপনাদের আন্দোলনের ন্যায্যতা বুঝতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসুন। আলোচনায় না বসে, কায়দা করে দীর্ঘসূত্রতা করে আপনারা কী পরিচয় দিচ্ছেন নিজেদের। সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকার সবার, আন্দোলনকারীদের সমর্থনে তৈরি হয়েছে। এটা কোনো একটা পক্ষের সরকার নয়। আপনাদের কাজ হচ্ছে দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করা। যে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন না, দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমাধানের উদ্যোগী হন।’
এ সময় সেখানে গণসংহতি আন্দোলনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয় একসঙ্গে চালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয় একসঙ্গে চালিয়ে বাংলাদেশকে একটা যথার্থ উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আপনার কাছে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—তিনটা একসঙ্গে চলতে হবে। এই তিনটার সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধ জনগণ মানবে না। কাজেই এই তিনটাকে একসঙ্গে চালানো নিয়ে যত সমস্যা হচ্ছে, সেগুলোর দ্রুত সমাধান করে জনগণের ঐক্য ফিরিয়ে আনুন।’
সাকি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আপনারা বিদেশিদের কাছে দিতে চান। জনগণ একমত কি না, আপনারা জিজ্ঞেস করেন নাই। কী পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে, সেটা আপনারা খোলাসা করেন নাই। এভাবে কাজ করার এখতিয়ার আপনাদের নাই। আপনাদের উচিত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা। এই মুহূর্তে কাজ বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন।’
সরকারের উদ্দেশে সাকি আরও বলেন, ‘একদল লোক নিজেদের আন্দোলনকারী বলে মবতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে। তারা নারীর ওপরে আক্রমণ করে, মাজারে আক্রমণ করে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যার শক্তি বেশি, তাকে ছাড় দেবেন, আবার কাউকে অপছন্দ হলে তার সঙ্গে দীর্ঘসূত্রতা করবেন—এসব আচরণ আপনাদের সরকারের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যায় না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘শেখ হাসিনার গদি মানুষ উল্টে দিয়েছে। ভারতের আধিপত্যকেও উল্টে দেওয়া হবে। ভারতকে আমরা আগেও বলেছি এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। আর সত্যিকার অর্থে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, তাহলে সমতার ভিত্তিতে করেন। কারও অধিকার হরণ করে বন্ধুত্ব হয় না। সেটাকে দাসত্ব বলে। যে আমাদের অধিকার হরণ করছে, প্রতি মুহূর্তে আমাদের ঠকাচ্ছে, তাদের যদি আমরা বন্ধু ভাবি, তাহলে আমরা শুধু শারীরিকভাবেই দাস নই, মানসিকভাবেও দাস।’
সাকি আরও বলেন, ‘ছাত্রনেতারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গিয়েছেন, উপদেষ্টা হয়েছেন। একজন উপদেষ্টাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু আমরা উপদেষ্টাদের বলি, আপনাদের আন্দোলনের ন্যায্যতা বুঝতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসুন। আলোচনায় না বসে, কায়দা করে দীর্ঘসূত্রতা করে আপনারা কী পরিচয় দিচ্ছেন নিজেদের। সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকার সবার, আন্দোলনকারীদের সমর্থনে তৈরি হয়েছে। এটা কোনো একটা পক্ষের সরকার নয়। আপনাদের কাজ হচ্ছে দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করা। যে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন না, দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমাধানের উদ্যোগী হন।’
এ সময় সেখানে গণসংহতি আন্দোলনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লিউ ইউইন। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
৪ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দলের প্রতি অনুরাগ নয়, বরং ২০২৬ সালের রোজার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে পারে বলে জামায়াতের আমির যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেটার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনের নতুন সময়সীমা সামঞ্জস্যপূর্ণ।
১ দিন আগেজামায়াত ইসলামী মনে করে, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়; যৌথ বিবৃতি দেওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয়। এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর নিরপেক্ষতা
১ দিন আগেসরকার প্রধান হিসেবে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়। প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং করায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
১ দিন আগে