সাখাওয়াত ফাহাদ ও সিদ্দিক ফারুক, ঢাকা

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই শিক্ষায়তনগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার কিছু সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি জানান, মতবিনিময়ে উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো চায় আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক।
মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, বুধবারের ওই মতবিনিময়ে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। উপস্থিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবির ছাড়া আর কোনো মূলধারার ছাত্রসংগঠন সেখানে ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সভায় ৩০টি সংগঠনের উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন। তবে অন্যদের দাবি, মতবিনিময়ে এতগুলো সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না। যেসব সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চাই। আমরা “মাদার পার্টির” (মূল রাজনৈতিক দল) কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। কারণ তা হলে ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করা যায় না। ছাত্ররাজনীতি এমন হতে হবে, যেটা ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারে। মাদার পার্টির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের রাজনীতি হলে গেস্টরুম-গণরুমভিত্তিক রাজনীতি চালু হবে।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি দলীয় অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে নয়; বরং ছাত্রদের অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। তাঁদের একাডেমিক বিষয়ের যেন ক্ষতি না হয়, সে রকম কাজই হবে ছাত্ররাজনীতি।’
ছাত্রনেতাদের মধ্যে এ বিভক্তি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ঐক্যের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত, আওয়ামী লীগ, সংস্কারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। নানা পক্ষ সুযোগ নেবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, তবে তা বড় করে না দেখে এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই শিক্ষায়তনগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার কিছু সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি জানান, মতবিনিময়ে উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো চায় আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক।
মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, বুধবারের ওই মতবিনিময়ে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। উপস্থিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবির ছাড়া আর কোনো মূলধারার ছাত্রসংগঠন সেখানে ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সভায় ৩০টি সংগঠনের উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন। তবে অন্যদের দাবি, মতবিনিময়ে এতগুলো সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না। যেসব সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চাই। আমরা “মাদার পার্টির” (মূল রাজনৈতিক দল) কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। কারণ তা হলে ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করা যায় না। ছাত্ররাজনীতি এমন হতে হবে, যেটা ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারে। মাদার পার্টির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের রাজনীতি হলে গেস্টরুম-গণরুমভিত্তিক রাজনীতি চালু হবে।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি দলীয় অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে নয়; বরং ছাত্রদের অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। তাঁদের একাডেমিক বিষয়ের যেন ক্ষতি না হয়, সে রকম কাজই হবে ছাত্ররাজনীতি।’
ছাত্রনেতাদের মধ্যে এ বিভক্তি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ঐক্যের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত, আওয়ামী লীগ, সংস্কারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। নানা পক্ষ সুযোগ নেবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, তবে তা বড় করে না দেখে এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।’
সাখাওয়াত ফাহাদ ও সিদ্দিক ফারুক, ঢাকা

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই শিক্ষায়তনগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার কিছু সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি জানান, মতবিনিময়ে উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো চায় আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক।
মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, বুধবারের ওই মতবিনিময়ে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। উপস্থিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবির ছাড়া আর কোনো মূলধারার ছাত্রসংগঠন সেখানে ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সভায় ৩০টি সংগঠনের উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন। তবে অন্যদের দাবি, মতবিনিময়ে এতগুলো সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না। যেসব সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চাই। আমরা “মাদার পার্টির” (মূল রাজনৈতিক দল) কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। কারণ তা হলে ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করা যায় না। ছাত্ররাজনীতি এমন হতে হবে, যেটা ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারে। মাদার পার্টির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের রাজনীতি হলে গেস্টরুম-গণরুমভিত্তিক রাজনীতি চালু হবে।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি দলীয় অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে নয়; বরং ছাত্রদের অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। তাঁদের একাডেমিক বিষয়ের যেন ক্ষতি না হয়, সে রকম কাজই হবে ছাত্ররাজনীতি।’
ছাত্রনেতাদের মধ্যে এ বিভক্তি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ঐক্যের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত, আওয়ামী লীগ, সংস্কারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। নানা পক্ষ সুযোগ নেবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, তবে তা বড় করে না দেখে এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই শিক্ষায়তনগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার কিছু সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি জানান, মতবিনিময়ে উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো চায় আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক।
মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, বুধবারের ওই মতবিনিময়ে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। উপস্থিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবির ছাড়া আর কোনো মূলধারার ছাত্রসংগঠন সেখানে ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সভায় ৩০টি সংগঠনের উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন। তবে অন্যদের দাবি, মতবিনিময়ে এতগুলো সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না। যেসব সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চাই। আমরা “মাদার পার্টির” (মূল রাজনৈতিক দল) কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। কারণ তা হলে ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করা যায় না। ছাত্ররাজনীতি এমন হতে হবে, যেটা ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারে। মাদার পার্টির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের রাজনীতি হলে গেস্টরুম-গণরুমভিত্তিক রাজনীতি চালু হবে।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি দলীয় অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে নয়; বরং ছাত্রদের অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। তাঁদের একাডেমিক বিষয়ের যেন ক্ষতি না হয়, সে রকম কাজই হবে ছাত্ররাজনীতি।’
ছাত্রনেতাদের মধ্যে এ বিভক্তি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ঐক্যের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত, আওয়ামী লীগ, সংস্কারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। নানা পক্ষ সুযোগ নেবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, তবে তা বড় করে না দেখে এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে