নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৫ নেতা-কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আমানুল্লাহ আমান ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে বিকেলে ৪৫০ জনকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার এবং ১৫ জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৪৩৩ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, দুজনকে জামিন দেন এবং ১৫ জনকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপির সহজলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। বাকি সবাই বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম আমিনুর ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজিব ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ ইকবাল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্যসচিব আল আমিন, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল, ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শুভ ফরাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হাসান রনি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মোরসালিন, সহসাধারণ সম্পাদক মাহবুব মিয়া ও ছাত্রদল নেতা সাঈদ ইকবাল টিটু।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর পুলিশের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আসামিরা তথা বিএনপির নেতা কর্মী অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সৃষ্টিসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁরা চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্গে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত করেছেন। এই বিস্ফোরক দ্রব্যের উৎস কোথায়, কোনো অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার এবং পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য কাদের প্ররোচনা ছিল, কারা কারা জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ অসংখ্য আইনজীবী। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির কারণে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমাবেশ করা বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার আগামী ১০ ডিসেম্বর এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক রাখার জন্য এই মামলা সাজানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের নামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিসে বোমা এনে রেখেছে এই আসামিরা।’
আসামিদের আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ধরপাকড়ের প্রতিবাদে মিছিল করেন। এরপরই আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা পাল্টা মিছিল করেন। দুপুর ২টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরের ৩টার দিকে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা মিছিল করেন। এদিকে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে। আইনজীবীদের মিছিল থেকে একজন বিএনপি কর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আইনজীবীরা তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এরপরও সিএমএম আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এদিকে রমনা থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় বিএনপির তিন কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো ও পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিন আসামি হলেন—মোহাম্মদ হানিফ, মো. সুমন ও মো. সুমন। সন্ধ্যার আগে রমনা থানা-পুলিশ এই তিনজনকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা থানা এলাকার কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে এই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেআইনি ও অবৈধ সমাবেশ করে অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তায় যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং একটি সরকারি গাড়িতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কারা কারা জড়িত এবং পেট্রল বোমার উৎস কোথায় তা জানার জন্য এই আসামিদের ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এসআই শহিদুল ওসমান মাসুম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, মোটা লোহার রড, ইট পাটকেল ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়, পেট্রল বোমা ছুড়ে গাড়ি পোড়ায় এবং পুলিশকে মারধর করে। রমনা থানা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই মামলাটির রুজু করে।

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৫ নেতা-কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আমানুল্লাহ আমান ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে বিকেলে ৪৫০ জনকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার এবং ১৫ জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৪৩৩ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, দুজনকে জামিন দেন এবং ১৫ জনকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপির সহজলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। বাকি সবাই বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম আমিনুর ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজিব ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ ইকবাল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্যসচিব আল আমিন, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল, ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শুভ ফরাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হাসান রনি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মোরসালিন, সহসাধারণ সম্পাদক মাহবুব মিয়া ও ছাত্রদল নেতা সাঈদ ইকবাল টিটু।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর পুলিশের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আসামিরা তথা বিএনপির নেতা কর্মী অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সৃষ্টিসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁরা চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্গে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত করেছেন। এই বিস্ফোরক দ্রব্যের উৎস কোথায়, কোনো অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার এবং পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য কাদের প্ররোচনা ছিল, কারা কারা জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ অসংখ্য আইনজীবী। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির কারণে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমাবেশ করা বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার আগামী ১০ ডিসেম্বর এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক রাখার জন্য এই মামলা সাজানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের নামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিসে বোমা এনে রেখেছে এই আসামিরা।’
আসামিদের আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ধরপাকড়ের প্রতিবাদে মিছিল করেন। এরপরই আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা পাল্টা মিছিল করেন। দুপুর ২টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরের ৩টার দিকে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা মিছিল করেন। এদিকে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে। আইনজীবীদের মিছিল থেকে একজন বিএনপি কর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আইনজীবীরা তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এরপরও সিএমএম আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এদিকে রমনা থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় বিএনপির তিন কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো ও পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিন আসামি হলেন—মোহাম্মদ হানিফ, মো. সুমন ও মো. সুমন। সন্ধ্যার আগে রমনা থানা-পুলিশ এই তিনজনকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা থানা এলাকার কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে এই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেআইনি ও অবৈধ সমাবেশ করে অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তায় যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং একটি সরকারি গাড়িতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কারা কারা জড়িত এবং পেট্রল বোমার উৎস কোথায় তা জানার জন্য এই আসামিদের ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এসআই শহিদুল ওসমান মাসুম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, মোটা লোহার রড, ইট পাটকেল ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়, পেট্রল বোমা ছুড়ে গাড়ি পোড়ায় এবং পুলিশকে মারধর করে। রমনা থানা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই মামলাটির রুজু করে।

বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষদের
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকার পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তিসহ সরকার পরিচালনায় তাদের ভূমিকা থাকবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।’
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য লন্ডন থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে A1 নম্বর আসন নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স । তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
‘ইউকে বাংলা লাইভ নিউজ’-এর ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, বেষ্টনী করে রাখা একটি পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। এ সময় তাঁর পথের দুপাশ ঘিরে ছিল অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। তারেক রহমানের উদ্দেশে তাঁদের অনেকেই চিৎকার করে শুভকামনার বার্তা জানাচ্ছিলেন।
আরও দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন তারেক রহমানকে ঘিরে রেখে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছিলেন। এই দলের সঙ্গে থাকা একজনের সঙ্গে তাঁকে বিদায়ী আলিঙ্গন করতেও দেখা গেছে। ভিড়ের অনেকেই এ সময় মোবাইল ফোনে তারেক রহমানের ওই মুহূর্তটি ভিডিও করছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে ফেরা উপলক্ষে সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি বিদায় সংবর্ধনায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন—কেউ যেন তাঁর বিদায় বেলায় বিমানবন্দরে ভিড় না করেন। তবে উৎসুক সমর্থকেরা সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে তারেক রহমান লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট BG-202–এ যাত্রা করছেন। এই ফ্লাইটটি লন্ডন–সিলেট–ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্রমতে, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাঁর আগমন নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
‘ইউকে বাংলা লাইভ নিউজ’-এর ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, বেষ্টনী করে রাখা একটি পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। এ সময় তাঁর পথের দুপাশ ঘিরে ছিল অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। তারেক রহমানের উদ্দেশে তাঁদের অনেকেই চিৎকার করে শুভকামনার বার্তা জানাচ্ছিলেন।
আরও দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন তারেক রহমানকে ঘিরে রেখে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছিলেন। এই দলের সঙ্গে থাকা একজনের সঙ্গে তাঁকে বিদায়ী আলিঙ্গন করতেও দেখা গেছে। ভিড়ের অনেকেই এ সময় মোবাইল ফোনে তারেক রহমানের ওই মুহূর্তটি ভিডিও করছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে ফেরা উপলক্ষে সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি বিদায় সংবর্ধনায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন—কেউ যেন তাঁর বিদায় বেলায় বিমানবন্দরে ভিড় না করেন। তবে উৎসুক সমর্থকেরা সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে তারেক রহমান লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট BG-202–এ যাত্রা করছেন। এই ফ্লাইটটি লন্ডন–সিলেট–ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্রমতে, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাঁর আগমন নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মী
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকার পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তিসহ সরকার পরিচালনায় তাদের ভূমিকা থাকবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।’
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য লন্ডন থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে A1 নম্বর আসন নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স । তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকার পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তিসহ সরকার পরিচালনায় তাদের ভূমিকা থাকবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।’
আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর। তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির সঙ্গে তাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে এবং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে দুই দলের অবস্থান প্রায় একই রকম।’
নুরুল হক নুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একটি যুগপৎ আন্দোলনে আছি। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের পতন হলে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের নিয়ে একসাথে সরকার গঠন করবে এবং একসাথে নির্বাচন করবে।’
নুর জানান, সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বিএনপি তাদের জন্য দুটি আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরুল হক নুর (সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ) এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে মুহাম্মদ রাশেদ খান (সাধারণ সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ)-এর জন্য বিএনপি আসন ছেড়ে দিয়েছে।
নুর বলেন, বিএনপির মতো একটি বড় দলের পক্ষ থেকে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। একই সঙ্গে জাতীয় সরকারে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখবে—এই বিষয়টি আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এসব বিবেচনায় আমরা আপাতত বিএনপির সাথেই থাকছি এবং একসাথে নির্বাচন ও সরকার গঠনের পথে এগোচ্ছি।
এর আগে গতকাল গণঅধিকার পরিষদের নির্বাহী পরিষদ সভায় বিএনপির সঙ্গে দুই আসনে সমঝোতা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বশেষ রাজনৈতিক বাস্তবতা ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দলটি বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে নির্বাচন ও সরকার গঠনের পথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান নুরুল হক নুর।
‘রাজনৈতিক কৌশল’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে স্থির বা রিজিড থাকা যায় না। সময়, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার বলেন, ‘আমাদের মতো দলের জন্য মাত্র দুটি আসনে সমঝোতা করা নেতাকর্মীদের কাছে মানানো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারপরও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা কিছু অপ্রাপ্তি মেনে নিয়েই এই সিদ্ধান্তে এসেছি।’

বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকার পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তিসহ সরকার পরিচালনায় তাদের ভূমিকা থাকবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।’
আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর। তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির সঙ্গে তাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে এবং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে দুই দলের অবস্থান প্রায় একই রকম।’
নুরুল হক নুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একটি যুগপৎ আন্দোলনে আছি। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের পতন হলে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের নিয়ে একসাথে সরকার গঠন করবে এবং একসাথে নির্বাচন করবে।’
নুর জানান, সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বিএনপি তাদের জন্য দুটি আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরুল হক নুর (সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ) এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে মুহাম্মদ রাশেদ খান (সাধারণ সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ)-এর জন্য বিএনপি আসন ছেড়ে দিয়েছে।
নুর বলেন, বিএনপির মতো একটি বড় দলের পক্ষ থেকে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। একই সঙ্গে জাতীয় সরকারে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখবে—এই বিষয়টি আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এসব বিবেচনায় আমরা আপাতত বিএনপির সাথেই থাকছি এবং একসাথে নির্বাচন ও সরকার গঠনের পথে এগোচ্ছি।
এর আগে গতকাল গণঅধিকার পরিষদের নির্বাহী পরিষদ সভায় বিএনপির সঙ্গে দুই আসনে সমঝোতা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বশেষ রাজনৈতিক বাস্তবতা ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দলটি বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে নির্বাচন ও সরকার গঠনের পথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান নুরুল হক নুর।
‘রাজনৈতিক কৌশল’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে স্থির বা রিজিড থাকা যায় না। সময়, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার বলেন, ‘আমাদের মতো দলের জন্য মাত্র দুটি আসনে সমঝোতা করা নেতাকর্মীদের কাছে মানানো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারপরও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা কিছু অপ্রাপ্তি মেনে নিয়েই এই সিদ্ধান্তে এসেছি।’

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মী
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষদের
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য লন্ডন থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে A1 নম্বর আসন নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স । তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য লন্ডন থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে A1 নম্বর আসন নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স । তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে রয়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একাধিক সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় তারেক রহমান লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট BG-202–এ যাত্রা করছেন, যা লন্ডন হিথ্রো–সিলেট–ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, তারেক রহমান লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমানের ফ্লাইট BG-202–এ সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরছেন। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে (ঢাকা সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিট) লন্ডন থেকে যাত্রা করবে।
বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, তার আগমন নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য লন্ডন থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে A1 নম্বর আসন নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স । তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে রয়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একাধিক সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় তারেক রহমান লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট BG-202–এ যাত্রা করছেন, যা লন্ডন হিথ্রো–সিলেট–ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, তারেক রহমান লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমানের ফ্লাইট BG-202–এ সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরছেন। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে (ঢাকা সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিট) লন্ডন থেকে যাত্রা করবে।
বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, তার আগমন নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মী
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষদের
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকার পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তিসহ সরকার পরিচালনায় তাদের ভূমিকা থাকবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।’
২ ঘণ্টা আগে
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা জানান।
দুপুরে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ইসি আগামী ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলেছি, যাতে এই ঘোষিত তারিখ যেটা আছে, এটা যাতে না পেছায়; যাতে নির্বাচনটা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়। কারণ, আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে এবং ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে।’
১২ ফেব্রুয়ারি ভোট নিয়ে কোনো আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা তো বাংলাদেশে রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি, যাতে ফেব্রুয়ারি ১২ তারিখে নির্বাচন করা যায়। আমরা আজকে অনুরোধ জানিয়েছি, মনোনয়ন আবেদনের যে তারিখগুলো আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না।’
নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কোনো সন্দেহ বা উদ্বেগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্বেগ আছে। একজন প্রার্থী অলরেডি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমাদের প্রার্থীদের আমরা বলেছি, আপনারা বিধিমালাগুলো মেনে চলবেন। নির্বাচন কমিশনকেও বলেছি, সকল দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।’
বিকেলে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসান মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘যেখানে যতটুকু আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে, আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এনেছি। উনাদের (ইসি) বলেছি, যেন তাৎক্ষণিকভাবে যাতে ব্যবস্থা নেন।’
জুবায়ের বলেন, ‘ওনারা (বিএনপি) বিভিন্ন ধরনের ওয়াদা করছেন যে আমরা এত লক্ষ, এত কোটি কার্ড দিব, এক একটা কার্ডে এত হাজার, এত লাখ টাকা পাবেন। এই ধরনের অনেকগুলো ওয়াদা করছেন, যেটা নির্বাচন বিধির অর্থাৎ আচরণবিধির সুনির্দিষ্ট খেলাফ।’
তারেক রহমানে দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা নিয়েও ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এহসান মাহবুব বলেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পরে জনমনে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমাদের ৩০০ প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন— এটা বাস্তব উদ্বেগ। আমরা বলেছি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, প্রশাসনকে আরও অ্যাকটিভ করতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা দৃশ্যমান করার বিষয়ে ইসিকে বলা হয়েছে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ব্যাপক সফর করবেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেউ অনেক ফ্যাসিলিটি পাবেন, ভিভিআইপি ফ্যাসিলিটিজ পাবেন, আবার কেউ পাবেন না। এটা তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো না। উনারা বলেছেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
৩ তারিখে আপনাদের সমাবেশ রয়েছে, সেখানে আচরণবিধির ব্যাপারে আপনারা সতর্ক আছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার, ইসিকে আশ্বস্ত করেছি, জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের উদ্যোগ।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা জানান।
দুপুরে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ইসি আগামী ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলেছি, যাতে এই ঘোষিত তারিখ যেটা আছে, এটা যাতে না পেছায়; যাতে নির্বাচনটা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়। কারণ, আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে এবং ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে।’
১২ ফেব্রুয়ারি ভোট নিয়ে কোনো আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা তো বাংলাদেশে রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি, যাতে ফেব্রুয়ারি ১২ তারিখে নির্বাচন করা যায়। আমরা আজকে অনুরোধ জানিয়েছি, মনোনয়ন আবেদনের যে তারিখগুলো আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না।’
নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কোনো সন্দেহ বা উদ্বেগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্বেগ আছে। একজন প্রার্থী অলরেডি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমাদের প্রার্থীদের আমরা বলেছি, আপনারা বিধিমালাগুলো মেনে চলবেন। নির্বাচন কমিশনকেও বলেছি, সকল দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।’
বিকেলে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসান মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘যেখানে যতটুকু আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে, আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এনেছি। উনাদের (ইসি) বলেছি, যেন তাৎক্ষণিকভাবে যাতে ব্যবস্থা নেন।’
জুবায়ের বলেন, ‘ওনারা (বিএনপি) বিভিন্ন ধরনের ওয়াদা করছেন যে আমরা এত লক্ষ, এত কোটি কার্ড দিব, এক একটা কার্ডে এত হাজার, এত লাখ টাকা পাবেন। এই ধরনের অনেকগুলো ওয়াদা করছেন, যেটা নির্বাচন বিধির অর্থাৎ আচরণবিধির সুনির্দিষ্ট খেলাফ।’
তারেক রহমানে দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা নিয়েও ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এহসান মাহবুব বলেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পরে জনমনে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমাদের ৩০০ প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন— এটা বাস্তব উদ্বেগ। আমরা বলেছি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, প্রশাসনকে আরও অ্যাকটিভ করতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা দৃশ্যমান করার বিষয়ে ইসিকে বলা হয়েছে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ব্যাপক সফর করবেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেউ অনেক ফ্যাসিলিটি পাবেন, ভিভিআইপি ফ্যাসিলিটিজ পাবেন, আবার কেউ পাবেন না। এটা তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো না। উনারা বলেছেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
৩ তারিখে আপনাদের সমাবেশ রয়েছে, সেখানে আচরণবিধির ব্যাপারে আপনারা সতর্ক আছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার, ইসিকে আশ্বস্ত করেছি, জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের উদ্যোগ।

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মী
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষদের
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকার পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তিসহ সরকার পরিচালনায় তাদের ভূমিকা থাকবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।’
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য লন্ডন থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে A1 নম্বর আসন নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স । তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে