অনলাইন ডেস্ক
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় পানি নিয়ে এক প্রজেক্টে অংশ নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের এলেইনা বেরেসফোর্ড। কাগজে একটি চিঠি লিখে কাচের বোতলে ভরে ভাসাতে হবে সাগরে—এমনই ছিল সেই প্রজেক্ট।
ক্লাসের অন্য সবার মতো এলেইনাও ছোট্ট একটি চিঠি লিখে তা বোতলে ঢুকিয়ে শিক্ষিকার হাতে দেন। শিক্ষিকার স্বামী তাঁদের সবার বোতলবন্দী চিঠি সাগরে ভাসিয়ে দেন।
১২ বছর বয়সে সেই চিঠি পাঠানোর পর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের আরও বড় ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এলেইনা। হয়ে পড়েন আরও ব্যস্ত।
তবে এর মধ্যে কখনোই তিনি তাঁর বোতলবন্দী চিঠির জবাব পাননি। চিঠির উত্তরের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দেন।
সম্প্রতি এলেইনার নামে একটি পোস্টকার্ড আসে নরওয়ে থেকে। পড়ে দেখেন, সেটি আসলে সেই ১৯৯৪ সালে লেখা চিঠির জবাব!
এত বছর ধরে বোতলটি সাগরে ভেসে ছিল, আর তাতে থাকা চিঠি পানিতে ভেজেনি, উল্টো তা সহজে পড়া যাচ্ছে—এ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ। তাঁর হাতে শুধু চিঠির জবাবই আসেনি, এসেছে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির একটি ছবিও।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লেখা চিঠি এতটা অক্ষত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, এটি আসলে তাঁর সেই পুরোনো চিঠি।
স্কুলপড়ুয়া এলেইনা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় প্রাপক, আমার নাম এলেইনা স্টিফেন। আমার বয়স ১২ বছর। আমি পোর্টনকিতে থাকি। আমি পানির ওপর একটি প্রকল্প করছি। এ জন্য বোতলে করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার শিক্ষিকার স্বামী আমাদের চিঠিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে ফেলে দিয়েছেন। যখন তুমি চিঠিটি পাবে, দয়া করে আমাকে চিঠি লিখো। তোমার নাম, শখ এবং এই চিঠি কোথায় ও কবে পেলে আর সম্ভব হলে তোমার এলাকা সম্পর্কে কিছু লিখো। ইতি, এলেইনা স্টিফেন। পুনশ্চ: আমি স্কটল্যান্ড থেকে লিখছি।’
এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের এক জার্মানের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।
‘আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চার মাসের জন্য সৈকত পরিষ্কারের কাজে এসেছি। আজ আমরা দ্বীপটি পরিষ্কার করেছি। পোস্টকার্ডের সামনের দিকে তুমি দেখতে পাবে আমাদের কাজের নৌকা নেমো এবং পালতোলা নৌকা ফন। এখানেই আমরা এখন থাকছি। আমি তোমার শিক্ষিকার স্বামী কবে এবং কোথায় এই বোতলটা সমুদ্রে ফেলেছিলেন, তা জানতে আগ্রহী।
‘পুনশ্চ: আমার বয়স ২৭। আমি পাহাড়ে চড়তে ও পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি!’ যোগ করেন পিয়া।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এখন আগের ঠিকানাতেই আছি। আগে স্কটল্যান্ডের বাকিতে থাকতাম। পোর্টনকির অন্য জায়গায়ও থেকেছি। পরে আমি মা-বাবার সঙ্গে শৈশবের বাড়িতে ফিরে আসি।’
চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়াকে খুঁজে বের করেন এলেইনা। তিনি তাঁকে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। পিয়া তাঁকে ছবি পাঠান।
ছবি দেখে এলেইনা বলেন, ‘পিয়ার পাঠানো ছবি দেখে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক। চিঠিটা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। এ আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার মনে ছিল না, চিঠিটায় ঠিক কী লিখেছিলাম। এটুকু মনে আছে, সেটি মোরে কাপ বোতলে রাখা ছিল। আমার শিক্ষিকার স্বামী সে সময় জেলের কাজ করতেন। তিনিই সেটি সমুদ্রে ফেলেছিলেন।’
এলেইনা বলেন, ‘পিয়া আর আমি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।’
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় পানি নিয়ে এক প্রজেক্টে অংশ নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের এলেইনা বেরেসফোর্ড। কাগজে একটি চিঠি লিখে কাচের বোতলে ভরে ভাসাতে হবে সাগরে—এমনই ছিল সেই প্রজেক্ট।
ক্লাসের অন্য সবার মতো এলেইনাও ছোট্ট একটি চিঠি লিখে তা বোতলে ঢুকিয়ে শিক্ষিকার হাতে দেন। শিক্ষিকার স্বামী তাঁদের সবার বোতলবন্দী চিঠি সাগরে ভাসিয়ে দেন।
১২ বছর বয়সে সেই চিঠি পাঠানোর পর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের আরও বড় ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এলেইনা। হয়ে পড়েন আরও ব্যস্ত।
তবে এর মধ্যে কখনোই তিনি তাঁর বোতলবন্দী চিঠির জবাব পাননি। চিঠির উত্তরের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দেন।
সম্প্রতি এলেইনার নামে একটি পোস্টকার্ড আসে নরওয়ে থেকে। পড়ে দেখেন, সেটি আসলে সেই ১৯৯৪ সালে লেখা চিঠির জবাব!
এত বছর ধরে বোতলটি সাগরে ভেসে ছিল, আর তাতে থাকা চিঠি পানিতে ভেজেনি, উল্টো তা সহজে পড়া যাচ্ছে—এ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ। তাঁর হাতে শুধু চিঠির জবাবই আসেনি, এসেছে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির একটি ছবিও।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লেখা চিঠি এতটা অক্ষত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, এটি আসলে তাঁর সেই পুরোনো চিঠি।
স্কুলপড়ুয়া এলেইনা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় প্রাপক, আমার নাম এলেইনা স্টিফেন। আমার বয়স ১২ বছর। আমি পোর্টনকিতে থাকি। আমি পানির ওপর একটি প্রকল্প করছি। এ জন্য বোতলে করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার শিক্ষিকার স্বামী আমাদের চিঠিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে ফেলে দিয়েছেন। যখন তুমি চিঠিটি পাবে, দয়া করে আমাকে চিঠি লিখো। তোমার নাম, শখ এবং এই চিঠি কোথায় ও কবে পেলে আর সম্ভব হলে তোমার এলাকা সম্পর্কে কিছু লিখো। ইতি, এলেইনা স্টিফেন। পুনশ্চ: আমি স্কটল্যান্ড থেকে লিখছি।’
এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের এক জার্মানের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।
‘আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চার মাসের জন্য সৈকত পরিষ্কারের কাজে এসেছি। আজ আমরা দ্বীপটি পরিষ্কার করেছি। পোস্টকার্ডের সামনের দিকে তুমি দেখতে পাবে আমাদের কাজের নৌকা নেমো এবং পালতোলা নৌকা ফন। এখানেই আমরা এখন থাকছি। আমি তোমার শিক্ষিকার স্বামী কবে এবং কোথায় এই বোতলটা সমুদ্রে ফেলেছিলেন, তা জানতে আগ্রহী।
‘পুনশ্চ: আমার বয়স ২৭। আমি পাহাড়ে চড়তে ও পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি!’ যোগ করেন পিয়া।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এখন আগের ঠিকানাতেই আছি। আগে স্কটল্যান্ডের বাকিতে থাকতাম। পোর্টনকির অন্য জায়গায়ও থেকেছি। পরে আমি মা-বাবার সঙ্গে শৈশবের বাড়িতে ফিরে আসি।’
চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়াকে খুঁজে বের করেন এলেইনা। তিনি তাঁকে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। পিয়া তাঁকে ছবি পাঠান।
ছবি দেখে এলেইনা বলেন, ‘পিয়ার পাঠানো ছবি দেখে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক। চিঠিটা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। এ আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার মনে ছিল না, চিঠিটায় ঠিক কী লিখেছিলাম। এটুকু মনে আছে, সেটি মোরে কাপ বোতলে রাখা ছিল। আমার শিক্ষিকার স্বামী সে সময় জেলের কাজ করতেন। তিনিই সেটি সমুদ্রে ফেলেছিলেন।’
এলেইনা বলেন, ‘পিয়া আর আমি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।’
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলছে বাংলাদেশ সরকার। আজ মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৮ মিনিট আগে২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসেই ভারতীয় নাগরিকেরা অনলাইন প্রতারণায় প্রায় ৮২০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা) হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গভীর অরণ্যে একটি গুহায় বহু বছর ধরে দুই ছোট কন্যাসন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন এক রুশ নারী। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ওই নারীর ভারতে ভ্রমণের নথি অনেক আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনাকামোতো ২০০৮ সালে বিটকয়েনের শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন এবং ২০০৯ সালে প্রথম বিটকয়েন ব্লক মাইন করেন। কিন্তু ২০১১ সালের পর তিনি ইন্টারনেট থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। তাঁর পরিচয় আজও রহস্যে ঘেরা। কেউ জানে না তিনি একা একজন ব্যক্তি, নাকি একাধিক ব্যক্তির একটি দল।
৩ ঘণ্টা আগে