বরগুনা প্রতিনিধি

‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়।’ বামপন্থীদের উদ্দেশে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন। আজ বুধবার দুপুর ১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বরগুনার সার্কিট হাউস ময়দানের সম্মেলনে বিএনপিকে উদ্দেশে করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল তৈরি হয়ে আছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল রেডি। এই সব দেখে ফখরুলের মন খারাপ। বিএনপি এখন অন্তর্জ্বালায় মরছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলে, আমরা নাকি কাপুরুষ। সেই জন্য তাদের মামলা মোকদ্দমা দিয়েছি। কাপুরুষ কী আমরা নাকি বিএনপি। হাওয়া ভবনের যুবরাজ বসে আছে টেম্পস নদীর পাড়ে, আর বস্তায় বস্তায় দুবাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে। টাকা উড়ে আকাশে, টাকা উড়ে বাতাসে। ফখরুল টাকার বস্তার উপড়ে বসে আছে, দিতে দিতে খালি, এখন গলার জোরটা একটু কমে গেছে। এখন তিনি ডিফেন্সিভ মুডে আছে। এখন আর আক্রমণাত্মক গলার সূর নাই। বিএনপির ফাঁকা বুলিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ডিসেম্বরে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা তৈরি থাকবেন, প্রস্তুত থাকবেন। গোটা ডিসেম্বর মাস, পুরো বিজয়ের মাস আপনাদের মাঠে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনে খেলা হবে।’
বামপন্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়। সে কী লাফ! বাম রাজনীতি করে, আদর্শের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দিতে চায়। খেলা তো হবে। কোথায় গেল আদর্শ। ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তারাও এখন আন্দোলনের ভয় দেখায়। জিরোর সাথে জিরো যোগ করলে যা হয় তাদেরও অবস্থাও তাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ ঘোষণা করব। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেবেন। সবাই এক হয়ে কাজ করব। তবে দলে দুর্নীতিবাজ, মাদকসেবীদের আশ্রয় দেবেন না।’
এর আগে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ও প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম বক্তব্যে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচন ব্যাহত করার অপচেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করবে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যাহত করবে আমরা তাদেরকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত ও মোকাবিলা করব।’
বেলা সোয়া ১১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষণ কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জ্যেষ্ঠ সদস্য, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি।
সম্মেলনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়াও সম্মেলনে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির।
পরে বিকেলে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপিকে সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীরকে সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম সরোয়ার টুকুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়।’ বামপন্থীদের উদ্দেশে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন। আজ বুধবার দুপুর ১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বরগুনার সার্কিট হাউস ময়দানের সম্মেলনে বিএনপিকে উদ্দেশে করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল তৈরি হয়ে আছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল রেডি। এই সব দেখে ফখরুলের মন খারাপ। বিএনপি এখন অন্তর্জ্বালায় মরছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলে, আমরা নাকি কাপুরুষ। সেই জন্য তাদের মামলা মোকদ্দমা দিয়েছি। কাপুরুষ কী আমরা নাকি বিএনপি। হাওয়া ভবনের যুবরাজ বসে আছে টেম্পস নদীর পাড়ে, আর বস্তায় বস্তায় দুবাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে। টাকা উড়ে আকাশে, টাকা উড়ে বাতাসে। ফখরুল টাকার বস্তার উপড়ে বসে আছে, দিতে দিতে খালি, এখন গলার জোরটা একটু কমে গেছে। এখন তিনি ডিফেন্সিভ মুডে আছে। এখন আর আক্রমণাত্মক গলার সূর নাই। বিএনপির ফাঁকা বুলিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ডিসেম্বরে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা তৈরি থাকবেন, প্রস্তুত থাকবেন। গোটা ডিসেম্বর মাস, পুরো বিজয়ের মাস আপনাদের মাঠে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনে খেলা হবে।’
বামপন্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়। সে কী লাফ! বাম রাজনীতি করে, আদর্শের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দিতে চায়। খেলা তো হবে। কোথায় গেল আদর্শ। ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তারাও এখন আন্দোলনের ভয় দেখায়। জিরোর সাথে জিরো যোগ করলে যা হয় তাদেরও অবস্থাও তাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ ঘোষণা করব। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেবেন। সবাই এক হয়ে কাজ করব। তবে দলে দুর্নীতিবাজ, মাদকসেবীদের আশ্রয় দেবেন না।’
এর আগে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ও প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম বক্তব্যে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচন ব্যাহত করার অপচেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করবে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যাহত করবে আমরা তাদেরকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত ও মোকাবিলা করব।’
বেলা সোয়া ১১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষণ কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জ্যেষ্ঠ সদস্য, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি।
সম্মেলনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়াও সম্মেলনে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির।
পরে বিকেলে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপিকে সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীরকে সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম সরোয়ার টুকুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বরগুনা প্রতিনিধি

‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়।’ বামপন্থীদের উদ্দেশে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন। আজ বুধবার দুপুর ১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বরগুনার সার্কিট হাউস ময়দানের সম্মেলনে বিএনপিকে উদ্দেশে করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল তৈরি হয়ে আছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল রেডি। এই সব দেখে ফখরুলের মন খারাপ। বিএনপি এখন অন্তর্জ্বালায় মরছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলে, আমরা নাকি কাপুরুষ। সেই জন্য তাদের মামলা মোকদ্দমা দিয়েছি। কাপুরুষ কী আমরা নাকি বিএনপি। হাওয়া ভবনের যুবরাজ বসে আছে টেম্পস নদীর পাড়ে, আর বস্তায় বস্তায় দুবাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে। টাকা উড়ে আকাশে, টাকা উড়ে বাতাসে। ফখরুল টাকার বস্তার উপড়ে বসে আছে, দিতে দিতে খালি, এখন গলার জোরটা একটু কমে গেছে। এখন তিনি ডিফেন্সিভ মুডে আছে। এখন আর আক্রমণাত্মক গলার সূর নাই। বিএনপির ফাঁকা বুলিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ডিসেম্বরে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা তৈরি থাকবেন, প্রস্তুত থাকবেন। গোটা ডিসেম্বর মাস, পুরো বিজয়ের মাস আপনাদের মাঠে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনে খেলা হবে।’
বামপন্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়। সে কী লাফ! বাম রাজনীতি করে, আদর্শের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দিতে চায়। খেলা তো হবে। কোথায় গেল আদর্শ। ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তারাও এখন আন্দোলনের ভয় দেখায়। জিরোর সাথে জিরো যোগ করলে যা হয় তাদেরও অবস্থাও তাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ ঘোষণা করব। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেবেন। সবাই এক হয়ে কাজ করব। তবে দলে দুর্নীতিবাজ, মাদকসেবীদের আশ্রয় দেবেন না।’
এর আগে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ও প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম বক্তব্যে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচন ব্যাহত করার অপচেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করবে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যাহত করবে আমরা তাদেরকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত ও মোকাবিলা করব।’
বেলা সোয়া ১১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষণ কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জ্যেষ্ঠ সদস্য, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি।
সম্মেলনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়াও সম্মেলনে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির।
পরে বিকেলে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপিকে সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীরকে সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম সরোয়ার টুকুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়।’ বামপন্থীদের উদ্দেশে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন। আজ বুধবার দুপুর ১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বরগুনার সার্কিট হাউস ময়দানের সম্মেলনে বিএনপিকে উদ্দেশে করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল তৈরি হয়ে আছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল রেডি। এই সব দেখে ফখরুলের মন খারাপ। বিএনপি এখন অন্তর্জ্বালায় মরছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলে, আমরা নাকি কাপুরুষ। সেই জন্য তাদের মামলা মোকদ্দমা দিয়েছি। কাপুরুষ কী আমরা নাকি বিএনপি। হাওয়া ভবনের যুবরাজ বসে আছে টেম্পস নদীর পাড়ে, আর বস্তায় বস্তায় দুবাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে। টাকা উড়ে আকাশে, টাকা উড়ে বাতাসে। ফখরুল টাকার বস্তার উপড়ে বসে আছে, দিতে দিতে খালি, এখন গলার জোরটা একটু কমে গেছে। এখন তিনি ডিফেন্সিভ মুডে আছে। এখন আর আক্রমণাত্মক গলার সূর নাই। বিএনপির ফাঁকা বুলিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ডিসেম্বরে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা তৈরি থাকবেন, প্রস্তুত থাকবেন। গোটা ডিসেম্বর মাস, পুরো বিজয়ের মাস আপনাদের মাঠে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনে খেলা হবে।’
বামপন্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও লাফায়। সে কী লাফ! বাম রাজনীতি করে, আদর্শের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দিতে চায়। খেলা তো হবে। কোথায় গেল আদর্শ। ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তারাও এখন আন্দোলনের ভয় দেখায়। জিরোর সাথে জিরো যোগ করলে যা হয় তাদেরও অবস্থাও তাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ ঘোষণা করব। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেবেন। সবাই এক হয়ে কাজ করব। তবে দলে দুর্নীতিবাজ, মাদকসেবীদের আশ্রয় দেবেন না।’
এর আগে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ও প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম বক্তব্যে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচন ব্যাহত করার অপচেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করবে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যাহত করবে আমরা তাদেরকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত ও মোকাবিলা করব।’
বেলা সোয়া ১১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষণ কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জ্যেষ্ঠ সদস্য, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি।
সম্মেলনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়াও সম্মেলনে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির।
পরে বিকেলে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপিকে সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীরকে সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম সরোয়ার টুকুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

‘বিএনপির অন্তরে জ্বালা, পদ্মা সেতু হয়েই গেল। পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। বলেছিল, জোড়াতালির পদ্মা সেতু, উপড়ে উঠলে ভেঙে পড়ে যাবে। এখন যে এদিক-ওদিক যাতায়াত করেন, শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না! পদ্মা সেতু ঠেকাতে পারেনি। এখন জালা হচ্ছে এটা। পায়রা সেতু হয়ে গেছে, কুয়াকাটায় তিন সেতু হয়ে গেছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে