Ajker Patrika

কোনো নির্বাচনে আ.লীগ অংশ নিতে পারবে না: সারজিস

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে এনসিপির সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুনামগঞ্জে পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে এনসিপির সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘চব্বিশের অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে কোনো আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সেই প্রক্রিয়ার দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে এনসিপির সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ওই প্রক্রিয়ার দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। আশা করি, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার হবে এবং নিষিদ্ধও হতে হবে।’

সারজিস আলম বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ এ দেশে চলবে না। দেশের রাজনীতিতে ভারতের আধিপত্যবাদ সহ্য করা হবে না। যদি মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা হয়, তাহলে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।

এ সময় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাস ও সুনামগঞ্জ এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নাসীরুদ্দীন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-৮ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আসনে আমাদের গণতন্ত্রের প্রথম শহিদ হয়েছে শরিফ ওসমান হাদি। তবে শুধু ওসমান হাদিই নয়, এখানে সাম্য হত্যাকাণ্ডও হয়েছিল। আমরা এই দুই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমার ওপর একটি গুরুদায়িত্ব পড়েছে যে, শহিদ ওসমান হাদির যে পথ, সেই পথকে এই আসনে এবং পুরো বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে। এটিও বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ, যাতে আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ঠিক থাকে। আমি জোট থেকে এই আসনে প্রার্থী হয়েছি। আমরা দুর্নীতি, ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আজাদি স্লোগান নিয়ে ইনশাআল্লাহ মাঠে থাকব। যাতে আমরা বাংলাদেশে ঢাকা-৮ আসনকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বানাতে পারি সেই যাত্রা আমাদের অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মান্নান তালুকদার (মাহিন), সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রিন্স এবং এনসিপির উত্তরার সাত থানার প্রধান সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারীরা।

ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও দক্ষিণখান। ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে মতিঝিল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর নিয়ে ফেলেছেন তাসনিম জারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত
তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।

গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। এ লক্ষ্যে প্রথমে খিলগাঁওয়ে একটি ও পরে বাসাবোতে আরেকটি বুথ চালু করা হয়।

আজ সোমবার বিকেলে খিলগাঁওয়ের বুথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একদিনেই ৪ হাজার ৬৯৩ জনের বেশি স্বাক্ষর পেয়েছেন তারা। সেই স্বাক্ষর নিয়ে সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা গেছেন তাসনিম জারা।

আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য তাকে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে। ঢাকা-৯ আসনের ভোটার অনুপাতে কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৯৩ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল জারার।

জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জোট করার পর দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তাসনিম জারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবারের নির্বাচনে বিএনপি একা হয়ে পড়েছে: তাহের

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
চৌদ্দগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা শেষে কথা বলেন তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা
চৌদ্দগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা শেষে কথা বলেন তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা

এবারের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি একা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিনের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তাহের বলেন, এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আসন লাভ করে সরকার গঠন করবে। এ দেশের মানুষ জানে, একটি দল সরকার পরিচালনার সময় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্ষমতা থাকাকালে তারা ব্যাপক লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, এ দেশের জনগণ চায় নতুন নেতৃত্ব। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাহের বলেন, ‘আমি আশা করব, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সবাই যাতে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে, সরকার সেই ব্যবস্থাই করবে।’

বিএনপির নাম উচ্চারণ না করে তাহের বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কারা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত ছিল, জনগণ সবই জানে। তাই আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি, জনগণ এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটকে ভোট দেবে এবং আমরা সরকার গঠন করব।’

এ সময় তাঁর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ। তাঁরা দুজনেই আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ১৩১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টির (একাংশ) ও জেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। সেখানে দলটির থেকে পক্ষ বলা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় তাঁদের নেতাদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন দিলেও মামলার আসামি হয়ে তাঁরা নির্বাচন করতে চান না। এ জন্য সরকারের কাছে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তাঁরা।

জাতীয় পার্টি ও জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ আসনে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে জেপির চেয়ারম্যান ও জোটের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ঢাকা-১০, হাওলাদারের স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ সোমবার শেষ সময়ে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নামে সাত-আটটি মামলা আছে, সেগুলো প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন অংশ নেব না। কারণ, মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে হয়রানির আশঙ্কা আছে। আবার নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও নেই। প্রচারে নামলে নানান অভিযোগ তুলে হামলাও হতে পারে। এসব কিছু বিবেচনা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সমীচীন হবে না। তাই মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না।’ স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নাও নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান রুহুল আমিন হাওলাদার।

ঢাকা-১০ ও গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দিচ্ছেন না কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতগুলো মামলা মাথায় নিয়ে কেমনে নির্বাচন করতে যাব? পুলিশ তো বলবে আপনার নামে মামলা আছে, চলেন। হা-পা বেঁধে তো নির্বাচন করা যায় না।’

কাজী ফিরোজ রশিদ আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের পক্ষে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছি। টেলিভিশনে ফাটিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা দিল। এটা হয়? আমরা নির্বাচনে যাব, সেটা তারা চায় না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসুক কেউ চাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনে যাব কীভাবে? এ কারণে মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত