জাহিদ হাসান, যশোর

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন প্রার্থীই কোমর বেঁধে নতুন করে মাঠে নেমেছেন। ফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
শার্শার মতো কোন্দল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা), যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনেও। এই তিনটি আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যশোরের ছয়টি আসনের পাঁচটিতে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা আসন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ঘোষিত পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে চূড়ান্ত সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও প্রার্থিতাবঞ্চিতরা প্রার্থি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বঞ্চিতরা নিজ দলের প্রার্থীকে ব্যর্থ প্রমাণে প্রতিদিনই সভা-সমাবেশে একে অন্যকে ঘায়েল করে দিচ্ছেন বক্তব্য। এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে উত্তাপ-উত্তেজনা।
গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই যশোর-১ আসনে চারজন নিজ নিজ বলয় নিয়ে মাঠ গোছানোর কাজ করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়ায় হতাশ শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনের অনুসারীরা।
শার্শা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, ‘তৃপ্তিকে দল প্রাথমিক সম্ভাব্য প্রার্থিতা দিয়েছে। তাঁর প্রার্থিতায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুশি নয়। এ জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।’
এদিকে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী। দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েই একবার ঝিকরগাছা আরেকবার চৌগাছার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে ছুটে বেড়াচ্ছেন মুন্নী। তবে এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন অন্য প্রার্থিতাপ্রত্যাশী অন্যরা। এ কারণে তাঁরা এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। প্রার্থিতা পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ১০ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন ঝিকরগাছা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুন ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম। নতুন করে প্রার্থিতার দাবিতে গত শুক্রবার আসনটিতে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। পৃথক কর্মসূচি করে বেড়াচ্ছেন আরেক প্রার্থী চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলামও। সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মীরা বলেছেন, আসনটিতে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ডা. মোসলেহউদ্দিন ফরিদ। তিনি নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে বেশ কিছুদিন ধরে জনসংযোগ চালিয়ে আসা মিজানুর রহমান খান এখনো মনে করছেন, দল প্রার্থী পুনর্বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থিতা দেওয়ার আগেই তারেক রহমান নিজে আমাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী কাজ করছি।’ জানতে চাইলে সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘জনসংযোগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। প্রতিটি পথসভায় নারী ও পুরুষের উপস্থিতি প্রায় সমান।’
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। তিনি জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। এই আসনে আরও দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের একজন ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। তিনি আইয়ুবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রায় এক যুগ পরে এলাকায় ফিরে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন। এই আসনের দুজন প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ প্রার্থিতা না পাওয়ায় তাঁর অনুসারীদের এখনো শ্রাবণের পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়নি।
ব্যতিক্রম যশোর-৩
যশোর-৩ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় এই আসনে কোন্দল নেই। অমিতকে ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসন জোটের শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি শেষ মুহূর্তে দলের কোনো চমক থাকছে, সেটি পরিষ্কার নয়। গুঞ্জন রয়েছে জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব ও এই আসনের সাবেক এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাসের ছেলে মাওলানা রশিদ আহমাদকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হবে এমন আশায় এখনো মাঠে কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদ মোহাম্মদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়া প্রার্থিতাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রার্থিতা দেওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ব্যক্তি নয়; সবাই ধানের শীর্ষের পক্ষে কাজ করবে।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন প্রার্থীই কোমর বেঁধে নতুন করে মাঠে নেমেছেন। ফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
শার্শার মতো কোন্দল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা), যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনেও। এই তিনটি আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যশোরের ছয়টি আসনের পাঁচটিতে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা আসন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ঘোষিত পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে চূড়ান্ত সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও প্রার্থিতাবঞ্চিতরা প্রার্থি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বঞ্চিতরা নিজ দলের প্রার্থীকে ব্যর্থ প্রমাণে প্রতিদিনই সভা-সমাবেশে একে অন্যকে ঘায়েল করে দিচ্ছেন বক্তব্য। এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে উত্তাপ-উত্তেজনা।
গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই যশোর-১ আসনে চারজন নিজ নিজ বলয় নিয়ে মাঠ গোছানোর কাজ করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়ায় হতাশ শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনের অনুসারীরা।
শার্শা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, ‘তৃপ্তিকে দল প্রাথমিক সম্ভাব্য প্রার্থিতা দিয়েছে। তাঁর প্রার্থিতায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুশি নয়। এ জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।’
এদিকে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী। দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েই একবার ঝিকরগাছা আরেকবার চৌগাছার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে ছুটে বেড়াচ্ছেন মুন্নী। তবে এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন অন্য প্রার্থিতাপ্রত্যাশী অন্যরা। এ কারণে তাঁরা এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। প্রার্থিতা পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ১০ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন ঝিকরগাছা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুন ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম। নতুন করে প্রার্থিতার দাবিতে গত শুক্রবার আসনটিতে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। পৃথক কর্মসূচি করে বেড়াচ্ছেন আরেক প্রার্থী চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলামও। সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মীরা বলেছেন, আসনটিতে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ডা. মোসলেহউদ্দিন ফরিদ। তিনি নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে বেশ কিছুদিন ধরে জনসংযোগ চালিয়ে আসা মিজানুর রহমান খান এখনো মনে করছেন, দল প্রার্থী পুনর্বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থিতা দেওয়ার আগেই তারেক রহমান নিজে আমাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী কাজ করছি।’ জানতে চাইলে সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘জনসংযোগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। প্রতিটি পথসভায় নারী ও পুরুষের উপস্থিতি প্রায় সমান।’
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। তিনি জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। এই আসনে আরও দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের একজন ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। তিনি আইয়ুবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রায় এক যুগ পরে এলাকায় ফিরে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন। এই আসনের দুজন প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ প্রার্থিতা না পাওয়ায় তাঁর অনুসারীদের এখনো শ্রাবণের পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়নি।
ব্যতিক্রম যশোর-৩
যশোর-৩ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় এই আসনে কোন্দল নেই। অমিতকে ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসন জোটের শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি শেষ মুহূর্তে দলের কোনো চমক থাকছে, সেটি পরিষ্কার নয়। গুঞ্জন রয়েছে জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব ও এই আসনের সাবেক এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাসের ছেলে মাওলানা রশিদ আহমাদকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হবে এমন আশায় এখনো মাঠে কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদ মোহাম্মদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়া প্রার্থিতাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রার্থিতা দেওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ব্যক্তি নয়; সবাই ধানের শীর্ষের পক্ষে কাজ করবে।
জাহিদ হাসান, যশোর

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন প্রার্থীই কোমর বেঁধে নতুন করে মাঠে নেমেছেন। ফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
শার্শার মতো কোন্দল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা), যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনেও। এই তিনটি আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যশোরের ছয়টি আসনের পাঁচটিতে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা আসন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ঘোষিত পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে চূড়ান্ত সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও প্রার্থিতাবঞ্চিতরা প্রার্থি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বঞ্চিতরা নিজ দলের প্রার্থীকে ব্যর্থ প্রমাণে প্রতিদিনই সভা-সমাবেশে একে অন্যকে ঘায়েল করে দিচ্ছেন বক্তব্য। এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে উত্তাপ-উত্তেজনা।
গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই যশোর-১ আসনে চারজন নিজ নিজ বলয় নিয়ে মাঠ গোছানোর কাজ করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়ায় হতাশ শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনের অনুসারীরা।
শার্শা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, ‘তৃপ্তিকে দল প্রাথমিক সম্ভাব্য প্রার্থিতা দিয়েছে। তাঁর প্রার্থিতায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুশি নয়। এ জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।’
এদিকে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী। দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েই একবার ঝিকরগাছা আরেকবার চৌগাছার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে ছুটে বেড়াচ্ছেন মুন্নী। তবে এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন অন্য প্রার্থিতাপ্রত্যাশী অন্যরা। এ কারণে তাঁরা এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। প্রার্থিতা পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ১০ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন ঝিকরগাছা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুন ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম। নতুন করে প্রার্থিতার দাবিতে গত শুক্রবার আসনটিতে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। পৃথক কর্মসূচি করে বেড়াচ্ছেন আরেক প্রার্থী চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলামও। সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মীরা বলেছেন, আসনটিতে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ডা. মোসলেহউদ্দিন ফরিদ। তিনি নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে বেশ কিছুদিন ধরে জনসংযোগ চালিয়ে আসা মিজানুর রহমান খান এখনো মনে করছেন, দল প্রার্থী পুনর্বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থিতা দেওয়ার আগেই তারেক রহমান নিজে আমাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী কাজ করছি।’ জানতে চাইলে সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘জনসংযোগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। প্রতিটি পথসভায় নারী ও পুরুষের উপস্থিতি প্রায় সমান।’
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। তিনি জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। এই আসনে আরও দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের একজন ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। তিনি আইয়ুবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রায় এক যুগ পরে এলাকায় ফিরে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন। এই আসনের দুজন প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ প্রার্থিতা না পাওয়ায় তাঁর অনুসারীদের এখনো শ্রাবণের পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়নি।
ব্যতিক্রম যশোর-৩
যশোর-৩ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় এই আসনে কোন্দল নেই। অমিতকে ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসন জোটের শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি শেষ মুহূর্তে দলের কোনো চমক থাকছে, সেটি পরিষ্কার নয়। গুঞ্জন রয়েছে জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব ও এই আসনের সাবেক এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাসের ছেলে মাওলানা রশিদ আহমাদকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হবে এমন আশায় এখনো মাঠে কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদ মোহাম্মদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়া প্রার্থিতাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রার্থিতা দেওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ব্যক্তি নয়; সবাই ধানের শীর্ষের পক্ষে কাজ করবে।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন প্রার্থীই কোমর বেঁধে নতুন করে মাঠে নেমেছেন। ফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
শার্শার মতো কোন্দল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা), যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনেও। এই তিনটি আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যশোরের ছয়টি আসনের পাঁচটিতে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা আসন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ঘোষিত পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে চূড়ান্ত সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও প্রার্থিতাবঞ্চিতরা প্রার্থি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বঞ্চিতরা নিজ দলের প্রার্থীকে ব্যর্থ প্রমাণে প্রতিদিনই সভা-সমাবেশে একে অন্যকে ঘায়েল করে দিচ্ছেন বক্তব্য। এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে উত্তাপ-উত্তেজনা।
গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই যশোর-১ আসনে চারজন নিজ নিজ বলয় নিয়ে মাঠ গোছানোর কাজ করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়ায় হতাশ শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনের অনুসারীরা।
শার্শা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, ‘তৃপ্তিকে দল প্রাথমিক সম্ভাব্য প্রার্থিতা দিয়েছে। তাঁর প্রার্থিতায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুশি নয়। এ জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।’
এদিকে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী। দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েই একবার ঝিকরগাছা আরেকবার চৌগাছার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে ছুটে বেড়াচ্ছেন মুন্নী। তবে এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন অন্য প্রার্থিতাপ্রত্যাশী অন্যরা। এ কারণে তাঁরা এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। প্রার্থিতা পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ১০ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন ঝিকরগাছা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুন ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম। নতুন করে প্রার্থিতার দাবিতে গত শুক্রবার আসনটিতে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। পৃথক কর্মসূচি করে বেড়াচ্ছেন আরেক প্রার্থী চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলামও। সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মীরা বলেছেন, আসনটিতে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ডা. মোসলেহউদ্দিন ফরিদ। তিনি নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে বেশ কিছুদিন ধরে জনসংযোগ চালিয়ে আসা মিজানুর রহমান খান এখনো মনে করছেন, দল প্রার্থী পুনর্বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থিতা দেওয়ার আগেই তারেক রহমান নিজে আমাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী কাজ করছি।’ জানতে চাইলে সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘জনসংযোগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। প্রতিটি পথসভায় নারী ও পুরুষের উপস্থিতি প্রায় সমান।’
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। তিনি জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। এই আসনে আরও দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের একজন ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। তিনি আইয়ুবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রায় এক যুগ পরে এলাকায় ফিরে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন। এই আসনের দুজন প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ প্রার্থিতা না পাওয়ায় তাঁর অনুসারীদের এখনো শ্রাবণের পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়নি।
ব্যতিক্রম যশোর-৩
যশোর-৩ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় এই আসনে কোন্দল নেই। অমিতকে ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসন জোটের শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি শেষ মুহূর্তে দলের কোনো চমক থাকছে, সেটি পরিষ্কার নয়। গুঞ্জন রয়েছে জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব ও এই আসনের সাবেক এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাসের ছেলে মাওলানা রশিদ আহমাদকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হবে এমন আশায় এখনো মাঠে কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদ মোহাম্মদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থিতা না পাওয়া প্রার্থিতাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রার্থিতা দেওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ব্যক্তি নয়; সবাই ধানের শীর্ষের পক্ষে কাজ করবে।

অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। একই সঙ্গে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার মুহূর্তে এমন খবর এল।
২৪ মিনিট আগে
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩১ মিনিট আগে
দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ মাহফুজ আলম। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। একই সঙ্গে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ইতিহাসের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এরপর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করেছি। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার সুযোগ এসেছে। তাই আমি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করেছি।’

অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। একই সঙ্গে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ইতিহাসের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এরপর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করেছি। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার সুযোগ এসেছে। তাই আমি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করেছি।’

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন...
১৯ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার মুহূর্তে এমন খবর এল।
২৪ মিনিট আগে
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩১ মিনিট আগে
দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ মাহফুজ আলম। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার মুহূর্তে এমন খবর এল।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এসব তথ্য জানান।
নাহিদ ইসলাম জানান, আসিফ মাহমুদ এখন এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বর্তমান প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তাঁর আসনে নির্বাচনী প্রচারে মনোযোগ দেবেন।
আসিফ মাহমুদের ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল। তবে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার মুহূর্তে এমন খবর এল।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এসব তথ্য জানান।
নাহিদ ইসলাম জানান, আসিফ মাহমুদ এখন এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বর্তমান প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তাঁর আসনে নির্বাচনী প্রচারে মনোযোগ দেবেন।
আসিফ মাহমুদের ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল। তবে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন...
১৯ নভেম্বর ২০২৫
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। একই সঙ্গে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
১৬ মিনিট আগে
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩১ মিনিট আগে
দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ মাহফুজ আলম। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
আসিফ মাহমুদ এখন এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বর্তমান প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তাঁর আসনে নির্বাচনী প্রচারে মনোযোগ দেবেন।
আসিফ মাহমুদের ঢাকা-১০ আসন থেকে থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল। তবে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যূত্থানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এরপর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করেছি। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার সুযোগ এসেছে। তাই আমি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করছি।’

অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
আসিফ মাহমুদ এখন এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বর্তমান প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তাঁর আসনে নির্বাচনী প্রচারে মনোযোগ দেবেন।
আসিফ মাহমুদের ঢাকা-১০ আসন থেকে থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল। তবে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যূত্থানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এরপর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করেছি। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার সুযোগ এসেছে। তাই আমি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করছি।’

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন...
১৯ নভেম্বর ২০২৫
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। একই সঙ্গে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার মুহূর্তে এমন খবর এল।
২৪ মিনিট আগে
দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ মাহফুজ আলম। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।
৩৩ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ মাহফুজ আলম। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে ইংরেজিতে লেখেন, ‘আমরা নতুন করে শুরু করব। ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সততার শক্তি নিয়ে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথে এগিয়ে যাব।’ তিনি তার এই আহ্বানকে কেবল একটি তাৎক্ষণিক পরিবর্তন হিসেবে নয়, বরং একটি ‘দীর্ঘ যাত্রা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহফুজ আলম তাঁর বার্তায় জুলাইয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘চলুন, জুলাইয়ের জন্য, তরুণদের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা শুরু করি।’
পোস্টের শেষ অংশে তিনি তাঁর নৈতিক অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো আপস করব না।’
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে যোগ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সহযোদ্ধাদের দ্বারা গঠিত এই নতুন রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দিচ্ছেন না বলে স্পষ্ট করেছেন। লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে তাঁর স্বতন্ত্র নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে তিনি নির্বাচনেও অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ মাহফুজ আলম। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে ইংরেজিতে লেখেন, ‘আমরা নতুন করে শুরু করব। ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সততার শক্তি নিয়ে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথে এগিয়ে যাব।’ তিনি তার এই আহ্বানকে কেবল একটি তাৎক্ষণিক পরিবর্তন হিসেবে নয়, বরং একটি ‘দীর্ঘ যাত্রা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহফুজ আলম তাঁর বার্তায় জুলাইয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘চলুন, জুলাইয়ের জন্য, তরুণদের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা শুরু করি।’
পোস্টের শেষ অংশে তিনি তাঁর নৈতিক অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো আপস করব না।’
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে যোগ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সহযোদ্ধাদের দ্বারা গঠিত এই নতুন রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দিচ্ছেন না বলে স্পষ্ট করেছেন। লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে তাঁর স্বতন্ত্র নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে তিনি নির্বাচনেও অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ছিলেন চারজন। আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বাকি তিনজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তৃপ্তির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। চূড়ান্ত মনোনয়নের আশায় এই তিন...
১৯ নভেম্বর ২০২৫
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। একই সঙ্গে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার মুহূর্তে এমন খবর এল।
২৪ মিনিট আগে
অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩১ মিনিট আগে