Ajker Patrika

বিএনপির সঙ্গে ১১ জানুয়ারি মাঠে থাকবে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ৪৩
বিএনপির সঙ্গে ১১ জানুয়ারি মাঠে থাকবে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে দলটির ১১ জানুয়ারির গণ-অবস্থানে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে চারটি বাম দলের জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।

আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত জানান।

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক হারুন বলেন, ‘বিএনপির ২৭ দফা কর্মসূচি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে আমাদের একটা বিশ্বাস হয়েছে যে, বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য যে ২৭ দফা দিয়েছে, তাতে দেশের কৃষক-শ্রমিক-মজুর, ছাত্র, নারী ও পুরুষ—সবার জন্য ইতিবাচক বক্তব্য আছে। সেই কথাগুলো আমরা বিশ্বাস করেছি। রাষ্ট্রের এ মেরামতগুলো যদি হয়ে যায়, তাহলে আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে, সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রদূতদের কাছে আমরা যেভাবে অপমানিত অবস্থায় আছি, আমি মনে করি, সেটা আর থাকবে না। তাই দেশের স্বার্থে আগামীতে বিএনপির যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে আজকে তৃতীয়বার ওনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।

‘আগামীতে রাজপথ যত কঠিনই হোক, পিছপা হব না। আগামী ১১ জানুয়ারি যে কর্মসূচি হবে, সেটার সঙ্গেও আমরা একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে থাকব। ইনশা আল্লাহ আমরা একত্র হয়ে আন্দোলন করে এ সরকারকে পরাজিত করে ২০২৩ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করব। সেই নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। আর গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতাদের মধ্যে হারুন চৌধুরী ছাড়াও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ। 

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে জানিয়ে বরকত উল্লা বুলু বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের যে ২৭ দফা, তার সঙ্গে উনারা ঐক্যবদ্ধ এবং রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে উনারা থাকবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে রাজপথে বিএনপি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। 

বাম ঐক্যের নেতারা ২৭ দফার মধ্যে কিছু যোগ-বিয়োগের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার হবে। সেই জাতীয় সরকারের অধীনে এই ২৭ দফাসহ সব প্রস্তাব একসঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় সনদ জাতির সামনে উপস্থাপন করব।’

সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 

এতে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইনবো’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার প্রস্তাব রয়েছে।

২০১৭ সালে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য গঠিত হয়। 

সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সাত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এই কমিটির সদস্যরা হলেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অন্তর্বর্তী সরকারকে মোদির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করতে হবে: আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪১
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। একই সঙ্গে অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব নিয়ে মোদির ‘ইতিহাস বিকৃতি’র বিরুদ্ধে বিবৃতি জারির আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শেষে সমাবেশে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।

সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ১৬ ডিসেম্বরকে নরেন্দ্র মোদি ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে, বাংলাদেশের জনযুদ্ধকে, বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামকে ভারতের বিজয় হিসেবে দেখানোর মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি দৃশ্যত ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। বাংলাদেশের জন্মের সাথে লেগে থাকা ইতিহাসকে বিকৃতির দায়ে নরেন্দ্র মোদিকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আখতার বলেন, ‘এটা কোনো ছেলেখেলা নয়। বাংলাদেশের বিজয়কে ভারতের বিজয় দেখিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করার ছেলেখেলাকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব নিয়ে মোদির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করতে হবে।’

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এবারের নির্বাচন সংস্কারের নির্বাচন। আপনারা সংস্কারের পক্ষে থাকবেন, বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন।’

এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ‘আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শুরু হয়। কাঁটাবন মোড়, নীলক্ষেত মোড় ও পলাশীর মোড় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এ পদযাত্রা। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় তাঁরা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। ‘গণভোটে হ্যাঁ বলি, সংস্কারের সাথে চলি’, ‘মুক্তির মূল সনদ গণভোট-গণভোট’, ‘এক হাদির কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’সহ নানা স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামের নামে দেশকে বিভক্ত করা যাবে না: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩০
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামের নামে দেশকে বিভক্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শেষে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নামে যেমন দেশকে বিভাজন করা যাবে না, ইসলামের নামেও দেশকে বিভাজন করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ এবং ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করার যে রাজনীতি গত ৫৪ বছর হয়েছে, সে রাজনীতি থেকে আমরা বের হয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। ইসলাম আমার, মুক্তিযুদ্ধ আমার, জুলাইও আমার। যারা এগুলোকে বিভক্ত করতে চায়, তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়।’

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নের সুরাহা হয়নি বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নের সুরাহা করতে পারিনি। ৫৪ বছর পর এসেও আমরা দেখি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের রাজনীতি। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা ভেবেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের বিভাজনের রাজনীতির সুরাহা হবে। সে রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে দূর হবে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি, ৫ আগস্টের পর সে রাজনীতি আবারও ফিরে এসেছে। যে রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং মুজিববাদী বামপন্থীরা বাংলাদেশকে সব সময় বিভাজিত করে রেখেছিল, বাংলাদেশে সব সময় একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে রেখেছিল।’

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এনসিপির অবস্থান এবং বক্তব্য খুবই পরিষ্কার বলে জানান নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তি। আমরা মনে করি, ১৯৪৭ এবং তার পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষ আজাদির জন্য উপনিবেশবাদবিরোধী যে লড়াই শুরু করছিল, তার অন্যতম পরিণতি হচ্ছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিলাম; কিন্তু আমরা সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি। আমাদের পাশের রাষ্ট্র বারবার এখানে তাঁবেদারি রাষ্ট্র, তাঁবেদারি দেশ কায়েম করতে চেয়েছে।’

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এবারের নির্বাচন সংস্কারের নির্বাচন। আপনারা সংস্কারের পক্ষে থাকবেন, বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন।

এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ‘আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শুরু হয়। কাঁটাবন মোড়, নীলক্ষেত মোড় ও পলাশীর মোড় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা। এতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় তাঁরা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা-সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। ‘গণভোটে হ্যাঁ বলি, সংস্কারের সাথে চলি’, ‘মুক্তির মূল সনদ গণভোট-গণভোট’, ‘এক হাদির কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’সহ নানা স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পরও স্বাধীনতাযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩১
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পরেও স্বাধীনতাযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরের বিজয় চত্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবি পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের একের পর এক লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। স্বাধীনতাযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আমরা আজও পাইনি।’

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি বলেই আজ আমাদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। সেই কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে এবং তারেক রহমানকে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হচ্ছে।’

নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে উল্লেখ করে ফুয়াদ বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিরিয়াস উদ্যোগ আমরা দেখছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।’

ফুয়াদ বলেন, আগামী নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচনকে ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে যে তারেক রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এখনো হুমকির মুখে রয়েছেন।

এবি পার্টির নেতা আরও বলেন, ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় দেশের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠবে।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব বারকাজ নাসির আহমদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির আরেকটি অপারেশন প্রয়োজন, কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতি নেই: ইনকিলাব মঞ্চ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় আততায়ীর গুলিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির আরেকটি অপারেশন প্রয়োজন হলেও শারীরিক পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এতথ্য জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর হাদির অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চ আরো জানায়, শরিফ ওসমান হাদির ‘আরেকটি অপারেশনের প্রয়োজন তবে সেটি করার মতো শারীরিক পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।

ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা।

প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।

এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির মতিঝিল বিভাগ।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত