নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অ্যাকশনের বিষয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সব সিনিয়র নেতা কর্মী গ্রেপ্তার করে আলোচনায় ডাকলে তারা কীভাবে বসবে? এই ধরনের অবস্থায় তো রাজনৈতিক সমাধানের দরকার ছিল। এটা করতে কী ব্যর্থ হয়েছেন? যে কারণে পুলিশি পদক্ষেপের দরকার হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কি তাই মনে হয়? এ ছাড়া কোনো উপায় কি ছিল নাকি? পুলিশ যেভাবে মার খাচ্ছিল, এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
বিএনপির উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কাজ করেন, আপনারা মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আপনারা যদি ভাঙচুর করবেন, জানমালের ক্ষতি করবেন, আহত করবেন, তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের কাজই তো প্রোটেকশন দেওয়া।’
গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন পুলিশ সদস্যের মাথায় ৪২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে আমরা তা মনে করি না। পরিস্থিতি সব সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের (বিএনপি) শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তাদের একগুঁয়েমি ছেড়ে হয় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসুক। বিরাট সমাবেশ করুক, আমরাও দেখি, দেশবাসীও দেখবে। নয়তো কালশী মাঠে যাক। এরপরও আলোচনা হতে পারে। তারা আসুক, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বসুক।’

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অ্যাকশনের বিষয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সব সিনিয়র নেতা কর্মী গ্রেপ্তার করে আলোচনায় ডাকলে তারা কীভাবে বসবে? এই ধরনের অবস্থায় তো রাজনৈতিক সমাধানের দরকার ছিল। এটা করতে কী ব্যর্থ হয়েছেন? যে কারণে পুলিশি পদক্ষেপের দরকার হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কি তাই মনে হয়? এ ছাড়া কোনো উপায় কি ছিল নাকি? পুলিশ যেভাবে মার খাচ্ছিল, এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
বিএনপির উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কাজ করেন, আপনারা মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আপনারা যদি ভাঙচুর করবেন, জানমালের ক্ষতি করবেন, আহত করবেন, তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের কাজই তো প্রোটেকশন দেওয়া।’
গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন পুলিশ সদস্যের মাথায় ৪২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে আমরা তা মনে করি না। পরিস্থিতি সব সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের (বিএনপি) শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তাদের একগুঁয়েমি ছেড়ে হয় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসুক। বিরাট সমাবেশ করুক, আমরাও দেখি, দেশবাসীও দেখবে। নয়তো কালশী মাঠে যাক। এরপরও আলোচনা হতে পারে। তারা আসুক, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বসুক।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অ্যাকশনের বিষয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সব সিনিয়র নেতা কর্মী গ্রেপ্তার করে আলোচনায় ডাকলে তারা কীভাবে বসবে? এই ধরনের অবস্থায় তো রাজনৈতিক সমাধানের দরকার ছিল। এটা করতে কী ব্যর্থ হয়েছেন? যে কারণে পুলিশি পদক্ষেপের দরকার হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কি তাই মনে হয়? এ ছাড়া কোনো উপায় কি ছিল নাকি? পুলিশ যেভাবে মার খাচ্ছিল, এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
বিএনপির উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কাজ করেন, আপনারা মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আপনারা যদি ভাঙচুর করবেন, জানমালের ক্ষতি করবেন, আহত করবেন, তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের কাজই তো প্রোটেকশন দেওয়া।’
গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন পুলিশ সদস্যের মাথায় ৪২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে আমরা তা মনে করি না। পরিস্থিতি সব সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের (বিএনপি) শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তাদের একগুঁয়েমি ছেড়ে হয় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসুক। বিরাট সমাবেশ করুক, আমরাও দেখি, দেশবাসীও দেখবে। নয়তো কালশী মাঠে যাক। এরপরও আলোচনা হতে পারে। তারা আসুক, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বসুক।’

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অ্যাকশনের বিষয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সব সিনিয়র নেতা কর্মী গ্রেপ্তার করে আলোচনায় ডাকলে তারা কীভাবে বসবে? এই ধরনের অবস্থায় তো রাজনৈতিক সমাধানের দরকার ছিল। এটা করতে কী ব্যর্থ হয়েছেন? যে কারণে পুলিশি পদক্ষেপের দরকার হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কি তাই মনে হয়? এ ছাড়া কোনো উপায় কি ছিল নাকি? পুলিশ যেভাবে মার খাচ্ছিল, এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
বিএনপির উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কাজ করেন, আপনারা মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আপনারা যদি ভাঙচুর করবেন, জানমালের ক্ষতি করবেন, আহত করবেন, তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের কাজই তো প্রোটেকশন দেওয়া।’
গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন পুলিশ সদস্যের মাথায় ৪২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে আমরা তা মনে করি না। পরিস্থিতি সব সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের (বিএনপি) শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তাদের একগুঁয়েমি ছেড়ে হয় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসুক। বিরাট সমাবেশ করুক, আমরাও দেখি, দেশবাসীও দেখবে। নয়তো কালশী মাঠে যাক। এরপরও আলোচনা হতে পারে। তারা আসুক, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বসুক।’

বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই–বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন বা স্থানীয় ঘটনা নয়। আগামীর বাংলাদেশে যদি কারও বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হয়, তবে সেই বিদ্রোহের আগুন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ভারত বাংলাদেশকে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের অপচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় প্রভাব বিস্তারকারী সুবিধাবাদী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে অপসারণ করার দাবি জানান হাসনাত।

বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই–বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন বা স্থানীয় ঘটনা নয়। আগামীর বাংলাদেশে যদি কারও বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হয়, তবে সেই বিদ্রোহের আগুন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ভারত বাংলাদেশকে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের অপচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় প্রভাব বিস্তারকারী সুবিধাবাদী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে অপসারণ করার দাবি জানান হাসনাত।

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
‘একটি রাজনৈতিক দলকে’ বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য দায়ী করা হলেও তা ‘সঠিক ইতিহাস নয়’ নয় বলে তাঁর ভাষ্য। ওই রাজনৈতিক দলটি যাতে বর্তমান সরকারের কাছে ‘ইতিহাস সংশোধনের দাবি’ জানান, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
একই দিন রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বামপন্থি ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের একই সুরে বিএনপি নেতা ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘আজকেও পত্রিকা পড়লাম। পত্রিকার পাতার সম্পাদকীয় কলাম ও বিভিন্ন জায়াগায় লিখেছে যে, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে আল-বদর, আল-শামস। আমাদের ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা আছেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বিএনপিরে দোষারোপ করে (আপনারা) অনেক কথা বলেন। যখন আপনাদের দোষারোপ করে ইতিহাস লেখা হয়, আপনারা কেন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন না?’
তিনি আরো বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর তো কোনো আল-বদর, আল-শামস আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন নাই। হত্যা করেছিল (তারা), যারা সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হবে কি হবে না বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছিল। যারা দেশ স্বাধীন হতে দেবে কি দেবে না...! সেদিন পার্শ্ববর্তী কোনো এক দেশের লোকেরা পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ বেঁধেছিল, সেটাকে টার্গেট করে আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’
জামায়াতকে উদ্দেশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, ইসলামিক দলগুলো যাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন বাম সংগঠন, বাম-মনা সাংবাদিক এখনো আপনাদেরকে টার্গেট করে কথা বলেন, আর ইতিহাসের পাতায় আপনাদেরকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। কেন আপনারা এটা সংশোধন করেন না, কেন আপনারা দাবি জানান না? শুধু কোনো জায়গায় স্টেজে উঠলেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে (কথা) বলেন, কিন্তু কোনোটা প্রমাণ করতে পারেন না। অতএব রাজনৈতিক ইসলামিক দল, এখানে কাদেরকে বলছি, উনারা ভালো করে বুঝতেছেন।’
টিপু আরো বলেন, ‘ইতিহাসটাকে সঠিক করে তুলে ধরার জন্য আপনারা সরকারের কাছে দাবি জানান। আগামী প্রজন্মের কাছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন। অতএব ইতিহাস সঠিক যেন লেখা হয়, কারা হত্যা করেছে, সেটা যেন লেখা হয়।’
বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
ওই সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
সভায় জামায়াতের মহানগর কমিটির আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বিএনপি নেতা টিপুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী সরকারের কাছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনার দাবি জানাই।’
এ সময় জামায়াত নেতাকে থামিয়ে দিয়ে টিপু বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা এর আগে স্বাধীনতার পর অনেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল...অতএব সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই আমি আহ্বান করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্যে কারও যদি গাত্রদাহ হয়, তাহলে আগামীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আপনারাও বিএনপির যাতে গাত্রদাহ না হয়, সেইদিকে খেয়াল করে বক্তব্য দেবেন।’
এ সময় আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির কথাও বলেন টিপু।
বক্তব্যের শেষ দিকে আবারও বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার দাবি জানিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আবারও বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ডিসি সাহেবের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস, বিজয় দিবসের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস যেন সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়। ৫ অগাস্ট হয়ে গেল, অনেকে অনেক কথা বলি, কিন্তু এখনো স্বাধীনতার ঘোষকের যে ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস, বুদ্ধিজীবীর ইতিহাস- এখনো কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় নাই।’
আগামী বছরেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস সংশোধনেরও দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, এনসিপির জেলা কমিটির সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ এবং গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি মো. নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তাৎক্ষণিক বিএনপি নেতা টিপুর বক্তব্য নিয়ে কেউ প্রতিবাদ বা বিরুদ্ধমত প্রকাশ না করলেও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান।
অথচ গতকাল তাঁর বিকালেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা।
‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
‘একটি রাজনৈতিক দলকে’ বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য দায়ী করা হলেও তা ‘সঠিক ইতিহাস নয়’ নয় বলে তাঁর ভাষ্য। ওই রাজনৈতিক দলটি যাতে বর্তমান সরকারের কাছে ‘ইতিহাস সংশোধনের দাবি’ জানান, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
একই দিন রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বামপন্থি ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের একই সুরে বিএনপি নেতা ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘আজকেও পত্রিকা পড়লাম। পত্রিকার পাতার সম্পাদকীয় কলাম ও বিভিন্ন জায়াগায় লিখেছে যে, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে আল-বদর, আল-শামস। আমাদের ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা আছেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বিএনপিরে দোষারোপ করে (আপনারা) অনেক কথা বলেন। যখন আপনাদের দোষারোপ করে ইতিহাস লেখা হয়, আপনারা কেন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন না?’
তিনি আরো বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর তো কোনো আল-বদর, আল-শামস আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন নাই। হত্যা করেছিল (তারা), যারা সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হবে কি হবে না বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছিল। যারা দেশ স্বাধীন হতে দেবে কি দেবে না...! সেদিন পার্শ্ববর্তী কোনো এক দেশের লোকেরা পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ বেঁধেছিল, সেটাকে টার্গেট করে আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’
জামায়াতকে উদ্দেশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, ইসলামিক দলগুলো যাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন বাম সংগঠন, বাম-মনা সাংবাদিক এখনো আপনাদেরকে টার্গেট করে কথা বলেন, আর ইতিহাসের পাতায় আপনাদেরকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। কেন আপনারা এটা সংশোধন করেন না, কেন আপনারা দাবি জানান না? শুধু কোনো জায়গায় স্টেজে উঠলেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে (কথা) বলেন, কিন্তু কোনোটা প্রমাণ করতে পারেন না। অতএব রাজনৈতিক ইসলামিক দল, এখানে কাদেরকে বলছি, উনারা ভালো করে বুঝতেছেন।’
টিপু আরো বলেন, ‘ইতিহাসটাকে সঠিক করে তুলে ধরার জন্য আপনারা সরকারের কাছে দাবি জানান। আগামী প্রজন্মের কাছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন। অতএব ইতিহাস সঠিক যেন লেখা হয়, কারা হত্যা করেছে, সেটা যেন লেখা হয়।’
বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
ওই সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
সভায় জামায়াতের মহানগর কমিটির আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বিএনপি নেতা টিপুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী সরকারের কাছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনার দাবি জানাই।’
এ সময় জামায়াত নেতাকে থামিয়ে দিয়ে টিপু বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা এর আগে স্বাধীনতার পর অনেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল...অতএব সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই আমি আহ্বান করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্যে কারও যদি গাত্রদাহ হয়, তাহলে আগামীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আপনারাও বিএনপির যাতে গাত্রদাহ না হয়, সেইদিকে খেয়াল করে বক্তব্য দেবেন।’
এ সময় আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির কথাও বলেন টিপু।
বক্তব্যের শেষ দিকে আবারও বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার দাবি জানিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আবারও বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ডিসি সাহেবের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস, বিজয় দিবসের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস যেন সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়। ৫ অগাস্ট হয়ে গেল, অনেকে অনেক কথা বলি, কিন্তু এখনো স্বাধীনতার ঘোষকের যে ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস, বুদ্ধিজীবীর ইতিহাস- এখনো কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় নাই।’
আগামী বছরেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস সংশোধনেরও দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, এনসিপির জেলা কমিটির সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ এবং গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি মো. নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তাৎক্ষণিক বিএনপি নেতা টিপুর বক্তব্য নিয়ে কেউ প্রতিবাদ বা বিরুদ্ধমত প্রকাশ না করলেও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান।
অথচ গতকাল তাঁর বিকালেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা।
‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আজকে বিচার চলমান আছে একদিকে, আরেক দিকে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে এই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে আপনারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস করার উসকানি দেবেন এবং সন্ত্রাস চালাবেন; আমার ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না। এখানে, বাংলাদেশে, ভারতের ও ভিনদেশিদের যারা স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি নিরাপদে না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না— এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছর জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ হন মাহফুজ আলম। তাঁকে গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের যে লড়াই করার কথা ছিল, সেই লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি। এ কারণেই আজকে আমাদের মধ্য থেকে একজন জুলাইয়ের বীর শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের হাতে ৫ আগস্টের পরে যখন এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪-দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব, আমরা আর ক্ষমা করব না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম যে, মুজিববাদের মূল উৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিকড় এমন গভীরে প্রোথিত বাংলাদেশে যে, একে কালচারালি, ইন্টেলেকচুয়ালি, পলিটিক্যালি সকল অর্থেই মোকাবিলা করার যে শক্তি-সামর্থ্য, এই শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা আমরা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যেই মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বজায় রাখার জন্য এখানে কালচারাল অ্যাকটিভিস্টদের থেকে শুরু করে, এখানের বুদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের সবাইকে কবজা করে ফেলা হয়েছে।
‘ভিনদেশি অ্যাসেটরা হাদিকে মারার যুক্তি উৎপাদন’ করেছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাকে (হাদি) যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো কথা নেই, সবাই নাটক করতেছে আমাদের সঙ্গে।’
সাবেক এ তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, আমরা এই দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে এই দেশের ভেতরে মোকাবিলা করব। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, যদি এই দেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, তাহলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আজকে বিচার চলমান আছে একদিকে, আরেক দিকে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে এই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে আপনারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস করার উসকানি দেবেন এবং সন্ত্রাস চালাবেন; আমার ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না। এখানে, বাংলাদেশে, ভারতের ও ভিনদেশিদের যারা স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি নিরাপদে না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না— এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছর জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ হন মাহফুজ আলম। তাঁকে গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের যে লড়াই করার কথা ছিল, সেই লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি। এ কারণেই আজকে আমাদের মধ্য থেকে একজন জুলাইয়ের বীর শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের হাতে ৫ আগস্টের পরে যখন এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪-দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব, আমরা আর ক্ষমা করব না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম যে, মুজিববাদের মূল উৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিকড় এমন গভীরে প্রোথিত বাংলাদেশে যে, একে কালচারালি, ইন্টেলেকচুয়ালি, পলিটিক্যালি সকল অর্থেই মোকাবিলা করার যে শক্তি-সামর্থ্য, এই শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা আমরা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যেই মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বজায় রাখার জন্য এখানে কালচারাল অ্যাকটিভিস্টদের থেকে শুরু করে, এখানের বুদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের সবাইকে কবজা করে ফেলা হয়েছে।
‘ভিনদেশি অ্যাসেটরা হাদিকে মারার যুক্তি উৎপাদন’ করেছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাকে (হাদি) যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো কথা নেই, সবাই নাটক করতেছে আমাদের সঙ্গে।’
সাবেক এ তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, আমরা এই দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে এই দেশের ভেতরে মোকাবিলা করব। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, যদি এই দেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, তাহলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।’

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৩ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যার যেখানে অবদান, সেটিকে কোনোভাবেই খাটো করা সমীচীন হবে না। যার যার অবদানকে স্বীকৃতি দিলে এ দেশে জ্ঞানী ও বীরদের জন্ম হবে। আর যদি অবদানকে অস্বীকার করা হয়, জ্ঞানের আত্মহত্যা হবে এবং এ দেশে মায়ের কোলে আর কোনো বীরের জন্ম হবে না। এ জন্য আমরা আমাদের বীরদের আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলকানা কোনো চিন্তা করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। অতীত একটি গতিশীল জাতির পরিচয় কখনো বহন করে না। আমরা নিজেদের এই জাতিকে বিভক্ত দেখতে চাই না। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের জাতির ওপরে বাহির থেকে কেউ এসে খবরদারি করুক, আমরা এটিও চাই না। কেউ দাদাগিরি করুক, এটা আমরা বরদাশত করব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই না, তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে এবং মৃত্যুর দরজায় চলে যাবে। তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে, এটাও আমরা চাই না। বরং এ রকম দুঃসাহস যাতে কেউ না দেখাতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
হাদি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে জাতি আহত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধান হাদি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন, এই বক্তব্য আমিসহ সবাইকে আহত করেছে। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা উনাকে দিতে হবে। জাতির মনে আপনি যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনার এই বক্তব্য জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব— আপনারা পদত্যাগ নয়; বরং দায়িত্ব পালনের যোগ্য, এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনে রাখবেন, ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে।’
জাতি একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জাতিকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের নতুন করে তোয়াজ করে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান, আপনারা চিহ্নিত হয়ে গেছেন। আপনারা এত দিন বর্ণচোরা ছিলেন, এখন আপনাদের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেদের সংশোধন করুন, অনুতপ্ত হন, ক্ষমা চান এবং এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।’
বিএনপির উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক বন্ধু সংগঠন ঘোষণা করেছে— তারা যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আগামীতে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বে। কিন্তু, কোনো কোনো দলকে তারা নিবে না। আর আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ব। আমরা সরকারে আসার জন্য তাদেরকেও আহ্বান জানাব। আমরা চাই, সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখুক।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আসবেন, তাঁদের প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিচার বিভাগের ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত যত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাঁরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী হবেন। এই তিন বিষয়ে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যার যেখানে অবদান, সেটিকে কোনোভাবেই খাটো করা সমীচীন হবে না। যার যার অবদানকে স্বীকৃতি দিলে এ দেশে জ্ঞানী ও বীরদের জন্ম হবে। আর যদি অবদানকে অস্বীকার করা হয়, জ্ঞানের আত্মহত্যা হবে এবং এ দেশে মায়ের কোলে আর কোনো বীরের জন্ম হবে না। এ জন্য আমরা আমাদের বীরদের আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলকানা কোনো চিন্তা করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। অতীত একটি গতিশীল জাতির পরিচয় কখনো বহন করে না। আমরা নিজেদের এই জাতিকে বিভক্ত দেখতে চাই না। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের জাতির ওপরে বাহির থেকে কেউ এসে খবরদারি করুক, আমরা এটিও চাই না। কেউ দাদাগিরি করুক, এটা আমরা বরদাশত করব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই না, তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে এবং মৃত্যুর দরজায় চলে যাবে। তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে, এটাও আমরা চাই না। বরং এ রকম দুঃসাহস যাতে কেউ না দেখাতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
হাদি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে জাতি আহত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধান হাদি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন, এই বক্তব্য আমিসহ সবাইকে আহত করেছে। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা উনাকে দিতে হবে। জাতির মনে আপনি যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনার এই বক্তব্য জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব— আপনারা পদত্যাগ নয়; বরং দায়িত্ব পালনের যোগ্য, এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনে রাখবেন, ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে।’
জাতি একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জাতিকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের নতুন করে তোয়াজ করে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান, আপনারা চিহ্নিত হয়ে গেছেন। আপনারা এত দিন বর্ণচোরা ছিলেন, এখন আপনাদের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেদের সংশোধন করুন, অনুতপ্ত হন, ক্ষমা চান এবং এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।’
বিএনপির উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক বন্ধু সংগঠন ঘোষণা করেছে— তারা যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আগামীতে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বে। কিন্তু, কোনো কোনো দলকে তারা নিবে না। আর আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ব। আমরা সরকারে আসার জন্য তাদেরকেও আহ্বান জানাব। আমরা চাই, সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখুক।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আসবেন, তাঁদের প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিচার বিভাগের ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত যত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাঁরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী হবেন। এই তিন বিষয়ে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ বা মিছিল করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। গতকাল যে পরিস্থিতি ছিল সেখানে অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় ছিল না।
০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪ ঘণ্টা আগে