সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
তবে দুই দেশেই সরকারের ভেতরের ও বাইরের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা নিজে থেকেই দেশে ফিরে যে বিচারের মুখে পড়তে চাইবেন—এমন ইঙ্গিত এখনো মিলছে না। আইনি সব জটিলতা মিটিয়ে তাঁকে ফেরত আনা সফল করতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। আর হাসিনাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের জন্য মোটেও সহজ নয়। সব মিলিয়ে তাঁকে ফেরত এনে তাঁর উপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা একটি জটিল, সময়সাপেক্ষ, এমনকি প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।
হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দুই দেশেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতির যোগসূত্র থাকার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, এমনকি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে—এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে গত সোমবার বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য দেওয়া কূটনৈতিক পত্র একটি সূচনামাত্র। আর তাঁকে ফেরত চেয়ে যে অনুরোধ করা হয়েছে, সে অনুরোধের বিরুদ্ধে তিনি চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, সরকারি চ্যানেলে নয়াদিল্লি থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো জবাব আসেনি।
সরকার ভারতের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করবে, এমনটি জানিয়ে রফিকুল আলম বলেন, ‘যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো উত্তর না আসে, তবে বাংলাদেশ থেকে একটি অনুস্মারক চিঠি পাঠানো হবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত আনা না গেলে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কথায়। গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সরকার যদি তাঁকে ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।’
শেখ হাসিনা নিজে আদালতে উপস্থিত না হলে কিংবা ভারত তাঁকে ফেরত না দিলে কী হতে পারে, আজকের পত্রিকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় জানতে চাওয়া হলে তাজুল ইসলাম বলেন, আইনে বলা আছে, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে হাজির না হলে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলতে পারে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতে প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা প্রাণদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে কূটনৈতিক পত্র দেওয়ার কথা গত সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান। সেদিনই সন্ধ্যায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল কূটনৈতিক পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভেতরকার এক বিশ্লেষক মনে করেন, যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চাওয়া হয়েছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী দুই রাষ্ট্র যেমন দুটি পক্ষ, বর্তমান বিবেচ্য ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা নিজেও একটি পক্ষ। এ কারণে রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের দিক থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানোর বিষয় যেমন আছে, তিনি নিজে ফিরতে চাইবেন কি না, ঢাকা ফিরে বিচারকে আদালতে মোকাবিলা করবেন কি না, সেটাও ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হতে পারে।
২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সই হওয়া চুক্তিটির অষ্টম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র প্রত্যর্পণের অনুরোধ নাকচ করতে পারে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই রাষ্ট্রকে বোঝাতে সক্ষম হন, তাঁকে ফেরত দেওয়া অন্যায় হবে; কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয়নি।
সরকারের ওই কূটনীতিক বলেন, ভারতের কাছে শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি তাদের একজন পরীক্ষিত, বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মিত্র। এ কারণে তাঁকে ফেরত দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি সেখানে পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় হবে। ভারত সরকারিভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ, এমনটিই মনে করেন এই কূটনীতিক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যাওয়ার পর দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সংসদের ভেতরে-বাইরে দফায় দফায় বৈঠকে বসে।
নিজের সিদ্ধান্তে কিংবা ভারত সরকারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশে এলে স্থানীয় রাজনীতিতে তা বড় রকম প্রভাব ফেলবে, এমনটি মনে করেন স্থানীয় বিশ্লেষকেরা।
অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধ সরাসরি নাকচ না করে ভারত বেশ সময় নিতে পারে, এমনটি মনে করেন দেশটির বিশ্লেষকেরা।
শেখ হাসিনার দিল্লি যাওয়া, তাঁকে ফেরত চাওয়া ও ফেরত দেওয়ার পুরো বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি আছে বলে মনে করেন ভারতের হরিয়ানার ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ের অধ্যাপক ড. শ্রীরাধা দত্ত। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দুই দিকের জন্য খুবই জটিল একটি ব্যাপার। কাজেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, তাঁকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারটি রাতারাতি ঘটবে না।’
অন্যদিকে বাংলাদেশে সরকারের ভেতর-বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি এমনকি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নেপথ্যে নানা রকম দর-কষাকষি হতে পারে। এই দর-কষাকষিতে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম পক্ষ হতে পারে, এমনটিও মনে করেন বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘চুক্তির কয়েকটি অনুচ্ছেদ [৬ ও ৮] কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে ভারত নিশ্চয়ই তাঁকে ফেরত না দেওয়ার রাজনৈতিক কী মূল্য হতে পারে, তা বিবেচনায় নেবে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের এই প্রেসিডেন্ট মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়বে।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
তবে দুই দেশেই সরকারের ভেতরের ও বাইরের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা নিজে থেকেই দেশে ফিরে যে বিচারের মুখে পড়তে চাইবেন—এমন ইঙ্গিত এখনো মিলছে না। আইনি সব জটিলতা মিটিয়ে তাঁকে ফেরত আনা সফল করতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। আর হাসিনাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের জন্য মোটেও সহজ নয়। সব মিলিয়ে তাঁকে ফেরত এনে তাঁর উপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা একটি জটিল, সময়সাপেক্ষ, এমনকি প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।
হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দুই দেশেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতির যোগসূত্র থাকার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, এমনকি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে—এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে গত সোমবার বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য দেওয়া কূটনৈতিক পত্র একটি সূচনামাত্র। আর তাঁকে ফেরত চেয়ে যে অনুরোধ করা হয়েছে, সে অনুরোধের বিরুদ্ধে তিনি চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, সরকারি চ্যানেলে নয়াদিল্লি থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো জবাব আসেনি।
সরকার ভারতের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করবে, এমনটি জানিয়ে রফিকুল আলম বলেন, ‘যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো উত্তর না আসে, তবে বাংলাদেশ থেকে একটি অনুস্মারক চিঠি পাঠানো হবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত আনা না গেলে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কথায়। গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সরকার যদি তাঁকে ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।’
শেখ হাসিনা নিজে আদালতে উপস্থিত না হলে কিংবা ভারত তাঁকে ফেরত না দিলে কী হতে পারে, আজকের পত্রিকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় জানতে চাওয়া হলে তাজুল ইসলাম বলেন, আইনে বলা আছে, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে হাজির না হলে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলতে পারে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতে প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা প্রাণদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে কূটনৈতিক পত্র দেওয়ার কথা গত সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান। সেদিনই সন্ধ্যায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল কূটনৈতিক পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভেতরকার এক বিশ্লেষক মনে করেন, যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চাওয়া হয়েছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী দুই রাষ্ট্র যেমন দুটি পক্ষ, বর্তমান বিবেচ্য ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা নিজেও একটি পক্ষ। এ কারণে রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের দিক থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানোর বিষয় যেমন আছে, তিনি নিজে ফিরতে চাইবেন কি না, ঢাকা ফিরে বিচারকে আদালতে মোকাবিলা করবেন কি না, সেটাও ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হতে পারে।
২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সই হওয়া চুক্তিটির অষ্টম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র প্রত্যর্পণের অনুরোধ নাকচ করতে পারে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই রাষ্ট্রকে বোঝাতে সক্ষম হন, তাঁকে ফেরত দেওয়া অন্যায় হবে; কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয়নি।
সরকারের ওই কূটনীতিক বলেন, ভারতের কাছে শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি তাদের একজন পরীক্ষিত, বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মিত্র। এ কারণে তাঁকে ফেরত দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি সেখানে পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় হবে। ভারত সরকারিভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ, এমনটিই মনে করেন এই কূটনীতিক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যাওয়ার পর দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সংসদের ভেতরে-বাইরে দফায় দফায় বৈঠকে বসে।
নিজের সিদ্ধান্তে কিংবা ভারত সরকারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশে এলে স্থানীয় রাজনীতিতে তা বড় রকম প্রভাব ফেলবে, এমনটি মনে করেন স্থানীয় বিশ্লেষকেরা।
অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধ সরাসরি নাকচ না করে ভারত বেশ সময় নিতে পারে, এমনটি মনে করেন দেশটির বিশ্লেষকেরা।
শেখ হাসিনার দিল্লি যাওয়া, তাঁকে ফেরত চাওয়া ও ফেরত দেওয়ার পুরো বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি আছে বলে মনে করেন ভারতের হরিয়ানার ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ের অধ্যাপক ড. শ্রীরাধা দত্ত। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দুই দিকের জন্য খুবই জটিল একটি ব্যাপার। কাজেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, তাঁকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারটি রাতারাতি ঘটবে না।’
অন্যদিকে বাংলাদেশে সরকারের ভেতর-বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি এমনকি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নেপথ্যে নানা রকম দর-কষাকষি হতে পারে। এই দর-কষাকষিতে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম পক্ষ হতে পারে, এমনটিও মনে করেন বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘চুক্তির কয়েকটি অনুচ্ছেদ [৬ ও ৮] কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে ভারত নিশ্চয়ই তাঁকে ফেরত না দেওয়ার রাজনৈতিক কী মূল্য হতে পারে, তা বিবেচনায় নেবে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের এই প্রেসিডেন্ট মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়বে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ মিনিট আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১৪ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১৪ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’
দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’
দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ মিনিট আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ মিনিট আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১৪ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১৬ মিনিট আগে