নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে।
আজ রোববার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিনের সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদবিষয়ক আলোচনায় এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় ৷
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস বন্ধ করা ঠিক হবে না। আলাদা আলাদা আলোচনা করে সমাধানে আসা কঠিন। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের কোনো একটি বিভাগকে দুর্বল করে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না। একজন স্বৈরাচার হয়েছিল, সেটি চিন্তা করে সংস্কার করে হাত-পা বেঁধে দেওয়া হলে সেটি ঠিক হবে না। দুই মেয়াদ হোক বা পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক, বরং প্রধানমন্ত্রী কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, সেটা আলোচনা করা যেতে পারে।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সর্বোচ্চ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সেটি পূর্ণ মেয়াদ হতে হবে। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ না করতে পারলে সেটি অন্যভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। এরপর একবার গ্যাপ দিয়ে দুবার হবেন, আবার একবার গ্যাপ দিয়ে আবার দুবার হবেন। যতবার খুশি ততবার হবেন।’
আমজনতা দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাধনা মহল বলেন, এক ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। একবার গ্যাপ দিয়ে আরেক মেয়াদে থাকতে পারবেন।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একজন ব্যক্তি পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তারপর একবার গ্যাপ দিয়ে আবার থাকতে পারবেন।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ দুবারের পক্ষে। সংকটের মূল জায়গা নিম্নকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, পুরো মেয়াদ সম্পন্ন না করা নিয়ে বিতর্ক আছে, তা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবার বিবেচিত হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের সমর্থন আছে। এটায় সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
আলোচনা শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল প্রধানমন্ত্রী কয় মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। প্রস্তাব ছিল, সর্বোচ্চ দুইবার শপথ নিতে পারবেন। বার ও মেয়াদ নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। মেয়াদ একটা সময়কালকে বোঝায়। বার বলতে এক মেয়াদে একাধিকবার হতে পারে। সর্বশেষ অধিকাংশ দল সম্মত হয়েছে, একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে। এই প্রস্তাবে তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংবিধানকে কীভাবে জবাবদিহিমূলক এবং ক্ষমতাকে কীভাবে ভারসাম্যমূলক করা যায় এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একজন ব্যক্তি দশ বছরের বেশি থাকতে পারবেন বলে আমরা চাচ্ছি।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভগ্নাংশ হোক আর পরিপূর্ণ হোক দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে না, এটা আগে প্রস্তাবনা ছিল। এনসিসি, দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক হবে কিনা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের পজিশন থেকে সরে আসছি ঐকমত্যের স্বার্থে। কিন্তু দুই তিনটি দল রিজিট পজিশনে আছে। এভাবে চলতে থাকলে কিয়ামত পর্যন্তও শতভাগ ঐকমত্য হবে না। এখানে ঐকমত্যের একটা মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে।
আজ রোববার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিনের সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদবিষয়ক আলোচনায় এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় ৷
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস বন্ধ করা ঠিক হবে না। আলাদা আলাদা আলোচনা করে সমাধানে আসা কঠিন। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের কোনো একটি বিভাগকে দুর্বল করে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না। একজন স্বৈরাচার হয়েছিল, সেটি চিন্তা করে সংস্কার করে হাত-পা বেঁধে দেওয়া হলে সেটি ঠিক হবে না। দুই মেয়াদ হোক বা পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক, বরং প্রধানমন্ত্রী কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, সেটা আলোচনা করা যেতে পারে।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সর্বোচ্চ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সেটি পূর্ণ মেয়াদ হতে হবে। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ না করতে পারলে সেটি অন্যভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। এরপর একবার গ্যাপ দিয়ে দুবার হবেন, আবার একবার গ্যাপ দিয়ে আবার দুবার হবেন। যতবার খুশি ততবার হবেন।’
আমজনতা দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাধনা মহল বলেন, এক ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। একবার গ্যাপ দিয়ে আরেক মেয়াদে থাকতে পারবেন।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একজন ব্যক্তি পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তারপর একবার গ্যাপ দিয়ে আবার থাকতে পারবেন।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ দুবারের পক্ষে। সংকটের মূল জায়গা নিম্নকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, পুরো মেয়াদ সম্পন্ন না করা নিয়ে বিতর্ক আছে, তা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবার বিবেচিত হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের সমর্থন আছে। এটায় সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
আলোচনা শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল প্রধানমন্ত্রী কয় মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। প্রস্তাব ছিল, সর্বোচ্চ দুইবার শপথ নিতে পারবেন। বার ও মেয়াদ নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। মেয়াদ একটা সময়কালকে বোঝায়। বার বলতে এক মেয়াদে একাধিকবার হতে পারে। সর্বশেষ অধিকাংশ দল সম্মত হয়েছে, একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে। এই প্রস্তাবে তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংবিধানকে কীভাবে জবাবদিহিমূলক এবং ক্ষমতাকে কীভাবে ভারসাম্যমূলক করা যায় এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একজন ব্যক্তি দশ বছরের বেশি থাকতে পারবেন বলে আমরা চাচ্ছি।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভগ্নাংশ হোক আর পরিপূর্ণ হোক দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে না, এটা আগে প্রস্তাবনা ছিল। এনসিসি, দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক হবে কিনা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের পজিশন থেকে সরে আসছি ঐকমত্যের স্বার্থে। কিন্তু দুই তিনটি দল রিজিট পজিশনে আছে। এভাবে চলতে থাকলে কিয়ামত পর্যন্তও শতভাগ ঐকমত্য হবে না। এখানে ঐকমত্যের একটা মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
২ মিনিট আগে
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ জারি করেছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের লক্ষ্যে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ জারি করেছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের লক্ষ্যে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
২২ জুন ২০২৫
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড পরিবর্তন করতে আপিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গাজী তামিম বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ডকে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার জন্য আটটি গ্রাউন্ডে আপিল করেছি। প্রথম গ্রাউন্ড হলো—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যে শাস্তির কথা বলা আছে, তার প্রথমেই ডেথ পেনাল্টি দিয়ে বর্ণনা করা আছে। তারপরে গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্সের কথা বলা আছে। যেহেতু আইনে একটি শাস্তি প্রেসক্রাইব করা আছে, এ জন্য ডেথ পেনাল্টি তারা সকল চার্জেই পাওয়ার যোগ্য। এটা আমাদের প্রথম গ্রাউন্ড ছিল। দ্বিতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেটা হলো ভায়োলেশন অব সিরিয়াস হিউম্যান রাইটস। সেখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। যার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। তৃতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—স্কেল অব অ্যাটাক যেটা অ্যাগেইনস্ট সিভিলিয়ান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের ওপরে হয়েছে তার ব্যাপকতা ছিল মারাত্মক। এর কারণে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা আইনত সঠিক হয়নি। চতুর্থ গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্স। গ্রাভিটি অব অফেন্স অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত এই ধরনের অপরাধীদের।’
তামিম বলেন, ‘পঞ্চম গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—শুধুমাত্র আসামির অধিকার দেখলেই হবে না। এখানে রাইটস অব দ্য ভিকটিমস এবং সোসাইটির রিজনেবল এক্সপেক্টেশনটাও দেখতে হবে। একটা সমাজ এই ধরনের অপরাধের কী ধরনের শাস্তি প্রত্যাশা করে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করার জন্য আদালত কর্তৃক কী ধরনের শাস্তি প্রাপ্ত হলে বা প্রদত্ত হলে সমাজ এই ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। ষষ্ঠ গ্রাউন্ডে বলেছি—এই আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পলাতক আছেন। তাঁরা জানছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে, সাজা হচ্ছে, আপিলের মেয়াদ শেষ। এগুলো জেনেই তাঁরা নিজেদের পলাতক রেখেছেন এবং পলাতক থেকে বিভিন্ন ট্রায়ালে বাধা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান করে যাচ্ছেন।’
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরা অবকাশের পর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করব। তারপর আপিল বিভাগে আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন যেহেতু বলেছেন তিনি ফুল অ্যান্ড ট্রুথ ডিসক্লোজ করেছেন। তাই আমরা আসলে আর করতে পারি না। তবে পক্ষদের আপিল করার সুযোগ আছে। তাঁরা চাইলে আপিল করতে পারতেন। আমার জানামতে এখনো কোনো আপিল হয়নি।’
এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়ার সময় পাঁচটি পৃথক অভিযোগ ছিল। তবে গত ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো দুটি ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালকে ফোন করে আন্দোলনকারীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলে উসকানি, আদেশ এবং অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা তাপস এবং পরবর্তীকালে হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনে ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ, অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই মামলায় চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড পরিবর্তন করতে আপিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গাজী তামিম বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ডকে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার জন্য আটটি গ্রাউন্ডে আপিল করেছি। প্রথম গ্রাউন্ড হলো—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যে শাস্তির কথা বলা আছে, তার প্রথমেই ডেথ পেনাল্টি দিয়ে বর্ণনা করা আছে। তারপরে গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্সের কথা বলা আছে। যেহেতু আইনে একটি শাস্তি প্রেসক্রাইব করা আছে, এ জন্য ডেথ পেনাল্টি তারা সকল চার্জেই পাওয়ার যোগ্য। এটা আমাদের প্রথম গ্রাউন্ড ছিল। দ্বিতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেটা হলো ভায়োলেশন অব সিরিয়াস হিউম্যান রাইটস। সেখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। যার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। তৃতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—স্কেল অব অ্যাটাক যেটা অ্যাগেইনস্ট সিভিলিয়ান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের ওপরে হয়েছে তার ব্যাপকতা ছিল মারাত্মক। এর কারণে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা আইনত সঠিক হয়নি। চতুর্থ গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্স। গ্রাভিটি অব অফেন্স অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত এই ধরনের অপরাধীদের।’
তামিম বলেন, ‘পঞ্চম গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—শুধুমাত্র আসামির অধিকার দেখলেই হবে না। এখানে রাইটস অব দ্য ভিকটিমস এবং সোসাইটির রিজনেবল এক্সপেক্টেশনটাও দেখতে হবে। একটা সমাজ এই ধরনের অপরাধের কী ধরনের শাস্তি প্রত্যাশা করে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করার জন্য আদালত কর্তৃক কী ধরনের শাস্তি প্রাপ্ত হলে বা প্রদত্ত হলে সমাজ এই ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। ষষ্ঠ গ্রাউন্ডে বলেছি—এই আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পলাতক আছেন। তাঁরা জানছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে, সাজা হচ্ছে, আপিলের মেয়াদ শেষ। এগুলো জেনেই তাঁরা নিজেদের পলাতক রেখেছেন এবং পলাতক থেকে বিভিন্ন ট্রায়ালে বাধা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান করে যাচ্ছেন।’
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরা অবকাশের পর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করব। তারপর আপিল বিভাগে আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন যেহেতু বলেছেন তিনি ফুল অ্যান্ড ট্রুথ ডিসক্লোজ করেছেন। তাই আমরা আসলে আর করতে পারি না। তবে পক্ষদের আপিল করার সুযোগ আছে। তাঁরা চাইলে আপিল করতে পারতেন। আমার জানামতে এখনো কোনো আপিল হয়নি।’
এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়ার সময় পাঁচটি পৃথক অভিযোগ ছিল। তবে গত ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো দুটি ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালকে ফোন করে আন্দোলনকারীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলে উসকানি, আদেশ এবং অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা তাপস এবং পরবর্তীকালে হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনে ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ, অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই মামলায় চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
২২ জুন ২০২৫
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
২ মিনিট আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএলএম। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।
অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া দুটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএলএম। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।
অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া দুটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
২২ জুন ২০২৫
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
২ মিনিট আগে
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
২২ জুন ২০২৫
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
২ মিনিট আগে
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে