সম্পাদকীয়
বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণকে কেন্দ্র করে যে ভয়াবহ দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার চিত্র উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ১৬ মার্চ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং মাদ্রাসাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। একই সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব মাদ্রাসার তালিকা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
জেলা শিক্ষা কার্যালয়ইবা কীভাবে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেই তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাল? এই প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই দালাল চক্র দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
জাতীয়করণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শিক্ষক সমিতির নেতারাও এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী তাঁদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রাইমারি স্তর যাকে বলে, সেই ইবতেদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকেরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের কারণে সরকার তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়।
এ ধরনের মাদ্রাসায় মূলত ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় নীতিনৈতিকতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। অস্তিত্বহীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা যদি জাতীয়করণের এ সময়ে অর্থের বিনিময়ে সরকারি শিক্ষকের মর্যাদা পেতে মরিয়া হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁরা শিক্ষার্থীদের কী ধরনের বিদ্যা শিক্ষা দেবেন? নৈতিকহীন কোনো মানুষ আর একজনকে নীতিনৈতিকতার পাঠ দিতে পারে না।
এখন প্রাইমারি স্তরের এই কোমলমতি শিশুরা তাঁদের কাছ থেকে যে ভালো শিক্ষা পাবে না, সেটা এ ধরনের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে যায়। আর একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
এ ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হলে প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। যোগ্য শিক্ষকদের নিয়ে পরিচালিত এবং যথেষ্ট শিক্ষার্থী আছে—এ ধরনের মাদ্রাসাগুলোই শুধু জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
মাদ্রাসা জাতীয়করণের প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য সঠিক তদারকির মাধ্যমে প্রকৃত মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দালাল চক্র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের মতো একটি মহৎ উদ্যোগ যেন কিছু অসাধু মানুষের কারণে কলুষিত না হয়, সেদিকে সরকারকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। শিক্ষার মতো একটি মৌলিক অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেওয়া যায় না।
বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণকে কেন্দ্র করে যে ভয়াবহ দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার চিত্র উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ১৬ মার্চ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং মাদ্রাসাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। একই সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব মাদ্রাসার তালিকা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
জেলা শিক্ষা কার্যালয়ইবা কীভাবে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেই তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাল? এই প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই দালাল চক্র দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
জাতীয়করণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শিক্ষক সমিতির নেতারাও এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী তাঁদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রাইমারি স্তর যাকে বলে, সেই ইবতেদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকেরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের কারণে সরকার তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়।
এ ধরনের মাদ্রাসায় মূলত ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় নীতিনৈতিকতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। অস্তিত্বহীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা যদি জাতীয়করণের এ সময়ে অর্থের বিনিময়ে সরকারি শিক্ষকের মর্যাদা পেতে মরিয়া হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁরা শিক্ষার্থীদের কী ধরনের বিদ্যা শিক্ষা দেবেন? নৈতিকহীন কোনো মানুষ আর একজনকে নীতিনৈতিকতার পাঠ দিতে পারে না।
এখন প্রাইমারি স্তরের এই কোমলমতি শিশুরা তাঁদের কাছ থেকে যে ভালো শিক্ষা পাবে না, সেটা এ ধরনের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে যায়। আর একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
এ ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হলে প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। যোগ্য শিক্ষকদের নিয়ে পরিচালিত এবং যথেষ্ট শিক্ষার্থী আছে—এ ধরনের মাদ্রাসাগুলোই শুধু জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
মাদ্রাসা জাতীয়করণের প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য সঠিক তদারকির মাধ্যমে প্রকৃত মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দালাল চক্র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের মতো একটি মহৎ উদ্যোগ যেন কিছু অসাধু মানুষের কারণে কলুষিত না হয়, সেদিকে সরকারকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। শিক্ষার মতো একটি মৌলিক অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেওয়া যায় না।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
২১ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
২১ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২ দিন আগে