Ajker Patrika

মৌলিক কিছু সংস্কারের সম্ভাবনা আছে: বদিউল আলম মজুমদার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৬
মৌলিক কিছু সংস্কারের সম্ভাবনা আছে: বদিউল আলম মজুমদার

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি হয়েছে দেশের কাঠামোগত সংস্কারের জন্য। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার লাগাম টানা, নির্বাচন- কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সঠিকভাবে গঠন করা। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করার জন্য।

এই আদেশ জারি হয়েছে কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য। এর মাধ্যমে হয়তো দেশের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার সম্ভব হবে না। তারপরও কতগুলো মৌলিক সংস্কার সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারগুলো অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবে। তাহলেই কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অগ্রগতি সাধন করব।

তবে আদেশ জারি কিংবা গণভোটই শেষ কথা নয়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের যতটুকু অর্জনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রের অর্জন নির্ভর করবে সংস্কারের বিষয়গুলো বাস্তবায়নের ওপর।

একটা রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের সূচনা হয় একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। এমন নির্বাচনের জন্য অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন পরিচ্ছন্ন থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিরা মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে এসে আমাদের গণতান্ত্রিক যাত্রাপথকে কলুষিত করতে না পারে না। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনও কলুষমুক্ত হওয়া দরকার। এর জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ রাজনৈতিক দল।

পাশাপাশি টাকার খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। একই সঙ্গে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করা প্রয়োজন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে সঠিক ব্যক্তিকে নিয়োগ, প্রয়োজনীয় ক্ষমতা এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ না থাকলে নির্বাচন কমিশন কার্যকর হতে পারে না।

আমাদের দেশের অন্যতম সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। এখানে দলীয় সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচন হয় না। গত তিনটি নির্বাচন তার বড় উদাহরণ। তাই এখানে নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকার দরকার। যার জন্য দরকার আইনি কাঠামোর পরিবর্তন, একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। দেশের নাগরিক সমাজকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে, যার জন্য গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নজরদারত্বের কাঠামো। এটাতে কাঠামোগত সংস্থা দরকার। চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স কার্যকর হওয়া দরকার। কিন্তু আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক সব কাঠামো ভেঙে গেছে। অকার্যকর হয়ে গেছে। এখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ