তানিম আহমেদ, ঢাকা

বিদ্রোহী দমনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও তা আমলেই নেননি দলের তৃণমূলের নেতারা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা অনেকটা প্রকাশ্য। এই নেতাদের দাবি, চেয়ারম্যান হতে পারলে দল কী করবে না-করবে, তা নিয়ে তাঁদের আদৌ কোনো ভাবনা নেই। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী বলেছেন, কেন্দ্র অযোগ্যদের প্রতীক দেবে। তারপরও তাঁরা কি বসে থাকবেন? বিদ্রোহী প্রার্থীর ধাক্কা সামলাতে না পেরে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের একাংশে কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি।
চলতি বছরের ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে করোনাভাইরাসের কারণে সে নির্বাচন স্থগিত হয়। করোনার প্রকোপ কমায় জুনে ২০৪ ইউপির ভোট হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮ জন বিনা ভোটে বিজয়ী হন। সেপ্টেম্বরে ৭টি বাদে ১৬০টি ইউপির ভোট হয়। যার মধ্যে ৪৩ জন নৌকার প্রার্থী বিনা ভোটে বিজয়ী হন। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮ ইউপির মধ্যে ৩১টিতে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে নির্বাচন হওয়া প্রায় সব ইউপিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে লড়তে হয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এতে ৭৭ জন নৌকার প্রার্থী হেরে যান। বিজয়ীদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, কর্মী কিংবা সমর্থক। আবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহীরা।
উচ্চাভিলাষ, গোত্র, গোষ্ঠী ও আঞ্চলিকতা
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলীয় পদ-পদবির চেয়েও অনেকের কাছে চেয়ারম্যান পদ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর সঙ্গে আর্থিক লাভক্ষতি জড়িত। বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন করছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরা জড়িত। তাই অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে প্রার্থী হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, কেউ হয়তো বর্তমান চেয়ারম্যান, বিদ্রোহী হয়ে গতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখনো লোভটা ছাড়তে পারছেন না। কারণ, দলীয় পদের চেয়েও চেয়ারম্যানের পদের লোভটা বেশি থাকে। তিনি বলেন, সিলেটে ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোষ্ঠী, আঞ্চলিকতা ও সামাজিক চাপ থাকে। এসব কারণে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অতীতে যাঁরা বিদ্রোহী হয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে দলের হুমকিকে তাঁরা তেমন গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না। আবার স্থানীয় সাংসদ ও অন্য নেতারা নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে অনেকেই প্রার্থী দাঁড় করান। প্রার্থীর নেপথ্যে যাঁরা থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কখনোই কিছু বলে না দল। এসব কারণে অনেকেই মনে করেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হলে কোনো সমস্যা হবে না।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, অতীতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা ক্ষমা পেয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়। দল কঠোর থাকলে এ সুযোগ থাকবে না।
বিএনপির বিকল্প বিদ্রোহী
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকায় তৃণমূলের অনেকেই প্রার্থী হন। তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনে তো বিএনপি নেই। তাই নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হচ্ছেন। দলীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও সেটা শুনতে চান না তাঁরা। আবার কিছু কিছু জায়গায় প্রতিযোগিতা ধরে রাখার জন্যও বিদ্রোহীদের বিষয়ে নমনীয় থাকেন স্থানীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দলের ভেতরের কারও না কারও ইন্ধনেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে থাকে। আবার বিরোধী দল না থাকায় কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে আসত, সে ক্ষেত্রে আমাদের অধিক প্রার্থী দাঁড়ানোর প্রবণতা কমে যেত। এখন বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় দাঁড়ালেই পাস করা যেতে পারে—এমন একটা প্রবণতা আছে।’
যা বলছেন বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীরা
গত সোম ও মঙ্গলবার আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী প্রায় পাঁচজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যাঁদের প্রায় সবাই বলছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। জনগণের ভোটে তাঁরা বিজয়ী হয়েছেন। তাই দল তাঁদের মূল্যায়ন করবে। আর যদি না করে, সেটা পাঁচ বছর পর দেখা যাবে।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটির ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া গাজী বলেন, ‘আমি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু আগেরবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় এবারও পাইনি। কিন্তু জনগণ চেয়েছে, তাই আমি নির্বাচন করেছি।’ স্থানীয় এই যুবলীগ নেতা পরপর দুবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জিতলেন।
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম সহিদুল্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমি জনগণের ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। তাই আমার বিশ্বাস, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। ভবিষ্যতে দল আমাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেবে।’
যা বলছে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকায় অনেকেই প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। যাঁর একটু টাকাপয়সা হয়েছে—তিনিই ভাবেন, আমি চেয়ারম্যান হব। পরের ধাপে তিনি সাংসদ হবেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, এখন চেইন অব কমান্ড লোকে মানতে চায় না। আগে দলের নেতাদের কথা অন্যরা শুনত। এখন তৃণমূলের রাজনীতি করে বা না-করে ঢাকায় এসে বিভিন্ন পদ-পদবি নিয়েই ভেবে বসে যে, আমি এখন চেয়ারম্যান হব।
উদাহরণ দুই জেলা
মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার দলীয় সাংসদদের অনুরোধে দুই জেলার ইউনিয়নগুলোর প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সাংসদেরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এই অঞ্চলের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান দলের অনেকেই। তাই একক প্রার্থী দেওয়া হলে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা হতাশ হতে পারেন।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এর আগে শিবচর উপজেলার ইউপি নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে নৌকা দেওয়া হয়নি। শুধু কালকিনি উপজেলার ইউপিগুলোয় নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা বলেন, ‘নেত্রী দয়া কইরা আমাদের শরীয়তপুরে নৌকা ওঠায় দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘এখানে শতভাগই নৌকার লোক। নৌকা দিলে বিভেদ বাড়বে। কাজেই এখানে নৌকা দেওয়া ঠিক হবে না।’

বিদ্রোহী দমনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও তা আমলেই নেননি দলের তৃণমূলের নেতারা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা অনেকটা প্রকাশ্য। এই নেতাদের দাবি, চেয়ারম্যান হতে পারলে দল কী করবে না-করবে, তা নিয়ে তাঁদের আদৌ কোনো ভাবনা নেই। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী বলেছেন, কেন্দ্র অযোগ্যদের প্রতীক দেবে। তারপরও তাঁরা কি বসে থাকবেন? বিদ্রোহী প্রার্থীর ধাক্কা সামলাতে না পেরে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের একাংশে কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি।
চলতি বছরের ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে করোনাভাইরাসের কারণে সে নির্বাচন স্থগিত হয়। করোনার প্রকোপ কমায় জুনে ২০৪ ইউপির ভোট হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮ জন বিনা ভোটে বিজয়ী হন। সেপ্টেম্বরে ৭টি বাদে ১৬০টি ইউপির ভোট হয়। যার মধ্যে ৪৩ জন নৌকার প্রার্থী বিনা ভোটে বিজয়ী হন। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮ ইউপির মধ্যে ৩১টিতে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে নির্বাচন হওয়া প্রায় সব ইউপিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে লড়তে হয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এতে ৭৭ জন নৌকার প্রার্থী হেরে যান। বিজয়ীদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, কর্মী কিংবা সমর্থক। আবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহীরা।
উচ্চাভিলাষ, গোত্র, গোষ্ঠী ও আঞ্চলিকতা
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলীয় পদ-পদবির চেয়েও অনেকের কাছে চেয়ারম্যান পদ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর সঙ্গে আর্থিক লাভক্ষতি জড়িত। বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন করছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরা জড়িত। তাই অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে প্রার্থী হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, কেউ হয়তো বর্তমান চেয়ারম্যান, বিদ্রোহী হয়ে গতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখনো লোভটা ছাড়তে পারছেন না। কারণ, দলীয় পদের চেয়েও চেয়ারম্যানের পদের লোভটা বেশি থাকে। তিনি বলেন, সিলেটে ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোষ্ঠী, আঞ্চলিকতা ও সামাজিক চাপ থাকে। এসব কারণে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অতীতে যাঁরা বিদ্রোহী হয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে দলের হুমকিকে তাঁরা তেমন গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না। আবার স্থানীয় সাংসদ ও অন্য নেতারা নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে অনেকেই প্রার্থী দাঁড় করান। প্রার্থীর নেপথ্যে যাঁরা থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কখনোই কিছু বলে না দল। এসব কারণে অনেকেই মনে করেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হলে কোনো সমস্যা হবে না।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, অতীতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা ক্ষমা পেয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়। দল কঠোর থাকলে এ সুযোগ থাকবে না।
বিএনপির বিকল্প বিদ্রোহী
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকায় তৃণমূলের অনেকেই প্রার্থী হন। তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনে তো বিএনপি নেই। তাই নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হচ্ছেন। দলীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও সেটা শুনতে চান না তাঁরা। আবার কিছু কিছু জায়গায় প্রতিযোগিতা ধরে রাখার জন্যও বিদ্রোহীদের বিষয়ে নমনীয় থাকেন স্থানীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দলের ভেতরের কারও না কারও ইন্ধনেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে থাকে। আবার বিরোধী দল না থাকায় কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে আসত, সে ক্ষেত্রে আমাদের অধিক প্রার্থী দাঁড়ানোর প্রবণতা কমে যেত। এখন বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় দাঁড়ালেই পাস করা যেতে পারে—এমন একটা প্রবণতা আছে।’
যা বলছেন বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীরা
গত সোম ও মঙ্গলবার আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী প্রায় পাঁচজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যাঁদের প্রায় সবাই বলছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। জনগণের ভোটে তাঁরা বিজয়ী হয়েছেন। তাই দল তাঁদের মূল্যায়ন করবে। আর যদি না করে, সেটা পাঁচ বছর পর দেখা যাবে।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটির ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া গাজী বলেন, ‘আমি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু আগেরবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় এবারও পাইনি। কিন্তু জনগণ চেয়েছে, তাই আমি নির্বাচন করেছি।’ স্থানীয় এই যুবলীগ নেতা পরপর দুবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জিতলেন।
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম সহিদুল্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমি জনগণের ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। তাই আমার বিশ্বাস, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। ভবিষ্যতে দল আমাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেবে।’
যা বলছে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকায় অনেকেই প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। যাঁর একটু টাকাপয়সা হয়েছে—তিনিই ভাবেন, আমি চেয়ারম্যান হব। পরের ধাপে তিনি সাংসদ হবেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, এখন চেইন অব কমান্ড লোকে মানতে চায় না। আগে দলের নেতাদের কথা অন্যরা শুনত। এখন তৃণমূলের রাজনীতি করে বা না-করে ঢাকায় এসে বিভিন্ন পদ-পদবি নিয়েই ভেবে বসে যে, আমি এখন চেয়ারম্যান হব।
উদাহরণ দুই জেলা
মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার দলীয় সাংসদদের অনুরোধে দুই জেলার ইউনিয়নগুলোর প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সাংসদেরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এই অঞ্চলের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান দলের অনেকেই। তাই একক প্রার্থী দেওয়া হলে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা হতাশ হতে পারেন।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এর আগে শিবচর উপজেলার ইউপি নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে নৌকা দেওয়া হয়নি। শুধু কালকিনি উপজেলার ইউপিগুলোয় নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা বলেন, ‘নেত্রী দয়া কইরা আমাদের শরীয়তপুরে নৌকা ওঠায় দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘এখানে শতভাগই নৌকার লোক। নৌকা দিলে বিভেদ বাড়বে। কাজেই এখানে নৌকা দেওয়া ঠিক হবে না।’

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

বিদ্রোহী দমনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও তা আমলেই নেননি দলের তৃণমূলের নেতারা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা অনেকটা প্রকাশ্য। এই নেতাদের দাবি, চেয়ারম্যান হতে পারলে দল কী করবে না-করবে, তা নিয়ে তাঁদের আদৌ কোনো ভাবনা নেই।
২৭ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

বিদ্রোহী দমনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও তা আমলেই নেননি দলের তৃণমূলের নেতারা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা অনেকটা প্রকাশ্য। এই নেতাদের দাবি, চেয়ারম্যান হতে পারলে দল কী করবে না-করবে, তা নিয়ে তাঁদের আদৌ কোনো ভাবনা নেই।
২৭ অক্টোবর ২০২১
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

বিদ্রোহী দমনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও তা আমলেই নেননি দলের তৃণমূলের নেতারা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা অনেকটা প্রকাশ্য। এই নেতাদের দাবি, চেয়ারম্যান হতে পারলে দল কী করবে না-করবে, তা নিয়ে তাঁদের আদৌ কোনো ভাবনা নেই।
২৭ অক্টোবর ২০২১
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

বিদ্রোহী দমনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও তা আমলেই নেননি দলের তৃণমূলের নেতারা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা অনেকটা প্রকাশ্য। এই নেতাদের দাবি, চেয়ারম্যান হতে পারলে দল কী করবে না-করবে, তা নিয়ে তাঁদের আদৌ কোনো ভাবনা নেই।
২৭ অক্টোবর ২০২১
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
১ ঘণ্টা আগে