সম্পাদকীয়

বাঙালিদের নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা আছে। যেমন বলা হয়, বাঙালি তর্কপ্রিয় জাতি। তর্ক তো খারাপ কিছু নয়। সত্য সন্ধানের জন্য নাকি তর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার বাংলা ভাষাতেই একটি প্রবাদ আছে : বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। সত্য বিশ্বাস করতে হয় না। বৃষ্টি হলে বিশ্বাস করতে হয় না যে, বৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্বাসের জাত আছে, সম্প্রদায় আছে- সত্যের জাত নেই, সম্প্রদায় নেই। জলের সিক্ততা সত্য- এই সত্য জাত-পাতের ধার ধারে না। জল তৃষ্ণা নিবারণ করে- এটি সত্য; কিন্তু যদি বলা হয়- ‘ঈশ্বরের নাম না নিয়ে জল পান করা পাপ’- তবে তা বিশ্বাস এবং সমস্যার সূত্রপাত।
বিশ্বাস ও সত্যের মধ্যে পার্থক্য যারা বোঝে না, তারাই বিশ্বাসকে সত্য প্রমাণ করার জন্য তর্ক শুরু করে। বিশ্বাস সত্য নয় বলেই যে এটি বিশ্বাস, এটি তারা বুঝতে চায় না।
প্রাচীনকাল থেকেই নানা বিষয়ে প্রশ্ন আছে, তর্ক চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সব প্রশ্ন বা বিতর্কের জবাব পাওয়া গেছে বা নিষ্পত্তি হয়েছে তা নয়। যেমন ডিম আগে না মুরগি আগে? এ নিয়ে তর্ক হয়। সমাধান হয়েছে কি? সৃষ্টির কিছু রহস্য বুঝি এখনো নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে তর্কে অমুক জিতেছে, অমুক হেরেছে- এ ধরনের কথা শোনা যায় বা বলা হয় বটে, কিন্তু রাবার টান দিয়ে ছেড়ে দিলে যেমন পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়, তর্কে জয়-পরাজয়ের অবস্থাও তেমনই।
কিছু বিষয় নিয়ে তর্কের চেয়ে বিশ্বাসই ভালো।
সত্যানুসন্ধানীও বিশ্বাস করে, কিন্তু বিশ্বাস নিয়ে তর্ক করে না। হীরা নিয়ে যে খেলা করে দুই টাকার মার্বেল তার প্রয়োজন নেই। তাই, নিজের মত অভ্রান্ত জেনেও সে তর্কস্থলে নির্বাক থাকে।
তর্ক করে মানুষ কিছুই জানতে পারে না -এমনটাও নয়। তবে মানুষের নিজ নিজ ভাবনা বা অবস্থান পরিবর্তন সহজ কাজ নয়। তর্ক করে স্বভাব বদলানো গেলে মন্দ হতো না। কিন্তু তা কি সম্ভব? তাই বিশ্বাস এবং তর্ক – দুটোই চলুক। এ নিয়ে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ না হলেই মঙ্গল।
তর্ক তাদের কাছেই মূল্যবান যারা জ্ঞানের কিরণ দেখেনি। যারা বাগ্মিতা করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের তো তর্ক ছাড়া চলেই না। তর্ক তাদেরকে শিখতে হয়, পেটের ধান্ধায়। তর্ক তাদেরকে উৎপাদন করতে হয়- ব্যবসা প্রসারের জন্য।
সত্য নিয়ে তর্ক হয় না। আর বিশ্বাস তর্কের বিষয়ই না। সুতরাং সব তর্কই যুক্তিযুক্ত নয়। সে জন্য কুতর্ক অবশ্যই বর্জন করতে পারলেই ভালো ।

বাঙালিদের নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা আছে। যেমন বলা হয়, বাঙালি তর্কপ্রিয় জাতি। তর্ক তো খারাপ কিছু নয়। সত্য সন্ধানের জন্য নাকি তর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার বাংলা ভাষাতেই একটি প্রবাদ আছে : বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। সত্য বিশ্বাস করতে হয় না। বৃষ্টি হলে বিশ্বাস করতে হয় না যে, বৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্বাসের জাত আছে, সম্প্রদায় আছে- সত্যের জাত নেই, সম্প্রদায় নেই। জলের সিক্ততা সত্য- এই সত্য জাত-পাতের ধার ধারে না। জল তৃষ্ণা নিবারণ করে- এটি সত্য; কিন্তু যদি বলা হয়- ‘ঈশ্বরের নাম না নিয়ে জল পান করা পাপ’- তবে তা বিশ্বাস এবং সমস্যার সূত্রপাত।
বিশ্বাস ও সত্যের মধ্যে পার্থক্য যারা বোঝে না, তারাই বিশ্বাসকে সত্য প্রমাণ করার জন্য তর্ক শুরু করে। বিশ্বাস সত্য নয় বলেই যে এটি বিশ্বাস, এটি তারা বুঝতে চায় না।
প্রাচীনকাল থেকেই নানা বিষয়ে প্রশ্ন আছে, তর্ক চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সব প্রশ্ন বা বিতর্কের জবাব পাওয়া গেছে বা নিষ্পত্তি হয়েছে তা নয়। যেমন ডিম আগে না মুরগি আগে? এ নিয়ে তর্ক হয়। সমাধান হয়েছে কি? সৃষ্টির কিছু রহস্য বুঝি এখনো নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে তর্কে অমুক জিতেছে, অমুক হেরেছে- এ ধরনের কথা শোনা যায় বা বলা হয় বটে, কিন্তু রাবার টান দিয়ে ছেড়ে দিলে যেমন পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়, তর্কে জয়-পরাজয়ের অবস্থাও তেমনই।
কিছু বিষয় নিয়ে তর্কের চেয়ে বিশ্বাসই ভালো।
সত্যানুসন্ধানীও বিশ্বাস করে, কিন্তু বিশ্বাস নিয়ে তর্ক করে না। হীরা নিয়ে যে খেলা করে দুই টাকার মার্বেল তার প্রয়োজন নেই। তাই, নিজের মত অভ্রান্ত জেনেও সে তর্কস্থলে নির্বাক থাকে।
তর্ক করে মানুষ কিছুই জানতে পারে না -এমনটাও নয়। তবে মানুষের নিজ নিজ ভাবনা বা অবস্থান পরিবর্তন সহজ কাজ নয়। তর্ক করে স্বভাব বদলানো গেলে মন্দ হতো না। কিন্তু তা কি সম্ভব? তাই বিশ্বাস এবং তর্ক – দুটোই চলুক। এ নিয়ে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ না হলেই মঙ্গল।
তর্ক তাদের কাছেই মূল্যবান যারা জ্ঞানের কিরণ দেখেনি। যারা বাগ্মিতা করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের তো তর্ক ছাড়া চলেই না। তর্ক তাদেরকে শিখতে হয়, পেটের ধান্ধায়। তর্ক তাদেরকে উৎপাদন করতে হয়- ব্যবসা প্রসারের জন্য।
সত্য নিয়ে তর্ক হয় না। আর বিশ্বাস তর্কের বিষয়ই না। সুতরাং সব তর্কই যুক্তিযুক্ত নয়। সে জন্য কুতর্ক অবশ্যই বর্জন করতে পারলেই ভালো ।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে নিভে গেল আরেকটি আলো। এত দীর্ঘ লড়াই, এত প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অসমসাহসী এই নারী শেষ বাঁকে এসে আর পারলেন না।
১৯ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে বহু তারকা জ্বলে উঠেছে, বহু তারা আবার নিভে গেছে ক্ষমতার কালো ধোঁয়ায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারাল একজন দেশপ্রেমী, অকুতোভয়, নির্ভীক ও আপসহীন নেত্রীকে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তিনি ভালোবাসতেন এই দেশকে, এ দেশের মাটি ও মানুষকে। তিনি ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ২০০৩ সালে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার...
১৯ ঘণ্টা আগে
আরও একটি বছরের যবনিকাপাত ঘটল। শেষ হয়ে গেল ২০২৫ সাল। নানা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক টানাপোড়েন, উত্থান-পতন, প্রত্যাশা-হতাশার মাঝে সমাপ্তি ঘটেছে বছরটির। সময় এখন পেছন ফিরে তাকানোর—কী পেয়েছি, কী পাইনি; কী আশা করেছিলাম, কোথায় হতাশ হয়েছি, কী কী করতে চেয়েছি, কী কী করতে পারিনি—স্বাভাবিকভাবেই...
২০ ঘণ্টা আগে