Ajker Patrika

সিসিক নির্বাচন: মেয়রপ্রার্থীসহ বিএনপির ৪৩ নেতা–কর্মী আজীবন বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিসিক নির্বাচন: মেয়রপ্রার্থীসহ বিএনপির ৪৩ নেতা–কর্মী আজীবন বহিষ্কার

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়া বিএনপির ৪৩ নেতা–কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে দলটি। 

সোমবার (৫ জুন) রাত ১২টায় সিলেট নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নগরের ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন রিমনসহ ৪৩ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। আপনার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গত ১৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা গুম, খুন ও সরকারি পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে এমন পরিবারসহ গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো। এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।’ 

সিলেট নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, সোমবার সিলেটে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৪৩ জনকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রথমে ৪১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়; পরে আরও ২ জন নেতার নাম পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিলেটের ৪৩ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের বিএনপি আজীবন বহিষ্কার করেছে। বিএনপির নেতা–কর্মীরা বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে নেই; আমরা আন্দোলনে আছি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ 

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ২৩ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ হয়েছে। ২৫ জুন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ। 

 ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘২৫ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার হচ্ছে ২৬ তারিখ। শনিবার ২৭ তারিখ নির্বাচনকালীন এই সময়ে নির্বাচন কমিশন অফিস সব খোলা থাকে। সেই দিনই এই ভোটার হওয়া, আইডি কার্ড বা ভোটার আইডি বা ন্যাশনাল আইডি হওয়া-সংক্রান্ত যা কিছু আছে, তিনি এই ২৭ তারিখে করবেন।’

তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর সাধারণ নিয়মে বা মাঠপর্যায় থেকে ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন বিষয়টি চলে যায় পুরোপুরি কমিশনের হাতে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। ফলে এখন কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সেটি নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।

সব ঠিক থাকলে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান যেহেতু ঢাকার বাসিন্দা, সে হিসেবে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে তাঁর ভোটার-সংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ২৯ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ভোটার হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনিও তফসিল ঘোষণার পর শেষমুহূর্তে ভোটার হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের আগে ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৬
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: ফোকাস বাংলা
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: ফোকাস বাংলা

দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় ইনকিলাব মঞ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এই হত্যার ঘটনা তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে (মুহাম্মদ ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে জনগণের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। ওসমান হাদির জানাজার মাঠে তিনি বলেছেন, তিনি ওসমান হাদিকে ধারণ করেন। কিন্তু একবারের জন্যও তিনি জানাজার ময়দানে বলেননি যে, এই খুনের বিচারের ব্যাপারে তিনি কী করবেন। মানে তাঁর এই অসহায়ত্ব, তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আসলে কীসের কারণে অসহায়, সেটা তাঁরা জানতে চান। প্রধান উপদেষ্টাকে কে অসহায় করে তুলল, এটা তাঁদের কাছে তাঁকে জানাতে হবে। এটা না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিয়ে এরপর তিনি চলে যাবেন, এটা হবে না। নির্বাচনের আগে এই হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এরপর নির্বাচন। এর আগে কোনো নির্বাচন না।’

ওসমান হাদির বিচার হবে না কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সরকার আমাদের সঙ্গে বসে লিয়াজোঁ করবে এমন টিম ওসমান হাদি বানিয়ে যান নাই বলেও মন্তব্য করেন জাবের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদিকে যারা খুন করেছে, তারা দেশে থাকলে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করুন। আর তারা যদি দেশে যদি না থাকে, তাহলে বিদেশে যেখানেই থাকুক, সেখান থেকে দেশে আনার ব্যবস্থা করুন।’

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনি ও তাদের মদদদাতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চ রাজপথ ছাড়বে না বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।

দলটি আরও জানায়, আজ সোমবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দলনেতারা বলেন, এই সরকারের সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চ আছে, নাকি এই সরকারের পতনের আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে শুরু হবে, তা এই কর্মসূচি থেকে জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন, ওসমান হাদির অবস্থা যাতে আর কারও না হয়: আসিফ মাহমুদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৯
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা এই ছাত্র উপদেষ্টা। ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে আসিফ মাহমুদ জানান, প্রচারণার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে তাই তিনি স্বাভাবিক প্রচারণা করতে পারছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির হত্যার আসামিদের এখনো পর্যন্ত সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা, তাঁরা ঝুঁকিতে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে প্রার্থীসহ জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ ওসমান হাদির মতো অবস্থা যাতে আর কারও না হয়।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন আসিফ মাহমুদ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে ১২ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন আসিফ মাহমুদ।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের ধানমন্ডি এলাকায় উল্লাস করতে দেখা যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়কের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা তরুণ ভোটারদের মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি করেছে।

ঢাকা-১০ আসনটি রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখানে ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন দিয়েছেন।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে এই আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসীম উদ্দিন সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আসিফ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১২
সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আসিফ মাহমুদ। ছবি: ফেসবুক
সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আসিফ মাহমুদ। ছবি: ফেসবুক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিস থেকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন দুই ছাত্রপ্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। এর পর থেকেই তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়।

উপদেষ্টা পদ ছাড়ার পর আসিফ মাহমুদ কোন দল থেকে নির্বাচনে লড়বেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে যোগ দেবেন অথবা গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি জোটের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করবেন। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১২ ডিসেম্বর আসিফ মাহমুদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নয়, বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই ঢাকা-১০ আসনে লড়বেন।

ঢাকা-১০ আসনটি রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখানে ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই আসনে ইতিমধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন:

বিএনপির দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে এই আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসীম উদ্দিন সরকার।

তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন পর্যন্ত এই আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর আসিফ মাহমুদের সমর্থকেরা ধানমন্ডি এলাকায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়কের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা তরুণ ভোটারদের মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি করেছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর, বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, আপিলের দিন ১১ জানুয়ারি, আর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি।

অবশ্য গতকাল রোববার সংশোধিত তফসিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের আপিল করার সময় দুই দিন কমানো হয়েছে। আপিলের সময় ৫-১১ জানুয়ারি পরিবর্তন করে ৫-৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আপিল নিষ্পত্তির তারিখও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। ১২–১৮ জানুয়ারির পরিবর্তে ১০-১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

তফসিলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রাখা হয়েছে ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দের দিন ২১ জানুয়ারি। সব প্রক্রিয়া শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে।

এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

এবারের নির্বাচনে ৩০০টি সংসদীয় আসনের ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি এবার সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার সংশ্লিষ্ট গণভোটও রয়েছে। এ কারণে কিছু ভোটকক্ষ ও গোপন কক্ষ (যেখানে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়) বাড়াবে ইসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বরাবরের মতো সাদা রঙের ব্যালট পেপার আর গণভোটের জন্য গোলাপি রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত